![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মুক্তি আলোয় আলোয়..
তাজরীন ফ্যাশনে আগুন লেগে মারা যায় প্রায় ১১২ জন শ্রমিক । নিহত শ্রমিকদের মাথাপিছু ১ লাখ করে টাকা অর্থ সাহায্য নিজ কর্মপ্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়ার অধিকার আছে । কিন্তু নিহত শ্রমিকদের পরিবার মালিকপক্ষের কাছ থেকে কোন রকম অর্থ সাহায্য পায়নি । প্রায় ৫৮০০ গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি নিয়ে যে বিজেএমএই গঠিত সেই বিজেএমএই তার অধিনস্ত গার্মেন্টস ফ্যাক্ট্রিগুলোর সাহায্যে এই শ্রমিকদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করে থাকে । কিন্তু তার পরিমাণ ছিল নগণ্যই । প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ হতবিলে যে টাকা জমা হয় সেখান থেকেই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে কিছু সাহায্য দেয়া হয় । বাকি টাকা এখনও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ হতবিলে জমাই আছে । এই টাকাগুলো শ্রমিকদের, প্রধানমন্ত্রীর নিজের নয় ।
তাজরীন ফ্যাশনে আগুন লেগে ১১২ জন শ্রমিক মারা যাওয়ার ঘটনার পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকেই তাজরীন ফ্যাশন এবং তোবা গ্রুপের মালিক দেলয়ার কারাবন্দী । সেই ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্জন্ত তোবা গ্রুপের ৫টি পৃথক প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন সময়মত পরিশোধ করা হয় । বেতন বন্ধ করা হয় মে থেকে । উদ্দেশ্য শ্রমিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মালিক দেলয়ারের জামিন ! আর এতে রয়েছে বিজেএমএই এবং সরকারের নগ্ন সম্মতি । শ্রমিকরা ৬ দিন টানা অনশনে পড়ে আছে এদিকে সরকারের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই । বিজেএমএই’র কোন উল্লেখযোগ্য সাড়া নেই । এদেশ আবার পোষাক রপ্তানিতে পৃথিবীর অগ্রগণ্য একটি দেশ ! এদেশ শ্রমিকদের কাবাব বানিয়ে পোষাক রপ্তানি করে ! এদেশে সস্তায় পাওয়া শ্রমিকদের মালিকদের হীন স্বার্থ রক্ষার্থে প্রাণ বিপন্ন করতে হয় ! আমরা না হয় সভ্য হতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছি, কিন্তু সভ্য জগতের পোষাক ক্রেতারা এদেশের ঘৃণ্য গার্মেন্টস মালিকদের সাথে ডিল সাইন করে কেন ?
©somewhere in net ltd.