নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ তার সপ্নের সমান সম্ভাবনাময় ।

দিলীপ গোস্বামী

জীবনের বহুমাত্রিক চেতনাই, জ্ঞান ও মূল্যবোধের সামগ্রিক পরিমাত্রা।

দিলীপ গোস্বামী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিয়ে ধন করলে হরন

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

বাংলাদেশ একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র । জনগনের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সরকার এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। যে দলটির এ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস সবচেয়ে দীর্ঘ সেই আওয়ামিলীগ এর সমমনা চৌদ্দদলীয় মহাজোট সরকার জনগনের দেওয়া নির্বাচনী ম্যান্ডেট নিয়ে দেশ পরিচালনা করছে ।দেশ স্বাধীন হয়েছে চল্লিশ বছরের ও বেশী সময় । রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে সরকারী আমলা, কর্মকর্তা, কর্মচারি , নির্বাচিত ও মনোনীত সংসদ সদস্য, এমনকি মন্ত্রী পরিষদ, রাষ্ট্রপতি সকলেই সর্বশেষ বেতন কমিশন ঘোষিত প্রজ্ঞাপন অনুসারে পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। শুধুমাত্র বৈষম্যের শিকার এ দেশের বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক- কর্মচারীবৃন্দ। যাহা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে শুধুমাত্র অমর্যাদাকর নয় অমানবিক ও বটে। একটি দেশের সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার সিংহভাগ জন গোষ্ঠীর সাথে সম্পৃক্ত, যাদের সংখ্যা সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের চেয়ে অনেকগুনে বেশী তাদের জন্য এই বৈষম্যমূলক বেতন ভাতার ব্যবস্থা একটি গনতান্ত্রিক সরকারের চরম ব্যর্থতা অথবা অবহেলা ছাড়া আর কিছু নয়। ভোটের হিসেবে নগন্য না হলেও গনতান্ত্রিক অধিকার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এ বৈষম্যএকটি জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার জনকল্যান্ মুখী ,কৃষিবান্ধব,শিক্ষাবান্ধব সরকার হিসেবে পরিচিতি পেলেও বেসরকারী শিক্ষকদের জন্য তাঁর শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রনালয় যে একেবারে নীরব এ কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সমগ্র শিক্ষক শ্রেনীর একটি বিশাল অংশকে অভুক্ত বা অর্ধভুক্ত রেখে শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের সার্বিক সাফল্যকে দেশবাসী মেনে নেবেনা। যে দেশে জনগনের সরাসরি ভোটে সরকারের ভাগ্য নির্ধারিত হয় সেখানে হিসেবটা আরও কঠিন হতে পারে । এ দেশে ঈদ পুজা আসে বাঙালীর ঘরে খুশীর বারতা নিয়ে। সাধারনত চাকুরীজিবী বাঙালী পরিবার গুলো বেতনের উপরি বোনাসের টাকার জন্য ঊৎ্‌সবের আগে অধীর অপেক্ষায় থাকে। বিশেষ করে শিক্ষক শ্রেণী যাদের কর্মজীবনে ঊৎকোচ বা অন্য কোন উপরি অর্থ প্রাপ্তির সুযোগ নেই অথবা নৈতিকতার প্রশ্নে তেমন কোন সুযোগ গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। সেখানে সরকারের দেওয়া বোনাসের কটা টাকাই তাদের পরমার্থ হিসেবে গণ্য হয়। এটাই বাস্তবতা । হয়তো বিষয়টা সরকারের উপরতলার অনেকের কাছে অজানা থাকতে পারে। এবার ঈদে শিক্ষামন্ত্রণালয় বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারী দের পূর্বনির্ধারিত বোনাসের টাকার চেকে প্রদর্শক, লাইব্রেরিয়ান, সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে বোনাসের টাকা মূল বেতনের শতকরা ৫০ ভাগ থেকে কমিয়ে শতকরা ২৫ ভাগ প্রদান করেছেন। যেখানে সরকারের পক্ষে ঘোষণা ছিল কর্মচারীদের পাশাপাশি শিক্ষকসহ অন্যান্য পদে ও ক্রমান্বয়ে বোনাসের টাকা মূল বেতনের শতকরা ৫০ ভাগ প্রদান করা হবে। তাহলে ইং ২০১২ সালে দুই ঈদে উল্লেখিত পদ্গুলিতে মুল বেতনের শতকরা ৫০ ভাগ অর্থ বরাদ্দ দিয়ে আবার তা হ্রাস করে শতকরা ২৫ ভাগে নামিয়ে আনা হল কেন। কার সদিচ্ছায় শতকরা ২৫ ভাগ অর্থ হরণ করা হল দেশবাসী জানতে চায়। এটা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কোন নতুন চমক কিনা না সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার কোন ভিন্ন ষড়যন্ত্র। পূর্বে শুনেছিলাম, হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না। এখন দেখছি তাঁর উল্টো। হকুমই নড়ছে হাকিম নড়ছে না। এটা কোন গনতান্ত্রিক সরকারের সিদ্ধান্ত হতে পারেনা। এ দেশে কোন জাতীয় দাবী নিয়ে অচল অবস্থার সৃষ্টি হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তা নির্বাহী ক্ষমতাবলে সমাধান করেন। প্রদর্শক, লাইব্রেরিয়ান, সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে এ দেশের কিছু নগন্য হতভাগ্য নাগরিক চাকরি করে । যাদের প্রতিষ্ঠান প্রধান থেকে শুরু করে উপরের অনেকের রক্ত চক্ষুকে নীরবে সহ্যকরে কাজ করতে হয়। যাদের না আছে কোন বাড়তি দায়িত্ব পালন করে উপরি উপার্জনের সুযোগ অথবা না আছে কোন উন্নত বেতন স্কেল বা ইনক্রিমেন্ট। অথচ এই পদে অনেক মাস্টার্স ডিগ্রী প্রাপ্ত ব্যক্তি ও চাকরী করেন। মাস শেষে সীমিত বেতনের কটা টাকাই ছেলেমেয়ের লেখাপড়া ,ঘরভাড়া, বাজারখরচ ,চিকিৎসাব্যয়, আপ্যায়ন সহ সকল খরচের একমাত্র অবলম্বন। বিষয়টি তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী সহ সকলের সুদৃষ্টির জন্য করলাম। অবিলম্বে এই অমানবিক সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহারের আবেদন জানাই । ভবিষ্যতে জরুরী ভিত্তিতে বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য বর্তমানের বেতন স্কেলের সকল বৈষম্য দূর করে শিক্ষাখাতকে একটি মর্যাদাশীল অবস্থানে নিয়ে যেতে অনুরোধ রইলো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.