নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।
বাংলাদেশ এর যখন জন্ম হয় তখন থেকেই জানানো হয় এ দেশে ২ লাখ মা, বোন ধর্ষিত হয়েছেন। সেই ৭১ থেকে আজ পর্যন্ত কতজন হয়েছেন? তখন না হয় পাকিস্তানিরা করেছে কিন্তু এখন?
বাউফল এর ঘটনায় দেখছি মা, মেয়ে কে ধর্ষণ করা হয়েছে। কারা করেছে? মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আওয়ামিলীগ এর ছয় জন। কেন?
এক মানিক তো সেঞ্চুরি ই করলো আওয়ামিলীগ এর আমলে। বিচার হইছে তার? সুতরাং চেতনার বড়ি অন্য জায়গায় বেঁচেন আমার কাছে নয়।
আবার বি এন পি জামাতের সময় ও হইছে। অত খুশি হবেন না যে, আওয়মিলীগের আমলে ই হয়। আমরা ধোঁয়া তুলসীপাতা। সব একই মল মুত্র!
এখন আসি, ধর্ষণের কারণ কি? খুব সস্তা হয়ে গেছে বলে সব কিছু। না,হাতের নাগালে যৌনতার ছড়াছড়ি।
এ নিয়ে সবাই কম বেশি বলছে লিখছে কিন্তু কাজ হচ্ছে না কেন?বিচারে গাফিলতি? না,অন্য কিছু?
আসলে বর্তমান সময়ে যৌনতাকে এমন ভাবে মানুষের মগজে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে যে,এর থেকে সহজে কেউ বের হতে পারছে না। ইটস নরমাল লাইক পান্তা ভাত !
বাংলাদেশ সরকার পর্ণ সাইট গুলি বন্ধ করে দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু সাহিত্য থেকে সিনেমা পাড়া বা নাটকে,গানে সফট পর্ণ ঠিকই চালু আছে। তাছাড়া ভি পি এন তো আছেই।
এখন চারপাশে এত এত যৌনতার ছড়াছড়ি একজন পুরুষ কতক্ষণ নিজেরে ধরে রাখবে?
পোষাক হতে পারে না। হলে বৃদ্ধা, নয়, দশ বছর এর শিশু ধর্ষিত হতো না !কোন মেয়েই বলে না, আস আমারে ধর্ষিত কর !ধর্ষণ হচ্ছে সন্ত্রাসের চেয়ে হত্যা করার চেয়ে ভয়ংকর !
মার্কিন বিশেষজ্ঞ সুসান গ্রিফিন লিখেছেন:
‘আমি কখনোই ধর্ষণের ভয় থেকে মুক্ত ছিলাম না।’
পশ্চিমা বিশ্বে ধর্ষণের হার কত পার্সেন্ট ?
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে আমেরিকায়। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটিতে ধর্ষণের শিকার নারীর পরিসংখ্যান ৯১% এবং ৮% পুরুষ। অপর একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, এ দেশে ছয় জন নারীর মধ্যে এক জন ধর্ষণের শিকার। পুরুষদের ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানটা ৩৩ জনে ১ জন ধর্ষণের শিকার। এই দেশে ১৪ বছর বয়স থেকেই ধর্ষণের মত অপরাধের প্রবণতা তৈরি হয় শিশু মনে।
সন্তান এবং শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা গোটা পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয়। এই দেশে ধর্ষণের শাস্তি মাত্র দুই বছরের জেল। ইউরোপের সুইডেনেই সবচেয়ে বেশি (৫৮%) ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তালিকায় তৃতীয় স্থনে আছে সুইডেন।
তালিকায় চার নাম্বারে আছে ভারত। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো অনুযায়ী ২০১২ সালে ভারতে ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়ে ২৪ হাজার ৯২৩টি। দেশটিতে ধর্ষণের শিকার হওয়া ১০০ জন নারীর মধ্যে ৯৮ জনই আত্মহত্যা করেন। প্রতি ২২ মিনিটে ভারতে একটি করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়।
তালিকার পাঁচ নাম্বারে আছে ব্রিটেন। দেশটিতে চার লাখ মানুষ প্রতিবছর ধর্ষণের মত ঘটনার শিকার হন এদেশে। প্রতি পাঁচ জন মহিলার মধ্যে একজন করে ধর্ষণের শিকার হন।
তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে থাকা জার্মানিতে এখন পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হয়ে দুই লাখ ৪০ হাজার নারীর মৃত্যু হয়েছে। প্রতি বছর জার্মানিতে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয় ৬৫ লাখ ৭ হাজার, ৩৯৪। সপ্তম স্থানে আছে ফ্রান্স। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ধর্ষণের মত ঘটনা ফ্রান্সে অপরাধ বলেই মানা হতো না। সরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছরে এই দেশে ধর্ষণের শিকার হন অন্তত ৭৫ হাজার নারী।
তালিকায় অষ্টম স্থানে থাকা কানাডায় এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগের সংখ্যা ২৫ লাখ ১৬ হাজার ৯১৮টি। প্রতি ১৭ জনের মধ্যে এক জন নারী এই দেশে ধর্ষণের শিকার হন।
নবম স্থানে থাকা শ্রীলংকায় অপরাধের শতাংশের বিচারে ১৪.৫ শতাংশ অপরাধ সংগঠিত হয় ধর্ষণে। ধর্ষণে অভিযুক্তদের ৬৫.৮% ধর্ষণের মত নারকীয় কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকেও কোনও প্রকার অনুশোচনা তাদের মধ্যে হয় না। ১০ নম্বরে থাকা ইথিওপিয়ায় ৬০% নারীই ধর্ষণের শিকার।
( বিডি প্রতিদিন/২৬ অক্টোবর, ২০১৬/ফারজানা )
এ তো গেল হিসেব। এর কি কোন প্রতিকার নেই? আসলে সত্যিকারের ইচ্ছে কারো নেই। বর্তমানের প্রতিযোগিতার বাজারে একজন নারীকে যেভাবেই হোক যৌন দাসী করেই ফেলা হয় হোক অফিস পাড়া আর নিজের ঘর অথবা পাড়া ! কি ভয়ানক অবস্থা !
