নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তোমাদেরই লোক

তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না চরম মিথ্যা কথা বরং জেনে রেখো তোমার সাথে আজীবন বাঁচতে রাজি আমি

সৌরভ তোফাজ্জল

সিনেমা খোর By: সৌরভ তোফাজ্জাল টিপিনের টাকা থেকে দু'টাকা বাঁচিয়ে রেখে বিপিনের দোকান থেকে সস্তার রুটি ছেঁকে ; হপ্তা ঘুরলেই পরে দিতেম আমি দৌড় আমি সিনেমা খোর । ছিলাম সিনেমা খোর । এখনও ঘোর কাটেনি বুকের এই শোর থামেনি সিনেমার ভূত নামেনি এখনও মাথা থেকে। স্বপ্নের রাত্রি শেষে আজও এলো না ভোর আমি সিনেমা খোর । আছি সিনেমা খোর । ডিরেক্টর হব ভেবে এর ওর কাছে ঘুরি বোদ্ধা আছেন যারা বলেছেন আহামরি ভয়ে ভয়ে আছি তবু কাটেনা কাটেনা সিনেমার ঘোর। আমি সিনেমা খোর । ছিলাম সিনেমা খোর ।

সৌরভ তোফাজ্জল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিপ্লব আজ ঘর ছাড়া এক পথিক- ফেলানি ও কিছু কথা

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩

ফেলানি ও কিছু কথা- তোফাজ্জল হোসেন সৌরভ

অনেকাংশে দেশ প্রেমটা সে সব ছেলে মেয়েদের মধ্যে নেই, যারা প্রধান দলগুলোর হয়ে রাজনীতি করে। কারন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা শুধু দলকে উর্ধ্বে দেখে দেশকে নয়।

সে ক্ষেত্রে তাহলে বলতে হবে সাধারণরাই দেশকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসে। তবে সমস্যাটা কোথায়?এরা অনেক ক্ষেত্রেই সোচ্চার কিন্তু প্রকাশ করতে পারছে না। কারন সত্য বললে কেউ তাকে নাস্তিক বলবে- কেউ আবার বলবে রাজাকার, কেউ বলবে সাম্প্রদায়িক - কেউ বলবে পোষ্ট-মর্ডান, কেউ বলবে স্বাধিনতার স্বপক্ষের শক্তি, কেউ বলবে বিপক্ষ শক্তি, কেউ বলবে রাজাকারের দোসর- কেউ বলবে স্বৈরশাসকের মিত্র।

কোন না কোন দলে ফেলে তাকে আর নিরপেক্ষ রাখবে না অথবা থাকতে দেবে না। মানুষের বাক-স্বাধিনতা জিরোতে চলে এসছে। এই সাধারণ মানুষদের দেশ প্রেমটা আর এরা প্রকাশ করতে পারেনা রাজনৈতিক অন্ধ ক্যাডারদের ভয়ে।



স্বাধীনতার যুদ্ধেও এক ঘটনা ঘটেছিল। যারা জীবন দিল তারা বেশির ভাগই দেশকে বড় করে দেখেছে। আর যারা ক্ষমতাকে বড় করে দেখেছে তারা লুকিয়ে ছিল পালিয়ে ছিল ভারতে অথবা মিত্রদের কাছে অথবা নিরাপদ আশ্রয়ে বিদেশে। পরে তারা দেশে ফিরে ক্ষমতা দখল করেছে।আবার অনেকেই চাঁদ তারা খচিত পাকিস্তানী পতাকা বাড়িতে ঝলিয়ে “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” বলে আত্ন রক্ষা করে ছিল।নিজের চাকুরি বাঁচাতে বড় বড় আমলারা হয়েছিল ‘৭১ এর পাকিস্তান বাহিনীর ট্যুরিস্ট গাইড। অথচ যারা জীবন দিল তাদের পরিবার না খেয়ে মরেছে। পঙ্গু হল ভিক্ষা করে জীবন কাটিয়েছে অথবা কাটাচ্ছে এখনও।

মুক্তিযোদ্ধা ভাতা কিংবা সনদের লোভ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা তেমন কেউ করেনি। তাদের সনদ নেই। তারা বাংলা মায়ের সত্যিকার সন্তান। তারা বিশ্বাস করে "মায়ের জন্যে কিছু করলে তার প্রতিদান নেবে কেন সন্তান? "

আর যে সব গরিব মুক্তিযোদ্ধারা সনদ পেয়েছিল তারা বড় জোর মাস কাটিয়ে কিছু ভাতা পেয়েছে। কিন্তু বড়লোক আর সচেতন মুক্তিযোদ্ধারা এবং অমুক্তিযোদ্ধারা এই সনদ পেয়ে অথবা জাল করে পেয়ে (respectively) আজ বিশাল জন নেতা এমপি মন্ত্রী।

যে দেশে রাজাকাররাও মন্ত্রি হয়- সে দেশে মুক্তিযোদ্ধা তার সনদ বেচে শিল্পপতি হলে অথবা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রি হলে রাগ করার কিছু নেই। আসলে এরা কেউই দেশপ্রেমিক না তবে আত্নকেন্দ্রিক ।

আর যারা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তাদের বর্তমান পরিচয় "আমজনতা- mango people" আবার এরাই কিন্তু বাঙালি। বাঙ্গালীর বিষ বলে একটা কথা আছে। সে বিষ যে আবার কবে জাগবে?

