নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।
ছবি গুগল ।
একটা সময় টিভিতে এক্স ফাইল নামে জনপ্রিয় একটা টিভি সিরিজ চলত। আমি প্রায় প্রতিটি পর্ব দেখার চেষ্টা করতাম। এক সময় আমার মোবাইলের রিং টোন ছিল সেই সিরিজ এর থীম মিউজিক।
এক্স ফাইলে দেখানো হতো, যে সব খুন বা অপরাধ এর কেস গুলি যার কোন সমাধান হয়নি তেমন কেস গুলির সমাধান করা।
অনেক পরে ডিসকোভারি চ্যানেলে ও হতো মেডিকেল ডিটেক্টিভ নামে একটা প্রোগ্রাম।আমি নিয়মিত দেখতাম। সেখানে দেখানো হতো কিভাবে মেডিকেল সাইন্স ব্যবহার করে নমুনা ডি এন এ নিয়ে বহু বছর পর খুনিকে বা অপরাধী কে ধরা হয়।
আমাদের দেশেও এমন অনেক কেস আছে যেগুলোর কোন কুল কিনারা হয়নি। যেমন ধরেন চিত্র নায়ক সালমান শাহ এর কেস! বহু দিন পর একটা সুরাহা হইছে তারপরও একটা " কিন্তু " সবার মনে ঘুরে।
আমাদের নানান সমস্যা আছে। খুনি যদি প্রভাবশালী হয় আর তার ব্যাকগ্রাউন্ড পলিটিক্স এ জড়িত থাকলে তদন্ত এক রকম হয়। চার্জশিট এক রকম হয়। এইটা মানেন আর না মানেন। ইহা ধ্রুব সত্যি! আর যদি ক্ষমতাসীন দলের হয় তাইলে পুরাই মু হা হা হা হা......।
এত বক বক করার একটা কারণ আছে। কারণ ছাড়া জগতে কিচ্ছু হয় না। আচ্ছা, মুল প্রসংগে যাওয়ার আগে একখান কথা জিগাই, কয়জন বাংলা ছবি দেখেন?বর্তমানের কথা বলছি না। ষাটের দশকের কথা বলছি। দেখেছেন "কাঁচ কাটা হীরে অথবা দুটি মন দুটি আশা? "
ক্লু কিন্তু দিলাম। ধরবার পারছেন?
আচ্ছা, না পারলে ক্ষতি নাই। আমরা বাইর কইরা ছাড়মু। আজ ওর এক দিন কি আমাদের যে কদিন যায়! হা হা হা।
ইটটু হাসি রস না থাকলে ঝিমানো আসে শরীরে। ঝিমানো চলবে না। নেতা বলেছেন " আমরা করোনার চেয়ে শক্তিশালী! "
চলেন, একটু পিছনে ফিরি মানে তখন আমাগো মানে এদেশের জন্ম হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ চলছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র মুক্তিবাহানী থেকে শুরু করে দেশের আপামর জনতা কে উজ্জীবিত করে যাচ্ছে।
তাদের নিরলস পরিশ্রম চলছে। সে সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে " জল্লাদ এর দরবার " নামে একটা নাটক প্রচার হতো। এইতো আরেকটু ক্লু কিন্তু দিলাম!
সেই নাটকে জল্লাদের ভূমিকায় যার বলিষ্ঠ ও ভরাট কণ্ঠস্বরে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠত! যার কণ্ঠস্বর শুনে মুক্তিযুদ্ধে শত্রু নিধনে উজ্জীবিত হতো বাংলার দামাল ছেলেরা- সেই শক্তিমান অভিনেতা রাজু আহমেদের কথা বলা হচ্ছে।
ষাট দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেতাকে বাঁচতে দেয়নি ঘাতকরা। মানুষরূপী হায়েনাদের তপ্ত বুলেটে ৩৩ বছর বয়সী টগবগে এই যুবকের শরীর ঝাঁঝড়া হয়েছিল। ৪৯ বছর আগে বুলেটবিদ্ধ রাজু আহমেদকে চলে যেতে হয় না ফেরার দেশে।
আসেন কি হইছিল সেদিন।বিস্তারিত দেখি,
১৯৭২ সালের ১১ ডিসেম্বর নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর মানুষ হতবাক। শোকের ছায়া নেমে আসে সাংস্কৃতিক অংগন থেকে জনমনে সব খানে।
রাজুর খুনিদের বিচার হয়নি। উনপঞ্চাশ বছর হতে চলল।
যেভাবে খুন হলেন রাজু আহমেদ :
পুলিশ ও অন্যান্য সূত্র জানিয়েছে, ১৯৭২ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজু আহমেদ এবং নাট্যকার, লেখক ও সাংবাদিক কল্যাণমিত্র রাজধানীর মালিবাগের সিদ্ধেশ্বরী গিয়েছিলেন অভিনেত্রী শিউলি আহমেদের বাসায়।
" জল্লাদের দরবার " নাটকটি চলচ্চিত্রে রূপ দিতে কাজ করছিলেন রাজু আহমেদ। ওই চলচ্চিত্রে কাজ করার অনুরোধ জানাতে শিউলি আহমেদের বাসায় যান তারা।
কথাবার্তা শেষ করে তারা রাত ৮টার দিকে শিউলি আহমেদের বাসা থেকে বের হন। একটি রিকশায় চড়েন তারা। কিন্তু আগে থেকেই ওই স্থানে অস্ত্র নিয়ে ওঁত পেতে ছিলেন স্থানীয় বাবলা ও প্যারোটসহ আরও কয়েকজন।
রাজু আহমেদকে দেখেই তাদের হাতের অস্ত্রগুলো তেঁতে ওঠে। ব্রাসফায়ার! গুলিবিদ্ধ হন রাজু আহমেদ, কল্যাণমিত্র এবং তাদের রিকশাচালকও।
ঘাতকের নিশানায় থাকা রাজু আহমেদের শরীর ঝাঁঝড়া হয়। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। কিছু সময় পরই তার মৃত্যু ঘটে।
