নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

অকারণ ভোগান্তি

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৪০

সময় রাত সাড়ে বারোটা। কিন্তু আমার বাড়িতে সেটা সব সময় সন্ধ্যা রাত। আমরা বেশ আনন্দে গল্প করছিলাম। সাথে চলছিল কিছু কাজ। বেক করার জন্য প্রি হিট হচ্ছে ওভেন। আর শেষ মশলা পাতি দিয়ে ওভেনে দেয়ার জন্য তৈরি করছিলাম বেকিং ট্রে। তখন বিদ্যুৎ চলে গেলো।
বাইরে ঝড় বৃষ্টি নাই । আজ সারাদিন অনেক সুন্দর ছিল আবহাওয়া। মাঝরাতে আকাশে শুক্লপক্ষের চাঁদের জোছনা এখনও মাঠে বিছিয়ে থাকা কিছু বরফের শুভ্রতায় নিজের প্রতিবিম্ব দেখছে মুগ্ধতায়।
এমন সুন্দর রাতে বিদ্যুত চলে যাওয়ার কোন কারন খুঁজে পেলাম না। বাড়ির সব কানেক্শন ঠিকঠাক আছে। হঠাৎ করে কি হলো। মিনিট পাঁচেক পর বিদ্যুৎ আসল কিন্তু সাথে সাথেই আবার চলে গেলো। মেশিনগুলো যেমন ঝলসে উঠলে এই আসা যাওয়ায় তা দেখে ভয়ই পেলাম। সব ফিউজ হয়ে গেলো নাতো আবার।
এবার বিদ্যুৎ গেলো তো গেলোই আর পাত্তা নেই। হাতের কাজগুলো গুছিয়ে রাখলাম মোবাইলের টর্চ জ্বেলে। ঘর ভরতি হয়ে গেলো আলোর বন্যায়। কি যে সুন্দর প্রকৃতির আলো কিন্তু কাজের জন্য এখন সব কাজেই বিদ্যুতের উপর ভরষা করতে হয়।
চাঁদনীর সাথে মিতালী করে গল্প করে কিছু সময় কেটে গেলো অপেক্ষায়।
টুইটারে খবর পাওয়া গেলো প্রকৃতিক বিপর্যয় নয়। গাড়ি চালিয়ে একজন উঠে গেছেন বিদ্যুতের খুঁটির উপর। তাতেই হয়েছে এই বিপর্যয়।
দু তিনটি শহরের মানুষের ঘরে নেমে এসেছে অন্ধকার। বিদ্যুৎ কর্মিরা ছুটে গেছেন ঘটনাস্থলে। কাজ শুরু হয়েছে। তবে কিছুটা সময় তো লাগবেই ঠিক হতে।
এদিকে ঘরে উত্তাপের ব্যারোমিটার দ্রুত নেমে যাচ্ছে নিচে। শীতকাল চলে গেলেও শীত শেষ হয়নি এখনও। যদিও খানিকটা উত্তপ্ত এখন ধরনী। তাও সহনশীল নয় ঘরের উত্তাপ ছাড়া।
বিদ্যুৎহীন সব কাজ বন্ধ। পানির ট্যাঙ্কে যতক্ষণ পানি আছে ব্যবহার করা যাবে তারপর পানিবিহীন হয়ে যাবে বাড়ি। গরমপানিও পাওয়া যাবে না একটু পরে। অতপর লেপের নিচে উষ্ণতায় ঢুকে যাওয়া হলো তাড়াতাড়ি সব কাজ বাদ দিয়ে।
ভোররাতের দিকে বিদ্যুৎ সচল হলো। ঘুমের মধ্যেই নানারকম শব্দ শুনতে পেলাম যন্ত্রপাতির। কিন্তু সাথে নাকে এলো তীব্র গন্ধ কিছু পুড়ে যাওয়ার।
মোক্ষম বস্তুটি পুড়ে গেছে, বিদ্যুতের এই উল্টাপাল্টা ব্যবহারে। অত্যাবশ্যক এই বস্তুটি হিটিং সিস্টেমের মোটর। কি সুন্দর অবস্থা হলো। আমাদের আনন্দ সময়ের। যারা বাড়িতে এসেছিল বেশ কিছুদিন থাকব এক সাথে তারা এই ঠাণ্ডায় কি ভাবে থাকবে তাই সকাল হতে না হতেই তাড়াতাড়ি, ঘর আরো ঠাণ্ডা হওয়ার আগেই চলে গেলো। আর পুরো চারদিন সব কিছু বন্ধ, গুড ফ্রাইডে ইষ্টার মান্ডের লং উইকেন্ডে যত সব কাজ করার পরিকল্পনা ছিল তার অনেকটাই থেমে গেলো আবার। মোটর কেনার সুযোগ নেই চারদিনের আগে।
তারপর সব ঠিক ঠাক হলে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। যদিও অন্য বাড়িতে গিয়ে থাকার আমন্ত্রণ আছে কিন্তু আমার নিজের বাড়িতে থাকতেই সাচ্ছন্দ। সাথে পোর্টেবল হিটারে আমার ঘরের গাছগুলোকেও একটু উষ্ণতা দিতে হবে মাঝে মধ্যে। বসন্তের আভাস পেয়েই কিছু গাছ কি সুন্দর ফুল ফুটিয়ে যাচ্ছে, তাদের দেখাশোনার জন্যও আমার থাকতে হবে বাড়িতে ।
কোথায় কত দূরে একজনের উল্টাপাল্টা গাড়ি চালাবার সাধ হলো মাঝ রাতে তার ভোগান্তি কতজনে কতভাবে ভোগ করছে,।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:৫৪

