নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ তার সপ্নের সমান সম্ভাবনাময় ।

দিলীপ গোস্বামী

জীবনের বহুমাত্রিক চেতনাই, জ্ঞান ও মূল্যবোধের সামগ্রিক পরিমাত্রা।

দিলীপ গোস্বামী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশে এখন আন্দোলন না উন্নয়ন; কোনটা জরুরী------ ভাবুন

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

দেশটা স্বাধীন , সার্বভৌম। সংবিধান আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল। রাজনীতি আমাদের গনতান্ত্রিক অধিকার।সংবিধান রক্ষা করাও আমাদের পবিত্র আধিকার।দেশের উন্নয়নে সারকার ও প্রশাসন কে সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্ব। সারকারের ত্রুটি বিচ্যুতিকে নিয়ে গঠন মুলক সমালোচনা করাও সুনাগরিকের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। দেশে ৫ই জানুয়ারীর সাধারন নির্বাচন নিয়ে তর্ক বিতর্ক আছে। আমি ওদিকে আপাতত যাবো না। দেশের একজন শিক্ষকতা পেশার মানুষ হিসেবে, একজন সাংবাদিক হিসেবে,একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে, এই মুহূর্তে দেশের উন্নয়ন নিয়ে আমি কেন যেন আশাবাদী। সেই স্বাধীনতার জন্ম লগ্ন থেকে আমাদের এই সবুজ শ্যামল উর্বর সোনার বাংলাকে নিয়ে দেশের ভিতরে বাইরে ক্ষমতা দখলের কত ষড়যন্ত্র দেখেছি। ষড়যন্ত্র কারীরা অনেকবার সফলও হয়েছে। দেশী ষড়যন্ত্রকারীদের সামনে ক্ষমতার মুলোটা ঝুলিয়ে দিয়ে বিদেশী প্রভুরা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে গেছে। আমাদের অর্থনীতি,শিক্ষা, স্বাস্থ্য , বিদ্যুৎ ,যোগাযোগ সবক্ষেত্র গুলী ধ্বংস হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।জাতি হিসেবে আমরা পেয়েছি দেশের মধ্যে দারিদ্র ,বেকারত্ব হতাশা।দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পেয়েছি বারবার শীর্ষ দুর্নীতির শিরোপা । ঘনঘন সরকার বদল ,দলীয় করন, জাতীয় সংসদে সরকারীদল ও বিরোধীদলের মধ্যে তীব্র সমন্বয় হীনতা আমাদেরকে এক আজব জাতিতে পরিনত করেছে। দীর্ঘ দিন পরে হলেও সং বিধান রক্ষার স্বার্থে একটা কঠিন চ্যালেঞ্জকে মাথায় নিয়ে বর্তমান সারকার দেশে সাধারন নির্বাচন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। নিরবাচনোত্তর পর্বে দেশী বিদেশী
সকল বাধা-বিপত্তিকে নির্ভয়ে মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জাতীয় চেতনাটি যে নেত্রী দৃঢ় প্রত্যয়েএগিয়ে নিয়ে
চলেছেন , জাতিসঙ্ঘ ,জাপান, চীন, ভারত,রাশিয়া,আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, সার্কের অধিকাংশ দেশ ,সর্বশেষ ইতালির আসেম সন্মেলন, কত নাম বলবো , বিশ্ব দরবারে তিনি প্রশংসা কুড়িয়ে চলেছেন। শত্রুর সমালোচনার জবাব কাজের মাধ্যমে
দিয়ে তিনি নিজেই যেন ইতিহাস হতে চলেছেন।তিনিতো দেশ প্রেমিক নাগরিকদের প্রশংসা পাবেন। আর তা না পেলে দুর্ভাগ্য আমাদের। সরকারের ভালো কাজের পক্ষে আমি । গনতন্ত্রে বিরোধী দলের ভুমিকা অনস্বীকার্য । আমিও রাষ্ট্র বিজ্ঞানের শিক্ষক
