নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ মানুষের জন্য...

. আমার নাইবা হলো পারে যাওয়া...

সুরঞ্জনা

আমি কেবলই স্বপন করেছি বপন বাতাসে--- তাই আকাশকুসুম করিনু চয়ন হতাশে। ছায়ার মতন মিলায় ধরণী, কূল নাহি পায় আশার তরণী, মানস প্রতিমা ভাসিয়া বেরায় আকাশে। কিছু বাঁধা পড়িল না কেবলই বাসনা-বাঁধনে। কেহ নাহি দিল ধরা শুধু এ সুদূর-সাধনে। আপনার মনে বসিয়া একেলা অনলশিখায় কী করিনু খেলা, দিনশেষে দেখি ছাই হল সব হুতাশে।।

সুরঞ্জনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার চোর দর্শন

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৩৩

আমার এই চোর দর্শনের কাহিনীর অবতারনা হয়েছে শায়মামনির অনুরোধে......... :)



আমি তখন বেশ ছোট। তোমরা এখন যারা আমার এই লেখা পড়ছো, তাদের তো জন্মই হয়নি। আর তোমাদের মা,বাবারাও হয়তো আমার মতই ছোট্ট ছিলেন। ( এই লাইনটাতে জুনের জন্য একটি ধাঁধা আছে, বলতে হবে তোমার খুব প্রিয় বইএর শুরুর লাইনটা এমনি ছিলো। :P ) সকাল থেকে পাড়ায় ঘুড়ে বেড়াচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি সবাই ছুটছে চোর দেখতে। আমিও ছুটলাম। লস্কর সাহেবের বাসায় চোরটাকে খুঁটির সাথে বেধে রাখা হয়েছে। মানুষ-জন ভিড় করে আছে। এর আগে কখনো চোর দেখিনি। ভিড়ের ফাঁক ফোকর দিয়ে ঠিক জায়গা করে নিলাম। ছোকরা একটা ছেলে, মুখে, হাতে পায়ে রক্ত লেগে আছে। মারার পর্ব শেষ, এখন নখের নিচে লেবুর কাঁটা ফোঁটানো হবে। একজন সেই লেবুকাঁটা জোগাড় করতে গিয়েছে। দেখলাম দুটো সার্ট পড়ে আছে লস্কর চাচার পায়ের কাছে। ও দুটোই চুরি করে বগলের নিচে চেপে চলার পথে সিল্কের সার্ট ফসকে নিচে পড়ে যেতেই সে ধরা পড়েছে। আমার খুব মায়া লাগছিলো চোরটাকে দেখে। কেমন

নিরাসক্ত দৃষ্টিতে সে তাকিয়ে ছিলো। মনে হচ্ছিলো সে কিছুই দেখছেনা। মানুষ-জন বলাবলি করছিলো, এমন শক্ত জান, এতো মার খেয়েও সে বলছেনা কোন বাসা থেকে চুরি করেছে। এখন লেবু-কাঁটা ফোটালে বাছাধন বুঝবে মজা। সে মজা দেখতে আমার একটুকুও ইচ্ছে করছিলোনা। তাই ছুটে বাসায় চলে এলাম। :( পড়লাম আম্মার হাতে। দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে, আর আমার নাওয়া খাওয়া নেই। পিঠে দু’চার ঘা কষিয়ে আমায় হিড়হিড় করে টেনে কলের তলে নিয়ে গেলেন। তখনও আম্মার মুখ হাত সমান তালে চলছিলো। দিশেহারা হয়ে আমি বলে উঠলাম, “আম্মা ঐ চোরটা না ঠিক আব্বার সার্টের মত দুটো সার্ট চুরি করেছে”। আমায় ছেড়ে আম্মা ঘরে গিয়েই চিৎকার করে উঠলেন, “...... জলদি

তোমার লস্কর চাচাকে গিয়ে বলো, ওদুটো তোমার আব্বার সার্ট”। আগের দিন সার্ট ধুয়ে আলনার উপর রেখেছিলেন ইস্ত্রি করবেন বলে। যাই হোক! আব্বার সার্ট তো উদ্ধার হলো। চোরটাকে থানায় নিয়ে গেলো। পরদিন সকালে পাঁচজন ইয়া তাগড়া লোক এসে আব্বার হাতে পায়ে ধরতে লাগলো। পঞ্চরত্নের দু’হাতের দশ আঙ্গুলে সোনার আংটি ঝিলিক মারছিলো। ঐ চোরটা পঞ্চরত্নের নালায়েক ছোট ভাই। ছোট ভাইএর কারনে ভাইদের মানসম্মান ইজ্জত নিয়ে টানাটানি। তারা খানদানী ডাকাত। ভাটি অঞ্চলে তাদের নামেই মানুষ থরথর করে কাঁপে। আর সেই বংশের ছেলে হয়ে তাদের ছোট ভাই কিনা করলো ছিঁছকে চুরি? আব্বাকে অনুরোধ করে বল্লো, আপনি আমাদের ভাইকে থানা থেকে ছুটিয়ে দেন, আপনি যতদিন এ অঞ্চলে থাকবেন, রাতে দরজা খোলা রেখে ঘুমাবেন। আপনার বাড়ি রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। হয়তো ডাকাতদের ভয়েই আব্বা তাদের ভাইকে থানা থেকে ছুটানোর ব্যাবস্থা করলেন। জীবনের প্রথম এমন নিরিহ চোর দেখেই হয়তো আমার চোর ভীতি ছিলোনা।



