নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সপ্রসন্ন

সপ্রসন্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাতের পাবনা নতুন রেলওয়ে স্টেশন ও ট্রেনে পাথর

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৪৭

রাতে পাবনা স্টেশনের মূল ফটক।

পাবনা শহর থেকে ঈশ্বরদী নতুন রেল চালু হয়েছে কিছুদিন আগে। অবসরে পাতায় পড়েছিলাম, নতুন স্টেশনটি কেমন এক বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে পাবনাবাসীদের জন্য। তার প্রমাণ সেখানে গিয়েই হাতেনাতে পেয়ে গেলাম, ট্রেনযাত্রায় আমাদের সহযাত্রীদের কথা শুনে।
ফাঁকা বগিতে হঠাৎ ঝনঝন শব্দ।

সন্ধ্যা ৭.৫০ এ পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যায় ঈশ্বরদীর দিকে। সেই ট্রেনে চেপে বসি আমরা। ভাড়া মাত্র ৪৫টাকা। কিছুক্ষণ আগে শহরে ঘুরে জানলাম, সিএনজিতে চড়েও ঈশ্বরদীর দিকে যাওয়া যায়, তবে ভাড়া ৫০টাকা। তাছাড়া রাত যত বাড়ে, সিএনজির রেটও প্রতি এক ঘন্টায় পাঁচ টাকা বা দশ টাকা করে বাড়ে। অথচ এই ট্রেন কিনা পুরো ফাঁকা! সুবিধা পেয়েও মানুষ কেন ট্রেনে চড়ে না, ঠিক বোঝা গেল না। একটা কারণ হতে পারে, শহর থেকে বেশ বাইরে ভাঙ্গা রাস্তা পেরিয়ে এই স্টেশন আসা লাগে, রিকশা ভাড়ায় চলে যায় ৩০-৪০টাকা।
দিনের আলোয় পাবনা স্টেশন।
ট্রেনের টিকেট, ভাড়া ৪৫টাকা।

এই ফাঁকা বগিতে আমরা ছাড়া যাত্রী বলতে কেবল দুইজন মহিলা আর দুই পিচ্চি। তাদের সাথে কোন ব্যাগ বা মালপত্র দেখি না। আমাদের ঠিক বিপরীত পাশের দুই সিটই পেয়েছে তারা। ট্রেন চলা শুরু করতেই তারা বাম পাশের ফাঁকা সিটগুলোয় চলে যায়। ছাড়ার দশ মিনিট পরেই তাদের সাথে কথা বলার সুযোগ করে দেয় ট্রেনে আকস্মিকভাবে ছোঁড়া পাথরে জানালার ভাঙ্গা কাচের ঝনঝন শব্দ।

প্রথমটায় অবশ্য আমি কিছুই বুঝি নি। ভাবি, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হয়েছে নাকি! উঠে দাঁড়িয়ে দেখি, সামনে থাকা রেলকর্মীরা মাথা নুইয়ে ফেলেছে। দেখে ভাবি, গোলাগুলি শুরু হল নাকি, সিনেমায় যেমন দেখি! তারপর মুহূর্তেই ফাঁকা বগিটিতে রেলপুলিশ ও গার্ডদের চাঞ্চল্য শুরু হয়। তাদের কথা শুনে বুঝি, জানালার গ্লাস ভেঙ্গেছে। ফাঁকা বগির সিটগুলো বেঢপ করে চেয়ে আছে, একটা নীরব আতঙ্ক ছোঁয়াচের মত ছড়িয়ে পড়ে আমাদের মধ্যে ।

আমাদের পাশে সহযাত্রীরা আতঙ্কিত, তাদের কলামেই পেছনের সিটে জানালার গ্লাস ভেঙ্গেছে। বয়স্কজন মহিলাটি আমাদের বললেন, 'আমি দেখিছি, কটা ছাওয়াল...পাথর মাইরল তারা...ভাগ্য ভালু যি আমাদের পেছোনের জানালায় ঢিল পড়িছে। আমরা সপাই কত শখ কইরে আইসছিল্যাম দেখতি, সামনির স্টেশনে নাইমে যাব। নাতিরা চাতিছিল ট্রেনে উঠতি, আর উঠা লাগবিনানে। নতুন ট্রেন, ভাবলেম আসি ট্রেনে চড়তি, অথচ দেইকছ্যান কি কান্ড!'
তারা ট্রেনে ঘুরতে এসেছে, অবসরে পড়বার কথাটি বাস্তবে মিলিয়ে নিলাম। আর কম যাত্রীসংখ্যার আরেকটা কারণও যেন পাওয়া গেল, এরকম পাথর ছোঁড়ার কারনেই হয়তো যাত্রী সংখ্যা এরকম কম। আনন্দ করতে এসে উল্টো এরকম তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই কিছুক্ষণ পর তারা ঢেবুনিয়া নেমে যায়।
এই সেই পাথর।

আমি সামনের বগিতে যাই। সেখানে একজন রেলকর্মী টয়লেটের পাশে জানালাকে আড়াল রেখে ঘটনার সবকিছু জানিয়ে ফোনে কথা বলছে। হয়তো রেল পুলিশ স্টেশনে সব তথ্য জানিয়ে রাখা হচ্ছে। আবার আমাদের বগিতে ফিরে আসি। সদ্য খানখান হওয়া কাঁচের টুকরা সিটজুড়ে ছড়িয়ে আছে। অন্য একজন কর্মী পাথরের টুকরা খুঁজে বের করলেন, এটা নাকি পুলিশস্টেশনে দেখাতে হবে!

