নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিশ্বাস করি, \'মানুষের জন্যই ধর্ম ধর্মের জন্য মানুষ নয়\'৷ তাই প্রথমে প্রকৃৃত মানুষ হওয়া চাই, নিরাপদ আলোকিত একজন মানুষ৷ \nhttps://www.facebook.com/SufiMahfuz/

সুফী আহমাদ মাহফুজ

সুফী আহমাদ মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের পুরনো ক‍্যান্সার

১৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:২৯

কিছু জ্ঞানপাপী আলেম শতশত বছর ধরে অবান্তর হাদিসের ভিত্তিতে দুশ্চরিত্র মুয়াবিয়াকে সাহাবী বানিয়ে রেখেছে৷যদিও কুরআন কারা সাহাবী হিসেবে গণ্য হবে তা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে তারপরও তারা নির্লজ্জের মত ফোর্থ হ্যান্ড হাদীস দেখিয়ে দাঁত কেলাচ্ছে!
এবার দেখা যাক কুরআন কি বলছে?'

সূরাহ তওবাহ : আয়াত ১০০
وَالسَّابِقُونَ الأَوَّلُونَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالأَنصَارِ وَالَّذِينَ
اتَّبَعُوهُم بِإِحْسَانٍ رَّضِيَ اللّهُ عَنْهُمْ وَرَضُواْ عَنْهُ وَأَعَدَّ لَهُم جَنَّاتٍ تَجْرِي تَحْتَهَا الأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

আর যারা সর্বপ্রথম হিজরতকারী ও আনছারদের মাঝে পুরাতন, এবং যারা তাদের অনুসরণ করেছে, আল্লাহ সে সমস্ত লোকদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। আর তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন কানন-কুঞ্জ, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত প্রস্রবণসমূহ। সেখানে তারা থাকবে চিরকাল। এটাই হল মহান কৃতকার্যতা।

The vanguard (of Islam)- the first of those who forsook (their homes) and of those who gave them aid, and (also) those who follow them in (all) good deeds,- well- pleased is Allah with them, as are they with Him: for them hath He prepared gardens under which rivers flow, to dwell therein for ever: that is the supreme felicity.

সূরাহ হাদীদ : আয়াত ১০

وَمَا لَكُمْ أَلَّا تُنفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلِلَّهِ مِيرَاثُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَا يَسْتَوِي مِنكُم مَّنْ أَنفَقَ مِن قَبْلِ الْفَتْحِ وَقَاتَلَ أُوْلَئِكَ أَعْظَمُ دَرَجَةً مِّنَ الَّذِينَ أَنفَقُوا مِن بَعْدُ وَقَاتَلُوا وَكُلًّا
وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَى وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ

তোমাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করতে কিসে বাধা দেয়, যখন আল্লাহই নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের উত্তরাধিকারী? তোমাদের মধ্যে যে মক্কা বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে ও জেহাদ করেছে, সে সমান নয়। এরূপ লোকদের মর্যদা বড় তাদের অপেক্ষা, যার পরে ব্যয় করেছে ও জেহাদ করেছে। যদিও আল্লাহ কল্যাণের ওয়াদা দিয়েছেন তবে তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত।

And what cause have ye why ye should not spend in the cause of Allah.- For to Allah belongs the heritage of the heavens and the earth. Not equal among you are those who spent (freely) and fought, before the Victory, (with those who did so later). Those are higher in rank than those who spent (freely) and fought afterwards. But to all has Allah promised a goodly (reward). And Allah is well acquainted with all that ye do.

উপরের আয়াত দুটিতে সাহাবি হওয়ার জন্য দুটি যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে-
০১. রাসুল করিম সাঃ এর প্রথম দিকের সঙ্গী হতে হবে
০২.মক্বা বিজয়ের আগে ইসলাম গ্রহনকারী হতে হবে৷
মুয়াবিয়ার উপরোক্ত দুটি যোগ্যতার একটিও নেই৷

যে সকল দুর্বল হাদিস দিয়ে মুয়াবিয়ার গ্রহনযোগ্যতা দেয়া হচ্ছে সেই হাদীস গুলির চেয়ে অনেক বেশী গ্রহনযোগ্য হাদীসে স্বয়ং রাসুল করিম সাঃ এর মুখে মুয়াবিয়ার সমালোচনা আমরা দেখতে পাই৷

