নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুকান্ত কুমার সাহা

I like to seek knowledge.

সুকান্ত কুমার সাহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয়েজার ও এলিয়েনঃ

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৪

ভয়েজার , মনুষ্যকুল তৈরিকৃত একটা মহাকাশ যানের নাম। ১৯৭৭ সালে, পৃথিবী থেকে একে সৌরজগতের গ্রহগুলোকে পর্যবেক্ষণের জন্য রকেটের মাধ্যমে মহাশূন্যে উৎক্ষেপ করা হয়। ৩৬ বছর পর, আজ সে সৌরজগতের সবগুলো গ্রহকে পর্যবেক্ষণ শেষ করে, এমন একটা শীতল ও অন্ধকারময় স্থানে পৌঁছে গেছে, যেটা আসলে দুই নক্ষত্রের মধ্যবর্তী একটা ফাঁকা জায়গা, যাকে বলে ইন্টারস্টেলার স্পেস। এই স্থানের বাস্তব কোন অভিজ্ঞতাই পৃথিবীর মানুষের নেই, সেখানে নেই সূর্যের কোন নিয়ন্ত্রণ অর্থাৎ ভয়েজার এখন বাস্তবিক এক স্বাধীন জগতে।







এখন থেকে সে বাঁধা বিঘ্নহীন ভাবে ক্রমাগত চলতেই থাকবে সামনের দিকে এবং পৃথিবীতে পাঠাতে থাকবে তার সংগৃহীত তথ্য, উপাত্ত ও ছবি। বিদ্যুৎ সরবরাহের যে ব্যবস্থা এতে আছে, তাতে করে ধারণা করা হচ্ছে যে, সে আরও ১০ বছর এইভাবে তথ্য ও ছবি পাঠাতে সক্ষম হবে। তারপর সে আর কোন তথ্য পৃথিবীর নিকট পাঠাবে না, হয়তবা পৃথিবীর সাথে আর কোন যোগাযোগও রাখবে না!



কিন্তু তাতে কি হয়েছে? এরপরও সে চলতে থাকবে, চলবে সে এক সীমাহীন গন্তব্যের পথে, হয়ত এভাবে চলতে চলতেই সে একদিন পৌঁছে যাবে অজানা কোন এক নক্ষত্রের বলয়ে এবং পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করবে সেখানকার গ্রহ উপগ্রহগুলোকে। ততদিনে হয়তবা পৃথিবীতে শত কোটি বছর পেরিয়ে গেছে, বিলুপ্ত হয়ে গেছে মানব সভ্যতাও। সেই সময়ে সংগৃহীত ছবি ও তথ্যগুলো হয়ত পাবে অন্য কোন গ্রহের, বুদ্ধিমান কোন প্রাণী।





বিজ্ঞানীরা কিন্তু এই বিষয়টা আগে থেকেই ভেবে রেখেছিল, আর তাইতো এতে রাখা আছে, পৃথিবীর মানুষ থেকে শুরু করে নানা জীব, পশু-পাখির, ছবি, শব্দ, সঙ্গীত, ভাষা। এমনকি বাংলা ভাষার রেকর্ডও আছে এতে। যাতে করে কোন বুদ্ধিমান প্রাণী যদি কোনদিন এটার সন্ধান পায়, তাহলে সে জানতে পারবে পৃথিবী নামক হারিয়ে যাওয়া এক গ্রহ সম্বন্ধে!







তারা জানুক, এতে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আমার মুল প্রশ্নটা হল, যদি এর সন্ধান কোন বুদ্ধিমান প্রাণী কালেই না পায়? বা পুরো ইউনিভার্সে যদি আদৌ কোন বুদ্ধিমান প্রাণী না থাকে বা কোন প্রাণই যদি না থাকে? তাহলে এসব পাঠানোর কি কোন মানে খুঁজে পাওয়া যাবে? আর দরকারটাই বা কিসের?



তারচেয়ে কি এটা ভাল হত না যে, এসবের সাথে পৃথিবীর নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও বৃক্ষের বীজের পাশাপাশি এককোষী প্রাণী ও কেঁচো, তেলাপোকার মত জীবন্ত কিছু প্রাণীর নমুনা পাঠিয়ে দেওয়া? তাতে হয়ত ছড়িয়ে যেতে পারত “প্রাণ” বা আমাদের প্রেরিত "এলিয়েন"!







অবশ্য সবই সম্ভাবনা ... নিশ্চিত করে কোন কিছুই বলা যায় না !!!



হয়তবা এমন একটা সময় আসবে, যখন ভয়েজারকেই মানব প্রেরিত এক "এলিয়েন যান" হিসেবে চিহ্নিত করা হবে, রটবে কল্পকাহিনী অন্য কোন গ্রহে ...







আমাদের মত করেই ...



১১-৫০ রাত, ২২/০৯/২০১৩



ছবি সুত্রঃ গুগল ও বিবিসি

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ভালোই বলেছেন :)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৬

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: থ্যাংকস!

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৩

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

আসলেইতো এরকম হলেও হতে পারে :)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩০

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: আসলেইতো!!!

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: বাংলা ভাষাও রেকর্ড করা আছে? ওয়াও, কোন একদিন হয়ত কোন এক এলিয়েন পৃথিবীতে এসে বলবে, "ভাইজান! কেমুন আছুইন?" :) :)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩১

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন:
ভাইজান! কেমুন আছুইন?

.... বললাম !!!!!

৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৯

নূর আদনান বলেছেন: "ভাইজান! কেমুন আছুইন?"

এখানে হপে যে, "মাম্মা ! কেমুন আছুইন?" B-) B-)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: বললাম

৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: শান্তির দেবদূত বলেছেন: বাংলা ভাষাও রেকর্ড করা আছে? ওয়াও, কোন একদিন হয়ত কোন এক এলিয়েন পৃথিবীতে এসে বলবে, "ভাইজান! কেমুন আছুইন?" :) :) +++

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পোস্ট এবং শান্তির দেবদূতের কমেন্টে মুগ্ধ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.