নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রয়োজন সবাইকে মৃত্যু ভয়ঙ্কর বিষয়টা জানানো

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:২৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোভিড ১৯ এই বিশেষ সময়ের আপদকালীন অর্থনীতির পদক্ষেপ নেয়ার আলোচনাটা শুনছিলাম। বেশ আধুনিক সময় উপোযোগী সিদ্ধান্ত। এই সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে এই পদক্ষেপ নেয়া বিষয়গুলো কার্যকরি করা খুব প্রয়োজনীয় । বাস্তব পদক্ষেপ এগিয়ে যেতে পারলে দেশ অনেকটা অর্থনৈতিক মন্দা যা এই কোভিড ১৯ শেষ হওয়ার পর শুরু হবে । দূর্ভিক্ষ এবং আরো মৃত্যু দেখা দেবে। পরিবার গুলোর জীবনযাপনের মানদণ্ড নেমে যাবে। এসব এড়াতে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন মনে করি।
কিন্তু কথা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী কাজ কজন করেন। কতটা কাজ হবে সঠিক ভাবে কোনরকম অনিয়ম অনৈতিক ইনভলমেন্ট ছাড়া।
এই যে ছুটি ঘোষনা, সারা দেশে লকডাউন থাকার পরও গার্মেন্টস কর্মীরা ছুটে আসল হেঁটে কষ্ট করে দলে দলে কয়েকশ কিলোমিটার রাস্তা বিভিন্ন জায়গা থেকে।
পথে শহরে, গ্রামে গঞ্জে কোন পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবি, আর্মি, জেলা প্রশাসক বা সচেতন মানুষ কেউ তাদের আটকালো না, ফিরিয়ে বাড়ি পাঠাল না এতটা পথ দল বেঁধে আসার সময়। কেউ উদ্যোগী হয়ে গামের্ন্টেস মালিকদের যোগাযোগ করে নিশ্চিত করে নাই কর্মিদের কাজে যোগ না দিলেও চলবে এই মূহুর্তে।
এই কর্মী মানুষগুলো নিজেদের কাজের নিশ্চয়তা চায়। তারা জানে কত নির্মম ছাটাই হয়ে যাওয়া এবং তারপর অনিরাপত্তা সময় কত কষ্টের । অনেকের একার উপার্জনের উপর নির্ভর করে একটা পরিবার।শত অসুবিধায় নিজেকে কষ্ট দিয়ে হেঁটে তারা চলে এসেছে কাজে যোগ দিতে।
মালিক পক্ষ খুবই দ্বায়িত্তহীন কর্মিদের জন্য এটা খুব ভালো বোঝা গেল। মালিক পক্ষ এই কর্মিদের দিয়ে উপার্জন করছে অথচ তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
এবং এই জনগোষ্টি বোঝতেই পারছে না এখনও কোভিড ১৯ এর মৃত্যু ভংঙ্করতা সম্পর্কে। অসুস্থ একজন হলে এরা সবাই হবে খুব দ্রুত, এদের বসবাস ঘন।
এখনও এই জনগোষ্টিকে সচেতনতার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার মনে করি। এবং সাথে তাদের বেঁচে থাকার প্রয়োজনীও ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়া উচিত প্রতিটি জেলা প্রতিনিধির।
এরা সিএনএন, বিবিসি, ওয়ার্ল্ড হেলথ ওর্গেনাজশেনের আলোচনা এবং স্বাস্থ সচেতনতার বিষয়গুলো শুনে না। এরা প্রতিদিন ফেসবুকে, পত্রিকায় পড়ে না বিশেষ বিশেষ আটির্কেল গুলো। বরং এদের মধ্যে অসচেতন এবং ফেইক গুজবের জড়িবুটি ধার্মিক নিরাপত্তার টোটকাগুলো অনেক বেশি বিস্তার করে।
সত্যিকার স্বাস্থ্য সম্মত সঠিক কথাগুলো এদের খুব একটা কেউ বুঝিয়ে বলে না।
গার্মেন্টস বন্ধ হওয়ার সময় মালিক পক্ষ এদেরকে ব্রীফিং করে কি ভাবে থাকতে হবে, কেন কারখানা বন্ধ হলো এসব বিষয়ে সচেতন করে নাই।
এই সচেতনতাটা দেখি বিদেশের প্রতিটি কার্যক্রম পরিচালনায়। সরকারের নিয়ম মেনে সবাই সেভাবে কর্মীদের ব্রীফিং করেছে। তারা দোকানে কাজের জায়গায় সঠিক ভাবে নিয়মগুলো পালন করে কাজ করছে।
বাংলাদেশে ব্যাংকে গা ঘেষাঘেষি করে লোকজন ঢুকছে দাঁড়িয়ে থাকছে। গার্ডের কথা শোনার মনবৃত্তি অনেক মানুষের মধ্যে নেই। এই গার্ডের কথা শুনলে মান চলে যাওয়ার এবং বাংলাদেশে আবার নিয়ম কি এ রকম ভাবনাওলা মানুষদের জন্য নিয়ম মানা মানুষরাও জিম্মি হয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজনে নিয়ম না মানা মানুষদের জন্য কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এ মূহুর্তে অন্যদের সুরক্ষার জন্য।
দূরত্ব এবং মুখে হাত না দেয়া, হাত ধোয়া খুব জরুরী এই মূহুর্তে সবার জন্য।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৪২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫০

রোকসানা লেইস বলেছেন: সরকার একা পারবে না কিছু করতে যদি সবাই মিলে সহযোগীতা না করে।

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: নতুন ২৯ জন আক্রান্ত
৪ জনের মৃত্যু

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

রোকসানা লেইস বলেছেন: এই ২৯ জন তাদের পাশের আরো চারজনকে যদি আক্রান্ত করেন সংখ্যাটা গনতে থাকো। পরীক্ষা হোক আর নাই হোক স্কাই হাই হয়ে যাবে খুব দ্রুত

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শিক্ষিত মূর্খের দেশে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে এরকমই হওয়ার কথা।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৫১

রোকসানা লেইস বলেছেন: একটাই নিয়ম সবার জন্য এবং এক ভাবে সবাই মানবে। এই শিক্ষা না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.