![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অস্তিত্বহীন প্রাণী, তবুও অস্তিত্বের লড়ায়ে শরীরের ঘাম ঝরিয়ে যুদ্ধ করে এই অস্থায়ী দুনিয়ায়! শুপ্রভাতে শুরু হয়েও কারো হয়না শুভ দিন খানা। শুভ অপরাহ্নে কেউ কেউ নামীদামী খাবার নষ্ট করে। সেই খাবার আবর্জনার স্তুপ থেকে কাক কুকুর ও মানুষ এক সাথে কুড়িয়ে আহরন করে, এতে কোন লজ্জা বোধও অনুভব করে না, কারন প্রাণীগুলোর শিকড় থেকেই মিল। এরা জানে অস্তিত্বহীন প্রাণী সকলেই। ক্ষুদার কাছে লজ্জা কিসের, অস্থায়ী পৃথিবীতে কোন না কোন ভাবে খেয়ে পরে বেচেঁ থাকা লাগবে।
মাঝে মধ্যে কারো কারো পেটে ঝোটে না খাবারে ঝুটো দানাও। তারা তো মধ্যবিত্ত। চক্ষু লজ্জায় অস্তিত্বহীন ধনী মানুষের খাবারের ঝুটোও কুড়িয়ে নিতে লজ্জা করে এদের। কে কী ভাববে এগুলো কুড়িয়ে নিয়ে আহরণ করলে। তার তো মাথা কাটা যাবে সমাজে। অপরাহ্নে না হয় কোন রকম জল পান করে কাটিয়ে দিলে কিন্তু শুভ রাত্রি কি তোমার শুভ হবে? এক ধরনের জাতি রাতের খাবার নষ্ট করে, আরেক জাতি কুড়িয়ে খাবে। আবার কেউ কেউ হাত পেতে আহার বক্ষন করবে কিন্তু তোমার কী হবে এই রাতে?
তুমি এক গাদা সার্টিফিকেট নিয়ে শহরের অলিগলিতে ঘুরে বেড়াও ঘামে ভিজাও পরনের কাপড়। তোমার প্রতিটা ঘামে ঝরতে থাকে হাজারো স্বপ্ন। এই না চাকরীটা হয়ে গেল আর আমিও বড় লোক হবো তখন কোন কষ্ট থাকবে না। গাড়িতে চড়ে এসির হাওয়া গায়ে লাগিয়ে অফিসে যাবো! অথচ পাচঁ টাকার ভয়ে বাসে না চড়ে পায়ে হেটে চাকরী খুঁজে বেড়াও। শহরে তোমার মত হাজারো যুবক এভাবে চাকরীর পিছনে ছুটে কেউ কেউ নিজের স্বপ্ন বাস্তব করেছে, আবার কেউ স্বপ্নের সিড়িঁ বেয়ে পা পিছলে পড়েছে লাখো মাইল দূরে।
মালিকের পরীক্ষা অনেকের বুঝার ক্ষমতা নেই। তিনি কাউকে দিয়ে দেখেন আবার নিয়েও দেখেন। আবার কাউকে শুধু অস্থায়ী দুনিয়ায় দেন কারো স্থায়ী দুনিয়ার জন্য জমা রাখেন। কাউকে উভয় দুনিয়ায় দেন কেউ কোন দুনিয়ায় পায় না। এসব কিছু নিজের কৃতকর্মের উপর নির্ভর করে। মনে রাখবে অস্থায়ী দুনিয়ায় কোন কিছু স্থায়ী নয়।
তবুও তুমি চেষ্টা করে যাচ্ছো সফলতা আসতে পারে। তোমার চেষ্টার সাধুবাদ জানায়। কিন্তু তোমার মত তো লাখো মধ্যবিত্তের তো সার্টিফিকেট নাই! তাদের কি হবে! অফিস আদালতে ভালো চাকরীর আশা করতে পারে না। এরা ছোট চাকরীও করবে না, চক্ষু লজ্জা দেয়াল হয়ে দাঁড়ায়। ব্যবসা করবে তারও পুঁজি নাই! এদের কি হবে? ভিক্ষাও একটা হালাল কাজ যদিও ঘৃণিত। ভিক্ষা করে খাওয়া উচিৎ কিন্তু ভিক্ষা করতেও পারবে না লজ্জার কারনে।
এই ধরনের লোক ও ঠিক আছে, কিছু করতে না পারলে সব সময় মাথায় চিন্তা থাকে কী করবে তারা এই দুনিয়ায়।
কিন্তু আরেক ধরনের মধ্যবিত্ত আছে যারা আমার চোখে একেবারে ঘৃণিত। এই ধরনের মানুষ সমাজ ও দেশের জন্য খুব বেশি ভয়ানক। নিজেরা কিছুই করে না, বাপের ঘামে ভেজা উপার্জনে খেয়ে পরে বেচেঁ থাকে। এইটুকু ও ঠিক ছিলো, তার বাপের টাকায় সে চলে তাতে আমার তোমার কী আসে যায়। তবে চায়ের দোকানে বসে চায়ের কাপে প্রতিটা চুমুকে অন্যের সমালোচনা ঝড় তুলে। নিজে তো কিছুই করে না বরং কোন মানুষ কিছু করতে গেলে নাক ছিটকানো শুরু হয়। অমুক এ কাজ করতেছে এটা তার সাথে মানায় না। ও অল্প কয় টাকার জন্য এই কাজ করে, আরে ব্যাটা এগুলো কোন কাজ হইলো! ঐ পোলায় টাকার জন্য সারাদিন রাত কাজ করে, টাকা কি কবরে নিয়ে যাবে! ওটা রে, সেটা রে, আরো কত কি মন্তব্য করে প্রতিনিয়ত। এমনকি দুনিয়ার যত সমালোচনা সব এরাই করে। এই জাতি গুলোর জন্য খুব লজ্জা হয় আমার।
এধরনের অস্থায়ী প্রাণীর প্রভাত শুভ, অপরাহ্ন শুভ এমনকি রাত্রি টাও শুভ হয় কিন্তু এরা জানে না এদের ভবিষ্যৎ অশুভ ও অন্ধকার। এধরনের লোকের জন্য ভবিষ্যতে কঠিন কিছু অপেক্ষা করছে যা তারা বর্তমানে উপলব্ধি করতে অক্ষম
২| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: মধ্যবিত্ত বান্ধব সরকার দরকার।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৫:৪১
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: সুন্দর সাবলীল উপস্হাপনা।
ভালো থাকুন।