![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
: তুমি কিছু বলছ না কেন? কিছু তো বল।আমার কথা শুনতে পাচ্ছ তুমি?
=হ্যাঁ শুনতে পাচ্ছি রাশেদ। এতক্ষন শুনলাম। এখন আমি বলব তুমি শুনে যেও। আমার অনেক কথা বলার আছে। আজ এতটা দিনের জমানো সব কথা। আমি প্রতিটা দিন কথাগুলোকে কত রকমেই না সাজিয়েছি আমি। কখনো কান্নার জলে কখনো প্রচণ্ড অভিমানে, কখনো বা প্রচণ্ড ক্ষোভে। তোমাকে অনেক বেশি ঘৃণা করি আমি রাশেদ। বিশ্বাস করো, এখনো মাঝে মাঝে confused হয়ে যাই –আসলেই কি আমি তোমাকে ঘৃণা করতে পেরেছি? নাকি এ শুধুই ক্ষোভ? কারন এতোই যখন ঘৃণা করি তখন এতটা কষ্ট এখনো কেন হয় আমার? কেন গত দেড়টা বছরেও আমি তোমাকে একটা দিনের জন্যও ভুলিনি? কেন প্রচণ্ড কষ্ট, দুঃখেও তোমাকে ভেবেছি? কেন আমি নতুন কাউকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারিনি এই লম্বা সময়টাতেও? কেন যখনই একটা ঝাপসা চেহারা নিয়ে স্বপ্ন বুনতে চাইলে আমার প্রচণ্ড অনিচ্ছায় সত্ত্বেও তোমায় দেখতে পাই? মাঝে মাঝে প্রশ্নগুলোর উত্তরও পেয়ে যাই। কি জানো? কারন আর কিছুই না। কারন আমি সত্যিকার অর্থেই ভালবেসেছিলাম। তাতে তোমার মত খাদ ছিল না। নাহ ভুল বললাম। তোমারটা তো ভালবাসাই ছিল না। মিথ্যেমিথ্যি আবার ভালবাসা হয় নাকি? ভালবাসার পুরোটাই সত্যি। মিথ্যেটা আর যাই হোক ভালবাসা না! আর সেজন্যই এভাবে ছেড়ে যেতে পেরেছিলে।
ঃ কিন্তু আমি এখন ফিরে এসেছি। আমি অনুতপ্ত! মন থেকে বলছি। আমি......
= থামো রাশেদ। আমার কথা এখনো শেষ হয়নি। কি জানি বলেছিলে তুমি? প্রথমে বলেছিলে তুমি আমার যোগ্য নও। আমি তখন হাহাকার করে উঠলাম। বললাম তুমি যেমন আমার জন্য তেমনই জথেস্ত।আমি এমন টাই চাই।এর চেয়ে বেশি আমার দরকার নেই। তুমি আমাকে যেমন রাখবে আমি তেমনই থাকব। শুধু তুমি পাশে থেকো তাহলেই হবে। তখন তুমি বললে তুমি নও আসলে আমিই নাকি তোমার যোগ্য নই। অনেক বেশি অপমানিত হলাম।অনেক বেশি ছোট লাগছিল নিজেকে, কষ্ট পেয়েছি সীমাছাড়া। কারন জানতে চাইলে বললে আমি নাকি ব্যাকডেটেড, আমি নাকি অনেক বেশি ইমোশনাল ,অনেক বেশি সেনসিটিভ, এত ইমোশন দিয়ে জীবন চলে না তোমার এমনটা চাই না।! প্রচণ্ড ধাক্কা খেলাম, তবুও একটা প্রশ্নের উত্তর জানার ছিল যে তুমি তো জানতেই আমি এমন। আধুনিক কালে আধুনিকতা বলতে যা বোঝায় তা কখনই আমার ধাতে সয়নি। সবই তো জান্তে,সব জেনেই তো এসেছিলে আমার কাছে,আমি তো প্রথমে রাজিই ছিলাম না তুমি আমাকে মানিয়ে নিয়েছ। সব তুমিই করলে আর এখন ছেড়ে দিচ্ছও তুমি! তবে এসেছিলে কেন? সব তোমার কাছে খেলা?...। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে বহুবার তোমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম। সে অবকাশও তুমি দাওনি।
তোমার সব খবরই আমার কাছে আসতো। এর ওর কাছ ঘুরে তোমার খবর আমার কাছে চলেই আসত। তখন বুঝতে পারলাম আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কারন! আমাকে ছাড়ার কয়েক দিনের মাথায় তোমাকে অন্য কারো সাথে নিয়মিত দেখা যেতে লাগলো। খবর পেলাম বেশ সুখে আছ। স্বার্থপরতার ব্যাপার কি জানো? তোমার এই ভালো থাকা আমি কেন জানি মেনে নিতে পারছিলাম না। প্রচণ্ড কষ্ট হতো। আমি তো ভালো নেই তুমি কি করে এত ভালো আছো? প্রচণ্ড কষ্ট হতো। দিনকে দিন অসুস্থ হয়ে যেতে লাগলাম। হাসতে ভুলে গেলাম, বাবা-মা চিন্তায় পড়ে গেল যে আমার কি হল। thorough check up করানো হল। ডাক্তার ধরতে পারেনি সমস্যা কোথায় কিন্তু আমি তো জানি।