এভাবে মিনিট দশেক যেতেই আবার শুনি ঝনঝন কাচের শব্দ। একজন বলে উঠল ইন্নালিল্লাহ! প্রথমবার কেউ আহত না হলেও এবার দেখি, এক কনস্টেবল আহত হলেন। তার মাথায় চুলের ফাঁকে আঘাতের চিহ্ন, তবে রক্তপাত কম। তা দেখে ট্রেনের সাদা পোশাক পরা কুমিল্লার ভাষায় কথা বলতে থাকা আরেক রেলকর্মী রাগে গজগজ করতে থাকে, 'শালার ঢেবুনিয়া আর দাশুড়িয়ার কোন পোলাপানগোরে আই যদি দেখি স্টেশনে, তাইলে নগদে মারি ফালামু...'
টুকরো টুকরো হওয়া কাচ।

অন্য বগিতে থাকা এক পুলিশ কনস্টেবল, পোশাকে ও ভাবভঙ্গিতে তাকে কিছুটা উর্ধ্বতন মনে হয়, আমাদের বগিতে এসে তিনি দুই কর্মীদের জিগ্যেস করেন, কোথায় ঘটেছে এটা? শুনে দুইজন দুইরকম উত্তর দেয়। তা শুনে মেজাজ চড়ে যায় পুলিশের। এমন ঘটনায় যদিও মাথা ঠাণ্ডা রাখা জরুরি। এরপর তাদের বলতে শুনি, জেলার বাসমালিকরা কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়েছে বস্তির পোলাপানদের হাতে, তাদের মাধ্যমেই এই ন্যক্কারজনক ঘটনা। কিছুক্ষণ পর সকল জানালার গ্লাস নামিয়ে দেয় তারা, যাতে পাথর এসে সরাসরি কার গায়ে না পড়ে!
এরপর কথা বলেন কনস্টেবল নিজে। তিনি বলে যান, রেল কর্তৃপক্ষ থেকে মাঝে মাঝেই অভিযান পরিচালনা করা হয়। কারণ সাম্প্রতিককালে এরকম ঘটনা বহু ঘটেছে। কিন্তু এই রেলস্টেশন নতুন বলে পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ দেয়া এখনো সম্পন্ন হয়নি।

এই ডামাডোলের মাঝে আমরা জানালার কাছ থেকে মাথা নামিয়ে আর মাথা হাত দিয়ে ঢেকে ঈশ্বরদীর দিকে যেতে থাকি। বাইরে ফকফকা জোছনা অথচ আছি ট্রেনের বগির গরমের মধ্যে! ভাবি, ব্যবসায়ে নৈতিকতার এক বিদেশি পুরস্কার যে বাংলাদেশি পেয়েছিলেন, তিনি এসব দেখলে আজ লজ্জিত হতেন। কোথায় নৈতিকতা, কোথায় মানুষের বিবেকবোধ! ট্রেনযাত্রার মত চমৎকার এক অভিজ্ঞতাকে বিভীষিকাময় বানিয়ে তুলল এই পাথর নিক্ষেপ।
সদ্য উদ্বোধন হওয়া স্টেশন।

এক ঘন্টা পর ট্রেন থামে ঈশ্বরদী। কিন্তু ট্রেনের পাথর বিভীষিকার অভিজ্ঞতায় মনে হতে থাকে, অনেক যুগ পর পৌছলাম!

এসব মন থেকে তাড়িয়ে একটা প্রাচীন ইতিহাসের সামনে এসে দাঁড়াই। কারণ পা পড়তেই বুঝি, ঈশ্বরদী প্লাটফর্মের ইতিহাস শত বছরের। লাল রঙের ব্রিটিশ কাঠামোর দালান এখনো প্রাচীনত্ব নিয়ে দণ্ডায়মান। ভেতরে যারা কাজ করে, তাদের বয়সও অনেক, যেন আমি অনেক আগের যুগে চলে এসেছি। পাশাপাশি উত্তর দক্ষিণে চলে যাওয়া চারটা প্লাটফর্মের ৩-৪ নং জুড়ে এই দালানগুলো। ঘুরে ঘুরে পড়ি এই ইতিহাসগুলো। বিভূতিভূষণের বামুন হাজারী রাঁধুনিকে মনে হয় এই স্টেশনের আশেপাশেই কোথাও পেয়ে যাব, যে পুরো রানাঘাট রেল স্টেশনের ভ্রাম্যমান যাত্রী, কর্মী সবাইকে মাত করে রেখেছিল অসাধারণ রান্নায়।
ট্রেন আসছে, পাবনা থেকে ঈশ্বরদী যাবার পথে।

তবে সেরকম কিছু খুঁজে পেতে ব্যর্থ হই। স্ন্যাক্সবারের দোকান ছাড়া আর কোন দোকানই চোখে পড়ে না। একই নামের এই দোকান ১-২-৩-৪ নং দিয়ে এভাবে কয়েকটা প্লাটফর্মে ছড়ানো, শুধু দোকানদার ভিন্ন। এরপর এগিয়ে যাই ওভারব্রিজের দিকে। ওভারব্রিজে পায়ে চলা পথের দুপাশে বেষ্টনিতে কারুকার্য নজর কাড়ে। সাধারণ একটা ওভারব্রিজে এত সৌন্দর্যের দরকার ছিল না। কিন্তু ব্রিটিশরা বানিয়েছে বলেই হয়তো এমন! টিকেট কাটতে হলে এই ওভারবৃজ দিয়েই কোথায় যেন যেতে হয়, লেখা পড়লাম। আমাদের টিকেট কাটার তাড়া নেই। রাত বারোটায় আসবে ঢাকা যাবার ট্রেন, এখন বাজে রাত নয়টা।