বিয়ের পরে একদিন রাতে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। খাটের দক্ষিন পুবদিকের জানালাটা আস্তে আস্তে খুলে গেলো। আমার চোখদুটো আরও বড় বড় করে তাকালাম। কনুই দিয়ে আমার কুম্ভকর্ন কে ধাক্কা দিলাম। তখন চোখে পড়লো একটা কালো ছায়ামুর্তি। আমার ধাক্কানো বেড়ে গেলো। ছায়ামুর্তি হাতটা ঢুকিয়ে দিলো জানালা দিয়ে। তখন আমি কনুই ছেড়ে রামচিমটি কাটছি। হু, হু, করে কুম্ভকর্ন পাশ ফিরে শুলো। হঠাত আমার মনে হলো। ওখানে তো ছোট টেবিলটাতে চেঞ্জার আর স্তুপ করা সাধের রেকর্ডগুলো আছে। তারমানে হাত ঢুকিয়ে ঐ রেকর্ডগুলোই নেয়া হচ্ছে। স্প্রিঙ্গের মত লাফ দিয়ে উঠে আমি চেঁচিয়ে উঠলাম, “এই, এই, চোর চোর”। আমার চিতকারে বিরাট বাড়ি ভর্তি মানুষ জেগে উঠলো। হইহই রইরই...... চোর ব্যাটা গেলো কই? চোর কি আর আছে সেখানে? চটের ব্যাগে ঢুকিয়েছিলো রেকর্ড, ব্যাগ ফেলেই দেয়াল টপকে পগার পার। আমার কুম্ভকর্ন তখন ধড়ফড় করে উঠলেন, ক্বী, ক্বী হয়েছে? আমি বললাম,কিছুনা, তুমি ঘুমাও। সে আবার শুয়ে পড়লো। X(( X( X((



এর পরেও যতবার চোর চুরি করার চেষ্টা করেছে আমি যানিনা কেনো, ঠিক ঐ মুহুর্তেই আমার ঘুমটা ভেঙ্গে গিয়েছে।

আর একবার তিনতলার কার্নিশে দাঁড়িয়ে জানালা দিয়ে লাঠি ঢুকিয়ে আলনা থেকে কাপড় নেয়ার চেষ্টা করেছিলো।

তখনও লাঠিটি আলনার কাছে যাওয়ার আগেই আমি চিতকার করে উঠেছি। সে চিতকারে কার্নিশ থেকে ধপাস করে

নিচে পড়ে কি করে যা চোর তার জান নিয়ে পালিয়েছিলো, আজো আমার বাচ্চারা সে কথা বলে আর হাঁসে। :)



আগেকার দিনে চোরদের কাছে কোন অশ্ত্র-সশ্ত্র থাকতো না। তারা ছিলো নিরিহ চোর। আর ডাকাত যে ঘরে ডাকাতি

করতো সে ঘরের মানুষ-জনকে বেধে রেখে ভয় দেখিয়ে সবকিছু নিয়ে যেতো। খুন জখম রাহাজানি এসব তো অনেক

কম ছিলো। আজকাল চারিদিকে এতো অশ্তের ছড়াছড়ি, মানুষ মানুষ কে নির্বিচারের খুন করছে। তাই কে চোর ডাকাত

আর কে নয় বুঝে উঠতে পারিনা।

কৈশরে মনোজ বসুর নিশিকুটুম্ব বইটি পড়েছিলাম। চোরের নাম সাহেব। সেই সাহেবের প্রতি কেমন যেনো একটা মায়া পড়ে গিয়েছিলো। তাই হয়তো চোর শব্দটা আমার মনে কোন ভয়ের সৃষ্টি করেনা।

মন্তব্য ৯২ টি রেটিং +১৯/-২

মন্তব্য (৯২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৪৪

মেহেরুবা বলেছেন: আমি প্রথম যেদিন একটা চোরকে মার খেতে দেখেছিলাম, সেদিন আমারও খুব কান্না পেয়েছিল।:(
কি নির্দয়ভাবে মারছিল সবাই ওকে!

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৫৫

সুরঞ্জনা বলেছেন: সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৪৬

ভাঙ্গন বলেছেন: আমি চোর বদমাশ মারতে পারিনা।
মায়া লাগে:(

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৫৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: বদমাশকে চড় থাপ্পড় মারতে পারবো। কিন্তু চোরকে?
না মনে হয়। তবে মিথ্যেবাদীকে আচ্ছাসে মাথা ঠুকে
দিতে পারবো।


কোথায় ছিলে ভাঙ্গন? ভালো তো?

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৫২

শায়মা বলেছেন: ছায়ামুর্তি হাতটা ঢুকিয়ে দিলো জানালা দিয়ে। তখন আমি কনুই ছেড়ে রামচিমটি কাটছি। হু, হু, করে কুম্ভকর্ন পাশ ফিরে শুলো। হঠাত আমার মনে হলো। ওখানে তো ছোট টেবিলটাতে চেঞ্জার আর স্তুপ করা সাধের রেকর্ডগুলো আছে। তারমানে হাত ঢুকিয়ে ঐ রেকর্ডগুলোই নেয়া হচ্ছে। স্প্রিঙ্গের মত লাফ দিয়ে উঠে আমি চেঁচিয়ে উঠলাম, “এই, এই, চোর চোর”। আমার চিতকারে বিরাট বাড়ি ভর্তি মানুষ জেগে উঠলো। হইহই রইরই...... চোর ব্যাটা গেলো কই? চোর কি আর আছে সেখানে? চটের ব্যাগে ঢুকিয়েছিলো রেকর্ড, ব্যাগ ফেলেই দেয়াল টপকে পগার পার।


হা হা হা হা আপু।

নিশিকুম্বের সাহেবের কথা আর বলোনা । সে একজন হিরো। কি যে খারাপ লেগেছিলো তার জন্য আমার শেষটা পড়ে।:(

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০০

সুরঞ্জনা বলেছেন: তাহলে বুঝলে আমি কেনো চোর ভয় পেতাম না?