# সহিহ মুসলিম ,হাদীস নম্বর - ৬২৯৮
ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিত আছে যে, "আমি একদিন ছেলেদের সাথে খেলা করছিলাম, এমন সময় রাসুল করিম সাঃ কে আসতে দেখলাম৷আমি একটি দরজার আড়ালে চলে গেলাম৷৷কিন্তু রাসুল করিম আমার কাঁধ ধরে আমাকে ডেকে আনলেন এবং মুয়াবিয়াকে ডাকতে বললেন৷আমি ডাকতে গিয়ে তাকে ভোজনে ব্যস্ত দেখতে পেলাম এবং ফিরে আসলাম৷রাসুল করিম আবার আমাকে যেতে বললেন ,আমি আবার গেলাম এবং মুয়াবিয়াকে ডাকলাম কিন্তু সে তখনও ভোজনে ব্যাস্ত ছিল৷আমি ফিরে এসে রাসুল করিমকে এটা জানানোর পর তিনি বল্লেন 'আল্লাহ যেন তার পেট কখনও পূর্ণ না করেন' !"

**এই হাদীসটি ইমাম আহমাদ ইবনে হানবাল রহ. এবং ইমাম হাকিম রহ. দ্বারা পরিক্ষীত এবং স্বীকৃত৷

# আল তাবারী (৮ম খন্ড) , পৃষ্ঠা নং ১৮৬, দার আল মারিফ পাবলিকেশন, মিশর৷

এই হাদীসটি দুজন সাহাবার দ্বারা বর্ণিত হয়েছে—

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. হতে বর্ণিত আছে, "আমি রাসুল করিম সাঃ কে বলতে শুনেছি যে " মুয়াবিয়ার মৃত্যু ইসলামের পথে হবেনা"!

হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রা.হতে বর্ণিত আছে, " আমি রাসুব করিম সাঃ কে বলতে শুনেছি ' মৃত্যুর সময় মুয়াবিয়া আমার উম্মত হিসেবে গ্রহনযোগ্য হবেনা'!"

** এমন সহীহ হাদীস থাকার পরও তারা কেন চার নাম্বার হাদীস নিয়ে মেতে আছে তা জ্ঞানীজনদের না বোঝার কথা নয়৷
ইসলামের ইতিহাসে প্রথম অন্তঃকোন্দল বা ফিৎনার জনক এই দুশ্চরিত্র মুয়াবিয়া৷ ৬৭৫ হিজরী সালের মে মাসে হযরত আলী কা. সাথে এই যুদ্ধ শুরু হয়৷এখান থেকেই মুয়াবিয়া সুক্ষ কৌশলে মুসলমানদের মধ্যে শিয়া-সুন্নী বিভক্তির সূত্রপাত ঘটায়৷আজ মুসলমান শতভাগে বিভক্ত!
মুয়াবিয়া ইসলামী খিলাফতের বিলুপ্তি ঘটিয়ে নিজের কুপুত্র এজিদ কে আরব হেজাজের রাজা মনোয়ন করার মাধ্যমে রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করে৷ রাজতন্ত্রের মাধ্যমেই যুগেযুগে অযোগ্য ব্যক্তিদেরকে মুসলমানদের শাসক হবার সুযোগ তৈরী করে দেয়া হয়েছিল৷ এজিদ হতে শুরু করে মক্বার গভর্নর হুসেন শরীফ আর আজকের সৌদ পরিবারের মত অযোগ্য শাসকরা বরাবরই এই রাজতন্ত্রের ছত্রছায়ায় থেকেই লালিত পালিত হয়েছে৷ মুয়াবিয়া নিজেকে লজ্জায় কোনোদিন 'খলিফা' দাবী করতে পারে নাই৷শেষ পর্যন্ত তাকে 'আমীর' উপাধি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে৷
ইসলামের ঘরের অভ্যন্তরের শত্রু হচ্ছে মুয়াবিয়া আর এজিদ গং এবং তাদের পা চাটা কিছু জ্ঞানপাপী আলেম৷এদের নির্মূল করতে পারলে মুসলমানদের ঐক্য ফিরে আসতে পারে৷এরা যতদিন মুসলমানদের অভ্যন্তরে আছে ততদিন মুসলমানরা কখনোই এক হতে পারবেনা৷ মুসলমানদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:০৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভালো লিখেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

muftisiraji বলেছেন: আমীরে মুআবিয়া (রাদি) একজন জলীলুল কদর সাহাবী..