হাঁটতে হাঁটতে পুলিশ স্টেশন চোখে পড়ে। ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার পুলিশ স্টেশন। এর আগে কোন রেল স্টেশনে থানা দেখেছি বলে মনে পড়ে না। একটা রুমের পাশে খিড়কি দেয়া গেইট, ভেতরে সেন্ট্রি রুম আর কয়েদি রাখার স্থান। গেইটে ঝিমোতে ঝিমোতে পাহারায় আছে এক পুলিশ। রুমটার জানালায় উঁকি মেরে দেখি, টেবিলে বসে থাকা থানার পুলিশের সাথে কথা বলছেন একটু আগেই আমাদের ট্রেনের বগিতে থাকা সেই রাগী উর্ধ্বতন পুলিশটা।
সম্ভবত পাথর নিক্ষেপের ব্যাপারটা বিস্তারিত বলা হচ্ছে, আর চেয়ারে বসে থাকা আরেক পুলিশ, যিনি হয়তো থানার ইন চার্জ, তা লিখে যাচ্ছেন। আমাকে দেখেই জানালায় মুখ গলে রাগী পুলিশটা বলে উঠলেন, আপনি তো ছিলেন ট্রেনে, যেখানে পাথর মারা হয়েছে ঐ জায়গার নাম জানেন, কাউকে কি খেয়াল করেছেন? আমি না বোধক উত্তর দিতেই তিনি বললেন, তাহলে যান!

পাথর নিক্ষেপের ঘটনা আর মনে করতে চাইছি না, তাই ঈশ্বরদী থানা স্টেশন থেকে দূরে সরে আসি।

মন্তব্য ৯৩ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৯৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


এসব ঘটনা অনেকদিন থেকে চলছে, এগুলো থামানো সম্ভব।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

সপ্রসন্ন বলেছেন: প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: শ্রীমংল যাওয়ার পথেও এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

সপ্রসন্ন বলেছেন: হুম দেশের অনেক জায়গাতেই এটা ঘটছে।

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:২৯

পলাশবাবা বলেছেন: লেখাটা ভাল হয়েছে।
একটা ব্যাপার জানার ছিল। স্ন্যাকবারের নাম কি ছিল ? স্ন্যাকবার -১ ...... এভাবে ? নাকি অন্যকিছু ?
একটা ব্যাপার জানানোর ছিল।বানান হবে ব্রিজ ( অভ্র তে b+r+i+j)। বৃজ বানান টা প্রচলিত নয়।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সপ্রসন্ন বলেছেন: স্ন্যাকবার -১, স্ন্যাকবার -২ এভাবে।
একটা জিনিস জানাবেন, ইংরেজি শব্দের বানানের ক্ষেত্রে ব্যাকরণিক নিয়ম কী?
আর অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দারুণ পোস্ট :)
ট্রেন যাত্রা আমার খুব পছন্দের
ভালো থাকবেন :)

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সপ্রসন্ন বলেছেন: ধন্যবাদ আর্কিওপটেরিক্স!
সাবধান থাকবেন ইদানিং ট্রেন যাত্রায়।

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬

গগণ আলো বলেছেন: মানুষের স্বভাব কি আর পাল্টাতে পারবেন ?

আপনার লেখনী কিন্তু চমৎকার।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সপ্রসন্ন বলেছেন: এটা দুঃখজনক জাতি হিসেবে আমাদের এরূপ স্বভাব :/
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!

৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

সাগর শরীফ বলেছেন: লেখাটা ভাল।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সপ্রসন্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাগর শরীফ।

৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

কে ত ন বলেছেন: লেখায় গলদ আছে। টিকেটে লেখা ঈশ্বরদী বাইপাস, আর বর্ণনা দিলেন ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের। আসলে গিয়েছিলেন কোথায়?

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

সপ্রসন্ন বলেছেন: লেখাতেই আছে, ঈশ্বরদী থেকে পাবনা ট্রেনযাত্রা,
বাইপাস বলা হচ্ছে কারণ মূলত পাবনা টু রাজশাহী ট্রেন চালু হয়েছে, আর ঈশ্বরদী বাইপাস।

৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬

টিয়া রহমান বলেছেন: ট্রেন জার্নি আমার এমনিতেই ভালো লাগে না, এই ঘটনা পড়ে তো আর কোন সুযোগ ই নাই

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

সপ্রসন্ন বলেছেন: সত্যি বলতে আমার এই ভয় কাজ করবে এখন থেকে। তাই ভাল লাগা অটোমেটিক হয়তো কমে যাবে।

৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

রাকু হাসান বলেছেন:



দুঃখজনক । এসব অনেক দিন ধরে হচ্ছে ।এই পৈশাচিক আনন্দ নিয়ে ওদের লাভটা কি । :(

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সপ্রসন্ন বলেছেন: যদি বাচ্চারা নিছক আনন্দের জন্য এটা করে থাকে, তাহলে এটাকে তুলনা করা যায় ছোটবেলায় পড়া সেই গল্পটার সাথে, যেখানে বাচ্চারা জলাপুকুরে আনন্দের জন্য ঢিল ছুড়তো, আর জীবননাশের ভয়ে থাকত পুকুরের অধিবাসি ব্যাঙগুলো। কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ।
আপনার মন্তব্যের সাথে এই গল্প মনে এল।
আসলেই দুঃখজনক। এর প্রতিকার দরকার।

১০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কি ভয়াবহ নৈরাজ্য!! বাস মালিকরা এই কাজ করাচ্ছে??