রানার ব্লগ বলেছেন: নিজ গৃহের আরামের সাথে কোন কিছুর তুলনা হয় না।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:২৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়; যত অসুবিধা হোক, সুবিধা করে নেয়া যায় নিজের মতন।
নিজের ঘরের সুখ আলাদা।
ধন্যবাদ রানার ব্লগ

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:২৯

কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের এদিকটায় বিদুৎ যায়নি।তবে খবরটা দেখেছি।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:২৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক এলাকায় আবহাওয়াজনিত কারণে বিদ্যুৎ ছিল না সে রাতে।
অন্য প্রভিন্সে তো ভয়াবহ দূর্যোগ হয়েছে স্ট্রমের কারণে। কিন্তু আমি ভোগ করছি কোন একজনের বেখায়ালী গাড়ি চালনার জন্য।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৬:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বিদ্যুত জনিত এমনতর ভোগান্তি !
এটা কি কোন এমিরিকান শহড়ে ?
হঠাত করে বিদ্যুত চলে যাওয়ায়
আমার একটা মঝার অভিজ্ঞতা আছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:১২

রোকসানা লেইস বলেছেন: বিদ্যুতের সাথে জড়িত এখন আমাদের সব কিছু। রান্না খাওয়া চলা । আর বিশেষ করে শীতকালে হিটার চালানো।
আগুনের উত্তাপে কাঠের উনুন বা ফায়ারপ্লেসগুলো তো এখন উঠেই গেছে।
ঐতিহ্য বজায় রেখে কিছু বাড়িতে রাখা হয় তবে এখন কাঠে নয় বেশির ভাগই চলে বিদ্যুতে। শুধু আমেরিকা নয় দেশেও এখন রান্না ছাড়া অনেক কিছু বিদ্যুতের উপর নির্ভর। হাইরাইজ এপার্টমেন্টগুলোতে বিদ্যুৎ গেলে খবর আছে। যদিও প্রায় বাড়িতে বিকল্প ব্যবস্থা ইউপিএস রাখা হয় দেশে। বিদেশে তেমন সুবিধা নেই। কেউ রাখে না সচরাচর বিদ্যুত যায় না বলে।
চলে গেলে বিদ্যুৎ হঠাৎ চলে গেলে অপেক্ষা ছাড়া উপায় থাকে না। প্রতিবার নতুন অভিজ্ঞতা হয়।
আগে এত বিদ্যুৎ যেতে দেখিনি। গত কয়েক বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগের সাথে কিছু বেখেয়ালী মানুষের ঘটানো দূর্ঘটনার কারণে প্রায় সময় এমন দূর্ঘটনার কথা শোনা যায়।
লিখে ফেলুন মজার ঘটনা।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আমেরিকায় বিদ্যুৎ সহজে যায় না, কিন্তু একবার গেলে খবর আছে। সহজে আসে না।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:০৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: এক সময় বলা হতো কোন দেশে অনেক বছরে একবারও বিদ্যুৎ যায়নি, উত্তর আমেরিকা। এ কথা আর খাটে না। ঘন ঘন নানারকম ঝঢ়ের ডামাডোলে প্রায় সময় মানুষ বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় থাকে।
বিদ্যুৎ যায় তবে খুব তাড়াতাড়ি চলেও আসে। কাজ করতে হয় ম্যানুয়ালি মানুষের । তাতে যতটুকু সময় লাগে।
অনলাইনে সব খবর পাওয়া যায় কতক্ষণ লাগবে ঠিক হতে। যতই সমস্যা হোক কি ভাবে যেন ম্যানেজ হয়ে যায়, বিদ্যুৎবিহীন সময়েও।
খারাপ লাগে বিদ্যুৎ কর্মীদের জন্য যারা রাতবিরাতে এবং অসম্ভব ঠাণ্ডার মধ্যে কাজ করে বৈদ্যুতিক সিস্টেম ঠিকঠাক করার জন্য।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২০

রাজীব নুর বলেছেন: মাঝে মাঝে জীবনে ভোগান্তি আসে। এ ভোগান্তি থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হয়।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:২৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: শিক্ষা সব রকম পরিস্থিতি থেকেই গ্রহণ করতে হয়। তবে অনেকের জন্য খুব ঝামেলার কারণ হয় একটু উল্টাপাল্টা জীবন আচরণ হলেই।
কেউ কেউ মানিয়ে নিতে পারে।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: আমার কাছে তো শুনতেই বেশ ভালো লাগছে। :) আ হা ঠান্ডা ভাবতেই মনটা কেমন হয়ে যায়...

