নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীল পাথরের গাত্রোত্থান

জীবনের কিছু সময় ধরে অপেক্ষায় আছি । এ শহরের মানুষেরা বড় বেশি ব্যস্ত । ব্যস্ততার কাছে নিজেকে বেঁচে দিয়ে ধরেই নিয়েছে তারা বন্দী । বন্দী তারা নিজের মাঝে । বন্দী তারা ক্ষুদ্রত্বের স্বার্থে । আমি তাদের মত আরো একজন বন্দী ।

রৌদ্র মেঘ

আমার মুক্তি আলোয় আলোয়..

রৌদ্র মেঘ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেললাইনের ওপারের জীবন

২৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৫৯

--মাইরি, তোর মালে টান দেয়াটা কিন্তু জোস । শালা দম আছে রে তোর । তুই শালা একটা হায়েনার বাচ্চা । মাল টানার সময় তোর চোখ কি রকম জ্বলে দেখেছিচ তুই বে!

-না মাইরি ! তোরও ভি দম কম না । তুই তো শালা একটা শকুনের বাচ্চা আছিচ । বহত হারামী ! এক নিচ্ছাছে মাল সাবাড় ।

-ওই, পাঞ্জাবি কিনেছিস ?

-না ।

-টুপি, জিন্স ?

-না । জিন্স পিন্দায় কই জাইবে ? নয়া ট্রিপ আছে নি?

-জামা ? নাকি তাউ কিনিছ লাই ?

-না । শালার বউডারে এইবার ভালো একটা শাড়ি কিনে দিচি । আর ঐ শালা বেজন্মা ছেলেটার পিছনেই সব ট্যাকা শেচ । এখন আমার মালের ট্যাকার ধান্দা করে মরি !!

-নাকি বউয়ের শাড়ি ধান্দা করেছিচ ? মালের টাকা ভি রাখিছ লাই । শার্ট, লুঙ্গি ভি কিনিছ লাই । শালা ঈদে পিন্দায়বি কি ?

-কি আর পিন্দায়মু । শালা গায়ে হাওয়া লাগামু । হাওয়া লাগাই লাগাই মালের ট্যাকা জোগাড় করমু । মামু, আমাদের আবার ঈদ কি রে শালা রেন্ডির বাচ্চা । ঈদ তো শালা ও পাড়ার মাইরিদের । সকাল বিকাল খোদ্দের আসবে । সকাল বিকাল ঈদ । হামাদের আবার ঈদ কি রে শালা । এই রেলই হামাদের সব । এখানেই জন্ম । এখানেই শুয়ে থাকা । শুয়ে শুয়ে মাল খাওয়া । রেললাইনের কত শুয়োর কতদিন হামাদের মুখে পেচ্ছাব করে মুখ ভাসিয়ে দিয়েছে জানিস বে ! কবে একদিন এই রেলেই কাটা পড়ে মরব রে মাইরি । হামার বউটারে তুই তখন দেখে ছুনে রাখবি । শালার মাগি বড় হারামি আছে ।

-বউ লিয়ে চিন্তা কেনে করছিস । তোর ছেলেটা বড় হলে জাত সাপ হবে । দেখিস ।

-ও শালা বেজন্মা । ও শালা মরুক । ওর মুখে শেয়াল এসে পেচ্ছাব করে দিক ।

-কেন রে, ও ছেলে তোর না ?

-হু মাইরি ! ছেলে হামার বটে । মালের ঘোরে কখন কি বলি ! শালা বড় বেজ্জাত আছে !

-হু, ওই যে দেখ বে নয়া আদমি । শালার পকেট চওড়া ভি আছে । চল...

-না বে শালা ! লোকটা কত আশা লিয়ে বাড়ি যাচ্ছে । এটা করা ঠিক হবে না বে ।

-শালা রেন্ডির বাচ্চা, আদর্শ তুই কোন ইস্কুলে শিখেছিস বে । আজকের মালের টাকাটা যদি ...

-মালের ট্যাকা ওই মাল তুলেই হয়ে যাবে । আজ এখনও পাঁচ সাতটা গাড়ি তো আছবেই । ওগুলো থেকেই হয়ে যাবে রে ।

-থাক শালা বেজন্মা । আমি চললুম ।

-রাতে মাল খেতে আছিচ । দু জনে একসাথে মাল খাইবো । মাল খেয়ে ঘুমিয়ে লিবো । কাল মেলা কাজ ।

-তোর মালে শালা আমি পেচ্ছাব করি । তোকে শালা হামি পরে দেখে লিব ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:২১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আসলেও!! :-P :-P

২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৩২

রৌদ্র মেঘ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.