আমার সবচেয়ে বড় যে ক্ষতিটি করেছ তুমি তা কি জানো? আমার মধ্যে প্রচণ্ড রকম নেগেটিভিটি ধুকিয়ে দিয়েছ তুমি। বিশ্বাস করো আমি এখন আর কোন কিছু পজিটিভলি নিতে পারি না। কাউকে এখন আর একদমই বিশ্বাস হয় না। আশেপাশের মানুষগুলোকে যখন দেখি ভালবাসার মানুষটাকে নিয়ে সুখে আছে আমি বিরক্ত হই। হয়ত বা তারা সত্যই একে অন্যকে ভালবাসে। সবাইতো আর তোমার মত না। তবুও কেন জানি বিশ্বাস হতে চায় না। এই ব্যাপারগুলো, এই শব্দগুলো আমাকে প্রচণ্ড রকম বাজে অনুভুতি দেয়। ...তুমি আমাকে একদম শেষ করে দিয়েছ রাশেদ। অনেকখানি উপরে উঠিয়ে এমনভাবে আমাকে ফেলে দিয়েছ যে আমি এখনো উঠে দাঁড়াতে পারিনি। জানিনা কখনো পারব কিনা। যারা আমার ব্যাপারটা জানে তারা বলে আমি নাকি একদিন এমন কাউকে পাব যে তোমার সমস্ত স্মৃতি- দুঃসহ স্মৃতি আমাকে ভুলিয়ে দিবে! আমি হাসি। কারন এখন আর এমন কিছু আশাই করি না। আশা করতে ভয় পাই। বিয়ে তো আমাকে একদিন করতেই হবে, পরিবারের অমতে আমি যাব না। বাবা-মা যাকে পছন্দ করে আনবে আমি তাকেই বিয়ে করব ।ভয় এক জায়গায়, যদি সেও দ্বিতীয় রাশেদ হিসেবে আমার জিবনে আসে! আমার আতঙ্ক লাগে। বিশ্বাস করো ভীষণ আতঙ্ক লাগে এমনটা ভাবতে। জানি না সে কেমন হবে তবে এতটুকু জানি আমি তাকে প্রথমেই সব বলে দিবো। আমার সম্পর্কে, আমার অতীত সম্পর্কে। বলব আমি এখনো উঠে দাঁড়াতে পারিনি। সে যদি সব জেনে শুনে আমাকে আপন করে নিতে এগিয়ে আসে তবে মানুষটার জন্য ,মানুষটার খুশির জন্য আমি আবার আমার পৃথিবী সাজিয়ে নিবো। শুধু ওই মানুষটার জন্য।
ঃ অবনী.......আমাকে ক্ষমা করে দাও অবনী .....।
=রাশেদ! গত ২ টা বছর প্রতিটা দিন আমি চেয়েছি তুমি ফিরে আসো, যা করেছ তার জন্য অনুতপ্ত হয়ে একবার আমার সামনে এসে দাঁড়াও। কিন্তু তোমার জীবনে আমি আর কখনোই ফিরে যাব না। তবুও চেয়েছিলাম আজকের দিনটা! ফিরে যাও তুমি। আর কখনোই আমার সামনে এসো না। আমাকে আমি আমার মত করে গুছিয়ে নিয়েছি। এখানে কত ঝড়ো হাওয়ার উপস্থিতি অনাকাঙ্ক্ষিত! ক্ষমা তোমাকে আমি কোনোদিনই করতে পারব না রাশেদ। কেন জানো? অবনী আজ আর বেঁচে নেই। অবনী মরে গেছে সেই কবে! তুমি শুধু কায়াটা দেখছ, ভেতরটা তো তুমি নিজ হাতে মেরে ফেলেছ! আজকে যে অবনীকে দেখছ সে অনেকখানি বদলে গেছে, আবেগ, অনুভুতি এখন খুব কমই তাকে টাচ করে। অবনী অনেক কঠিন হয়ে গেছে। কিন্তু অবনী এমনটা হতে চায়নি। কখনোই না। তুমি করে দিয়েছ! ......।। এবার যাও রাশেদ। আমি তোমাকে ভুলতে চাই। ততখানি ভুলতে চাই যতখানি ভুললে ভুলেও তোমার স্মৃতি আমি খুঁজে পাব না! যাও.....!
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০৭
সুমাইতা মেহজাবীন বলেছেন: অন্য কারো জীবনে বাস্তব কিনা তা অজানা।তবে আমার জীবনে না এতটুকু বলতে পারি
২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০১
প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর গল্প। ধন্যবাদ
১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১১
সুমাইতা মেহজাবীন বলেছেন: কৃতজ্ঞতা
৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯
এহসান সাবির বলেছেন: সুন্দর তো।
২০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০৭
সুমাইতা মেহজাবীন বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫৩
শোভন ব্লগ বলেছেন: বাস্তব নাকি গল্প ?