হিসেবে মানি এবং আমার শিক্ষার্থীদের শেখাই । কিন্তু আমি ইংল্যান্ড –আমেরিকার মত পার্লামেন্টে শক্তিশালী বিরোধী দল চাই। শুধু ক্ষমতা লাভের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম নয়। দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য শক্তিশালী আন্দোলন চাই। দেশে এখন দেশীয় অর্থায়নে পদ্মাসেতু হচ্ছে, বিদ্যুতের উৎপাদন ও বিতরন মাইলফলক ছুয়েছে। লোডশেডিং –এর বিব্রতকর অবস্থা থেকে দেশ বাসী মুক্ত হতে চলেছে । ডিজিটাল –বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার বিশ্বের আই সি টি সমৃদ্ধ দেশগুলিরপ্রশংসা পেয়েছে, এগিয়ে চলেছে দেশ । দেশের উত্তরোত্তর উন্নয়ন চাইলে সরকারের স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। দেশে এক একটা সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনগণের দেয়া রজস্ব থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ হয় । কোন রাজনৈতিক দল বা নেতা নিজের ব্যক্তিগত সঞ্চয় থেকে এ অর্থ ব্যয় করেনা । তাই নির্দ্দিষ্ট সময় পর পর দেশে নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন । তবে দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য দৃশ্যমান নয়। দলীয় সকল সুবিধা উপজেলা পর্যন্ত শীর্ষ নেতাদের হাতে সীমাবদ্ধ। গ্রামে –গঞ্জের সাধারন সমর্থকদের মধ্যে গভীর হতাশা দিন দিন বাড়ছে। তাদের ভবিষ্যত ভরসা কলেজ –বিশ্ব বিদ্যালয় পাস সন্তানেরা স্থনীয় বা জাতীয় পর্যায়ের বহু প্রতিযোগীতা মুলক নিয়োগ পরীক্ষায় মেধায় সফল হলেও সংশ্লিষ্ট এলাকার ক্ষমতাসীনদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভুমিকায় বাদ পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও এটাসকল দলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ভবিষ্যতে এ কালচার থেকেবেরিয়ে আসতে না পারলে মেধাবি ও সৎ কর্মীর অভাবে দেশের চলমান উন্নয়ন বাধা গ্রস্ত হবে।তৃণমূল পর্যায়ে কোটি কোটি সমর্থকদের মুল্যায়ন স্থানীয় নেতা কর্মীদের স্বজন প্রীতি ও আর্থিক লেনদেনের কারনে হ্রাস পেয়েছে। ভবিষ্যতে যা বিরোধীদের জন্য বড় সুযোগ এনে দিতে পারে। এইমুহুর্তে দলীয় নেত্রীকে বিষয়টি অনুধাবন করে , প্রয়োজনে প্রত্যেক এলাকায় দলীয় স্থানীয় সৎ ও শিক্ষিত ইচ্ছুক কর্মীদের দিয়ে গোপন তথ্য অন- লাইনে নিজের ওয়েব সাইডে সংগ্রহ করে প্রতিকার করতে হবে।সবকিছু মিলিয়ে বর্তমানে আন্দোলনের পাশাপাশি উন্নয়ন না উন্নয়নের স্বার্থে আন্দোলন তা জাতির সামনে একটা প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে । দেশে তাই এইমুহুর্তে আন্দোলন না উন্নয়ন প্রয়োজন – ভাবুন ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫৬

মদন বলেছেন: যুদ্ধোপরাধীদের বিচার হলে দেশের অর্থনৈতিক কোনো লাভ নেই, কিন্তু বিচার যেমন প্রয়োজন। তেমনি বিনা ভোটে জোর করে ক্ষমতায় থাকা সরকারের দ্বারা আর যাই হোক সেই উন্নয়নের সুফল জনগনে পাচ্ছে না পাবে না। গ্যাসের দাম দ্বিগুন হচ্ছে। বিদ্যুতের দাম অসংখ্যবার বাড়ার পরেও বিদ্যুত থাকে না। জিনিসপত্রের দাম লাগাম ছোয়া। দেশে কোনো ইনভেস্ট নাই। লোকাল-বাইরের কোনটাই নয়।

যুদ্ধোপরাধের বিচার যেমন জরুরী দেশের মানসিক শান্তির জন্য, তেমনি গনতন্ত্রকে রক্ষার জন্য সকলকে নিয়ে নির্বাচন প্রয়োজন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.