আর কুম্ভকর্নের কথা পড়ে হাসছো? :-(((

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৫৭

সকাল রয় বলেছেন:


আমি পড়তে পড়তে চুরের ভেতর ঢুকে গিয়েছিলাম .................
কবি
সুরন্জনা দি কেমন থাকা হচ্ছে আজকাল।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০১

সুরঞ্জনা বলেছেন: এই তো চলে যাচ্ছে দিনকাল......।
তুমি ভালো তো?

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৫৯

ফারা তন্বী বলেছেন: আমিও চোর মারা দেখতে পারিনা, কান্না পায়

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০২

সুরঞ্জনা বলেছেন: সত্যি ফারা মানুষ কি ভাবে মানুষ কে মেরে আনন্দ পায়?

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০৪

বড় বিলাই বলেছেন: বাপরে কি ভয়াবহ সব অভিজ্ঞতা। আমি কোনদিন চোরকে চুরি করা অবস্থায় দেখলে মনে হয় ভয়েই চোখ বন্ধ করে পড়ে থাকব।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:১৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: এই তোমাদের সাহস যোগানোর জন্যই তো এই গল্প গুলো বললাম। ভয় পেলে চলে? চোর তো মানুষ।
দেখনা, আপু কত সাহসী। ঃ-))

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০৬

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন:

আগের দিনে চোরগুলো আসলেই নিরীহ ছিল!
এখন চোরকে দেখে ফেললেও জান নিয়ে টানাটানি, কারণ ওদের সবার কাছে কোন না কোন অস্ত্র থাকে!!! :(

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:১৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: হ্যা, সে কথাটাই বলছিলাম। এ যুগে চোর বলে কিছু নেই।
খুনী আর ডাকাত।

৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:২০

ভাঙ্গন বলেছেন: আমি ভাল আছি আপু।
অনেক ভাল।:)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৩৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: জেনে ভালো লাগছে। আপু মনে প্রানে চাই ভাইয়ামনি তুমি ভালো থাকো।

৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:২৩

শিরীষ বলেছেন: ক্বী, ক্বী হয়েছে? আমি বললাম,কিছুনা, তুমি ঘুমাও। সে আবার শুয়ে পড়লো। =p~ =p~

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৩৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: X(( X(( X((

১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:২৪

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: সাধারণ বিষয় মানুষ এত ভালো ভাবে লেখে কিভাবে!

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৩৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: সঙ্গ দোষে লোহা জলে ভাসে। তোমরা এতো সুন্দর করে লিখো
তাই আমিও চেষ্টা করি। জানি, তোমাদের মত হবেনা।
তবে ঐ যে, একবার না পারিলে দেখো শতবার...
:) :) :)

১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:২৪

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে খুব মজা পেলাম। বিশেষ করে আপনার কুম্ভকর্নকে আমার খুব ভাল লেগেছে।

এই চোর নিয়ে আমার একটি লেখা আছে ভাল লাগবে আশা করি। Click This Link

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৪২

সুরঞ্জনা বলেছেন: ভাই, এই কুম্ভকর্নকে রমজান মাসে ডেকে তোলা যে কত কষ্টের, তা জানলে আপনার চউক্ষে জল এসে যাবে।
:(( :(( :((

১২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:২১

মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: জানেন আমি চোর, হাইজেকার, পকেটমার এদের ঘৃনা করতে পারিনা, মারতেও না।

একটা মানুষ কতটা অসহায় হলে এমন করে ভাবতে পারেন?

মহাখালি রেল ক্রসিংয়ে দাড়াতেই দেখি একটা ছেলে বার বার গাড়িতে উঠার চেষ্টা করছে আর নেমে যাচ্ছে, এমন বেশ কয়েকবার করায় আমার দৃষ্টি যায় ছেলেটির দিকে, বয়স আনুমানিক ২৭ হবে।
সে গাড়ি দরজায় দাড়ায় ভিরের মধ্যে আর মানুষের বুক পকেটে হাত দেয়, এমন বেশ কয়েকটা মানুষের পকেটে হাত দিলে হাত খালি ফিরে আসে, কারো বুক পকেটে টাকা নেই বুঝা গেলো।ছেলেটা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বারবার।
তার এমন করে ব্যর্থ হবার দৃশ্য আমার মনে তার জন্য একটু অনুকম্পা জাগে, মনে মনে ঐসব লোকদের বকা দিচ্ছি যে তারা কেন বুক পকেটে টাকা রাখেনা।
ছেলেটা কয়টা টাকার জন্য যে পরিমান কষ্ট করে যাচ্ছে তা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায়না।

আমি দুরে দাড়িয়ে একটা সিগারেট ধরালাম আর দীর্ঘ একটি ঘন্টা ধরে ছেলেটার ব্যর্থতা দেখছি, এক সময় ছেলেটা মিলিয়ে গেলো।

আমাদের দেশে উপর তলার মানুষ গুলো কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ন্যুনতম কসরত ছাড়া।সেই তুলনায় ছেলেটাকে আমার এত বেশি অপরাধী মনে হয়নি।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৫৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: উপরতলার সেই মানুষগুলোই তো এই দেশের মান-সম্মান।
তাদের হাতেই বন্দী এ দেশের প্রান ভোমরা।
এসব কথা ভাবলে মনটা ভিষন খারাপ হয়ে যায়। কিছু না করতে পারার অক্ষমতায় নিজেকে খুব অপরাধি মনে হয়।
এই সব অসৎ চোর, খুনী মানুষদের প্রতি আমরা সবাই ঘৃনা প্রদর্শন করি। আমি আজ পনেরো বছর ধরে ভোট নামক প্রহশনে অংশ নেই না। এটুকু করার মত সাধ্য আমার হাতে আছে, আমি তাই করি।

১৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩১

প্রতীক্ষা বলেছেন: ইশ ইশ সবাই শুধু চোরের গল্প করছে!! খুব খুব খারাপ! আমার কোন চোরের গল্প নাই!!

