নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কনক দ্যুতি (দ্বিতীয় অংশ)

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫১



কনকের শরীর বেয়ে প্রচন্ড এক ব্যাথার ঝড় বয়ে যায়।তারপর সব অন্ধকার।কতক্ষণ রাস্তায় পড়েছিল কনক তা বলতে পারবে না।যখন উঠে বসে তখন প্রচুর মানুষের ভীড় ওকে ঘিরে।কনক উঠে দাঁড়ায়।আর খুব আশ্চর্য হয়ে যায়।মানুষগুলো ওকে নয়,মাটিতে পড়ে থাকা কিছু একটা দেখছে।সে সবার দৃষ্টি অনুসরণ করে মাটির দিকে চায়।ভীড়ের ভেতর হতে কনক বেরিয়ে আসে।ঠিক বুঝে উঠতে পারে না ওর নিজের অবস্থান।মাটিতে ওর দেহ পরে আছে।জীবিত না মৃত কনক বুঝতে পারে না।ও এখন অশরীরী এক আত্না।কোথায় যাবে?সে বাতাসে ভাসতে থাকে।
তীর্থ বেইলী রোডে দাঁড়িয়ে জামের শরবতে একটু একটু করে চুমুক দিচ্ছিল।আচমকা তাকিয়ে দেখে,ওর বয়সীই হবে,এমন একজন যুবক বেশ হ্যাংলার মত ওর খাওয়া দেখছে।তীর্থ বেশ বিরক্ত হয়।সে বাসার দিকে রওনা দেয়।
পরদিন আবার একই অবস্থা।তীর্থের এবার বেশ রাগ হয়।সে যুবকটির দিকে এগিয়ে যায়।
-দেখে তো বড় লোকের ঘরের ছেলেই মনে হচ্ছে।এমন হ্যাংলা কেন?
রাগত স্বরে তীর্থ বলে।
-আমার খুবই খেতে ইচ্ছে করছে।
যুবকটি উত্তর দেয়।
-দোকানে আছে তো কিনে খান।
-হবে না।
-কেন?
-আপনি ছাড়া এখানে কেউ আমাকে দেখতে পাচ্ছে না।
-কি বলেন?
-আমি আত্মা।গতমাসে রোড এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছি।
তীর্থের শীরদাঁড়া বেয়ে ভয়ের ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায়।
শান্তিনগর বাজার হতে হাস কিনে ছিলে নেয় তীর্থ।কাব্যের খুব হাস খাবার আকাংখা।গত শীতে বন্ধুদের নিয়ে সিলেটের হাওড়ে যাবার পথে মারা যায় কাব্য।
-কাব্য,আপনার বাড়িতে কে কে আছেন?
-ছোট দুই বোন আর বাবা-মা।
-বাবা কি করেন?
-ব্যবসায়ী।
তীর্থের হাস রান্না শেষ হলে টেবিলে খাবার পরিবেশন করে।সে খেতে শুরু করে দেয়।কাব্য চুপচাপ বসে আছে।
-কই খাচ্ছেন না তো?
-আমি তো আত্মা
-তবে যে খেতে চাইলেন?
-আপনি একটি ধুপ শলাকা জ্বালিয়ে দিন।
তীর্থ খেতে খেতে উঠে পরে। ধূপ শলাকা জ্বালিয়ে খাবার টেবিলে বসে।এবার সে খেয়াল করে প্রতিটি খাবার পাত্রের ডুপ্লিকেট আর একটি করে তৈরি হয়ে যাচ্ছে।
-আপনার রান্না অনেক সুন্দর।কোথায় শিখলেন?
-বিশ্ববিদ্যালয়ে।রুমমেট ময়না ভাইয়ের কাছে।
অফিস থেকে ফেরার পথে প্রতিদিনই তীর্থ সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে প্রবেশ করে।কিছুক্ষণ চুপচাপ বারান্দায় বসে থাকে।মানুষ দেখে।দেব-দেবীর মূর্তি দেখে।কেন যে দেখে সে নিজেই বোঝে না।সে আস্তিক না নাস্তিক এরও কোন সঠিক উত্তর ওর কাছে নাই।মন্দিরে আসতে ভাল লাগে তাই আসে।আজ ওর পাশে কাব্য বসে আছে।চারপাশে মানুষ বলে কাব্যের সাথে কোন কথা বলছে না।কাব্য একাই বকে যাচ্ছে।বুয়েটে পড়াকালিন কাকে ভালোবাসতো এই সব আর কি।গেটের দিকে তাকিয়ে ছিল তীর্থ।দুই তরুণী উছ্ছল ভঙ্গিমায় মন্দিরে প্রবেশ করে।তীর্থের বুক কেঁপে উঠে।দুই জনের একজন রুপা।
তীর্থকে মন্দিরে পেয়ে যাবে এইটা রুপা কল্পনাও করেনি।ওর সাথে ওর পিসতুত বোন ।
-ছেলেটাকে চিনিস?
কংকা রুপাকে প্রশ্ন করে।
রুপা উত্তর করে না।সিদ্ধেশ্বরী মাকে প্রণাম করতে ব্যস্ত হয়ে যায়।কংকা খেয়াল করে রুপার ফর্সা গাল লাল হয়ে গিয়েছে।
(চলবে)

প্রথম অংশ (Click This Link )

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: বুঝতে পারছি না। বুঝতে বেগ পেতে হচ্ছে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫০

সুদীপ কুমার বলেছেন: সব কয়টি পর্ব পড়লে সম্পূর্ণ চিত্র পেয়ে যাবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.