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সপ্রসন্ন বলেছেন: এমনটাই আমাদের বললেন রেলের কর্মী আর পুলিশরা। তাদের ভাষ্য, 'বাস ব্যবসা তুঙ্গে রাখতে আর নতুন চালু হওয়া ট্রেনে চড়া অনুৎসাহিত করতেই এই হীন কাজ।'
কিন্তু এখন তো সারা দেশেই এমনটা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে এর ব্যাখ্যা কী কে জানে!

১১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: হুম ঠিক তুলে ধরেছেন। কয়েকদিন আগে আমিও রাজশাহী ট্রেন স্টেশনে বড় বড় করে লেখা দেখেছি- "ট্রেনে পাথর ছোঁড়া থেকে বিরত থাকুন"

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

সপ্রসন্ন বলেছেন: আসলেই, আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি। কিন্তু এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, পুলিশের ডাইরেক্ট একশন ও তদন্ত করে মূল হোতা বের করা।

১২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পোষ্টে বেশ কিছু বানান ভুল আছে। আমরা চাইছি পোষ্টের বিষয়বস্তুর গুরুত্ব বিবেচনাকে এই পোষ্টটিকে স্টিকি করতে। আপনি কি অনুগ্রহ করে পোষ্টের বানানগুলো সংশোধন করে নিতে পারেন?

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩১

সপ্রসন্ন বলেছেন: প্রচলিত বানান অনুসারে সংশোধন করেছি এইমাত্র। তারপরেও কিছু ভুল থাকলে জানাতে বিনীত অনুরোধ করছি।
ধন্যবাদ।

১৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

বিজন রয় বলেছেন: কালকে এই আপনার এই পোস্টি দেখেছিলাম, কিন্তু পড়া হয়নি। আজ পড়ে বিস্তারিত জানলাম।

কয়েক বছর আগে সীতাকুন্ডে ছোড়া পাথরে এক ডাক্তারের স্ত্রী মারা গিয়েছিলেন সেকথা মনে পড়ল!

এইটাই আমাদের ঘুণেধরা, পঁচা সমাজের বাস্তব চিত্র।

সংগ্রাম চালাতেই হবে!!

এই পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

সপ্রসন্ন বলেছেন: কথা সত্য বলেছেন, এটা যেন আমাদের বর্তমান সমাজেরই চিত্র।
ধন্যবাদ রইল পড়বার জন্য

১৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

কে ত ন বলেছেন: স্টিকি করায় নতুন একটা মন্তব্য দিলাম। এই সমস্যার একমাত্র সমাধান হল প্রতি বগিতে বন্দুক হাতে দুজন করে আনসার নিয়োজিত করা। কেউ ঢিল ছুড়লে সাথে সাথে আনসারেরা যদি পালটা গুলি করে, তবে এই খবর বিদ্যুৎ বেগে ছড়িয়ে পড়বে। এই আকাম করার আগে কয়েকবার ভাববে।

দেশের মায়ে খেদানো বাপে তাড়ানো পোলাপাইন এখন কুকুরে পরিণত হয়েছে, এসব কুকুরের লেজ সোজা করার জন্য আর ঘিতে কাজ হবেনা, কাঁটায় মোড়ানো মুগুর দরকার।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সপ্রসন্ন বলেছেন: আক্রমণাত্মক ব্যবস্থা। আসলে এর উপযুক্ত বিকল্পও মাথায় আসছে না। ব্লগের লেখক বা পাঠক, যারা রেল সংস্থার সাথে সম্পৃক্ত, তারা একটি উপায় বা ব্যবস্থা বের করবেন, এই আশা করি।

১৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: এটা একটা পচা সমাজ এই সমাজে বাস করাটা এখন দায়। অন্যান্য দেশের সমাজের কথার গল্প শুনলে মনে হয় সেই দেশের বাসিন্দ হয়ে যাই।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

সপ্রসন্ন বলেছেন: এরকমটা শুনলে কেবল আফসোসই বাড়ে!

১৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এ দেশে যে কত রকমের দূর্নিতী হয় তা আমাদের ধারনার বাইরে।আশা করি ওখানকার আঈন প্রশাসনের লোকরেরা দ্রুত বিষয়টির ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবেন।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সপ্রসন্ন বলেছেন: আমরাও তাই আশা করি। কেননা ব্যাপারটা এখন আর সকলের দৃষ্টিগ্রাহ্যের বাইরে নয়।

১৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

শাহাদাত নিরব বলেছেন: অনেক ভয়ানক হয়ে উঠেছে জীবন যাত্রা।
পদক্ষেব নিলে সব অনুকূলে আনা সম্ভব ।
ধন্যবাদ অনেক ভালো করে বুঝিয়ে লিখেছেন ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সপ্রসন্ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও পড়বার জন্য। আমিও আপনার মত আশাবাদী।

১৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এসব বিকারগ্রস্ত মানুষ গুলি থেকে মুক্তির উপায় দ্রুত বের করা উচিত।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সপ্রসন্ন বলেছেন: বিকারগ্রস্ত! এর চেয়ে উপযুক্ত বিশেষণ আর হতে পারে না।

১৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২১

সবুজের ইবনে বতুতা বলেছেন: কি সাংঘাতিক ব্যপার। এর প্রতিকার হওয়া উচিৎ!

