নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।
ছবি নেট।
বাংলাদেশ মনে হয় আল্লাহর ইবাদতের জন্য পারফেক্ট জায়গা না অথবা বলা যায় অতটা মানান সই জায়গা নয় আল্লাহর রাস্তায় থাকার জন্য?
প্রশ্নটা এখনকার সময়ে এসে করতে হচ্ছে ইহাই ৯০ ভাগ মুসলমানদের জন্য লজ্জাজনক কিন্তু করতে হচ্ছে কারণ উপায় নাই গোলাম হোসেন হয়ে গেছি সকলে। কোন এক সময় মানুষ রোজা আসছে শুনে হাসি দিত এখন রোজার নাম শুনলে দুই গেলাস পানি খায় তারপর ভাবে এই এক মাসের খোরাকের বাড়তি টাকা কেমনে ম্যানেজ করা যায়? যারা অবশ্য আল্লাহর রাস্তায় ঠিকঠাক আছে তাদের কথা বলছি।
এই ধরেন, চিনির দাম যে হাড়ে বাড়ছে তাতে বহু মানুষ শুধু পানি পান করে ইফতার করবে নিশ্চিত যদি হালাল উপার্জনে দিন যাপন করে।
আর যদি বেতন ছাড়া বাড়তি উপড়ি থাকে অথবা বাপ দাদার গড়া পাঁচ তলা দুই চারটা বাড়ি থাকে তাহলে রুহ আফজা, ট্যাংক মেশানো শরবত,আরব দেশের মাংসল খেজুর আরও কত কি থাকে। সেহেরিতেও সেই একই ব্যবস্থা।
নিম্ন আয়ের বহু মুসলিম পরিবার আছে এরা কি খেয়ে রোজা রাখবে বা করবে সে খবর কি দেশের নেতারা ভাবেন অথবা দেশের বিত্তশালী পরিবার? না, একবারও ভাবেন না।এদের কিছু মুখস্ত বুলি আছে উহা কপচিয়ে যাবে যেমন ধরেন, " বেগুনি খাইয়েন না কুমড়া খান ! " যিনি বলেন, তিনি কি তাঁর ইফতার ম্যানু প্রকাশ করেন? অথবা সেহরির ম্যানু? একটা সেলফি পর্যন্ত তুলে ও প্রকাশ করেন না। করেন কি?
অথচ উনারা নাকি দেশের মানুষের জন্য কেঁদে বুক ভাসিয়ে শেষে ঠান্ডা জ্বর বাঁধিয়ে মাউন্ট এলিজাবেথে যেয়ে চিকিৎসা করান। সাবাস ! আপনি যখন চোখের সামনে দেখবেন বসের ছেলে-মেয়ে সিংগাপুর, দুবাই যেয়ে ঈদের শপিং করছে ইন্সটা ফেসবুক কাঁপিয়ে দিচ্ছে। আর আপনি মুমিন হয়ে থাকলে এমন মাইনকার চিপায় পড়ছেন যে খালি জায়নামাজ বিছিয়ে কাঁদবেন। ওদিকে বউ এর ঠেলা ছেলে মেয়ের ঠেলা খেতে খেতে শেষমেশ ঈমান হারা হয়ে মস্ত বড় ঘুষখোর ! নইলে পটল তুলে আল্লাহর মেহমান যদি থাকে ঈমাণ নইলে খাবেন বাদাম !
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:০৬
স্প্যানকড বলেছেন: তাই নাকি ! আমি রাখি কারণ স্রষ্টার আইন অমান্য করলে ডান্ডার মাইর একটাও মাটিতে পড়বে না। ভালো থাকবেন খুব।
২| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:৫৭
কামাল১৮ বলেছেন: মুসলমানদের ভাগ্য ভালো যে নরওয়েতে থাকতে হয় নাই।ওখানে দুই মাস সূর্য অস্ত যায় না।কানাডার উত্তরের কিছু এলাকাও তাই।আল্লাহ কতো দায়ালু ওখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে নাই।তার পরও কিছু লোক নৌকা যোগে ওখানে যাবার চেস্টা করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:০৬
স্প্যানকড বলেছেন: একজন আপনার জবাব দিয়েছেন তাই চুপ রহিলাম। ধন্যবাদ।
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৬:৪১
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সিয়াম সাধনা করতে চাচ্ছেন না ভালো খাবার না পাওয়ার জন্য অভিযোগ করছেন সেটা বোধগম্য হলো না। এক বেলা কম খেলেতো চিন্তিত হওয়ার কথা নয় কারন খাবারতো বরং বেঁচে যাচ্ছে। তবে আপনার কথাগুলো নিতান্তই অযৌক্তিক সেটাও বলছি না মোটেও।
দেখুন, রিজিকটা আসলে রাব্বুল আলামিনের হাতে। আপনি আমি চাইলেই সেটা হবে না, বিষয়টা শুধু টাকার নয়। যদিও আপনার লিখা পড়ে বিষয়টা শুধু কেনার সামর্থ্য সর্ম্পকিত বলেই মনে হয়েছে। যারা যা রিজিক রাব্বুল আলামিন দিয়েছেন, সেটা দিয়েই সেহরি বা ইফতার করতে হবে। আমরা কি দিয়ে সেহরি বা ইফতার করছি সেটা হয়তো আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন না, ফরজ রোজা আদায় হলো কি না সেটাই হিসেবে আসবে। সময়টা অবশ্যই বেশ কঠিন, তবে জীবনের প্রতিটি বছরের রোজাই যে আনন্দময় হবে তাওতো কোথাও লিখা নেই। যখন অবস্থা এখনকার চেয়ে অনেক ভালো ছিলো তখনই বা তেমন কি এসে গেছে রোজা রাখার ক্ষেত্রে? জীবনের এই উথাল-পাথাল অবস্থা চলতেই থাকবে আর এটাই জীবনের অংশ।
