![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের বহুমাত্রিক চেতনাই, জ্ঞান ও মূল্যবোধের সামগ্রিক পরিমাত্রা।
পৃথিবীর বয়স যত বেড়ে যাচ্ছে , মানুষ তত বেশী অধিকার সচেতন হয়ে উঠছে। এই উপ মহাদেশে বৃটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে অখণ্ড ভারত বর্ষ সভ্যতা, জ্ঞান বিজ্ঞান ,শিক্ষা , সংস্কৃতি, সাহিত্য , শিল্পকলা , কৃষি সকল ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য লাভ করে , যা শাসক ইংরেজদের ঈর্ষান্বিত করে। একজন ভারতীয় সেদিন নিজেকে নিয়ে শুধু গর্বিত ছিল না অহঙ্কারী ও ছিল। উপ মহাদেশের দুটি প্রধান জাতি গোষ্ঠী হিন্দু এবং মুসলিম অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করছিল । এর মধ্যে কিছু কট্টরপন্থী ধর্ম ব্যবসায়ী ও ছিল। যাদের অতি উৎসাহ ও ইংরেজদের ষড়যন্ত্র মিলে বাঙালী ভারতীয়দের উদার, শান্তিময় বসবাস কে ধর্ম ভিত্তিক , জাত পাতের অচ্ছুত ও উচু- নিচুর বিষময় বৈষম্যে পরিনত করেছে । ধরমের ভিত্তিতে ভাগ করেছে দেশটাকে। ধর্মের নামে যুগে যুগে উস্কে দিয়েছে মৌলবাদ, সন্ত্রাস , সহিংসতা ও ধর্মান্ধ রাজনীতি কে, যাহা হরন করেছে আমাদের আবহমান কালের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, মানবিক অধিকার ও সকল মানবীয় অর্জন গুলো ।
এখন আমরা গনতন্ত্র , ভোটাধিকার , নাগরিক অধিকার নিয়ে কথা বলছি । মানবাধিকার নিয়ে আন্দোলন করছি। তাতে কি আদৌ কোন সফলতা আসবে। দেশভাগের ফলে উভয় দেশের কিছু শান্তিপ্রিয় মানুষ ভৌগোলিক কারনে সুংখ্যা লঘু জাতি গোষ্ঠীতেপরিনত হয়েছে। যাদেরকে ভোট ব্যাংক মনে করে ক্ষমতায় যাওয়ার সব রকম ফন্দি ফিকির আঁটছে সব রাজনৈতিক দল গুলি । গত ৫ই জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয়
সংসদ নির্বাচন হয়েচে। ভোটার উপস্থিতি যাই হোক না কেন সংখ্যালঘুরা সব ঘটনার শীর্ষ শিরোনামে পরিনত হয়েছে। বর্তমানে ভারতে সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানেও সঙ্খ্যা লঘুদের চোখে মুখে হতাশা । ভোটের ফলাফল যাহাই হোক না কেন যারা বিজয়ী হবে তারা মেনে নিলেও পরাজিতদের টার্গেট হবে সে দেশের সংখ্যালঘুরা ।এ অবস্থা বাঞ্ছনীয় নয়। সংখ্যালঘুরা রাষ্ট্রের বৈধ নাগরিক । স্বাধীন ভাবে ভোট দেয়ার
অধিকার তাদের আছে। তারা কোন রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর ভোটের সমীকরন হতে পারেনা ।
©somewhere in net ltd.