নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিশ্বাস করি, \'মানুষের জন্যই ধর্ম ধর্মের জন্য মানুষ নয়\'৷ তাই প্রথমে প্রকৃৃত মানুষ হওয়া চাই, নিরাপদ আলোকিত একজন মানুষ৷ \nhttps://www.facebook.com/SufiMahfuz/

সুফী আহমাদ মাহফুজ

সুফী আহমাদ মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

৷৷ ধূর্ত শিয়ালের সন্ত্রাস ৷৷

১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩


একজন মুসলমান হিসেবে গর্ব করার যথেষ্ট কারণ থাকা স্বত্বেও মুসলমানরা দিনকে দিন কেবল ঘৃণাই কামাই করছে।অবস্থা এমন হয়েছে যে এখন মুসলমান আর সন্ত্রাস প্রায় সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে। ইরাক সিরিয়া অতিক্রম করে বর্তমানে বাংলাদেশকে ইসলামী সন্ত্রাসের স্বাদ দিচ্ছে তথাকথিত মুসলমানরা।
নিজের মতামত কে জোর করে অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার প্রবণতা হতেই মানুষের অসহিষ্ঞু মনোভাবের উৎপত্তি।তথাকথিত মুসলমানদের অন্যের মতামতের প্রতি অশ্রদ্ধা , অসহিষ্ঞুতা এবং জোর করে চাপিয়ে দেয়ার মনোভাব এর যোগফল বর্তমান ইসলামী সন্ত্রাসবাদ।অথচ কুরআন জোর করে চাপিয়ে দেবার ঘোর বিরোধী এবং কুরআন রাসূল করিমকে সমস্ত মাখলুকের জন্য প্রেরিত হিসেবে উল্লেখ করেছে।
তথাকথিত মুসলমানদের জোর করে চাপিয়ে দেয়ার এই প্রবণতার সূত্রপাত ইসলামী খিলাফতের ধ্বংস এবং রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে।দুশ্চরিত্র মুয়াবিয়া খিলাফতকে অগ্রাহ্য করে নিজের রাজা হওয়াটাকে জায়েজ করতে শতশত মানুষ হত্যা করেছে।রাসূল করিম সা: এর বিশ্বসস্ত সাহাবী হযরত হাজর বিন আদী রা. এর হত্যাকারী, হযরত ইমাম হাসান আ. এবং আয়শা সিদ্দিক রা এর হত্যার পরিকল্পনাকারীও এই মুয়িবিয়া।
অশিক্ষিত বর্বর মুয়াবীয়াকে ইদানীং কাতবে ওহীও বলা হচ্ছে!
পবিত্র কুরআনুল হাকিমের সুরা গুলোকে অবতীর্ণ হওয়ার স্হানের উপরে ভিত্তি করে দুই শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে মাক্কী আর মাদানী।প্রথম দিকের সুরা গুলি মক্কাতে অবতীর্ণ আর শেষ দিকের সুরা গুলি মদীনাতে অবতীর্ণ।মুয়াবিয়া মদীনাতে হিজরত করেনি বিধায় শেষ দিকের মাদানী সুরা সমূহের লিখক হওয়ার কোনো সুযোগ তার ছিল না।মক্কাতে প্রথম দিকের সুরা অবতরণের সময় মুয়াবিয়া ইসলাম ধর্মই গ্রহণ করেনি, মক্কা বিজয়ের পর আর কোনো ওহীও আসনি তাহলে মুয়াবিয়াকে কাতীবে ওহী অর্থাৎ ওহী লিখক কেন বলা হচ্ছে ? কিভাবে এই দুশ্চরিত্রকে কাতিবে ওহী বলা সম্ভব?
এই সকল মিথ্যা প্রচারনা চালানোর উদ্দেশ্যে মুয়াবীয়া পথভ্রষ্ঠ আলেমদের টাকার বিনিময়ে ক্রয় করে এবং সেইসব জ্ঞানপাপী আলেমরাই এই সকল মিথ্যা ইতিহাসকে ইসলামের সাথে যুক্ত করেছে।এমন চতুরতা, ধূর্ততা আর নিষ্ঠুরতার কারণেই কাফের সর্দার আবু সুফিয়ানের পুত্র আব্দার রহমানকে তৎকালীন আরব সমাজ মুয়াবীয়া অর্থাৎ তরুণ শিয়াল (Young Fox) উপাধী প্রদান করে।এমন ধূর্ত শিয়ালকে যারা সাহাবী এবং কাতিবে ওহী মানে তাদেরকে মুসলমান না বলে সন্ত্রাসী বলাই অধিক যুক্তিযুক্ত৷

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬

মো: সেলিম মাহমুদ বলেছেন: well said..bro.
Muslims have lost their glory long long before. The synonym of word muslim is Terror. Muslims are recognized as a horrible terrorist group in the whole world day by day. Islam is no more religion of peace. Killing is very common word to muslims now.

২| ১৯ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



খিলাফত ছিল হয়তো ততকালীন সময়ের ভালো রাজতন্ত্র; মুয়াবিয়া সময়ের সাথে তাকে বদলায়ে দিয়েছে; সময়ের সাথে সব রাজতন্ত্র বদলে গেছে, অবশেষ রাজতন্ত্রের পতন হয়েছে। এখন হাতে গোণা যেসব দেশে রাজতন্ত্র আছে, সেখানে অত্যাচারই জীবনের অংশ।

বৃটিশ আমাদের অন্চলে গণতন্ত্র চালু করেছিল, আমরা সেটাকে সঠিক করার চেস্টায় আছি; আজ মুয়াবিয়া, ফুয়াবিয়া কি করেছে, সে কাহিনী দিয়ে আমরা কি করবো? মুয়াবিয়া নিশ্চয় এযুগের তরকারী বেপারীর মতোও বুদ্ধিমান ছিলেন না।

৩| ১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

সুফী আহমাদ মাহফুজ বলেছেন: সমস্যার মূলে দেখেন।বিলিফ সিস্টেম অর্থাৎ আকীদা ঠিক করতে হলে অতীতের ভ্রান্তি ঝেড়ে ফেলতে হবে না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.