ছোট বেলায় আমি নিজেই ছোট ছোট চুরি করেছি! :#> :#>

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৫৫

সুরঞ্জনা বলেছেন: সেই চুরির গল্পই নাহলে করেন।

১৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩৭

কালপুরুষ বলেছেন: আমার রাজশাহীর বাড়ীতে চোর নিয়ে মজার মজার গল্প আছে। লিখতে আলসেমি লাগে। নইলে লিখতাম।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৫৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: আলসেমি ছাড়ুন তো দাদা। লিখে ফেলুন। প্লিজ! প্লিজ! প্লিজ!

১৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪৯

সবুজ অঙ্গন বলেছেন: করুণ গল্প। হরলাল রায়ের 'একটি চোরের আত্মকাহিনী'তে ছিল- বাবা, চোর কোথায়? ওটা তো মানুষ! এরকমই একটা লাইন। নাইনে উঠে ঐ রচনা পড়ে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।

ব্যাপারটা কাকতালীয় হতে পারে। গত দু সপ্তাহ ধরে স্কুলজীবনে এক ভালো মানুষের চোর হিসেবে ভীষণ মার খাওয়া, পরে তাঁকে ছেড়ে দেয়ার কথা মনে পড়ছিল, আর লোকটার জন্য খুব মায়া লাগছিল। একটা পোস্টও লেখার কথা ভাবছিলাম। এ লেখা পড়ে আরও উৎসাহিত বোধ করছি মনের কষ্টটা ব্যক্ত করার।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৫৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: তাত্তাড়ি লিখে ফেলুন।

১৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৫:১৯

জুন বলেছেন: সুরন্জন চোরের প্রতি মায়ার কথা পরে একদিন বলবো।
কাউকে মারধোর করা কষ্ট দেয়া আমি সহ্যই করতে পারিনা।

তোমার ধাধার উত্তর 'লরা ইংগলসের Little House On The Prairie' র প্রথম লাইন।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:২৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: অভিনন্দন জুন আপুনি।

১৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:১৬

কাব্য বলেছেন: মারামারি দেখা এখন গা সয়ে গেছে |-) :-<

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:০৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: হুম। কি দিন যে আইলো......

১৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৩২

সোমহেপি বলেছেন: আমারচোর হইতে ইচ্ছা করে চুরি করতে না

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৫১

সুরঞ্জনা বলেছেন: হা হা হা হা

সুন্দর বলেছো তো...
চোর হতে ইচ্ছে করে।
চুরি করতে নয়।

এমন করে ভাবিনি তো। দারুন বললে।
ভালো থেকো।

১৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪৪

করবি বলেছেন:

ক্বী, ক্বী হয়েছে? আমি বললাম,কিছুনা, তুমি ঘুমাও। সে আবার শুয়ে পড়লো। :) :) :)



লেখক বলেছেন: ভাই, এই কুম্ভকর্নকে রমজান মাসে ডেকে তোলা যে কত কষ্টের, তা জানলে আপনার চউক্ষে জল এসে যাবে।
:(( :(( :((



কি সুন্দর করে লিখলে, খুব ভালো লাগলো-----------

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৫৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক অন্নেক শুভেচ্ছা করবি।

২০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:০৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমি একবার দেখেছিলাম একটা চোরকে সবাই মারছে। দুপুরবেলায় চুরি করতে আসছিল আর ধরা পড়ে গেছে। কাঠের বড় একটা তক্তা দিয়ে মারছে আর চোরটার মুখে ফেনা উঠে গেছে। খুব খারাপ লাগছিল দেখে।

আর একবার আমাদের বাসায় ডাকাত এসেছিল। সব গায়ে সরষের তেল মেখে, ইয়াবড় বড় রামদা নিয়ে। সবার দরজার কড়া বাইরে থেকে বেঁধে রেখেছিল যাতে কেউ বেরুতে না পারে। পরে একজন পুলিশের বাঁশিতে ফু দিতে সব কাছা মেরে দৌড়...ডাকাত চলে যাওয়ার পরে যখন সবাই তাই নিয়ে কথা বলছিল তখন আমার ঘুম ভেঙেছে। আমিতো রাগ। ‌'কেন আমাকে ডাকা হলনা? আমি ডাকাত দেখতে পেলাম না?':(

আমার কিন্তু একটুও সাহস নাই আপুনি। চোর আসলে দেখা যাবে ফিট লেগে পড়ে আছি। :P

অট: আপুনি, আমার গল্পটা কেমন হয়েছে বললে নাতো পরে আর।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৫৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: আর বলোনা। কালবৈশাখী শুরু হলো, আর বিজলি বিবি নেচে নেচে চলে গেলো। কি করে দেই বলো। তবে আজ দিবো।
এখানে না বলে পারছিনা, খুব খুউব ভালো লেগেছে আমার।
অনেক অনেক শুভকামনা।

২১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৩৭

অপ্‌সরা বলেছেন: মজার চোর দর্শন আপুনিমনি। :)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:১০

সুরঞ্জনা বলেছেন: এত্ত দিন পরে??? কেমন আছো? খুব মিস করি তোমার লেখা।
সংসারে খুব ব্যাস্ত বুঝি?
অনেক অনেক ভালো থেকো। শুভেচ্ছা।

২২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১২

মে ঘ দূ ত বলেছেন: বেশ মজা করে লিখেছেন। পড়ে হাসিটা মুখে লেগেই আছে। বিশেষ করে আপনার কুম্ভকর্ণের ঘুম আর "খানদানী ডাকাত" শব্দটা পড়ে :)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: :) :) :)

