নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।
ছবি গুগল ।
বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট পৌরসভা হচ্ছে কদম রসুল। সেখানে একবার বেড়াতে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। আজ সেই পুরনো স্মৃতি কিন্তু এখনো তরতাজা হয়ে আছে সেই দিনের কথা ই বলতে যাচ্ছি।
আমার বন্ধু নকিব থাকে সেখানে। কথায় কথায় একদিন বলে ফেলল আয় না আমাদের এলাকায়। আমি বললাম কি আছে সেখানে?
সে বলল, সামনে ১২ ই রবিউল আউয়াল। সেই উপলক্ষে আমাদের ওখানে বিশাল বড় মেলার আয়োজন করা হয়। তাছাড়া এই যে নাম শুনতেছ কদম রসুল!
এর একটা কাহানী আছে। জনশ্রতি আছে ইয়েমেন থেকে এক দম্পতি এক জোড়া পাথর নিয়ে এসেছিল এখানে। পরবর্তীতে এখানেই শেষমেশ থেকে যায়।
সেই পাথরে নাকি নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর পায়ের ছাপ আছে। তারা খুব যতন করে পাথর খানি রেখেছেন। কিন্ত এখানে আসার সময় শীতলক্ষ্যা নদী পাড় হতে যেয়ে একটা পাথর অসাবধানতায় নদীতে পড়ে যায়। একটা পাথর রয়ে যায়। যা আজও আছে। একদমে কথা গুলি বলল, নকিব।
এছাড়া শহর এর মতন এত যান্ত্রিক জীবন নাই সেখানে। আমার তো লোভ বেড়ে গেল। বললাম ওকে ডান! আসছি, তা কবে থেকে মেলা শুরু? ও বলল, সামনের জুম্মার পরে থেকে।
আমার সাথে আরও এক দোস্ত রাজি হয়ে গেল। তা দুজন যাচ্ছি কনফার্ম।
নির্দিষ্ট দিনে ফুলবাড়িয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে করে রওনা দিলাম। তখন ঢাকা টু নারায়ণগঞ্জ এসি বাস সার্ভিস চালু হয়নি। বিশ্বরোড সবেমাত্র শুরু হয়েছে।
যথারীতি চাষাড়া এসে পৌছলাম। রিক্সা নিলাম নবীগঞ্জ খেয়া ঘাট পর্যন্ত। তা যাবার আগে রিক্সাওয়ালা কে জিজ্ঞেস করলাম, "ভাই, ভালো মিষ্টির দোকান কোনটা? " সে হাসি মুখে বলল, মিষ্টি নিবেন। আদর্শ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার আছে। খুব নামকরা। বললাম, চলেন সেদিকে।
মিষ্টি নেয়ার পর রিক্সা করে পুনরায় নবীগঞ্জ ঘাটের দিকে রওনা দিলাম। তখন দুপুর গড়াচ্ছে। নৌকাতে উঠলাম রিজার্ভ ও পাওয়া যায় আবার সবাই মিলে যাওয়া যায়। একটু অপেক্ষা করতে হয় তবে বেশিক্ষণ না। লোক চলাচল প্রচুর হয় সেই ঘাট দিয়ে। তাই অল্প কিছুক্ষণের ভেতর নৌকা ছেড়ে দিল।
ঘাটে পৌছানোর আগেই সবাই যার যার ভাড়া দিতে লাগলেন।আমরা ও দিলাম। মাঝি একজন কে বলল, " ভাই পয়সা টা একটু গুনেন। একজন গুনে বলল, কুড়ি টাকা। মাঝি বলল মানুষ তো আপনারা একুশ জন! কে দেয় নাই পয়সা বলেন?
খুব জোর গলায় বলল! যে পয়সা গুনেছিল সে ও বলল, ভাই, কে পয়সা দেন নি বলেন? কিন্তু কেউ তেমন সদুত্তর দিল না। মানে সবাই দিছে এমন ভাব। মাঝি রেগে খিস্তি দিল " ভদ্রলোকের ঘরে ও খানকির পোলা আছে "। একজন বলে ফেলল আহ! গালি দেও ক্যা?
মাঝির উত্তর " এই রইদে নাও বাই তারপর এহন পাওনা টাকা না পাইলে গাইল দিমু না তয় কি চুম্মা দিমু। "
একজন কইল আখেরাতে পাইবা। মাঝি আবার কইল দুনিয়ায় পাইলাম না আর আখেরাতে? আমার খুব মজা লাগছিল এই আলাপচারিতা।
শেষমেশ যে পয়সা গুনছিল উনাকে আমি বললাম আচ্ছা, মনে কিছু নিবেন না, আমি টাকাটা দিয়ে দেই। সে অবাক হলো পরে মাঝিরে বলল, এই ভাই দিয়া দিছে। মাঝি দেখল আমাকে।
আজ এই পর্যন্ত তবে পিকচার আভি বাকি! এর পর কি হলো? নকিবের দোস্ত " জিপার সুমন " কি করল? কেন ই বা তার নাম " জিপার সুমন "! আরও নানান কিছু । ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকুন সে পর্যন্ত।
২| ০৯ ই জুন, ২০২১ ভোর ৪:১৫
স্প্যানকড বলেছেন: এলাকার মাইনষে এটা বলেছিল। অত যাচাই বাছাই করি নাই। কত আগের কথা। ছবি গুগল থেকে নিছি। এই জায়গায় ভুল করলে গুগল করছে। তাছাড়া এইটা সত্যি কি নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর পায়ের ছাপ তার সঠিক তথ্য কেউ কি জানে ? ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:৫৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কদম রসুল দরগাহে আমি কয়েকবার গেছি। ছবি তুলেছি, সেই সম্পর্কে দুটি পোস্টও আছে আমার সামুতে।
কদমরসুল দরগা ভ্রমণ চিত্র
ঝটিকা সফরে নারায়ণগঞ্জ - কদম রসুল দরগাহ
পাথর সম্পর্কিত আপনার লেখা কাহিনীর সাথে আমার জানা কাহিনী ঠিক মিললো না।
পাথরের ছবিটিও অন্য।