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সপ্রসন্ন বলেছেন: ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, জীবনের নিরাপত্তা হুমকির মুখে।

২০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: কি ভয়াবহ ব্যাপার! বাস ড্রাইভার/মালিকগুলো সাধারণত নিচু শ্রেনীর লোকজন হয়ে থাকে সেটা আবারও প্রমান হলো। এদের ধরে বিচি গলে দেয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা আইন আছে, কিন্তু সেটার প্রয়োগ খুবই কম। আমার ব্যক্তিগত ধারনা দুর্নীতিবাজ, খুনি, রেপিস্ট, চোরাকারবারি, মাদক পাচারকারী লোকজনদের ধরে ধরে প্রতি মাসে ফায়ারিং স্কোয়াডে পাবলিকলি এক্সিকিউট করা উচিত। তাতে অপরাধ পুরোপুরি না চলে গেলেও অনেকটাই কমে যাবে। মানবিকতার নাম দিয়ে এভাবে বছরের পর বছর অন্যায় সহ্য করার মানে দেখিনা।

যাইহোক, আপনার লিখা পড়ে বেশ খারাপ লাগলো। আশা করছি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং প্রশাসন এ ব্যাপারে আরো বেশী নজর দেবেন।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

সপ্রসন্ন বলেছেন: রেলে পুলিশ আর কর্মরত কর্মীদের সমস্যা সমাধানে আন্তরিক একই সাথে অসহায়ও মনে হল। উচ্চপর্যায়ে একটি ব্যবস্থা নিয়ে ব্যাপারটা সমন্বয় করা উচিত।

২১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

আঁধার রাত বলেছেন: সিএনজি ৫০ টাকা না ৩৫ টাকা ভাড়া। সময় লাগে ৩০-৩৫ মিনিট। আবার ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। রিকসা অটো ভাড়া দিয়ে ষ্টেশনে যেতে হয় না। সিএনজিতে অনেক সুবিধা। পাবনা থেকে দেশের অন্য জায়গায় ট্রেন চললে পয়সা আসতে পারে কিন্তু ঈশ্বরদী পাবনায় ট্রেন সার্ভিসে ট্রেন ষ্টাফদের চা বিড়ি খাওয়ার পয়সাও আসবে না। কারন বিকল্পগুলো অনেক বেশী শক্তিশালী, অগ্রাহ্য করা যায় না।
আমার বাড়ি থেকে ষ্টেশনে রিকসায় যেতে ত্রিশটাকা লাগবে। ৪৫ টাকায় টিকিট কিনে ট্রেনের অপেক্ষায় থাকতে হবে। আবার ১ ঘন্টা জার্নি শেষে পাবনা ষ্টেশনে পৌছতে হবে। প্রক্ষান্তরে ৫ টাকা অটো ভাড়ায় সিএনজি ষ্টেশনে যাওয়া যাবে। ৩৫ টাকা ভাড়া দিয়ে ৩০-৩৫ মিনিট সময়ে পাবনা পৌছে যাওয়া যাবে। লাইন ধরে সিএনজি দাঁড়ায়ে আছে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সপ্রসন্ন বলেছেন: আমরা সে এলাকায় নতুন ছিলাম, সেজন্য ভাড়া হয়তো বেশি বলে থাকতে পারে। যাই হোক, জানানোর জন্য ধন্যবাদ ভাই। বিকল্পগুলোর ভাল ব্যখ্যা আপনি দিয়েছেন।
আমার কাছেও ঈশ্বরদী টু পাবনা ট্রেনটা একদম লস প্রজেক্ট বলে মনে হল, বেশিদিন চলে কিনা এই আশংকাও আমরা করেছিলাম রেলের ঐ ভাইদের কাছে।

২২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কি সাংঘাতিক ব্যপার! কী করে এমন কাজ করতে পারে, মানুষের ভয় ভীতি উঠে গেছে। আইনের শাষণ প্রতিষ্ঠিত হলে যদি প্রতিকার মিলে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সপ্রসন্ন বলেছেন: মেনে নেয়া যায় না ব্যাপারটা। খুবই হীন কাজ।

২৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এসব কখনো বন্ধ হবে না।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সপ্রসন্ন বলেছেন: আশা হারাবেন না :/

২৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

ইসমত বলেছেন: ঢাকার কমলাপুর টু এয়ারপোর্ট স্টেশনের আশেপাশের বাড়ির খবর কি কখনো নিয়েছেন? এরপর কমলাপুর থেকে ট্রেনে চড়লে রেললাইনের পাশের বিল্ডিংএর দোতলা তিনতলার দিকে তাকালে দেখতে পাবেন হয় জানালার কাঁচ ভাঙ্গা কিংবা বারান্দা জানালা গ্রিলে বন্দী।

শুধু কি তাই, ফ্লাইওভারে চড়লেও এমনটা দেখতে পাবেন আজকাল; মগবাজার থেকে সাতরাস্তার দিকে গেলে হাতের বায়েই দেখতে পাবেন ঢিলের আঘাতে কত জানালার গ্লাস ভাঙা।

ট্রেনের ছাদ থেকে ছোড়া পাথর বাসার ড্রইং, ডাইনিং পেরিয়ে বেডরুমের ড্রেসিং টেবিলের আয়না ভেঙ্গে ফেলেছিল। আর ট্রেনে চড়ে ঢাকা আসার পথে পাথরের আঘাতে আমার এক কলিগের সামনের দাঁত ভেঙ্গে গিয়েছিল।

ব্লগার আঁধার রাত এর মন্তব্য পড়ে মনে হল বাস মালিকদের দোষ দেয়া অহেতুক।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সপ্রসন্ন বলেছেন: আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার তুলে ধরেছেন। ভাল পর্যবেক্ষণ।
মনে হচ্ছে এটা এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা। বাবা মা যদি সঠিক ভাবে সন্তান পালন করেন তাহলে ছেলেমেয়ে এমন হবার কথা না। দারিদ্রতা একটি কারণ হতে পারে।
আরেকটি ব্যাপার হল কোন স্বার্থাণ্বেষী মহল (যেমন পাবনার পুলিশ কর্তৃক বলা স্থানীয় বাসমালিক) জড়িত আছে কিনা। সেটা পুলিশ তদন্ত করে দেখবেন।
আঁধার রাত কিন্তু কেবল একটি এলাকার কথা বলেছেন, কিন্তু এই ঘটনা আজ সারা দেশে হচ্ছে।

২৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সম্ভবত এটা আমাদের দেশেই ঘটে।
স্বার্থের জন্য মানুষ এত
নীচে নামতে পারে
ভাবাই যায়না।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সপ্রসন্ন বলেছেন: এমনটা বিশ্বের কোথাও ঘটে কিনা সেটা আমিও আসলে শুনি নি ভাই।

২৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



অভাবনীয় হীন কাজ! এই নৈরাজ্য বন্ধ করার দায়িত্ব কে নেবে?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সপ্রসন্ন বলেছেন: আশা করি বাংলাদেশের পুলিশ ও রেল মন্ত্রণালয় দেখবে। অনেক সচেতনতামূলক লিফলেট দেয়া হচ্ছে, ফেসবুক গ্রুপে প্রচার করা হচ্ছে। যেগুলো আমরা চোখে দেখছি।
আয়নার আড়ালে আরো পদক্ষেপ প্রয়োজন।

২৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

সমুদ্র দয়িতা বলেছেন: অনেক জায়গাতেই এসব হচ্ছে অনেকদিন ধরে

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সপ্রসন্ন বলেছেন: ঠিক, এমনটাই দেখছি।

২৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: ট্রেনে পাথর ছোড়ার সাথে হয়ত স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেনীর পরিবহন ব্যবসায়ীরা জড়িত।
প্রশাসনের আরাে কঠোর হতে হবে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সপ্রসন্ন বলেছেন: হয়তোবা, তদন্তসাপেক্ষ ব্যাপার, বা একেক জায়গাতে একেক রকম ফ্যাক্টর থাকতে পারে।
সমন্বিত পদক্ষেপ জরুরি।

২৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫

ফেনা বলেছেন: ভাই কয়লা ধুইলেও ময়লা যায় না।
আমরা বাংগালী, সবভাবে একটু এড়েঁ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

সপ্রসন্ন বলেছেন: বাঙালি শক্তের ভক্ত নরমের যম, এই প্রবাদের উৎপত্তি বোধ হয় এজন্যই হয়েছে।

৩০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১১

নেপচুন নেহাল বলেছেন: প্রশাসনকে কঠর হতে হবে। একটু সজাগ থাকলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০০

সপ্রসন্ন বলেছেন: আমিও আশাবাদী।

৩১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হুম দেশের অনেক জায়গাতেই এটা ঘটছে।

রেলের লোকজন জানে কোন জাগা গুলোতে এমনটা হয়। সেখানে কয়েকজন পুলিশকে দায়িত্ব দিলেই তো হয়।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০২

সপ্রসন্ন বলেছেন: ভুল বলেন নি।

৩২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: পরিবহন ব্যবসায়ীরা অসম্ভব ক্ষমতাবান।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৫

সপ্রসন্ন বলেছেন: কিন্তু পাথর ছোঁড়ার সাথে তাদের সম্পর্ক, এই ব্যাপারটা ঐ রেল কনস্টেবল এর ধারণামাত্র। ব্যাপারটায় ধোঁয়াশা আছে।
তবে আপনার কথা অন্য অর্থে একদম ঠিক।

৩৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সারাদেশে চলমান নৈরাজ্যের একটি দৃশ্য।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২১

সপ্রসন্ন বলেছেন: ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ অনেকদিন ধরেই চলছে।

৩৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: ব্যাপারটা খুবই আতঙ্কের।
সহসাই এর থেকে নিস্তার নাই, ট্রান্সপোর্টেশন ব্যাবসা নিয়ন্ত্রণ করে সাধারন সরকারী দলের নেতা ফেতারা, সে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন!
সরকার যদি আন্তরিক না হয় এই সমস্যার সমাধান সম্ভন নয়।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৮

সপ্রসন্ন বলেছেন: সমস্যার গুরুত্ব অনুধাবন করলে আন্তরিকতা আনা সম্ভব, এরপর যা বললেন, কাঙ্ক্ষিত সমাধানও সম্ভব। আমাদের মতন সাধারণ যাত্রীদের জন্য যে ব্যাপারটা আতঙ্কের হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটা বুঝে রেল কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও প্রশাসনের সমন্বিত পদক্ষেপ দরকার।

৩৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০১

জগতারন বলেছেন:
ব্লগার সপ্রসন্ন ; আপনার নামটি আমি মনে রাখবো।
আপনার লিখা, ঘটনার বর্ণনা খুবই চমৎকার।
কাল্পনিক_ভালোবাসা -এর মন্তব্যের প্রতি গুরুত্ব দিবেন আশা করি।
বাংলা বানানের প্রতি সজাগ থাকবেন। আর
ইংরেজী শব্দ বাংলায় লিখতে প্রচলিতভাবে অন্যরা যেভাবে লিখে সেভাবেই লিখতে হবে।

ভালো থাকবেন, নিরাপদ থাকবেন; কামনা করি।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১০

সপ্রসন্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভাল লাগলো।
শুভকামনা জানবেন।

৩৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৭

পুলক ঢালী বলেছেন: এমন ঘটনা আমি ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-শ্রীমঙ্গল, ঢাকা-দিনাজপু্‌র রেলপথে দেখেছি ঢাকা-টঙ্গী রেলপথেও অনেক পাথর ছোড়া হয়। ঘোষনা, প্রচারনায় কাজ হবে এমন যোগ্যতা এদেশের মানুষের নেই তাই ইটের বদলে পাটকেলটি মারা দরকার।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১২

সপ্রসন্ন বলেছেন: অনেকদিন ধরেই এমনটা হচ্ছে, সম্প্রতি মনে হয় এই ঘটনা আরো বেড়েছে।

৩৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৯

শায়মা বলেছেন: কি সাংঘাতিক!

