নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।
ছবি নেট ।
বাংলদেশে প্রথম যুদ্ধ অপরাধ এর যে মামলা করা হয় বা যিনি করেছেন। তার কতদূর খোঁজ খবর আমরা রাখি বা আমাদের নেতাগন রাখেন? প্রশ্ন দিয়ে শুরু করলাম। কারণ প্রশ্নের উত্তর পাই নি।
আসলে আমরা সব ধান্ধাবাজ! মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, ভাষা আন্দোলন এগুলা এখন ব্যবসায় পরিণত হয়ে যাচ্ছে। এটাই স্বাভাবিক রাজনীতি যখন আমলা ব্যবসায়ীর হাতে চলে যায়। রাজনীতি মানে যখন ব্যবসা হয়ে যায় তখন এমন হয়।
যিনি এই মামলা এত সাহস দেখিয়ে করেছেন তাঁর নাম মিজানুল শেখ। তাঁর বাবা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। তিনি রাজশাহীর মোহনপুর থানায় যুদ্ধ অপরাধের প্রথম মামলাটি করেন।
দুঃখের বিষয় কি জানেন? আজ পর্যন্ত তিনি তাঁর বাবা যে মুক্তিযোদ্ধা এই স্বীকৃতি সরকার থেকে পান নি। এ নিয়ে তিনি বহুবার মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রানালয় গিয়েছেন।সমস্ত প্রমাণ দিয়েছেন তবুও স্বীকৃতি পাচ্ছেন না। ছিঃ!
আসলে মাঝেসাঝে ভাবি, সে সময় ফেসবুক আর মোবাইল যদি মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে থাকত তাইলে আর কিছু দরকার পড়ত না। সরাসরি লাইভ দেখেই চিনে ফেলতাম কে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা আর কে রাজাকার!
আমার এলাকার এক নেতার কথা জানি।তারা বনেদি পরিবার এর ছিলেন। যার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পুরা সময় টা তিনি ভারতে ছিলেন।এর পুরো খরচা পাত্তির ব্যাপারটা উনি ভালো করে মেইনটেইন করেছেন। জনশ্রুতি আছে তিনি সে সময় সোনাগাছির পার্মানেন্ট মেম্বার মানে পি এম ছিলেন!
সোনাগাছি চিনেন তো? ইয়াক থু বলে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন?যান, তবে একখান কথা শোনেন, যে আপনি ইয়াক থু করলেন সেই আপনি সেই সোনাগাছির পি এম থেকে চারিত্রিক সার্টিফিকেট নিয়ে চরিত্রবান হয়ে চাকরি বা এটা সেটা করছেন! ঠিক তো।
দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়দিন আগে তিনি দেশে ফিরেন। এসেই এলাকায় চাউর করে দেন তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ট্রেনিং এ ছিলেন। নানান বানোয়াট গল্প প্রচার করেন। যার কোন প্রমাণ নেই। আজকাল যার জোর আর ক্ষমতা আছে তার বিরুদ্ধে কে কথা কয়? সবাই ডরে হাত ঘষে কুল পায় না আর চাইব প্রমাণ!
তিনি ঝোঁপ বুঝে কোপ মারা লোক। আস্তে করে রাজনীতিতে ঢুকে গেলেন। একজন সিনিয়র লীডার কে হাত করে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়ে নিলেন! এখন আর পায় কে! তার নানান নির্বাচনের পোস্টারে বিশিষ্ট সমাজ সেবক! বীর মুক্তিযোদ্ধা! নানান বিশেষণ যোগ হয়ে গেল। এই বর্তমানের বাংলাদেশ!
আবার অনেকে শিশু মুক্তিযোদ্ধা ও লাগায়। লাগাতে থাকেন যত পারেন তত। বাজেটে সেনিটারি ন্যাপকিন এর দাম কমায় দিছে রক্ত বাইর হইলে কাম চালাই নিমু। গোটা দেশ ই তো আপনাদের। আমরা নল খাগড়া !
০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২১
স্প্যানকড বলেছেন: তাই নাকি ! এত গভীর জ্ঞ্যান রেখে কতদুর দেশের দুর্নীতি, মাফিয়া তন্ত্র দূর করতে পেরেছেন? আপনারা স্বাধীন করেছেন কিন্তু পুর্নাঙ্গ স্বাধীনতার স্বাধ দিতে পারেন নাই । ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকুন।
২| ০৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার এই পোষ্টের ১ম বাক্যটি একটি অসম্পুর্ণ বাক্য; ভাষার দিক থেকে ইহা নড়বড়ে।
০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪
স্প্যানকড বলেছেন: আপনার কাছে মনে হতে পারে আমার কাছে নয়। আছেন তো নিউইয়র্কে তাই এমন পিতলা প্যাঁচাল পারতে টাইম পান। দেশে এসে পারলে কিছু করে দেখান? ধন্যবাদ।
৩| ০৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:০৩
আমি সাজিদ বলেছেন: আমি বলবো চমৎকার প্রতিবাদী লেখা।
০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪
স্প্যানকড বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকুন।
৪| ০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: স্প্যানকড,
এটাই বর্তমানের বাংলাদেশ।
আমাদের মতো মিজানুল শেখেরা চিরকালই নল খাগড়া হিসেবে বিবেচ্য।
মিজানুল শেখকে তুলে ধরার জন্যে ধন্যবাদ।
৫| ০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৭
স্প্যানকড বলেছেন: একজন মুক্তিযোদ্ধা আবার ত্যানা প্যাচানো শুরু করছে। আগায় আসা তো দূরের কথা। অবাক লাগে! সে যাই হোক ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।
৬| ০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব সাবলীল লেখা, যুক্তিযুক্ত প্রতিবাদ। 'ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা' কথাটা যে ভুয়া না, নিরেট সত্য, তা এখন জ্বলন্ত সূর্যের মতোই সত্য। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা স্বীকৃতি পায় না, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা দাপট দেখায়।
৭| ০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:৩২
স্প্যানকড বলেছেন: " ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা দাপট দেখায় " কথা অতি সত্য! ধন্যবাদ, আপনার অসাধারণ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকুন।
৮| ০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৩৮
জটিল ভাই বলেছেন:
উল্টো হলে? মানে যুদ্ধের সময় দেশে আর পরে প্রবাসে?
০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ৩:১৯
স্প্যানকড বলেছেন: ঘটনা এমন হতে পারে আঁচ করছিলাম! জটিল বাদ! ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার লেখার বিষয়, ষ্টাইল, ধারণা, গভীরতা, ই্ত্যাদি "মুক্তিযোদ্ধা" ও "মুক্তিযুদ্ধ"কে ধারণ করার মত শক্তিশালী নয়; এই ২টাকে একটু মুক্তি দেন।