নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুনু

১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:১২

-দেখ আমি তোকে ছুঁয়ে দিয়েছি।
রাগের সাথে মুনু রন্জিতকে বলে।
-আমি আগেই ঘরে ঢুকে পড়েছি।রন্জিত বেশ ঝাঁঝের সাথে মুনুকে বলে।
-তুই মিথ্যা কথা বলছিস।এই জন্যই তোকে বদন খেলায় নিতে ইচ্ছা করেনা।শালা ধুমসা।মেনিমুখা মর্দা।
রন্জিত তেড়ে আসে মুনুকে মারতে ।দু’জনে’লেগে যায়।মেয়ে হলে হবে কি,মুনুর গায়ে জোড় বেশী।আবার নখও বেশ বড় বড়।কিল,ঘুঁষি আর আঁচড় দিয়ে রন্জিতকে কাবু করে ফেলে।পল্লব আর রবি এগিয়ে যায় মারামারি থামাতে।ব্যার্থ হয়।রন্জিত হেরে যায় মারামারিতে।কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির দিকে চলে যায়। আর একটু পর রন্জিতের মায়ের বাঁজখাই গলা পাড়া মাথায় তোলে।
-ডাইনি,মাগী।মরণ হয়না কেন?পাড়ায় শান্তি আসতো।
মুনুরা খেলা বন্ধ করে।সন্ধ্যা নামছে।যে যার বাড়ির পথ ধরে।


-দাদু,খেলা শেষ হলো?হাত মুখ ধুয়ে বারান্দায় গিয়ে বসো। দাদু পল্লবকে বলে।
পল্লবের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ।এবার ফোরে উঠবে।মামাতো ভাইদের নিয়ে নদীর ধারে যায় হাত-মুখ ধুতে।পল্লব খেয়াল করে বেশ বড় চাঁদ উঠেছে।বাঁশ ঝাড় থেকে শিয়ালের ডাক ভেসে আসে।বেশ গা ছমছমে ভাব।নদীর জলে হাত-পা ধুয়ে নেয় তাড়াহুড়ো করে।


সফিক আর শাহিন কি নিয়ে যেন গল্প করছিল।পল্লব কাছে যেতেই ওরা থেমে যায়।
-কি গল্প করছিস?পল্লব সফিককে জিজ্ঞাসা করে।
-তুই শালা ম্যাদা,এসব বুঝবিনা। শাহিন হাসতে হাসতে বলে।
-কেন?
-এই ব্যাটা,হাত মারা বুঝিস? সফিক প্রশ্ন করে।
পল্লব ঠিক বুঝতে পারেনা।তবে শরীর কেমন শির শির করে ওঠে।
-বুঝলিনাতো।বলেছিলাম তুই বুঝবিনা।আচ্ছা বল-কোন মাগীর দুধ টিপেছিস?শাহিনের কথার আগা-মাথা কিছু বুঝতে পারেনা পল্লব।
টিফিন পিরিয়ড চলছে।ছেলেরা গল্পে মসগুল।রাজু এগিয়ে আসে ওদের দিকে।
-চল বই পড়ি।রাজু প্রস্তাব দেয় ওদের।
-কি বইরে?পল্লব প্রশ্ন করে।
-রসময়গুপ্তের বই।রাজুর নিরীহ উত্তর।

নবম শ্রেণীর দ্বিতীয় সাময়িকী পরীক্ষা শেষ।পল্লব দাদুর বাড়িতে বেড়াতে যায়।বর্ষাকাল নদী অনেক বড় হয়ে গিয়েছে।
-দাদুভাই,এবার কয়দিন থাকবে?দিদা প্রশ্ন করে।
-দশ-বারোদিন।
পল্লব অনেকদিন পর এবার এলো।অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে।আগের মত সবাই মিলে আর খেলেনা।

নদীতে নামতে একটু ভয় ভয় করে পল্লবের ।পাড়ার ছেলে-মেয়ে,বউ-ঝি সবাই স্নান করছে।পল্লবের চোখ আটকে যায় মুনুর শরীরে।কত বড় হয়ে গিয়েছে ও।খুব দাপাদাপি করছে নদীতে।আর ওর বড় বড় দুধগুলো ঝাঁকি খাচ্ছে অনবরত।পল্লবের শরীর গরম হয়ে যায়।অনেক সময় নিয়ে স্নান করতে থাকে।রন্জিত ডাক দেয়-তুই আর কতক্ষণ স্নান করবি?
-তুই যা।আমি পড়ে আসবো।

রাতে ঘুম আসছিলনা পল্লবের।লুঙ্গী ফুলে আছে।ওর চোখে শুধু মুনুর দোদ্যুল্যমান স্তনজোড়া।এপাশ-ওপাশ করে।ঘুম তবুও আসেনা।শক্ত করে চেপে ধরে লিঙ্গ।নাড়া¬-চাড়া করে।ঘষে।বেশ অন্যরকম অনুভূতি পেয়ে বসে পল্লবকে।ঘষাঘষির বেগ বেড়ে যেতে থাকে।এক সময় তীব্র আক্ষেপে পল্লবের শরীর বেঁকে যায় আর হাত আঠালো বীর্যে মেখে যায়।সফিক আর শাহীনের কথা মনে পড়ে পল্লব হেসে ফেলে।


-মুনুকে আর দেখা যায়না কেনরে?রন্জিতকে প্রশ্ন করে পল্লব।
-ও আর বাংলাদেশে থাকেনা।
-কই গিয়েছে?
-ওর ভাইয়েরা ওকে বেচে দিয়েছে ইন্ডিয়ায়।
-কি বলিস?পল্লব অবাক হয়ে যায়।
-তুইতো দু’বছর আসিসনি।তাই জানিসওনা।ওর পেট হয়েছিল।খালাস করার পর ওর ভাইয়েরা ওকে ইন্ডিযায় নিয়ে যায়।শুনেছি উড়িষ্যায় বেচেছে।
-তুই জানিস কে এই ওকাম করেছিল?
রন্জিত কেমন যেন হয়ে যায়।বলে-ও কার কাছে চুদা খেয়েছিল তার আমি কি জানি?
পল্লব অবাক হয়ে রন্জিতকে দেখতে থাকে।বর্ষার মেঘ আকাশ জুড়ে।

16/06/2016

-

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.