নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বকীয়া অথবা পরকীয়া (চতুর্থ পর্ব )

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৫৯


এই জীবন রেনুর কাছে একদম এক ঘেঁয়ে মনে হয়।বাঁধা ধরা।আগের মত তীব্র আকর্ষন সে কোন কিছুতেই খুঁজে পায়না।দিন দিন মোস্তফা তার প্র্যাকটিশে ভীষণ ব্যাস্ত হয়ে পড়ছে।সকালে ঘুম ভাঙ্গার আগেই রুগী এসে বসে থাকে।আর সেই রুগী দেখা এবং অপারেশন চলতে থাকে রাত আটটা পর্যন্ত।এরপর মোস্তফা চলে যায় তাস খেলতে।ফিরবে সেই রাত বারোটায়।অসহ্য একঘেঁয়ে এক জীবন।বারান্দায় বসে আছে রেনু।অসহ্য সুন্দর জ্যোৎস্নার রাত।রেনুর মনে হতে থাকে সুন্দর দিনগুলি বড্ড তাড়াতাড়ি হারিয়ে গেলো।আগে একটি চিঠির অপেক্ষায় কত দিন পার করেছে সে।যখন পিয়ন এসে চিঠি দিয়ে যেতো ,চিঠি খোলার আগ পর্যন্ত তীব্র উত্তেজনা কাজ করতো ওর ভেতর।আর ওর সাথে বিয়ের আগের সহবাসের কথা মনে পড়লে এখনও উত্তেজিত হয়ে পড়ে ওর শরীর। এখন?সহবাসটাকেও বিবাহিত জীবনের রুটিন ওয়ার্ক মনে হয়।এমনকি মাঝে মাঝে অভিনয়ও করতে হয় মোস্তফাকে খুশি করার জন্য।রেনু ভাবে-মোস্তফা কি বোঝে তার অভিনয়?আর বুঝলেই বা কি।ওর কারণেই এখন পর্যন্ত মা হতে পারলোনা।বিয়ের আগেই একবার এবর্শন।আবার বিয়ের পরও একবার তাকে এবর্শন করতে হয়।বিয়ের পর সচ্ছলতা এলে সন্তান নেওয়া যাবে-এই অজুহাতে ওর এবর্শন করানো হয়।তার ফলটা কি হলো?বিয়ের আঠারো বছর পরও ওরা সন্তানহীন!এখন চারপাশে প্রাচুর্য উপচে পড়ছে কিন্ত ওদের কোন সন্তান নেই।এই শহরের শীর্ষস্থানীয় ধনী ওরা।কত চাটুকার ওর চারপাশে।বাড়ি ভর্তি কাজের মানুষ।কোন কাজ ওর নিজে হাতে করতে হয়না।শুধুমাত্র শ্বাশুড়ীকে দেখা ছাড়া।বিছানায় শয্যাশায়ী শ্বাশুড়ীকে রেনু অবশ্য নিজ হাতেই সেবা করে।এই শ্বাশুড়ীর জন্যই যে ওর বিয়ে টিকে গিয়েছে।

রাতে মোস্তফা বাড়ি ফিরে আসে।
-দেখো আমার আর একা একা ভাল লাগেনা।খুব একঘেঁয়ে লাগে।সারাদিন একা একা বাড়িতে কি করি তার খোঁজ-খবরও রাখোনা তুমি।রেনু বলে মোস্তফাকে।
-কি করতে চাও?
-চাকরি করতে পারি।
-শোন,মানুষ যদি শোনে মোস্তফা ডাক্তারের বউ চাকরী করে তাহলে মুখ টিপে হাসবে।
-ঢং এর কথা রাখো।মানুষ হাসলে আমার কি? আমার তো সময় কাটতে হবে?আর আমি বি এড করে কি লাভ হলো বলো?
সারাদিন পরিশ্রমের পড় বাড়ী ফিরে রেনুর সাথে তর্ক করতে মোস্তফার একদম ভালো লাগেনা।ইদানিং প্রতিদিনই রেনু এই ঘ্যান ঘ্যান শুরু করেছে।

মাসুদের সাথে মোস্তফাই রেনুকে পরিচয় করিয়ে দেয়।মাসুদ ওদের পাড়াতে কিন্ডার গার্টেন খোলার জন্য একজন ডোনার খুঁজছিল।মোস্তফা মাসুদকে সহযোগীতা করে রেনুকে প্রধান শিক্ষক বানানোর বিনিময়ে।

প্রেম,ভালবাসা এগুলি কি স্থায়ী?নাকি সময়ের সাথে রুপ বদলায়?ভালবাসার চূড়ান্ত পরিণতি কি বিবাহে? মানুষের যৌন আকাংখার সাথে প্রেম-ভালবাসার সম্পর্ক কোথায়?যৌন আকাংখাকে ঘিরেই কি প্রেম-ভালবাসা আবর্তিত হয়?নাকি প্রেম-ভালবাসা আছে বলেই মানুষের মনে যৌন আকাংখা জাগ্রত হয়?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.