জীবন যেন আন্তহীন মরীচিকা

১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০২

ভাবনার একটা আকাশ ছিল , যেখানে উঁকি

দিতো আশা আর কল্পনার শুকতারা।

সমুদ্রের মত একটা মন ছিল,যেখানে জেগেউঠতো

নাম না জানা কত প্রতিশ্রুতির চোরাবালি।

অরন্যের মত একটা সংসারছিল ,যেখানে কত

আবেগ আর উৎসাহ ঝড় হয়ে বয়ে যেত অবিরাম।

থেমে থাকা বিবেকের অতলান্ত গহীনে কত ইচ্ছেরা

মরে যেত; অসংকোচ দ্রোহের গলিত লাভায় কত

কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বালিয়াড়ির মত হঠাৎ মিশে যেত।

মহা ভারতের যুধিষ্ঠীরের মত কপোট দুতক্রীড়ায়

হেরেও সমাজে শকুনীরমত মামাশ্রীদের নীরবে

মেনে যেত । পরাজিত শত্রুরা মুখোশের আড়ালে

বসে ধ্বংসের নকশা গড়ে যেত, যেন একটা নির্বিকার

অনাসক্ত সাধারন মানুষের চিরকালের গল্প ছিল ।

সব কিছু পাওয়ার জন্য ভোগের যে অন্তহীন মরীচিকা

স্বপ্নের গিরি লংঘন করে যেত,আজ সে শুধু প্রত্যাশার

গভীর শেকড়ে অমানিশার মত অদৃশ্য, সুত্রহীন

ভয়ংকর স্মৃতির ক্যানভাসে লেপ্টে যাওয়া রঙের

অগোছালো আলপনা। শুরু থেকে শেষ স্বাক্ষী

গোপালের ভুমিকা বেমানান হলেও নির্ভেজাল

সত্য ছিল। ক্ষুধার্তের দৃষ্টি যেমন প্রসাদে সীমাবদ্ধ,দেবতা

পর্য্যন্ত নয়। আমারও জীবন ভরে মরুভুমির কাছে জল

চেয়ে যাওয়া এক বোধিবৃক্ষের সামনে বসে সীমাবদ্ধ

সমাধির কল্পনা মাত্র ।একটা সকাল ছিল, যে সন্ধ্যার

চেয়েও অনুজ্জ্বল, যে পরকীয়া নাটকের যবনিকা পরাস্ত

সময়ের আগমনী লিখে দেয়,সেখানেই সবকিছুরশেষ হয়।

জীবনটা হয়ে যায় পরবাসী সময়ের ফেরারি মিছিল ।

০ টি +০/-০