একজন নারী ও এতে নিজেকে মেলে ধরছে শুধু প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে। নিজের ঘরেই বলে,
" একটু ফিটফাট থাক, স্লিম হ, গলার হাড্ডী বের কর, খেয়ে খেয়ে তো হাতি হয়ে যাচ্ছিস ইত্যাদি "
এ অবস্থা থেকে বের হওয়ার উপায়? উপায় থাকার রাস্তাগুলিতে মেলা ধুলো তাই কেউ আর সাফ করতে চায় না। যাদের সাফ করার দায়িত্ব দেয়া হয় তারা আরও ধুলো জমা করে।
আসলে সবাই যদি নিজেরে নিজে আত্মশুদ্ধির চেষ্টায় রাখি তাইলে হয়তো অবস্থার কিছুটা ঠিক হইত বা একজন নারী কে শুধু শরীর না ভেবে মানুষ ভাবলে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হইত ।
এখন আছি একটু অন্য প্রসংগে আমরা সবাই যা দেখি তাই নিয়া ভাবি চিন্তা করি করার জন্য চেষ্টা করি মানে আগে চোখে দেখি তারপর সেটা মগজে সেট করি তখন মগজ কমান্ড যা দেয় তাই করি বা অনেক সময় অন্যটা করি অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা আর কি।
এখন একটা উঠতি বয়সের ছেলে বা মেয়ে অথবা পুরুষ, নারী যখন যৌনতার এত সহজ লভ্যতা দেখছে তখন সে কি ভাবে?
পুরুষ মানুষের অবশ্য লজ্জা শরম কম। এ জন্য বললাম, পর্ণ সাইটে পুরুষদের দেখার হার বেশি তাই। এখন রাত দিন যদি কেউ মোবাইলে পর্ণ মুভি দেখে সেইভাবেই সে তার মগজ কে কিন্তু সেট আপ করে নিচ্ছে।পরবর্তীতে শিকার হচ্ছে পাশের ঘরের ছোট শিশু অথবা বৃদ্ধা বা অনেক সময় নিজের কন্যা ! ছিঃ! কি ভয়ংকর !
আমি নিজেই অনেক টিভি প্রোগামে নারী সেলিব্রিটি দের উপস্থাপক কে জিজ্ঞেস করতে শুনেছি " শেষ কবে পর্ণ দেখেছ বা দেখছেন " সেলিব্রেটি ও হেসে উত্তর দিচ্ছে। ছিঃ! কি ভয়ংকর সত্য!
কই কোন দিন দেখলাম না সেই চ্যানেল বা অনুষ্ঠান বন্ধের জন্য আলাপ বা আন্দোলন! মানে এইটা এখন নরমাল ! তাও বাংলাদেশে ! তাইলে দোষ দিমু কারে?
নাটক সিনেমার প্রডিউসার? পরিচালক ? চ্যানেল মালিক? দর্শক ?আসলে সবাই ধান্ধাবাজ!সবাই যৌনতার গোলাম!
সুতরাং এ কথা বলা চলে একজন নারী সবচেয়ে ভয়ংকর রাতদিন পাড় করে পুরো জীবন কাটায়। খুব নীরবে কাঁদে। সেই কান্না না শুনে পরিবার, না শুনে রাষ্ট্র, সমাজ ! শুধু শুনে স্রষ্টা !
বিদ্র ঃ কিছু অংশ গুগলের সাহায্যে নেয়া হয়েছে আর কিছু নিজের পুরনো স্মৃতি কোষ থেকে।
সামুতে মনে হয় কেউ পড়ব না কারণ এগুলি ফালতু পুরানো কাসুন্দি! তবু লেখলাম নিজের বিবেক খোচায়, আংগুল নিশপিশ করে। ভালো থাকবেন সকলে।
যদিও আজকাল কেউ ভালো নেই শুধুই অভিনয় করে কাটছে রাত দিন !
©somewhere in net ltd.