স্টেশনের আশপাশে জরুরী অভিযান চালিয়ে সকল বসতি উঠিয়ে দিতে হবে....

আর যদি তা না সম্ভব হয় তো নোটিস দিতে হবে - রেলগাড়িতে এমন পাথর ছুড়াছুড়ি আর একবার ঘটালে বসতি উচ্ছেদের শাস্তি দেওয়া হবে।

কিছু পর পর গার্ড মোতায়েন করা যেতে পারে বা পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা....

পাথর ছোঁড়া মাত্র কেতনভাইয়ার পরামর্শ মত গুল্লী ছোঁড়া হোক। অবশ্য তা অবুঝের মত বাচ্চাদের গায়ে না, ফাঁকা আকাশে মানে ভয় দেখানোর জন্য ........

এছাড়া জানিনা এই সমস্যা সমাধানের আর কোনো পথ কারো জানা আছে কিনা .....

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৯

সপ্রসন্ন বলেছেন: আপনি অনেকগুলো সুচিন্তিত মতামত বাতলেছেন, যেগুলো বাস্তবায়ন হলে স্বস্তি মিলতে পারে।
রেল লাইনের আশেপাশে বসতি উঠিয়ে দেয়া, এটা ইনোভেটিভ ও কার্যকরী।
আসলে কারা এরকম ঘটনা ঘটাচ্ছে, প্রত্যেক জায়গাতে জরিপ করে তদন্ত করা উচিত, কারণগুলো খুঁজে বের করতে।
এখানে একই সাথে অনেকগুলো সংস্থা জড়িত তাই তাদের সমন্বিত, দ্রুত ও যথাযথ পদক্ষেপ প্রয়োজন, সেটই উপায় তারাই বের করবেন, তবে হার্ড ও সফট ওয়ে দুটোই ফলো করা উচিত বলে মনে হয়।

৩৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

শায়মা বলেছেন: এন জি ও, মানব কল্যান সংস্থা, পরিবেশবিদেরা বা স্বেচ্ছাসেবক দল এই ব্যপারে দারুন ভূমিকা রাখতে পারে।

আশে পাশের মানুষগুলোকে এই ব্যাপারে সচেতন করে তোলা।

স্বল্প শিক্ষিত বাবামায়েদের মাঝেও সচেতনা বৃদ্ধি করা। তাদেরকে বুঝানো বাচ্চাদেরকে বুঝিয়ে বলতে বলার জন্য।

ডকুমেন্টারী ফিল্ম দেখানো..... বড় প্রজেক্টরে স্টেশন ও বসতিগুলোর আশে পাশে সেসব চালিয়ে রাখা যে একজন মানুষের ছোড়া পাথরে ট্রেইন যাত্রীরা কি রকম বিপদের সন্মুখীন হচ্ছেন। কারো চোখ এমন ঘটনায় চিরতরে অন্ধ হয়ে যেতে পারে, কারো জীবন নাশ হতে পারে এমন কিছু।

মানে সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে শুধুই আঙ্গুল বাঁকাতে হবে তাই নয়, মাঝে মাঝে হৃদয়েও আঘাত দিয়ে বিবেক জাগ্রত করতে হতে পারে বা ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল। এই ইমোশনাল ব্লাকমেইল যেহেতু জনস্বার্থে রচিত হবে কাজেই কোনো অন্যায় নেই ... বরং উপকার.... দেশ ও দশের উপকারই হবে।

৩৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

সিভিলিয়ান আইয়ুব বলেছেন: এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটতে দেখা যায়।
নতুন কিছু নয়! তারমধ্যে আবার পাবনার ছাওয়াল বলে কথা।
যারা এখন এক পয়সার জন্য খুন করতেও পিছপা হয়না

৪০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:০৮

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: এটা কীরকম রসিকতা! গাড়িতে ঢিল ছোঁড়া! আসলে আমরা ক্ষতিটাই বোধহয় বেশী করতে পারি। নিন্দা ও ঘৃণা জানাই। ট্রেন ভ্রমণ আমার প্রিয় ভ্রমণ আর হাজার হাজার কোটি টাকা খরছ করে এই ট্রেনের পথচলা। এই ঢিলছোঁড়ার মেন্টালদের দেশের স্বার্থেই যেকোন মূল্যে বন্ধ করতে হবে। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য।

৪১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এই সমস্যা নতুন নহে। দুষ্ট পোলাপাইনের কাম। ইহার সমাধান হইলো যে এলাকায় এই আকাম হয় ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা। তাহারা চেষ্টা করিলে এই আকাম বন্ধ হইবে। অতীতেও হইয়াছে।
আর পরিবহন মালিকদের স্বার্থ রক্ষার্থে রেলকে অকেজো করিয়া রাখাও নতুন নহে। সব সরকারই পরিবহন মালিকদের স্বার্থে রেলকে অবহেলা করিয়াছে। রেলকে শক্তিশালী করিলে মহাসড়কের উপর চাপ অনেকখানিই কমিয়া যাইতো, কৃষি জমিও রক্ষা পাইতো ।

৪২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

আফসানা মারিয়া বলেছেন: বাস মালিকদের সোজা করা কি আদৌ সম্ভব?

