নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

খোলা জানালায়(পর্ব-৬)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৮

সকালে দরজা ধাক্কানোর শব্দে ধ্রুবর ঘুম
ভাঙ্গে। ঘুম ঘুম চোখে দরজা খোলে।দরজায়
আসাদ দাঁড়িয়ে।হাতে মোবাইল।
-আপনার মোবাইল বন্ধ,ধ্রুব ভাই?
-কেন?
-ভাবি আপনাকে ফোনে পাচ্ছেনা।
-তোর ভাবি?
-হ্যাঁ।আপনার সাথে কথা বলতে চায়।
ধ্রুব আশ্চর্য হয়ে মোবাইল হাতে নেয়।
-জ্বী ভাবি বলেন।
-ভাই সাধে কি আমি এত সকালে ফোন
দিলাম।তুমি ফোন বন্ধ রাখবে,আর একজন
না ঘুমিয়ে সারারাত কান্নাকাটি করবে।
আমার হয়েছে যত জ্বালা।

এরপর ধ্রুব যা শুনে তার জন্য সে মোটেও
প্রস্তুত ছিল না।ভাবি বলে চলে,ওর সাথে এত
খারাপ ব্যবহার করা তোমার মোটেও উচিত
হয়নি।সানি আমার রুমমেট।আমার বিয়ের
ছবিতে তোমাকে দেখে ও।ছবি দেখে ওর খুব
পছন্দ হয়ে যায় তোমাকে।আমি তাকে
বলি,প্রেম করবি?লাজুক হেসে সম্মতি দেয়।
আমি তোমার ফোন নম্বর ওকে দিয়েছি।
সারারাত ঘুমায়নি।শুধু কান্নাকাটি করেছে।
তুমি এখনই একবার ফোন দাও।

আসাদ চলে যায়। ধ্রুব ফোন করে সানিকে।
-হ্যালো সানি।
অপরপ্রান্ত হতে কোন উত্তর আসেনা।
-কি হলো,কথা বলবে না?
তবুও সানি চুপ করে থাকে।
-সানি, আমি খুব দুঃখিত।গতরাতে কেন যে
হঠাৎ এত রাগ হলো বুঝলাম না।
অপরপ্রান্ত হতে কান্নার আওয়াজ ভেসে
আসে।ধ্রুব মোবাইল রেখে দেয়।কিছুক্ষণ পর
ধ্রুবর মোবাইলে ম্যাসেজ আসে-আই লাভ ইউ।


সকালের নাস্তা খাবার জন্য রমিজ আর ধ্রুব
নিচে নামে।আজ বুয়া আসেনি। যেতে যেতে রমিজ
ধ্রুবকে বলে-
মেয়েটি তোরে সত্যিই ভালবাসে।
ধ্রুব চুপচাপ শোনে। পরে কথা ঘুরিয়ে দেয়।
-দীপুর বিয়েতে কি দেবো আমরা?
-সোনার কিছুতো দিতে হবে।
-আমিও তাই ভেবেছি।

দীপুদের বাড়ি শাহজাদপুরের চর কইজুরি।ওর
বিয়েতে বাড়ি হতে শুধুমাত্র ওর ছোট ভাই
এসেছে।বিয়েতে দীপুর বাড়ির লোকজন
তেমন একটা অমত করেনি। বিয়ের পর
শিল্পীকে কয়েকদিন শাহাজাদপুর রেখে
আসবে। শিল্পীর ভাগে বাড়ির যে অংশ তার
এক ভাড়াটিয়াকে উঠে যাবার নোটিশ
দেওয়া হয়েছে। বিয়েতে তেমন আয়োজন
হয়না।কিছু আত্মীয়-স্বজন আর পাড়ার
ঘনিষ্টজনেরাই উপস্থিত হয়। রমিজরা ঠিক
করে দীপুরা একমাস পর যখন ফ্ল্যাটে উঠবে
তখন ম্যাচের পক্ষ হতে সংবর্ধনা দেবে।

বিয়ের দিন সানি সকালেই ধ্রুবর কাছে চলে
আসে।সানি যে এত সুন্দরী হতে পারে ধ্রুব তা
স্বপ্নেও ভাবেনি।নীল শাড়ি পরিহিতা
সানিকে সকালের আলোয় দেখে ধ্রুব অভিভূত
হয়ে যায়। ঘরে নিয়ে রমিজদের সাথে পরিচয়
করিয়ে দেয় ধ্রুব। কিছুক্ষণ কথা বলার পর
রমিজ কাজের কথা বলে নীচে নেমে যায়
সানি আর ধ্রুবকে একা রেখে। নির্জন ঘরে
ধ্রুব আর সানি। ধ্রুব সানির চোখে চোখ
রাখে।
০৭/১০/২০১৫

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.