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৩৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: চৈত্রমাসের গরমে জ্বলছেন বোঝা যায়। আমারও পছন্দ ঠান্ডা তবে যখন বাইরে মায়নাস ঘরে উষ্ণতা নেই তখন শরীর মানতে চায় না এই অবস্থা। তারপরও মাঝে মাঝে ঘুরে বেড়াই বাইরে শীতল বাতাস গ্রহণ করতে মজাই লাগে, বেশ প্রাণবন্ত হই সতেজ বাতাসে।
কদিন আগে রাতের আকাশের তারা দেখছিলাম মাঠে দাঁড়িয়ে অরোরার দেখা পেলাম না। ভালোই লাগে আমার।
আপনার তো ভালোলাগবেই ঠাণ্ডা; সাইবেরিয়াে হাওয়া খাওয়া লোক।
আপনার রাশিয়া দেখতে যাওয়া হলো না যে যুদ্ধ লাগিয়ে দিল কবে যে শেষ হবে।

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:



ঘর ভরতি হয়ে গেলো আলোর বন্যায়।
বিদ্যুৎ চলে গিয়ে ভালোই হয়েছে, সত্যিকার চাঁদের আলো উপভোগ করেছো।

গাড়ি চালিয়ে একজন উঠে গেছেন বিদ্যুতের খুঁটির উপর
এ আবার কিভাবে সম্ভব!!! এমনতো শুনিনি কখনও #:-S

পানিবিহীন হয়ে যাবে বাড়ি।
এর চাইতে ভয়াবহ আর কিছু হতে পারেনা।

ঘর আরো ঠাণ্ডা হওয়ার আগেই চলে গেলো।
বেচারারা ফেসটিভ সেলিব্রেট করতে আসছিলো, আহারে!!!

আমার নিজের বাড়িতে থাকতেই সাচ্ছন্দ।
সো ট্রু, এই শান্তি কোথাও নেই, নিজের বাসায়, স্পেশালি বেডরুম পরম শান্তি !!!

কোথায় কত দূরে একজনের উল্টাপাল্টা গাড়ি চালাবার সাধ হলো মাঝ রাতে তার ভোগান্তি কতজনে কতভাবে ভোগ করছে
এই ব্যাটাকে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখা উচিত :)


০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৫৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: এমন পয়েন্ট আউট করে মন্তব্য কজন করে ব্লগে। একজন সত্যিকারের পাঠক সুন্দর মন্তব্য খুঁটিনাটি বিষয়ে। অনেক ধন্যবাদ মিরোরডডল।
ঘর ভরতি আলোর বন্যা আমি সব সময় উপভোগ করি, ঘরের আলো নিভিয়ে দিলেই বাইরে প্রচুর আলো, ঘর দখল করে ফেলে।
চারপাশে কোন লাইট নেই তো তাই দেখার মজাটা অনেক।

গাড়ি চালিয়ে এমন বিদ্যুতের খুঁটির উপর। ঘরের দেয়াল ভেঙ্গে, দোকানের কাঁচ ভেঙ্গে, হাইওয়ের ডিভাইডার ভেঙ্গে উঠে যাওয়ার রেকর্ড অনেকেই করে এখানে প্রায় প্রায় খবরে শুনতে পাই। নিজেও মরে অন্যদেরও মারে আর ঝামেলায় ফেলে।

পানির আরেক নাম জীবন। তবে ঘরে পানি না থাকলে সবার আগে মনে হয় বাথরুমে গন্ধ উঠে যাবে হা হা হা।
তবে কিভাবে যেন ব্যবস্থা হয়েই যায়।

হুম, কিছুদিনের জন্য আমিও ঘুরতে যাচ্ছি তার আগে কয়েকদিন সবাই মিলে মজা করা যেত। কিন্তু অবিবেচক লোকটার জন্য হলো না। হয় তো মাতাল ছিল অথবা ঘুমিয়ে গেছে গাড়ি চালাতে কে জানে। মাঝখানে আমাদের আনন্দ নষ্ট।

একদম ঠিক নিজের বিছানা বালিশের আরাম আর কোথাও নাই।

ব্যাটা না বেডি জানি না। বেঁচে থাকলে তার সারাজীবন খুঁটিতে বান্ধা পরে গেছে। এত লোকের ঝামেলা তৈরি করার খেসারত না দিয়ে যাবে কই। ফাইন দিতে দিতে জান শেষ হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.