আমেরিকা এসে প্রথম বেশ ক'বছর, ইফতার কি জিনিস সেটাই ভুলে যেতে বসেছিলাম। ৮-১০ ঘন্টার কাজের শিফট, ইফতারের সময় শুধু পানি খেয়ে কাজ করতে হয়েছে। ইফতারের জন্য কাজে আলাদা কোন ব্রেক ছিলো না। বহুদিন রাত দশটায় খেয়ে পরের দিন রাত ৭/৮ পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছে। ইফতারে কোন স্পেশাল কিছু ছিলোনা, পানি আর একটা স্যান্ডউইচ। ব্যাচেলর মানুষ ছিলাম, সেহরিতে আলু ভর্তা, ডিম ভাজা অথবা ডাল এটাই ছিলো মূল মেন্যু, কখনো কখনো সেটাও জোটেনি ছাত্র থাকা কালীন সময়ে। ইফতারিতে না ছোলা, না বুট, খেজুর, না মুড়ি। রাব্বুল আলামিনের অশেষ দয়ায় এখন অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে হয়তো। পরিবর্তিত অবস্থার সাথে মিলিয়ে চলা ছাড়া আমাদের খুব বেশী কিছু করার আছে বলে মনে হয় না।
বিশেষ করে গরীব মানুষগুলোর কষ্টটা একটু বেশীই সেটাও বুঝতে পারি। এখানেও আমাদের মুসলিমদের দোষ। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে সামর্থবানরা বেশী বেশী দান করবেন এটাই সমাধান। পাশের বাড়ির মানুষটিকে অভুক্ত রেখে নিজে পেট ভরে খেয়ে রোজা রাখলে তা কতটা যুক্তিযুক্ত হবে সেটা রাব্বুল আলামিন-ই ভালো বলতে পারবেন। তিনি আমাদের সবাইকে এই কঠিন সময় ধৈর্য্যের সাথে মোকাবিলা করার তওফিক দিন। ধন্যবাদ।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:১৬
স্প্যানকড বলেছেন: যারা আসেন তারা সেলফি তুলতে আসে এছাড়া আর কিছু নয়। যাই হোক আমাদের নসিব খারাপ তাই কষ্ট বেশী। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন খুব।
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:০০
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এটাও একটা পরীক্ষা !!
আমরা আসলে রোজা রাখছি কিন্তু হালালকে আঁকড়ে ধরে যে সংযমের সাথে বাঁচার কথা তা অন্তত এই রমজানেই পালন করছি না !
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:১৬
স্প্যানকড বলেছেন: ঘটনা সত্য ! ধন্যবাদ।
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সত্যিকারের মুসলমানরা ১ মাসের জন্য দ্রব্যমূল্যের অযুহাত দেখিয়ে হা পিত্যেস করবে না বা সিয়াম সাধনা থেকে বিরত থাকবে না। নিম্নবিত্তরা সারা বছরই কষ্টে থাকে - তাদের জন্য সারা বছরই সংযমের মাস...
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:১৮
স্প্যানকড বলেছেন: কথা বুঝলাম। তা এটা কি ৯০ ভাগ মুসলিম দেশের চিত্র হতে পারে ? ধন্যবাদ।
৬| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৪৪
শাওন আহমাদ বলেছেন: ভাইয়া মর্মান্তিক সত্য, নির্মম সত্য। এসব ভাবলেই গা ঠান্ডা হয়ে যায়। উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছি আমরা। যারা হালাল উপার্জন করে সংসার চালায় তারা জানেন এর বেদনা কত!
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:১৯
স্প্যানকড বলেছেন: উন্নয়ন একদিন ডুবিয়ে মারবে। ধন্যবাদ।
৭| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৯
চারাগাছ বলেছেন:
কামাল১৮ বলেছেন: মুসলমানদের ভাগ্য ভালো যে নরওয়েতে থাকতে হয় নাই।ওখানে দুই মাস সূর্য অস্ত যায় না।
"যেসব অঞ্চলে সূর্য ভালোভাবে ডোবে না। দিনের আলো দেখা যায়। তারা পার্শ্ববর্তী দেশের সাহরি ও ইফতারের সঙ্গে মিল রেখে রোজা পালন করে থাকেন। পার্শ্ববর্তী দেশের সাহরির সময় সাহরি করেন এবং ইফতারের সময় ইফতার করেন। তাদের হিসাবের সঙ্গে মিল রেখেই রোজা শুরু করেন এবং ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন।"
শ্রদ্ধেয় কামাল স্যার কে যত দেখছি ততই অবাক হচ্ছি।
৮| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮
নাহল তরকারি বলেছেন: বাংলাদেশে যে কবে মানুষ বড়লোক হবে?
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:২১
স্প্যানকড বলেছেন: চোর ডাকাত বাড়বে। আসল বড়লোক কেউ হতে পারছে না। যা হচ্ছে টাকার বড়লোক। মনের দিক থেকে বড়লোক এর সংখ্যা আগুলে গোনা যায়। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:৪৮
কামাল১৮ বলেছেন: যত কষ্ট করবে বেহেস্ত যাবার পথ তত সোজা হবে। আল্লাহ বান্দার পরীক্ষা নেন কষ্ট দিয়ে।সারাদিন নাখেয়ে থাকা কি সহজ কাজ
।আমারতো এক বেলা না খেলেই বেশ কষ্ট লাগে।সারা দিন না খেয়ে থাকার কথাতো ভাবতেই পারি না।