নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বকীয়া অথবা পরকীয়া(দ্বিতীয় পর্ব)

০১ লা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩


ডাক্তার মোস্তফা।ঘুরে আসা যাক তার যৌবনের প্রথমদিনগুলিতে।স্কুল জীবন তার কেটেছে মেহেরপুরে।সব ক্লাসেই সে প্রথম হতো।তবে ক্লাশে মিশতো তাদের সাথে যারা কিনা ছিল কোনমতে টেনেটুনে পাস করা ছাত্র।মোস্তফা কখনই ক্লাশের ভাল ছাত্রদের সাথে মিশতে চাইতোনা।স্কুল জীবন শেষ হলে মোস্তফা ফিরে আসে দেশের বাড়িতে।কলেজে ভর্তি হয়।কলেজ জীবনে কারও সাথে তার বন্ধুত্ব গড়ে উঠেনা।পাড়ায় কিছু ব্নধু সে খুঁজে পায়।মোস্তফার ইচ্ছা ছিল বুয়েটে পড়ার ।তবে বাড়ির চাপে সে ভর্তি হয় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে।আর মেডিক্যাল কলেজে এসেই তার কাছে পরিস্কার হয়ে যায় তার আব্বার আর্থিক দুরাবস্থার কথা।এই সময় তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ইসলামী ছাত্র শিবির।প্রতিমাসে সংগঠন থেকে মাসোহারা দেওয়া হতো মোস্তফাকে।

অনেকদিন পর মোস্তফা মেহের পুরে বেড়াতে আসে।স্কুল জীবনের বন্ধুরা তাকে পেয়ে বাঁধনহারা উচ্ছাসে ভেঙ্গে পড়ে।এদেরই একজন কল্লোল।মোস্তফাকে নিয়ে যায় তার নানার বাড়িতে বেড়াতে-যশোরে।তার নানা ছিলেন সরকারী চাকুরীজীবি।এখন কল্লোলের মামা সরকারী চাকুরী করেন।ফলে কলোনীর বাসা তারা আর ছেড়ে দেননি।কলোনীর ভেতরে উৎসবের আমেজ।বিয়ের উৎসব।

মোস্তফা শুয়ে ছিল ঘরে।কল্লোল আসে।
-দোস্ত,বিয়ে বাড়িতে একটি মেয়ে বেড়াতে এসেছে।নওগাঁ বাড়ি।অসম্ভব সুন্দরী।আমারে হেল্প কর।
কল্লোল এক নিঃশ্বাসে গড় গড় করে বলে যায়।
-কথা বলতে চাইলে কথা বলবে? মোস্তফা প্রশ্ন করে।
-আমার খালার সাথে ভাল সম্পর্ক।খালারে বলেছি।সে মেয়েটিকে বলেছে। কথা বলতে রাজি আছে।
-কখন যাবি? মোস্তফা জানতে চায়।
-বিকেলে।
মেয়েটির নাম রেনু।বগুড়ায় আজিজুল হক কলেজে পড়ে।বাবা পেশায় গ্রাম্য ডাক্তার।মোস্তফাদের সাথে রেনুর কথা হয়।রেনু জানায় আগামীকাল জানাবে।

কল্লোলের সারারাত ঘুম আসেনা।পায়চারী করে রাত কাটিয়ে দেয়।বিকেলে মোস্তফা আর সে নির্ধারিত স্থানে রেনুর সাথে দেখা করে।রেনু একটি চিঠি মোস্তফার হাতে দিয়ে হনহন করে চলে যায়।মোস্তফা চিঠি খুলে পড়তে থাকে।
-কি লিখেছে? কল্লোল ফ্যাঁসফ্যাঁসে গলায় বলে।
মোস্তফা কিছু বলেনা ফ্যাকাসে মুখে চিঠি কল্লোলের হাতে ধরিয়ে দেয়।কল্লোল চিঠি পড়ে।চিঠি পড়া শেষ হলে মাটিতে বসে পড়ে।মোস্তফাও বসে।দুজনে চুপ করে থাকে।মোস্তফা হাত দিয়ে ঘাস ছিঁড়তে থাকে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪

মো: অাজগর আলী বলেছেন: ভাই তার পর আরো আছে নাকি এখানে শেষ?

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

গন্ডোলার মাঝি বলেছেন: Increase the size please

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.