জাগবে কি করে এ জাগরন যে প্রধান সব দলেরই ক্ষতি করবে। তাইতো জাগরনের নামে কিশোর যুবা মন গুলোর সাথে সাত পাঁচ খেলা হয়।

সে যাই হোক, মোদ্দা কথা "এই আমজনতা বা সাধারণ মানুষরাই প্রকৃত দেশ প্রেমিক যা সময় বার বার বলে দিয়েছে প্রমান দিয়েছে।" যদিও ইতিহাস এদের মনে রাখেনি। কারন মুর্খ কৃষক যুদ্ধ করে জীবন দিয়ছে ঠিকিই কিন্তু নেতা হয়নি, সামররিক নয় বলে শ্রেষ্ঠত্বও মেলেনি।

হটাৎ এতো রাগ লাগছে কেন সে কথা বলি। গুগল ম্যাপে “ফেলানি রোড” সো করছে দেখে আমার এক পরিচিত রাজনৈতিক ছাত্রনেতাকে দেখাতে গেলাম- সে একটা গালি ব্যবহার করে বলল “......ফেলানি মরছে এইডা নিয়া এতো লাফালাফির কি আছে?” আমার এই পরিচিত ছাত্রনেতাটি কোন দলের সে কথা বলা আবার ক্রোন্দলের ব্যপার। যেহেতু ছাত্রনেতাদের হাতে ক্ষমতা সে আমাকে লাত্থি দিয়ে হল থেকে বের করেও দিতে পারে । অসম্ভব কিছুই না। সব দলিও ছাত্র নেতারাই এমন। এরা যতটা না ছাত্র তার চেয়ে বেশি ছাত্র নেতা। যতটা না দেশের তার চেয়ে বেশি দলের এবং দিন শেষে দেখা যায় তারও বেশি নিজের। তা না হলে গরিব কেন আরো গরিব হচ্ছে আর নেতা আমলারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ।

যতই আমরা আইনের কথা কপচাই না কেন যতই বলি ‘বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা’ আমরা পেয়েছি; আসলে সত্যি কথাটা সবাই জানে। আমাদের স্বংবিধান অনুচ্ছেদ ৭,২৭,২৮,২৯ আউড়ান আসলেই কি কোথাও সব নাগরিক সমান সুবিচার অধিকার পায়? মানবাধিকার আসলেই কি রক্ষিত হচ্ছে? অনেক ক্ষেত্রেইতো দেখছি চোর হয়ে যায় মহান আর মানবাধিকার লুণ্ঠিত।

ফেলানিদের লাশ ঝুলে থাকা নিয়ে সোচ্চার তাই মানবাধিকার কর্মীরাই। বাম দল গুলো অনেক ক্ষেত্রেই এ আন্দোলনে অগ্রজ। সেখানে সরকারের টনক কিছুটা নাড়ান মুলত এরাই। আজ বডার কিলিং, সুন্দরবন রক্ষা, বাঘ বাঁচাও, তেল রক্ষা কর, বন্দর রক্ষা কর, গ্যাস বাঁচাও, নদী বাঁচাও, সরকারের ভুল ধর- বিরোধী দলের ভুল ধর এসব করে মানবাধিকার ও বাম সংগঠন গুলোই।

এক গদি দখলের যুদ্ধে প্রধান দু’দল যে প্রতিদিন মানুষ মারছে। হরতাল-অবরোধ অগ্নি সংযোগ করছে। এটা অবশই পেন্ডুলামের ঘড়ির মতই। কারন পাত্র-পাত্রি তারাই। আজ যে সরকারি দল কাল সে বিরোধী দল । আর সাধারণ মানুষ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিরব দর্শক এবং অনেক ক্ষেত্রেই এরাই বেশি মরছে। মরছে সে সাধারণ মানুষই হোক আর রাজনৈতিক মানুষই হোক জীবনতো ঝরে যাচ্ছে প্রতিদিন।

রাজনৈতিক এসব ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যা কান্ড আসলে সাধারণ জনগনের প্রতি একটা বিশাল প্রশ্ন ছুড়ে দেয়া- “দেখো জনতা আমরা সংখ্যায় কম তবু তোমাদের এভাবে অত্যাচার করছি। তোমরা সংখ্যায় বেশি হয়ে কি করতে পারছ আমাদের? আমাদেরই বার বার ক্ষমতা দিচ্ছ, ভোট দিচ্ছ, আমাদের হাতেই মরছ।“

এ প্রশ্নের জবাব আমজনতা দিতে পারছে কই? পরের ছেলে মারলে মাকে সন্তানরা বিদ্রোহী হয়ে উঠে আর নিজের ছেলে মারছে বলেই হয়ত বাংলা মা এতো চুপ সে সাথে বাংলা মায়ের সত্যি সন্তানরাও সয্য করেই যাচ্ছে। তাই আর ১৯৫২ ফিরে আসছে না। ১৯৬৯ আসছে না, ১৯৭১ আসছে না। ১৯৯০ ও আসেনা। ২০১৩ এর এক শাহাবাগ আন্দোলন জাতির পাপ মোচন করেছে আমরা হয়েছি কলঙ্ক মুক্ত। কিন্তু ক্ষমতা দখলের যুদ্ধে যে ক্ষতি প্রতিদিন হচ্ছে তার সমাধানে বিপ্লব হবে কবে? নাকি বিপ্লব আজ ঘর ছাড়া এক পথিক।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.