মে ঘ দূ ত আপনাকে স্বাগতম।
জুনের পোষ্টে আপনি আমার
মিষ্টি রাজপুত্তুরকে পছন্দ করেছেন।
অনেক ধন্যবাদ। ওর জন্য দোয়া করবেন।

২৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪০

মে ঘ দূ ত বলেছেন: ওটা আপনার পিচ্চি! বলেন কি!!! :)

যাক যাক। জেনে অনেক খুশী হলাম। রাজপুত্রের ঠিকানা জানা রইলো। ঠিকানাবিহীন রাজপুত্রদের ছবি দেখার চাইতে ঠিকানা জানা রাজপুত্রদের দেখার অন্যরকম মজা।

নাম কি তার?

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:২১

সুরঞ্জনা বলেছেন: মে ঘ দূ ত, ওটা আমার মেয়ের বাবু। আমার আদরের একমাত্র নাতি। ওর নাম ওয়াকার আজমাইন। বিচ্ছু, গুন্ডা
ডাকাত বল্লেও কম হবে। এক মুহুর্তের জন্য স্থির হয়ে বসতে
পারেনা। এতো চঞ্চল।

২৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪২

মে ঘ দূ ত বলেছেন: ছবিটা আমি সেইভ করে রাখলাম। ফেরত চাইলেও দিব না (এই কথাটা ফারা একবার বলেছিল আমার ভাগিনার ছবি দেখে। আপনার রাজপুত্রের ছবি দেখে কথাটা আমাকেও বলতে হল। আপ্সুসের ব্যাপার :P )

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:২২

সুরঞ্জনা বলেছেন: হা হা হা হা হা

ঠিক আছে রেখে দিন।

২৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:১১

জুন বলেছেন: না সুরন্জনা আপনি আবার দেখেন।
বই গুলো আমার মাথার কাছেই আছে,
প্রতিটি লাইন আমার মুখস্হ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:২৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: সর‌্যি জুন। আমারই ভুল হয়েছে। এই মাত্র বইটি বের করে দেখলাম। তুমি ঠিক বলেছো। ওটা ঘাসের বনে ছোট্ট কুটীরেই আছে। সর‌্যি সোনামনি আপু, রাগ কোরোনা। আমি আগের উত্তরটা মুছে দিচ্ছি। অনেক ভালো থেকো।

২৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৩০

নস্টালজিক বলেছেন: চোর দর্শন ভালো লাগলো।।
প্লাস। :)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:২৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ নস্টালজিক।

২৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৩৯

ভাঙ্গন বলেছেন: আমার একটা ছোট্ট অভিজ্ঞতার বয়ান রাখি আপু!
আমার এস এস সি পরীক্ষা। গরম পড়ছিল বেশ। আমি আমার রুমের দরজা খোলা রেখে গভীর রাত জেগে পড়ালেখা করছি।
হঠাৎ চোর চোর.....বলে চিৎকার শুরু হলো আমাদের পাশের বাড়ীতে। যেহেতু আমি দরজা খোলা রেখে পড়ছিলাম,সেহেতু প্রথম চিৎকারটাই আমার কানে পৌছালো।
আমি এত জোরে দৌড়ে গেলাম চোর ধরতে যে, চোর যে পথ ধরে পালাচ্ছিলো...আমি আর চোর একদম মুখোমুখি।
চোরকে দেখেইতো আমি চিনে গেলাম...এটা কমন চোর। আমাদের এলাকায় যত চুরি চামারি হয় এরাই করে!

সো, ধরে ফেল্লাম। ওইদিকে অন্য সবাই লাইট ইত্যাদি নিয়ে উল্টো আরেক পথে চোর দৌড়াচ্ছে। কেউ বলছে ঐ দিকে গ্যাছে.এই দিকে গ্যাছে।
চোর আমার থেকে বয়েসে অন্তত দশ বছরের বড়। হঠাৎ সে আমার পায়ে পড়ে গেল।
বলল, আমারে মাফ কর ভাই। আর জীবনে চুরি করবোনা। এবারে মত ছেড়ে দে!
আমি চোরের করুন আর্তনাদে সত্যি বিগলিত হয়ে তাকে ছেড়ে দিলাম।
আর চোর ...চোর বলে অন্যদের সাথে গিয়ে চোর খুঁজতে যোগ দিলাম।

.........
আপসুস, সে চোর আর ভাল হয়নি। কতবার যে ধরা খেল। মাথা কামিয়ে দিল।
..............

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:২৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: আহারে!!! কেনো যে ওরা শোধরায় না!!!

২৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৫৭

মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন:
সুরঞ্জনা
আমি কেবলই স্বপন করেছি বপন বাতাসে---
তাই আকাশকুসুম করিনু চয়ন হতাশে।
ছায়ার মতন মিলায় ধরণী,
কূল নাহি পায় আশার তরণী,
মানস প্রতিমা ভাসিয়া বেরায়..

