মুরগীধিকার লঙ্গনের বিরোদ্ধে অবিলম্বে আইন পাশ করা হোক।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৬

আমরা সকলেই কম-বেশী খাবারের সাথে মুরগীর ডিম খেতে অভ্যস্ত। কখনো কি খেয়াল করেছেন, আপনি যে ডিমটি খাচ্ছেন, তা আদৌ হালাল কি না? আমাদের দেশের অনেকেই মুরগী পালক করেন। ইনারা নিজেদের মেয়েদের প্রতি যততা সচেতন, মুরগীদের প্রতি কি ততটা সচেতন থাকেন? নিজের মেয়ে কখন কার সাথে মিশল, কখন বাড়ি ফিরল সব বিষয়ে খেয়াল রাখলেও মুরগীর মালিক কখনো মুরগীদের বিষয়ে এতটা খেয়াল রাখেন না। সকালে মুরগীদের ছেড়ে দিনেই তিনি তার দায়িত্ব শেষ বলে মনে করেন আর বসে বসে ডিম গুনতে থাকেন। এই ডিমগুলো কোথা থেকে আসছে, সে বিষয়ে তো মাথা ঘামান না! কেন? মুরগী বলে কি তাদের ইজ্বতের কোন দাম নাই?



খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রতি এলাকায় ৪-৫ টি করে মোরগ থাকে, যাদের দ্বারা প্রতিনিয়ত শান্ত এবং নিরীহ মুরগীগুলোকে লাঞ্চিত হতে হচ্ছে। একই মুরগীকে দৈনিক ৩-৪ টি মোরগের সাথে মিলনে বাধ্য করা হচ্ছে। কখনো কখনো গন মুরগী ধর্ষনের মত ঘটনাও ঘটছে। উপরুক্ত মোরগগুলোর জন্য শাস্তিমূলক কোন ব্যাবস্থা না থাকায় দিনকে দিন তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। ফলে মুরগীগুলো ডিম পারার পর বুঝতেও পারে না যে এই ডিমের আসল বাবা কে! এইর থেকে লজ্বার আর কি হতে পারে? আমাদের দেশের ফার্মগুলোতে মুরগীরা প্রতিনিয়ত লজ্বার হাতে পড়তে থাকলেও আমার সাংবাদীক ভায়েরা এই নিয়ে কিছু লেখা-লেখি করেন না। এটা মুরগী সমাজের জন্য চরম মুরগীধিকারের লঙ্গন করা হচ্ছে বলে সুশীল সমাজের লোকেরা মত ব্যাক্ত করেছেন।

০ টি +০/-০