![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাংবাদিক ও ক্ষুদ্রলেখক। সত্য তুলে ধরাই আমার লক্ষ্য।
গণহত্যা, মানতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ এবং আগ্রাসী অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের জন্য একটি স্থায়ী আন্তর্জাতিক আদালত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি।
রোম স্ট্যাচুর মাধ্যমে ২০০২ সালের ১ জুলাই নেদারল্যান্ডসের হেগে আইসিসি গঠিত হয়। কোনো দেশের আদালত এ ধরনের ঘটনার বিচার না করলে সে দেশের আইন অনুসারেই অপরাধীর বিচার করে থাকে আইসিসি।
বাংলাদেশসহ এখন পর্যন্ত ১২২টি দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর ও অনুমোদন করেছে। রাশিয়াসহ আরও ৩১টি দেশ আইসিসি চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও তাতে অনুমোদন
দেয়নি। কোনো দেশ এই চুক্তির পক্ষ থাকতে না চাইলে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিতে হবে। এখন পর্যন্ত ইসরাইল, সুদান ও যুক্তরাষ্ট্র ওই চুক্তির পক্ষ নয় বলে ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আইসিসি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে এবং ২০১০ সালের ২৩ মার্চ চুক্তিটি অনুমোদন করে। ২০১০ সালের ১ জুন চুক্তিটি কার্যকর হয়।
আইসিসির তিন ধরনের আদালত রয়েছে—বিচার-পূর্ব আদালত (প্রি-ট্রায়াল চেম্বার), বিচারিক আদালত (ট্রায়াল চেম্বার) এবং আপিল আদালত (আপিলস চেম্বার)। তিনটি আদালতে মোট বিচারক ১৮ জন।
এখন পর্যন্ত আইসিসির কৌঁসুলিরা আফ্রিকার সুদান, কঙ্গো, মালি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, উগান্ডা, কেনিয়া, লিবিয়াসহ আটটি দেশের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।
এখন পর্যন্ত আইসিসির বিচার-পূর্ব চেম্বার (প্রি-ট্রায়াল চেম্বার) আনুষ্ঠানিকভাবে ৩৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। এর মধ্যে ২৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং ৯ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে।
বর্তমানে আইসিসি হেফাজতে বন্দি আছেন ৮ জন। বিচার শুরুর প্রক্রিয়া চলছে ২৮ জনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ১০ জন পলাতক রয়েছেন।
চলতি বছর জানুয়ারিতে আদালতের প্রথম রায়ে (কঙ্গোর লুবাঙ্গা ট্রায়াল) অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত হয়েছেন এবং তাকে ১৪ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এখন তার আপিলের প্রস্তুতি চলছে।
২০১৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে কেনিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট কেনিয়াটার বিচার। আগামী মে মাসে শুরু হবে সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের যুদ্ধাপরাধের বিচার। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয়েছে আইভরি কোস্টের সাবেক নেতা লরা বাগবোর বিচার।
চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ইসরাইল আইসিসির কড়া সমালোচক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সময় আইসিসি চুক্তিতে স্বাক্ষর করা হলেও পরবর্তীকালে প্রেসিডেন্ট জুনিয়র বুশ এই চুক্তি অনুমোদন থেকে সরে আসেন। তার আশঙ্কা ছিল আইসিসি মার্কিন সৈন্যদের অপরাধের বিচার করতে পারে।
©somewhere in net ltd.