ভালো লাগে খুব কথা গুলো সুরঞ্জনা

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:২৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: সম্রাট, এটা আমার সব চাইতে প্রিয় গান। ভালোলাগা গানের ঝুলিতে অনেক গানই আছে। কিন্তু জানিনা কেনো এই গানটি বেশী ভালো লাগে।

২৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৫৪

বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: চোর ধরা পরলে আমি কখন কাছে যেতাম না। মার দিতে দেখতে ভাল লাগত না।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৫৫

সুরঞ্জনা বলেছেন: যখন দেখতে গিয়েছিলাম, তখন তো আমি শুধু চোরের গল্পই শুনেছিলাম, দেখিনি আগে। তাই......।

৩০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:০১

সকাল রয় বলেছেন:


কবি বৃষ্টি নিয়ে একটা কবিতা লেখ না।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৫৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: আমারো খুব ইচ্ছে বৃষতি নিয়ে কবিতা লিখি।
কিন্তু কবিতা লিখতে পারিনা। /:) /:) /:)

বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর, নদে এলো বান
শিবঠাকুরের বিয়ে হলো তিন কন্যা দান।
এককন্যা রাধেন বাড়েন, এককন্যা খান
আর এককন্যা গোসা করে বাপের বাড়ি যান।

আহ!!! এ রকম যদি লিখতে পারতাম।

৩১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:১২

মিআমি বলেছেন:
কয় দিন আগে আমার এখানে, মানে মার্কেটে এক বন্ধুর পকেট থেকে ম্যানি ব্যাগটা চোর নিয়ে, এক খাবারের দোকানে তা পারসেল নিয়ে ম্যানি ব্যাগটা সাইডে এক টিবিলে রেখে চলে যায়, তা একজন পেয়ে মোবাইলে ফোন করে।

আইডি সহ সব কিছু ঠিক আছে। শুধু লোকাল ১১৫ টাকা নাই।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০২

সুরঞ্জনা বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম।

৩২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:২৩

কথক পলাশ বলেছেন: এক পকেটমার ধরা পড়ার পর খুব করুন স্বরে বলছিল-"আমারে মাইরা ফেলেন, কিন্তু আমার বাচ্চাটারে একটু খাইতে দিয়েন। ৪দিন খালি মুড়ি খাইয়া রইছে আমার মায়ে।"

এটা শোনার পর আমিও ভাত খেতে পারিনি। শুধু মনে হয়েছে, শিশুটি অপেক্ষা করে আছে বাবা খাবার নিয়ে ফিরবে। আমার খারাপ লাগছিল ভেবে, যে, মার খাওয়া বাবা; তার কথা রাখতে পারবেনা।
আসলে আমরা খুব হৃদয়হীন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: কেউ চুরি করে অভাবে, কেউ করে স্বভাবে।
যে যেই ভাবেই করুক না কেন, মারধর পছন্দ করিনা।

৩৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:২৫

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: এই পোস্টে দেখি সবার নামই আছে খালি আমারটা ছাড়া .... X(( X(( X(( X(( X((

পড়ুম না.......আর এক লাইনও পড়ুম না X( X( X(

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:২৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: সেকি??? :-/ :-/ :-/
ছিলো তো তোমার নাম। গেলো কই????

নির্ঘাত ইন্দুরে খেয়ে ফেলেছে। এতো
দিন ধরে নামের মালিক এসে খোজ
করেনি তো, তাই নিজের মনে করে
খেয়ে ফেলেছে। কি আর করা......।

৩৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৫৭

পুরাতন বলেছেন: ভালো লাগলো :)

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:২৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ পুরাতন।

৩৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০৫

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন:
সন্ধ্যায় হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হলো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঝড় হয়নি। বাসায় মেহমান এসেছে বিস্কুট, চিপস, বুরুন্দি নিয়ে, খাইলাম। বাইরে গেছিলাম একটা সিম (সাবসক্রাইবার.....) কিনতে, পাইলাম না। আজ আবার চার্জারে চার্জ নাই। ওদিকে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে দুই কলম লেখার কথা ভাবতেছি কয় দিন ধরে, কিন্তু হচ্ছে না....................

যাই হোক, আপনার খবরাখবর কি বলেন? অনেকদিন আপনার সাথে গল্প করা হয় না। আসেন কয়টা সুখ দুঃখের কথা কই........

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৩২

সুরঞ্জনা বলেছেন: আরে আর বইলেন না। ইমুন তুফান আইলো, এক্কেরে কারেন কুরেন গিয়া। মিজাজ মুজাজ বিলা কইরা দিলো।
কারেন আইলো ভাত খাইলাম, খাওয়াইলাম, এইটা দাও, ওইটা দাও, সব শেষ কইরা তাপ্পরে বইলাম।

আপ্নে আছেন্নি ভালা?

৩৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১১

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: হায়! হায়! আপু, আমি এতো পরে এলাম!

আমার ছোট বেলায়ও এইসব চোররা ছিল, এখন সম্ভবত নেই। আমি এখানে একেবারে অন্য চোরের কাহিনী বলি : কয়েকটি ছেলে মিলে গাছ থেকে নারিকেল চুরি করেছে, কীভাবে যেন ধরা পড়েছে, অনেক ছোট বেলায় তো মনে নেই; তো, বিচার বসেছে, আমদের গ্রামে বলে 'সালিশি'। সালিশির মধ্যে এক পর্যায়ে এক ছেলের বাবা তার ছেলেকে পয়ের ছেন্ডেল খুলে কয়েকটা পিটান দিল, 'তুই আমার মান-ইজ্জত...' রাতে, তখন তো আবার কারেন্ট ছিল না; দেখা গেল ঐ ছেলে তার ছেলে না, এমনকি যে ছেলেরা চুরি করেছে তাদের দলেরও না। কী কেলেংকারী! তারপর সেই বাবা মাফ টাফ চাইলো। এরপর এই নিয়ে অনেক হাসাহাসি হয়েছে।

ওরা আসলে কেউই মূলম চোর ছিল না, যারা নাইন/টেনে পড়ে, এরকম বয়সি ছেলেরা মিলে খেজুরের রস চুরি করে খেত; আবার রস, নারিকেল, নিজের ঘরের চাল চুরি করে রাতে নদীর সাইডে বা কোথাও বসে শিন্নি রান্না করে খেত; দেখা যেত, বন্ধুদের নিয়ে নিজেদের গাছের রস বা নারিকেল চুরি করতো। এ ছিল এক আনন্দের, আমরা যারা পিচ্চি ছিলাম আমাদের কাছে ওরা ছিল হিরো, আমারো খুব মন চাইতো ওরকম করতে, কিন্তু করা হয় নি।

