নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Every story I create, creates me. I write to create myself.\n- Octavia E. Butler\n\n

সুমাইতা মেহজাবীন

সুমাইতা মেহজাবীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেডিকেলে যারা সুযোগ পেয়েছে তাদের দুষে লাভ নেই

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩

সরকারি মেডিকেলে চান্স পেয়েছে এমন ছেলে মেয়েগুলোকে নিয়ে খুব কথা হচ্ছে। হওয়ারই কথা কারণ প্রশ্ন যে ফাঁস হয়েছিল টা কারো অজানা নয়। আর এবার যারা চান্স পেয়েছে তাদের মধ্যে ৯৯% ই ধরে নিলাম ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে। আমার খারাপ লাগছে ওই ১% এর জন্য যারা জেনুইনলি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পেয়েছে।কারণ অবশ্যই এই ব্যাচের সব পরীক্ষার্থী প্রশ্ন পায় নি।কলঙ্কের বোঝা না চাইতেও তাদের ঘাড়ে বয়ে বেড়াতে হবে। কলেজে সিনিওররা স্বাভাবিকভাবেই ওই ব্যাচের সবার দিকে কপাল কুঁচকে তাকানোর সময় ওই ১% এর দিকেও তাকাবে। ওই ১% তখন কিছুই বলতে পারবে না,তার বলার কিছুই নেই। 'ভাই আমি প্রশ্ন পাইনি" এটা হবে সবচেয়ে প্রচলিত মিথ্যা,তাই ওই ১% কে মানুষ ফুঁ মেরে উড়িয়ে দিবে।

এবার কাজের কথায় আসি। সে স্টুডেন্টগুলো প্রশ্ন পেয়ে চান্স পেল আপনি যে তাদের দুশ্ছেন,তাদের দোষ কি? আপনার ধরুন ছোটবেলা থেকে সাধ ডাক্তার হবেন, আপনার বাবা-মায়ের স্বপ্ন। আপনি আজীবন পড়ালেখা করে আসছেন ডাক্তার হবেন বলে।কাল পরীক্ষা আর আজ আপনি জানতে পারলেন সবাই প্রশ্ন পেয়ে গেছে, question out! কি করবেন? সততার আঁচল আঁকড়ে বসে থাকবেন? আপনি জানেন যেহেতু প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গেছে সেহেতু এবার হাইয়েস্ট নাম্বার উঠবে ৯৮ এর উপরে কারণ ২ মার্ক সন্দেহ থেকে বাঁচার জন্য ছেলে মেয়ে ইচ্ছে করে ভুল করে দিয়ে আসবে। এবং যেহেতু হাইয়েস্ট মার্ক এতো সেহেতু সর্বনিম্ন মার্কও যে ৭০ এর অনেক উপরে আসতে পারে সেটাও শিউর। তাহলে আপনি কি করবেন? প্রশ্ন কালেক্ট করবেন না? চোরা প্রশ্নে পরীক্ষা দিবেন না? অবশ্যই দিবেন। কারণ স্রোত চলছে দুর্নীতির দিকে। নীতি আঁকড়ে স্রোতের উল্টো দিকে চলার দুঃসাহস কেউ করবে না। ভালো কিছু পাওয়ার সুযোগ কে হাতছাড়া করবে?

দোষ এই স্টুডেন্টগুলোর না। দোষ প্রশাসনের। এই পরীক্ষা বাতিল হওয়া খুবই জরুরী। নাহলে ভবিষ্যতে 'ডাক্তার কসাই' ,' ডাক্তার মানুষ মারে" বলে লাভ নাই।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: শিক্ষার্থিদের মাঝে মোরাল স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে না পারা শিক্ষক এবং অভিভাবক সকলেরই ব্যর্থতা ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

সুমাইতা মেহজাবীন বলেছেন: ঠিক তাই

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

সুমন কর বলেছেন: দেশে এখন সব চলে !!!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

সুমাইতা মেহজাবীন বলেছেন: সকল অন্যায়ের রাজত্ব শুরু হয়েছে

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭

এস কাজী বলেছেন: বেচারা যে প্রথম হয়ছে সে নাকি এখনো ঘোষণা দিতে পারে নাই। সে নিশ্চিত ভাল স্টুডেন্ট । কিন্তু ১৯৮ পাওয়া? এটা সম্ভব না। তবে এটা ঠিক ওই ১% সেই দুঃখ বয়ে বেড়াবে। বাট সময়ের পটে আমরা ভুলে যাব।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

সুমাইতা মেহজাবীন বলেছেন: হুম

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

দরবেশমুসাফির বলেছেন: আপনি আজীবন পড়ালেখা করে আসছেন ডাক্তার হবেন বলে।কাল পরীক্ষা আর আজ আপনি জানতে পারলেন সবাই প্রশ্ন পেয়ে গেছে, question out! কি করবেন? সততার আঁচল আঁকড়ে বসে থাকবেন?

সবাই যদি সততার আঁচল আঁকড়ে বসে থাকা শুরু করে তাহলেই পরিবর্তন আসবে। নইলে যেমন চলছে তেমনি চলতে থাকবে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৪

সুমাইতা মেহজাবীন বলেছেন: নীতিকথা আমরা সবাই জানি। কেউ মানি না। মানলে দেশে, পৃথিবীতে এতো অনিয়ম হতো না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.