![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চলার পথে এই সম্প্রদায়ের খপ্পরে পড়তে হয়েছে অনেককে। ঘন্টা আগে একজন বর্ণনা করলেন তিনি কিভাবে হেনস্তা হয়েছেন। সে পোস্টের কমেন্টগুলোও পড়লাম। অনেকে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কথা বললেন। ভালো কথা। কারণ এখন এটা রীতিমতো ব্যাবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধরে নিয়ে গিয়ে বা কেউবা স্বেচ্ছায় হিজড়ায় পরিনত হচ্ছে কারণ টাকা ইনকামের এটা সহজতম পন্থা বর্তমানে।
এখন আসি কিছু কথায়। ধরুন আপনি জন্মই নিলেন অস্বাভাবিক শারীরিক গঠন নিয়ে। সেই ঘটনায় আপনার কোন হাত নেই। কে চাইবে নিষিদ্ধ হয়ে জন্ম নিতে? তারপর, পরিবার আপনাকে মেনে নিচ্ছে না, সমাজ মেনে নিবে না। তখন ঐ বিশেষ সম্প্রদায় আপনাকে নিজেদের দলে ভিড়িয়ে নিলো। পরিবারের মতো মমতা দিল। মমতা দিয়ে তো পেট ভরে না। আপনাকে কেউ চাকরি দিবে না, ছু ছু করে তাড়িয়ে দিবে, বাড়ি ভাড়াও দিবে না কেউ, কথাও বলবে না। কি করবেন? পেট চলবে কিভাবে? বিপথে পা চলবে তখনই। হাত পাতলে আমরা টাকা দিবো ২/৫ টাকা। বড়জোর ১০ টাকা। এই টাকা দিয়ে কি হবে? দ্রব্যমুল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে চাল,ডাল , তেল, নুন এই টাকায় হবে না। তাহলে সহজ উপায় হেনস্তা করা। মানুষকে রাস্তা-ঘাটে হেনস্তা করতে পারলেই মানুষ ইজ্জতের ভয়ে যা চাইবে তাই দিতে বাধ্য। ওরাও সেটাই করছে।
সাজেশানঃ
-------------
রুখে দাঁড়ানো এক্ষেত্রে কোন সল্যুশান না। আপনি রুখে দাঁড়িয়ে কি করবেন? ওদের আর টাকা দিবেন না? পেটের দায়ে এবার ছিনতাই করবে,ডাকাতি করবে। সেটা রুখবেন কি করে?
হিজড়ারা আর দশটা স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে স্পেশাল। কেন বলছি? এদের গায়ে পুরুষের শক্তি আছে, মনে নারীর মমতা। দুটোর মিশ্রণ। কোন এরা যে কারো চেয়ে গায়ে গতরে বেশি খাটতে পারে। এদের ট্রাফিক পুলিশের চাকরি দেয়া যেতে পারে, কন্সট্রাকশান ফিল্ডে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। কিংবা পড়ালেখার সুযোগ করে দেয়া যেতে পারে। যদি সে যোগ্য হয় তবে কি কারণে সে আপনার বা আমার মতো চাকরি করে স্বাভাবিক জীবন পাবে না?
বহির্বিশ্বে নারী, পুরুষ, হিজড়া, গে, লেসবিয়ান,ট্রান্সজেন্ডার, বাইসেক্সুয়াল...সব একসাথে কাজ করছে না? অনেক দেশে অনেক বিখ্যাত অভিনেতা, অভিনেত্রীও গে বা লেসবিয়ান! তারা নিজেদের মতো জীবিকা নির্বাহ করছে। তারা রাস্তায় ভিক্ষা করছে না বা মানুষকে হেনস্তা করছে না।
আমাদের দেশের হিজড়াদের আমরা বাধ্য করছি খারাপ পথে যেতে, খারাপ কাজ করতে। কারণ আমরা তাদের চাকরি দিবো না, সহজভাবে মেনে নিবো না। তবে গায়ে হাত দিলেই ইজ্জতের ভয়ে ১০ টাকা না, ১০০ টাকাও দিয়ে দিবো!
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭
আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: অগ্রগতি ঐ মন্তব্য পর্যন্তই...
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:০৮
গোফরান চ.বি বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার পোস্ট ।
ইউ আর স্মার্ট। আপনার মতো অন্তত ১০০ জন ব্লগার সামুতে চাই। আমি আমার পরিচিত ইয়াং ট্যালেন্ট দের সামুতে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।
পোস্টে + ।
৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:১৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: আমরা বড়ই নীচু সমাজে বাস করি। এখানে কেউ ওদের মানে হিজড়াদের ব্যাবসা বানিজ্য করতে সাহায্য করবেনা, কোন প্রকার সহযোগীতা করবেনা। স্কুলে কলেজে এরা পড়তে পারেনা, এরা দোকান দিলে সেই দোকান থেকে কেউ মাল কিনেনা তো এরা করবেটা কি? বড় বড় কথা সরকার সহ সবাই বলে কিন্তু সমাধানের কোন পথ কেউ জানেনা বা বলেনা! আজব এক জাতি আমরা এই বাঙালি ! সুতরাং এভাবেই চলবে।
৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:০০
আহলান বলেছেন: ওরা অসহায় এটা ঠিক আছে। তাই বলে যেভাবে চান্দাবাজি করে বেড়ায়,সেটা মেনে নেয়া কষ্টকর। এই দেশে আয় করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলা লাগে। কেউ বসে বসে তালি বাজিয়েই আয় করতে পারে না। কাজ করতে চাইলে হয়তো ঠিকই কাজ পেতো। কিন্তু তারা সেই রাস্তায়ও হাটবে না , হাটে না ..... তারা ওভাবেই জীবন যাপন করতে চায় ...
২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭
সুমাইতা মেহজাবীন বলেছেন: তাদের জন্য আর কোন পথ আমরা খোলা রাখিনি। পেটের দায়েই তারা আজ এই পথে
৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮
নতুন বলেছেন: এরা যদি সমাজে সবার মতন চলতে পারে তবে এরা কেন ভিক্ষা করে খাবে??
বাইরের দেশে এরা সমাজের বোঝা না।
বরং এরা আর দশজন সাধারন মানুষের চেয়ে ক্রিয়েটিভ হয়।
আমাদের সমাজের মানুষের মনের সমস্যার জন্যই এরা সাভাবিক জীবন জাপন করতে পারছেনা।
সমাজের দৃস্টিভঙ্গী পাল্টালে এরা কোন সমস্যাই না।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮
সুমাইতা মেহজাবীন বলেছেন: সেটাই
৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪
সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন। কিন্তু সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে এদের কর্মসংস্কারের জন্য।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮
সুমাইতা মেহজাবীন বলেছেন: ঠিক তাই
৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৩১
মিঃ অলিম্পিক বলেছেন: হুম, এটাই মনে হয় ভালো পরামর্শ হতে পারে....
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩
প্রামানিক বলেছেন: এদের সামাজিকভাবে কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করা দরকার। কর্মঠ হওয়ার পরও ভিক্ষা কোন পেশা হতে পারে না।