এই চোররাও এখন আর সম্ভবত নেই, আমার মনে হয় এরা থাকলে ভাল হতো; এই যে প্রাণ, সরলতা, পারস্পিরক বন্ধন... থাকলে ভাল হতো; যান্ত্রিক নয়, এই পৃথিবী মানুষের পৃথিবী হয়ে উঠতো।

ভাল থাকবেন আপু।

২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:২৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: হুম ঠিক বলেছো। আমার মা ওদের কে প্রশ্রয় দিয়ে বলতেন,
আহা! গাছের ফল-পাকুর ছেলে-পিলেরা না বলে নিলেও চুরি হয়না। কিন্তু আমাদের কড়া ভাবে নিষেধ করতেন যেন কখনো
অন্যের জিনিস না বলে হাতে না নেই।
সত্যি দিন কত বদলে গেছে, নাকি আমরাই বদলে গেছি?
কে জানে!!!

৩৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৫:১০

ধীরে বৎস বলেছেন: এরকম খানদানি চোর আর দেখাই যায়না,আপসুস

২০ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:০০

সুরঞ্জনা বলেছেন: সত্যি আপসুস!!!

৩৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫৬

বাবুনি সুপ্তি বলেছেন:

২০ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:০২

সুরঞ্জনা বলেছেন: কি হলো গো সুপ্তিমনি? খবর কি তোমার?

৩৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৩৪

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: আমার ঘুম পাতলা। :)

২০ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:০৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: আমারো তাই। খুব কম ঘুম ঘুমাই আমি।

৪০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৩৮

সুবিদ্ বলেছেন: আমি খুব ছোটবেলায় একবার দেখি আমাদের বাসান দরজার পাশে টিন কেটে একটা কালো হাত ঢুকছে, আমি দম বন্ধ করে তাকিয়ে আছি.......হয়তো কিছুটা ভয়ে, কিছুটা সোৎসাহে যে দেখি কী হচ্ছে........কিন্তু আম্মার ঘুমই বোধহয় আগে ভেঙ্গে যায়........আর চোর বেচারাকে দে দৌড় দৌড়াতে হয়........

আরেকটা মজার কথাবলি........আমাদের ব্লগার হাসান মাহবুবদের http://www.somewhereinblog.net/blog/Paranoid নিচতলায় গতবছর দিনেদুপুরে চুরি হয়, এরপর ও আমাকে দারুন এক sms পাঠায়......."thief came, grill cut, stole many things" :)

২১ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৫০

সুরঞ্জনা বলেছেন: হা হা হা হা
মজার তো...।

৪১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:২৩

চতুষ্কোণ বলেছেন: চোর নিয়ে খুব ছোটবেলার একটা স্মৃতি আছে। খুবই ঝাপসা।কিন্তু মাঝে মাঝে মনে পড়ে যায়। ঐ ঘটনায় অবশ্য আমি বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সারা রাত ঘুমাতে পারি নি। লেখাটা ভলো লাগলো।

২১ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৫১

সুরঞ্জনা বলেছেন: ঘটনাটা লিখে ফেলুন। আমরাও জানি।

ভালো থাকবেন।

৪২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৫৯

সহেলী বলেছেন: এইসব , সেই সব চোরদের জন্য মায়া লাগছে !

২১ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:২৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: লেখাটা যখন লিখি, তখন ভেবেছিলাম, সবাই বেশ মজা পাবে।
এখন দেখছি, সবার মনটা খারাপ করে দিচ্ছি, সাথে নিজেরো।

ভালো আছো সহেলী? খুব ভালো লাগলো তোমায় দেখে।
কারেন্ট ছিলোনা। মোবাইলে তোমার লেখা দেখলাম। এখন
যাচ্ছি তোমার বাড়ি। অনেক ভালো থেকো।

৪৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৩১

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি অনেক ভাল লিখেন- সেকথা আমি আপনার অনেকগুলো পোস্টে পুর্বের মন্তব্যে বলেছিলাম। এই পোস্টেও আপনি আপনার "চোর কাহিনী" ওপুর্ব সুন্দর ভাবে বর্ণনা, উপস্থাপনা করেছেন!

চোর নিয়ে আমারো অল্প বিস্তর সৃতি কথা মনে পরে গেলো। আমার ছোট বেলা কেটেছে নিদারুন কস্টে। যেহেতু আমার জন্মের সময়ই আমার মা মারা যান-তাই আমার আর বুবুর স্থায়ী থাকার যায়গা খুব বেশী ছিলনা। কখনো মামা বাড়ি, কখনো চাচা বাড়ি, দাদা বাড়ি করেই কাটাতে হয়ে দীর্ঘ সময়। আমার বয়স যখন ৫/৬ বছর তখন আমি আমার বুবুর সাথে মামা বাড়ী যাই। তখন শীত কাল। মামাদের উঠোন ভর্তি ধানের স্তুপ। রাতের বেলা কাজের লোকেরা খড়-কুটা জ্বালিয়ে উতসব করছে। আমি দাঁড়িয়ে ওদের উতসবে অংশ নিয়েছিলাম। এমন সময় বাড়িতে ডাকাত পরে। প্রান ভয়ে যে যার মত করে দে ছুট... আমি ছোট বলে দৌড়াতে পারিনি। সবাই যারযার ঘরের দড়জা বন্ধ করে দিয়েছে। আমার কিশোরী বয়সী বুবু আমার নাম ধরে চিতকার করে আমাকে ডাকছে। কিন্তু কেউ ওকে দড়জা খুলে বের হতে দিচ্ছেনা। আমিও ভয়ে কান্না করছিলাম। তখন এক "দশা সই" চেহারার ডাকাত আমাকে কোলে করে ঘরের দড়জায় রেখে দেয়! ডাকাতদল বাড়ির বড় বয়সী সকল পুরুষদেরকেই পিটুনি দিয়েছিল-আমি বাদ পরেছিলাম!

