নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দি এমপেরর

দি এমপেরর

দি এমপেরর › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্য সাইলেন্ট পেশেন্ট: অসাধারণ একটি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার

০১ লা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



#পাঠ প্রতিক্রিয়া#

বই: দ্য সাইলেন্ট পেশেন্ট
লেখক: অ্যালেক্স মাইকেলিডিস


বইটি পড়ে কিছুক্ষণ থম মেরে থাকলাম। লেখক যে শেষদিকে এতবড় টুইস্ট রেখেছেন সেটা কল্পনাও করতে পারিনি। থ্রিলার হলেও পুরো বইটি লেখা হয়েছে ভালোবাসাকে উপজীব্য করে। একাধারে নারী-পুরুষের ভালোবাসা, নারী-পুরুষের দ্বিচারিতা আর ঘৃণা, মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন আর প্রতিশোধ গ্রহণের এক অদ্ভুত কাহিনি নিয়ে।

নারী- স্রষ্টার সৃষ্টির এক অপার রহস্য! এই রহস্য ভেদ করতে গিয়ে অনেক বিদ্বান-পণ্ডিত, অনেক জ্ঞানী-মহাপুরুষ ফেল মেরেছেন। নারীর সামনে অনেক মুনি-ঋষি, অনেক তপস্বীর বহুকালের সাধনা ও তপস্যা ভেস্তে গেছে। নারী শান্তিদায়ী, নারী আরাধ্য সম্পদ, আবার নারী প্রলয়ঙ্করী, ধ্বংসাত্মক।

বইটির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে অ্যালিসিয়া বেরেনসন নামক এক নামকরা নারী চিত্রশল্পী আর তার সাথে সম্পর্কিত কয়েকটি চরিত্র নিয়ে। তার প্রচন্ড ভালোবাসার মানুষ, তার প্রাণপ্রিয় ফ্যাশন ফটোগ্রাফার স্বামীকে চেয়ারে বাঁধা অবস্থায় মৃত পাওয়া যায়। মাথা ও সারা শরীরে মোট পাঁচটি গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তাকে। পাশেই হাতে ও ঘরের মেঝেতে রক্তমাখা অবস্থায় পাওয়া যায় অ্যালিসিয়াকে। যে বন্দুক দিয়ে গুলি করা হয়েছে সে বন্দুকে হাতের ছাপও অ্যালিসিয়ার। স্বামীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।

গ্রেপ্তারের পর স্বামীকে নিজ হাতে খুনের অভিযোগ স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করে না সে। মুখে কুলুপ এঁটে একেবারে বোবা হয়ে যায়। পুলিশ বা বিচারক কেউ তার মুখ থেকে টুঁ শব্দটিও বের করতে পারেনি। বিচারে মানসিক ভারসাম্যহীন আখ্যা দিয়ে তাকে একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর সেখানে আসে একজন ক্রিমিনাল সাইকোথেরাপিস্ট। কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে টুইস্টের দিকে। সামনে আসে অবিশ্বাস্য এক কাহিনী। নারী-পুরুষের ভালোবাসা ও দ্বিচারিতার এক অভাবনীয় উপাখ্যান।

বইটির কিছু সংলাপ মনে রাখার মত।

'প্রায় ক্ষেত্রেই ভালোবাসার মধ্যে নাটকীয়তা খুঁজতে চাই আমরা। যেন বারবার একে অপরের জন্য নাটুকে কিছু করাই ভালোবাসার নিদর্শন। কিন্তু প্রকৃত ভালোবাসা নীরব, নির্লিপ্ত। ভালোবাসা হচ্ছে গভীর প্রশান্ত একটা অনুভূতি; ধ্রুব।'

'সবসময় একজনকে খুশি করার অবিরাম চেষ্টা। এমন একটা মানুষ, যার মধ্যে মায়া বা আবেগের ছিটেফোঁটাও নেই- তার ভালোবাসার পাত্র হবার চেষ্টা।'

