নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুকান্ত কুমার সাহা

I like to seek knowledge.

সুকান্ত কুমার সাহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের ভোট আমরা দেব, দেখে শুনে ভাগ করে দেব

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৯

বাংলাদেশে ভোটের মওসুম চলে এসেছে কিন্তু আসল কাজ বাদ দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে হানাহানি আর কাড়াকাড়িতেই ব্যস্ত। আর এদের মধ্যে পরে আমরা আমজনতা মারা খেতে খেতে ও দৌড়ের উপর থাকতেই থাকতেই জেরবার।



আমি মনে করি, আমাদের এই দুর্ভাগ্যের জন্য আমরা জনগণও অনেকাংশে দায়ী। হুজুকে মেতে আমরা প্রতি নির্বাচনে এমনভাবে ভোট দেই যাতে করে ভোট গণনার পর দেখা যায় বিজয়ী জোট সংসদের দুই-তৃতীয়াংশের অধিক আসন পেয়ে সরকার গঠন করছে, প্রকান্তরে যা তাদের নেতৃত্বকে বা সরকার প্রধানকে মহারাজা/রানীর ক্ষমতা এনে দিচ্ছে।



আমার মতে, এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের ভোট প্রদানে একটা নতুন ডাইমেনশন আনতে হবে। তা না হলে কোন কিছু দিয়েই আমরা আমাদের রাজনৈতিক অধিকারের সঠিক ব্যবহার করতে পারবো না। বারবার শুধুই রাজনৈতিক দলগুলির কাছে প্রতারিত হবো আর ৫ বছর পর পর তাদের কাড়াকাড়িই দেখতে থাকবো। তাই আমি মনে করি, আমরা যদি নিম্নের অভ্যাসগুলি ত্যাগ করতে পারি তাহলেই শুধুমাত্র আমাদের রাজনৈতিক অধিকারের সুষ্ঠু ও সুন্দর ব্যবহার করতে পারবো আমরাঃ



১) আমাদের দলকানাগিরি ছাড়তে হবে।

২) মার্কা দেখে কলাগাছকে ভোট দেওয়ার টেনডেন্সি পাল্টাতে হবে।

৩) ধর্মের নামে মিষ্টি কথায় বা কুৎসায় নিজেকে ভাসিয়ে দেওয়ার অভ্যাস মন থেকে নির্মূল করতে হবে।

৪) টাকা খেয়ে ভোট দেওয়ার বদভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

৫) যে জিতবে তাকে ভোট দিব বা ভোট নষ্ট করবো না- এই মনোভাব বদলাতে হবে।

৬) মুরুব্বি যাকে ভোট দিতে বলবে তাকেই ভোট দেব- এই চেতনাকে মন থেকে মুছে ফেলতে হবে।

৭) প্রার্থী ভাল কিন্তু জিততে পারবে না, তাই তাকে ভোট দিয়ে কি হবে?- এই চিন্তাও পাল্টাতে হবে।

৮) সাহসী, সমাজ দরদী, ভাল মানুষদের হার নিশ্চিত! তাই ভোটে দাঁড়িয়ে কি হবে?- এই ধরণের দুর্বল চিন্তাও ত্যাগ করতে হবে।



উপরের বিষয়গুলি যদি আমরা শতভাগ পালন করতে পারি তবেই আমরা এই দুই জোটীয় "ফাটা বাঁশ" থেকে মুক্তি পাব। নইলে নয়।



হ্যাঁ! আমি জানি, এত কিছু পরিবর্তন করা এই বাংলায় সহজ কাজ নয়। তাই একটা সহজ ও শর্টকাট চিন্তা আমার মাথায় ঘুরছে ...



ধরুন! আমরা যদি আমাদের প্রত্যেক পরিবারের ভোট সমান দুইভাবে ভাগ করে দুই জোটকে দেই তাহলে ক্যামন হয়? কোন পরিবারে যদি বেজোড় ভোট থাকে তারা না হয় সেই বেজোড় ভোটটা তাদের পছন্দের জোটকেই দিলো?



আমার ধারনা এতে করে যে কাজটা হবে, সেটা হল কোন দল বা জোটই নিরঙ্কুশ সংসদীয় আসন পাবে না, যাতে করে তারা ইচ্ছামাফিক সংবিধান সংশোধন করার ক্ষমতা পায়। ফলশ্রুতিতে তারা স্বৈরাচারী মনোভাব ত্যাগ করতে বাধ্য হবে। এতে করে হয়ত কোয়ালিশন সরকারও গঠন করতে হতে পারে দলগুলোর মধ্যে।



তাই আসুন আমরা সবাই মিলে আওয়াজ তুলি, "আমাদের ভোট আমরা দেব, দেখে শুনে ভাগ করে দেব"।



পড়ার জন্য ধন্যবাদ !!!



অফটপিকঃ আসলে আমাদের হাতে বিকল্প তেমন কিছু নেই আর সেই আর সেই হতাশা থেকেই এই লেখা।



০২/১২/২০১৩, রাতঃ ৯-৩০

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩১

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: Click This Link

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: মূলত BNP , আওমিলিগ দুইভাই
উনাদের নীতিগত কোন তফাৎ নাই
আমরা পাবলিক সব ভোদাই
মরি - তবুও দুই দলেরই পুটু হাতাই

lets go , কোকাকোলা বোতলে ' রক্তকোলা ' খাই

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২২

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: কথা কিন্তু তাইই !!!!
আসুন আমরা ভোট ভাগ করে দেই !!!

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: না ভোটের পনঃ প্রচলন চাই ।http://www.somewhereinblog.net/blog/AYAAJ1977/29901524

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২০

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: না" ভোট পূণরায় চালু হওয়া একান্তই জর্ূরী । কেননা এর ফলে আমরা অযোগ্য ও দূর্নীতিবাজ(!)রাজনৈতিকদের প্রত্যাখান করার সুযোগ পাব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.