৪৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২৬

অরুপম বলেছেন: প্রতিরোধ ছাড়া যখন আর কোন উপায় তাকে না তখন কঠোর হওয়াই শ্রেয়। সোজা আঙ্গুল আমাদের পছ্ন্দ নয়।

৪৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:১৭

লাবিব ইত্তিহাদুল বলেছেন: ঢাকা/গাজীপুর থেকে এক ট্রেনে পাবনা শহরে যাওয়া যায় কি? আর পাবনায় দেখার কি কি আছে?

৪৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

তারেক ফাহিম বলেছেন: কি সাংঘাতিক :(

প্রশাসন আরও শক্ত হতে হবে।

বাস মালিক সমিতির রেজিঃ বাতিলের হুমকি দিলে কিছুটা সম্ভব মনে হচ্ছে।

৪৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

জ্ঞান পাগল বলেছেন: এই জন্যেই তো বাংলাদেশ রেলওয়ের আজ বাজে অবস্থা

৪৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু বলেছেন: ১৯৯৩ সালে তেজগাঁও রেলস্টেশনের কাছে রেলক্রসিং এর কাছেই চলছিলো মিটিং ,তখন পলিটেকনিকের ছাত্র হোস্টেলে থাকি।শ্রীপুর থেকে আসছিলাম ট্রেনে।জানালা দিয়ে দেখছিলাম বস্তির চেহারা।মিটিং থেকে ছোঁড়া হয় পাথর। সেই পাথরের আঘাতে সেলাই লেগেছিলো মাথায় আজ তার দাগ বয়ে বেড়াই।মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে ছিলাম সেদিন।শুনেছিলাম সেই মিটিং ছিলো একটি মাহফিল।

৪৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

নতুন বলেছেন: এটা আমাদের দেশের কিছু মানুষের নিচু মনের পরিচয়।

এটা সমাধান মাথায় এসেছে.... সেটা হলো গ্লাস লেমিনেসন.... এটা আমাদের দেশের কিছু মানুষের নিচু মনের পরিচয়।

এটা সমাধান মাথায় এসেছে.... সেটা হলো গ্লাস লেমিনেসন....

এটা করতে ১-২ মাস সময় লাগবে... সব বগীর গ্লাস পাল্টে ফেলতে হবে... তবে পাথর মারলে মানুষ আহত হবেনা।
কিন্তু গ্লাসটা পাল্টেদিতে হবে। যেহেতু মানুষ ভয় পাবেনা...তাই টাকাও কেউ দেবেনা... এবং এক সময় পুলাপাইনের পাথর মারা বন্ধ হবে।

আরেকটা কম খরচে যেটা করা যায় সেটা হইলো বত`মানে যেই গ্লাস আছে তার দুইপাশে সচ্ছ প্লাস্টিকের স্টিকার জাতীয় কিছু দেয়া যাতে পাথরে গ্লাস ভাংবে কিন্তু মানুষের ক্ষতি হবেনা।

https://www.youtube.com/watch?v=p6ErImUdFeg

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সপ্রসন্ন বলেছেন: আপনার আইডিয়া টা চমৎকার। কর্তাব্যক্তিরা কেউ জানতে পারলে ভাল হত।

৪৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

নতুন বলেছেন: ৩এম কম্পানির এই রকমের ফ্লিম আছে যেটা এটা বন্ধে কায`কর হবে।


৫০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমার উনি বললেন, পাবনা বলেই নাকি এমন।

৫১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

আরজু পনি বলেছেন: অনেক ট্রেনের বাইরের জানালা লোহার বা স্টিলের (নিশ্চিত নই) দেখেছি। বাইরের এসব দূর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে। এসব ট্রেনেও তেমন ব্যবস্থা করা জরুরি।
একসময় ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা আসার পথে ডাকাতের কবলে পড়তে হতো প্রায়ই। সেটা আরেক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা।
এখন বাসেই শান্তি।
জানি না এই শান্তি নিশ্চিত করতে ট্রেনের বিরুদ্ধে বাসের কোন ব্যাপার আছে কি না!!

৫২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: ছোট ছোট শিশুদের শৈশব চুরি করে নিয়ে যায় বিকেলের সোনা রোদ,
এরপর চুরি গেলে বাবুদের ব্রিফকেস, সকলে সমস্বরে চিৎকার করে বলে,
চোর চোর চোর.....................

এই সব পথশিশু বা বস্তিবাসী শিশুদের যাতে আর টোকাই হতে না হয়, নেশা গ্রস্থ হতে না হয়,
সেজন্য কি কারো পরিকল্পনা আছে???

৫৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ওই সককল পরিব হন মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা উচিৎ ।

৫৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: লেখকের লেখা পড়ে আমার মনে হলো, একান্তই প্রানবন্ত লেখা। যেমন বাচন ও চয়ন শক্তি তেমনি তার প্রকাশ। এই লেখাই একদিন মানুষগুলোকে পাল্টাতে সাহায্য করতে পারে, ভাই আপনী লিখে যান, আমরা এই লেখা সবার মধ্যে ছড়াইয়া দেওয়ার চেষ্টা করবো।

৫৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: নৈতিকতা যেন দিন দিন বিলুপ্ত প্রজাতির মতো বিলুপ্ত হয়ে যচ্ছে। মানষের কাছে টাকাই যেন মূখ্য হয়ে উঠেছে। আমি নিঃশ্চিত যে বাসমালিকরাই এগুলো ঘটাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.