নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুকান্ত কুমার সাহা

I like to seek knowledge.

সুকান্ত কুমার সাহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এরশাদ: বর্তমান বাংলাদেশের সেরা রাজনীতিবিদ

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

চারদিকে ব্যাপক তোলপাড় হচ্ছে, আমাদের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসেন মুহাম্মদ এরশাদকে নিয়ে। ওনার বিরুদ্ধে কোথাও হচ্ছে ঝাড়ু মিশিল, আবার কোথাও হচ্ছে জুতা মিশিল , কেউবা আবার থুতুর উৎসবেও মেতে উঠেছেন।



আবার কেউ কেউ তাকে বঙ্গভবনে দেখে খুশিতে আটখানা। ঠোঁটের কোনে ঝুলানো হাসি দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, হাসির নহর বইছে তাদের মনে। কেউ কেউ পারলে তো ওনার পায়ের ধূলিই নেন। আর পত্রিকার প্রিন্টিং আর অনলাইন ভার্সনগুলো তাকে নিয়ে খবরে ছয়লাব। হরতাল অবরোধ ছাপিয়ে বর্তমান বাংলাদেশে এককথায় হটকেক “এরশাদ”।



কিন্তু কেন?



কারণ একটাই, বর্তমান বাংলাদেশে ওনার মত রাজনীতিবিদ আর একজনও নেই!



-বলবেন, ফালতু কথা কেন বলছেন?



আচ্ছা বলুনতো, এই বাংলায় ১৬ কোটি মানুষকে শিশুদের মত দোলনায় চড়িয়ে দোল খাওয়াতে আর কয়জন পারে? একি সাথে দেশের সব মানুষের মনের মণিকোঠায় স্থান নিতে আর মুখে থুতু আনতে বাধ্য করতে আর কে পারেন, উনি ছাড়া?



আর কেউ পারে না। আমাদের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ও নয়। তারা ভাগাভাগি করে বড় জোড় দেশের ৪০% তথা ৬ কোটি ৪০ লাখ মানুষের মনের চিরস্থায়ী বন্দবস্ত নিতে পেরেছেন যা আসলে তাদের ভোট ব্যাংক। অপরদিকে বাকি ৬০% তথা ৯ কোটি ৬০ লাখ মানুষের মনে চিরস্থায়ী ক্ষত করেছেন। আর কেউ কারো বিপক্ষ সমর্থকদের মনে বিন্দুমাত্র স্থান পায়নি কখনো।



একমাত্র আমাদের এরশাদ সাহেব এর ব্যতিক্রম। তিনি তার ৫% ভোট ব্যাংকের অর্থাৎ ৮০ লাখ মানুষের বাইরেও আমাদের বড় দুই দলের সমর্থকদের মনেও পালা করে একি সাথে জায়গা করে নিয়েছেন আবার সময় মত কিকও খেয়েছেন। যার নমুনা উপরে বর্ণিত ঝাড়ু আর জুতা মিশিল।



এটা তিনি কিভাবে পারলেন?



আগেই তিনি আওয়ামীলীগ সমর্থক গোষ্ঠীর মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। কিন্তু গত দুই বছর ধরে তিনি একটু একটু করে বিএনপি সমর্থক গোষ্ঠীরও মনে জায়গা করে নিচ্ছিলেন। কয়েকদিন আগে উনি যখন গ্যারান্টি সহকারে বললেন, “আমি এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না কিছুতেই”- ওমনি বিএনপি সমর্থক গোষ্ঠী লাফ দিয়ে উঠলো। তারা যেন হাতে আকাশের চাঁদ পেল। তারা ভাবলো, এবার বাগে পেয়েছি আওয়ামীলীগকে। একদিকে আওয়ামীলীগের ক্ষতি আর অপরদিকে নিজেদের লাভ গুনে গুনে ওনারা এরশাদ সাহেবকে বেশি বেশি করে ভালবাসতে শুরু করলেন। এটা গেল মুদ্রার একদিক। মুদ্রার অপরদিকে আওয়ামীলীগের সমর্থক গোষ্ঠী তাকে প্রকাশ্যে ঘৃণা করতে শুরু করলো।

আবার যেই এরশাদ সাহেব পল্টি মেরে গণভবনে হাজির হলেন, অমনি ভালবাসা আর ঘৃণারও পক্ষ বদল হল।



তাই বলছি- এরশাদ সাহেবই বর্তমান বাংলাদেশের সেরা রাজনীতিবিদ, তিনি পালা করে ১৬ কোটি মানুষেরই ভালবাসা পেয়েছেন, যদিও তা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে কিন্তু তাতে কি?



পেয়েছেন তো?



১৯/১১/২০১৩, রাত ১১।৪০

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০০

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: Click This Link

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

েমগহাম্মদ এনামুল হক বলেছেন: বলা হয়- আমি নাকি বারে বারে কথা বদলাই। এক জায়গায় আমি গোঁ ধরে থাকি না এটা সত্য। কারণ রাজনীতিতে জেদ অমঙ্গল ডেকে নিয়ে আসে- যা বর্তমান সময়ে চলছে। এখন এক পক্ষ বলছে- কেয়ারটেকার ছাড়া নির্বাচনে যাবো না- আর একপক্ষ বলছে কেয়ারটেকার দেয়াই যাবে না। এই যে কথা না বদলানোর জেদ চলছে- এতে কি দেশের মঙ্গল হচ্ছে? মানুষ কি এখন শান্তিতে আছে? গণতন্ত্র কি নিরাপদ আছে? নির্বাচন কি অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে? পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুসারে পদক্ষেপ নেয়া- কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা কি অপরাধের কিছু? যারা কথা বদলাতে পারছেন না- তারা দেশকে ধ্বংসের কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন- দেশবাসীকে তা বিবেচনা করতে হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.