নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বকীয়া অথবা পরকীয়া(প্রথম পর্ব)

০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:০৩



কিভাবে শুরু করা যায়।তরুন বয়সের চরিত্রগুলি সামনে আনা যেতে পারে।অথবা বিগত যৌবন সময়কে সামনে আনা যায়।আমাদের চরিত্রগুলি কিভাবে সামনে আসতে পারে?বাঙালী যেহেতু গল্পপ্রিয় তাই গল্পের স্থান স্বাভাবিকভাবে চলে আসে।

কচি ভাইয়ের দোকান।দোকান বলতে আমরা যা বুঝি তেমন নয়।কয়েকটি আলমিরা আর চেয়ার টেবিল।দোকানের সামনে একজন মৌসুমীফল বিক্রেতা তার পসরা সাজিয়ে বসে থাকে।প্রতিদিন রাত আটটায় এই দোকানে আড্ডা বসে।সমাজের উঁচু শ্রেণী আর মধ্যবিত্ত এরাই মূলত আড্ডার প্রাণ।যেমন এখানে আসেন এই শহরের প্রখ্যাত দুই ডাক্তার।আর ডাক্তার যখন আছে স্বাভাবিকভাবে ঔষধ কোম্পানীর দুই একজন প্রতিনিধিও আসে।আসে একজন ব্যাংকার,এক কলেজের প্রিন্সিপ্যাল এবং এক ব্যাবসায়ী।মূলত এরা সারাদিনের কাজ শেষে একটু বিনোদনের জন্য এই স্থানে বসেন।গল্প করেন,রাস্তায় লোকজনের চলা¬-ফেরা দেখেন।মৌবাইলে পর্ণ দেখেন।অশ্লীল জোক বলেন।আর দশটা বাজলেই কেউ কেউ দোকানের ভেতরের ঘরে জুয়া খেলতে বসেন ।এরাই আবার দিনের বেলা তাদের স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে ঈর্ষনীয় সাফল্যের অধিকারী।
ডাক্তার মোস্তফা কচির দোকানে বসে মোবাইলে পর্ণ দেখছিলেন।মোটর বাইকে করে অসীম ডাক্তার বারীকে নিয়ে আসে।অসীম ডাক্তার মোস্তফার পাশে গিয়ে বসে।
-স্যার, কার?প্রভার?
-না,সানি লিওনের।
-একটু ভাল করে ধরেন স্যার।দেখতে পাচ্ছিনা।
বারী চুপচাপ বসে ছিলেন।হঠাৎ বলে উঠেন,মোস্তফা ভাই,সানি লিওনের সব কিছুই ভাল ।শুধু ওই বিশেষ জায়গাটায় কোন সৌন্দর্যই নেই।
এর মধ্যে দোকানে কচি আর প্রিন্সিপ্যাল ওয়াদুদ এলেন।
-কি জারে মামু,এত দেরী কেন? বারী ওয়াদুদ সাহেবকে প্রশ্ন করে।ওয়াদুদ সাহেব কিছু বলেননা।স্মিত হাসলেন।
-অসীম ,সালেহীনরে ফোন লাগাও।ওকে আসতে বল।বল যে কোরাম সংকট।মোস্তফা অসীমকে বলেন।
সালেহীন আসলে সবাই তাস খেলতে ভেতর ঘরে যায়।অসীম বাড়ির পথ ধরে।

কচির দোকানে আজ শুধু ডাক্তার মোস্তফা আর অসীম বসে আছে।অন্যরা এখনও আসেনি।
-স্যার,চল্লিশের কাছাকাছি আসলে মেয়েদের শারীরিক চাহিদা কি কমে যায়? অসীম প্রশ্ন করে মোস্তফাকে।
-হরমোনের পরিবর্তন ঘটে।ভেজাইনাল ড্রাইনেস দেখা দেয় তাই।
-আর ছেলেরা?
-ছেলেরা?সত্তর আশি পর্যন্ত সমর্থ থাকতে পারে। মোস্তফা সাহেব বলেন।
-তাহলে তো সমস্যা।
-সমস্যাইতো। আমার কথাই যদি ধর।আমার পঞ্চান্ন।আমার যৌন শক্তি বল আর আকাঙ্খা বল।সবকিছু অটুট।আর এই বয়সী একটি মেয়ে বুড়ি।এখন যদি দুই জনের বয়সের পার্থক্য দশ বছরও হয়ে থাকে,তাহলে মেয়েটি মেনোপজে চলে গিয়েছে।কিন্তু ছেলেটির যৌন চাহিদা?জীবনের স্বভাবিক ব্যাপরটা কেমন জটিল।আর এখন যদি আমি আর একটি বিয়ে করি তবে সমাজে ছিঃ ছিঃ পড়ে যাবে।আমার অনেক টাকা আছে তাই যৌন চাহিদা অন্য কোনভাবে মেটালে সমাজ বলবে-আরে যাদের টাকা আছে তাদের একটু-আধটু আলুর দোষ থাকবে।

যারা লেখাটি পড়ছেন,তাদের বলছি-এরপর কাহিনীটি কোন দিকে মোর নেবে?মোর নেওয়া উচিত?আচ্ছা শ্লীল বা অশ্লীলতার সীমারেখা কোথায়?আমাদের মানসিকতায়?নাকি পারিপার্শ্বিকতা ঠিক করে দেয়?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১২

দ্যা প্রোক্রাস্টিনেটর বলেছেন: লেখকের ইচ্ছায় ..................

০১ লা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০০

সুদীপ কুমার বলেছেন: লেখকের ইচ্ছায় সবকিছু নির্ভর করে?

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

দ্যা প্রোক্রাস্টিনেটর বলেছেন: সব নির্ভর করে কিনা জানি নাহ তবে অন্তত শ্লীল বা অশ্লীলতার সীমারেখা টুকু কারণ
একই বিষয়ের উপর নজরুল আর তসলিমা নাসরিনের লেখা নিশ্চয় এক হবে নাহ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.