'খুব পছন্দের কেউ আমাদের পাল্টা ভালবাসে না, এই সত্যটা স্বীকার করে নেওয়া প্রচণ্ড কষ্টের, অসহ্য একটা অনুভূতি।'

সবশেষে বলব, সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারের ওপর অসাধারণ একটি বই। বইটিকে ব্যক্তিগত রেটিং দিতে হলে ৯/১০ দেব আমি।

সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারের প্রতি কারো আগ্রহ থাকলে বইটি পড়তে পারেন। আশা করি সময়টা নষ্ট হবে না।



মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:০৮

জোবাইর বলেছেন: আপনার চমৎকার প্রতিক্রিয়া পড়ে বইটি পড়ার আগ্রহ জন্মালো। সংগ্রহ করে পড়বো। 'নীরব রোগী' থ্রিলার পড়ে আপনার সরব প্রতিক্রিয়া আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৯:৩৮

দি এমপেরর বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য একরাশ শুভেচ্ছা নিন। আগ্রহ জন্মে থাকলে জলদি পড়ে ফেলুন।

২| ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৫১

শায়মা বলেছেন: এই রিভিউ পড়ে আমারও পড়তে ইচ্ছা হচ্ছে বইটা ভাইয়া।

অনেক ভালো লাগা! :)

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৯:৪৯

দি এমপেরর বলেছেন: ভালোলাগায় প্রীত হলাম। দেরী না করে পড়ে ফেলুন।

৩| ০১ লা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: পড়বো সময় করে...

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৯:৪৯

দি এমপেরর বলেছেন: হ্যাপি রিডিং

৪| ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৮:২৪

করুণাধারা বলেছেন: সংক্ষেপে কাহিনী বলেছেন, শুধু খুনি কে সেটা বলেন নি!! শেষ পর্যন্ত চ্যাট জিপিটির কাছ থেকে জেনে নিয়েছি কেন খুন হয়েছিল।

ভালো লেগেছে পোস্ট।

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৯:৫১

দি এমপেরর বলেছেন: এই সেরেছে! লোকজন এত বুদ্ধিমান হলে কীভাবে হবে? শর্টকাটে মেরে দিলেন?

৫| ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৮:২৯

শায়মা বলেছেন: করুনাধারা আপুনি আমিও যাই তাইলে চ্যাট জিপিটিকে জিগাসা করতে......

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৯:৫২

দি এমপেরর বলেছেন: আরে নাহ! সবাই শর্টকাটে মেরে দিলে হবে? :(

৬| ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৮:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: শায়মা, একটা কথা বলা হয়নি, চ্যাট জিপিটি কিন্তু একবারে গল্প বলেন নি। তিনবারের চেষ্টায় আমাকে বের করতে হয়েছে!! একটু হিন্ট দেই, ফ্যাশন ফটোগ্রাফারের একটা পরকীয়া প্রেম ছিল। সেই পরকীয়া প্রেমের মহিলার স্বামী ফ্যাশন ফটোগ্রাফারকে চেয়ারের সাথে বেঁধে রেখেছিল।

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৯:৫৪

দি এমপেরর বলেছেন: যাক, শুধু হিন্ট দিয়েই শেষ করেছেন। কাহিনিটা কিন্তু টুইস্টে ভরপুর। তাই কাহিনির মজা নিতে চাইলে পুরোটা পড়াই উত্তম।

৭| ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৯:৫৭

শায়মা বলেছেন: সেই পরকীয়া প্রেমের মহিলার স্বামী ফ্যাশন ফটোগ্রাফারকে চেয়ারের সাথে বেঁধে রেখেছিল।


ভেরী গুড!!! :)

ঠিক করছিলো .....

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৯:৫৯

দি এমপেরর বলেছেন: হুম। তারপর কী হলো জানতে মন চায় না বুঝি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.