তিনি ছিলেন রাসুল (সাঃ)-এর কাতেবে ওয়াহী।
কোরআনের সুরা ও আয়াত লেখার জন্য নির্ভর যোগ্য সাহাবীগণের অন্যতম একজন সাহাবীর নাম হযরত আমীরে মুআবিয়া (রাদিঃ) , কতটুকু বিশ্বস্ত ও প্রিয় হওয়ায় একজন ব্যক্তিকে দিয়ে কোরআন লেখানোর কাজে নিয়োগ দিয়ে ছিলেন নবীজি (?)

পাঠকঃ- আমীরে মুআবিয়া (রাদিঃ) মৃত্যুর বর্ণনা আরব মরু বসন্তের ঐতিহাসিক কিতাব "ইবনে আসীর" থেকে ইতিহাস তালাশ করলে দেখা যায়, ৩য় খন্ড ১৮০ পৃষ্ঠায় লেখা আছে মৃত্যুকালীন সময় তিনি ওসীয়ত করে ছিলেন... হুজুর (সাঃ) যখন নখ কাটতেন সেসব আমি কিছু সংগ্রহ করে রেখেছি আমার সাথে। আমার মৃত্যুর পর এই শিশিতে সংগৃহীত নবীজির নখ মোবারকগুলো পিষে এর কিছু অংশ আমার চোখে সুরমা ব্যবহার করবে, এবং কিছু কাপনের ভিতর ছিটিয়ে দিবে। ওনার মৃত্যুর পর সেই অনুপাতেই দাফন কার্যক্রম করা হয়।

প্রিয় পাঠকঃ- যে ব্যক্তির ভিতর রাসুল (সাঃ)- এর মুহাব্বাত অসীম প্রাচুর্য আজ তাকেই গালমন্দ করে চলেছে কিছু নামধারী মুসলিম, মুনাফিক, কায্যাবীরা।

৩| ১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

muftisiraji বলেছেন: রাসুল সাঃ বলেন যে ব্যক্তি আমার কোন সাহাবীর বিরুধী করলো সে যেন আমি নবীজির সংগে বিরুধীতা করলো, তাদের দুশমনি আমার দুশমনিরই নামান্তর

قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الله الله في أصحابي لا تتخذوهم غرضا بعدي فمن أحبهم فبحبي أحبهم ومن أبغضهم فببغضي أبغضهم ومن آذاهم فقد آذاني ومن آذاني فقد آذى الله ومن آذى الله يوشك أن يأخذه

৪| ১৬ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

সুফী আহমাদ মাহফুজ বলেছেন: আপনি মিথ্যে কথা বলছেন।স্ক্রীন শটে ৬২৯৮ হাদীসটি নাই৷ কি লিখা আছে পড়েন৷ কোরআনের আয়াতের উপর দিয়ে হাদীস পেশ করা মানে কুরআন অবমাননা করা৷ এটি সম্ভবত আপনি শিখেন নাই৷আপনার প্রতিটি হাদীস তাবে তাবিঈনদের যা অনেক সময়ই ভ্রান্ত ,মনগড়া এবংং কুরআন বিরূদ্ধ৷শুধু তাই নয় মুয়াবিয়ার আরও অনেক কুকির্তি সামনে তুলে ধরব দলীল সহ৷অপেক্ষা করেন৷মুয়াবিয়া তুলাকা মানে ঠেকায় পড়ে মুসলিম আর মুয়াবিয়া তার সামাজিক নাম৷মুয়াবিয়া মানে কি জানেন? জানার চেষ্টা করেন৷

৫| ১৬ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

সুফী আহমাদ মাহফুজ বলেছেন: যে মক্কা বিজয়ের পরে মুসলমান হইল সে কাতেবে ওহী হয় কেমনে? শেষ দিকে কোনো মাক্কী সুরা নাজীল হয়নি৷সব৷শেষ দিকের সব সূরা মাদানী৷আর মুয়াবিয়াতো মদীনায় হিজরত করে নাই৷তাইলে সে ওহি লিখল কেমনে? কবে? আপনারা আপাদ মস্তক মিথ্যুক৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.