রাত আনুমানিক ১০টায় রাজু আহমেদের অনুজ বঙ্গবন্ধুর প্রেসসচিব আমিনুল হক বাদশা নিজেই ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যান বঙ্গবন্ধুর বাসায়।
অপরদিকে হাতে গুলিবিদ্ধ কল্যাণমিত্র প্রাণে বেঁচে যান। গুলিবিদ্ধ রিকশাচালককে নিয়ে কল্যাণমিত্র হাসপাতালে যেতে সক্ষম হন। অস্ত্রধারীদের এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণে পুরো এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়।
ঘটনা ঘটিয়ে অস্ত্রধারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়।
রাজু আহমেদ হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। কিন্তু গাফিলতির কারণে তদন্ত এগোয় না। রাজু হত্যার বিচার পান না তার স্বজনরা।
পরবর্তীতে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। খান মজলিশ এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন।
রাইফেল জিয়া সরকার আমলে মার্শাল ল চলাকালে গ্রেফতার হন খুনি বাবলা ও প্যারোট। মাত্র চার থেকে পাঁচ বছর জেল খেটে তারা বেরিয়ে যান !
রাজু আহমেদের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এমন কয়েকজন জানান, রাজু আহমেদ হত্যার বিচার না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা হতাশ।
রাজু আহমেদের ভাই বলেছিল , যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে জল্লাদের দরবারের মূল ভূমিকা জল্লাদের চরিত্রে অভিনয় করে ইয়াহিয়ার মুখোশ উন্মোচন করেছিলেন, তার মৃত্যুরই বিচার হলো না। আফসোস!
এইতো গেল রাজু আহমেদ এর কথা এখন আসি, শিউলি আহমেদ এর ঘটনায়।
রাজুকে হত্যার পর একই ঘাতকরা খুন করে অভিনেত্রী শিউলি আহমেদকে। ১৯৭৩ সালে অস্ত্রধারীরা শিউলি আহমেদকে গুলি করে হত্যার পর এসিড ঢেলে দিয়েছিল শরীরে।
কি ভাবছেন থ হইয়া গেলেন! এইতো হয় দেশে নাকি! ছিঃ !
পিকচার আরও বাকি হ্যায় মেরি দোস্ত !
তাঁর ভাই আরও বলেছিলেন, এক মাসের ভিতরে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে কী বিচার করা যায় না? তিনি আরও বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, রাষ্ট্রীয়ভাবে রাজু আহমেদকে কোনো সম্মাননা জানানো হয়নি। মরণোত্তর পদকও তো দেওয়া যেতো !
ছিঃ ! আমরা কি?
খুনিরা আজও কীভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়?রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিবাগ এলাকাতে খুনির দলটি এখনো বহাল তবিয়তে আছে। বাবলা প্যারোট গ্যাং কীভাবে আজও টিকে আছে? কে করবে এর সমাধান বা বিচার? আছে কোন মাই কে লাল?
২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৪০
স্প্যানকড বলেছেন: হুম, তাই দেখছি ! ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকুন।
২| ২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:০২
শেরজা তপন বলেছেন: রাজু আহমেদ হত্যার এই পুরো বিষয়টা জানা ছিলনা।
শেষ প্রশ্নের উত্তর অন্য সবার মত আমারও জানা নেই...
৩| ২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:১৪
স্প্যানকড বলেছেন: হুম, আসলে সমাজে যাদের হাতে আমরা ক্ষমতা দিয়ে রাখছি যদি তারা এর উত্তর দেয় নইলে আম জনতা আমরা কি করতে পারি? ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকুন।
৪| ২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৪৫
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: আসুন সবাই মিলে কিছু সময় আফসোস করি।
তারপর রাজু আহ্মেদ ভাইয়ের জন্য দোয়া করি।
আল্লাহ উনাকে জান্নাত বাসী করুন ।
আমিন
২৮ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৩৮
স্প্যানকড বলেছেন: আমাদের এছাড়া আর কিছু কি করার নাই ? আমরা স্বাধীন হয়ে বন্দী ! ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১২:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: এদের বিচার আল্লাহ করবে। এছাড়া তো অন্য কোনো উপায় নাই।