বছর দশ পুর্বের কথা।ঐদিন ছিল কোনো একটা উতসবের রাত(যতদুর মনে পরে পুঁজার অনুষ্ঠান ছিল)। ধানমন্ডি লেকে রাতেও মানুষজন বোটিং করছে। আমার স্ত্রী সন্তানেরাও লেকের পাড়ে গিয়ে ঐ অনুষ্ঠান দেখছে। জোতস্না রাতে আমি জানালায় বসে লেকের উতসব দেখছি। এমন সময় আমার জানালায় এক চোর একটা লাঠী দিয়ে টেনে টেনে রুমের ভিতর থেকে একটা একটা করে কাপড় নিয়ে যাচ্ছে! আমি রিভলভার বের করেছি-চোরকে গুলি করার জন্য! আমি অনেক্ষণ যাবত দেখলাম-চোর একটা একটা করে সব কাপড় বের করে নিয়েছে-কিন্তু আমি কেনো জানিনা ওকে গুলি করতে পারিনি!

+

২৯ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: মানুষ মানুষের জন্য এ কথাটি আপনার মনে আছে বলেই আপনি গুলি করতে পারেননি।
আর যে ডাকাতটি আপনার সাথে ভালো ব্যবহার করেছিলো, তার বেলাতেও এ কথা খাটে।
আমরা মানুষের খারাপ কাজ কে ঘৃনা করবো, মানুষকে নয়।
আপনার মা, হারানোর কথা আমি জানি, খুব কষ্ট পেয়েছিলাম জেনে। আজও খুব খারাপ লাগলো।
দোয়া করি আপনি আর আপনার বুবু অনেক অনেক ভালো থাকুন।

মাতৃহীন আপনার, বুবুর বেড়ে উঠা, আজ এই অবস্থানে আসা......লিখুন না ভাইয়া আপনার ছেলেবেলার কথা। হয়তো ভাববেন, নিজের কষ্টের কথা অন্যকে জানিয়ে কি লাভ।
লাভ আছে ভাইয়া, আজ যে সব সন্তানেরা মা, বাবাকে পেয়েও তাদের মর্ম বোঝেনা, তারা অন্তত জানুক মাতৃহারা আপনার চাইতে তারা কত সৌভাগ্যবান/বতী। আমার কথাটা ভেবে দেখবেন। প্লিজ! প্লিজ! প্লিজ!

৪৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:২৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার বুবুও নেই। সৎ মায়ের কাছে বুবু আর আমি খুব অমানবিক ভাবে বেড়ে উঠছিলাম... বুবুকে সেই নির্মমতা থেকে রক্ষা করতেই বাবা বুবুর বিয়ে দিতে রাজী হয়েছিলেন। বুবুর বিয়ে হয়েছিল খুব কম বয়সে। বুবু প্রথম সন্তানের জন্ম দিতেগিয়ে আমার মায়ের পথ ধরেন...। তখন আমি এইচ এস সি পরীক্ষার্থী......

৪৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:১০

সুরঞ্জনা বলেছেন: ভাইয়া ভাইয়া ভাইয়া~~

আমি না বুঝে আপনার ক্ষত-স্থানে আঘাত করেছি। আমায় মাফ করে দিন ভাইয়া।
এই যে হৃদয়ে রক্তক্ষরন, সব কষ্ট বর্ণমালায় সাজিয়ে ফেলুন। কষ্ট অনেক কমে যাবে।
জীবন এমন কেনো হয়?

৪৬| ০১ লা মে, ২০১০ দুপুর ১:০১

নীল-দর্পণ বলেছেন: গ্রামে গেলে খুব ভয় লাগে। চোর-ডাকাতের ভয়ে ঘুম আসেনা

২৪ শে মে, ২০১০ রাত ৮:০৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: আগেকার দিন হলে বলতাম, ভয় পাওয়ার কি আছে? কিন্তু এ যুগে আর ওটা বলা যায়না। কারন এখনকার চোর ডাকাতরা আর নিরিহ হয়না। ওদের কাছে মানুষের প্রানের কোনো মূল্যই নেই। অবশ্য আজকালকার দিনে ক'জনের কাছেই বা মানূষের মূল্য আছে।
অনেক ভালো থেকো।

৪৭| ২৪ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫১

ফুল পরী বলেছেন: আমি যখন স্কুলে পড়ি, মনে হয় সিক্সে দুপুরবেলা আম্মু ঘুমাচ্ছে আর আপুরা সব কোচিং এ গেছে। আমি একা একা খেলছিলাম বারান্দায়। একটা চোর এসে বারান্দায় শুকাতে দেয়া আম্মুর জর্জেটের শাড়ি টান মারতেই দেখে আমি চোখ বড় বড় করে দেখছি!

তারপর অবশ্য চোরটার সাথে আমার খুব ভাব হয়ে গেছিল। চোরটা শাড়িটা নিয়ে গেল (তার খুব দরকার ছিল নাকি!).....আমি কিন্তু কাউকে কিচ্ছু বলিনি:)

২৪ শে মে, ২০১০ রাত ৮:০৫

সুরঞ্জনা বলেছেন: তোমার সামনেই শাড়ীটা নিয়ে গেলো? অবশ্য পরীরা তো লক্ষী হয়, তাই কিছু বলিনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.