![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেবলই স্বপন করেছি বপন বাতাসে--- তাই আকাশকুসুম করিনু চয়ন হতাশে। ছায়ার মতন মিলায় ধরণী, কূল নাহি পায় আশার তরণী, মানস প্রতিমা ভাসিয়া বেরায় আকাশে। কিছু বাঁধা পড়িল না কেবলই বাসনা-বাঁধনে। কেহ নাহি দিল ধরা শুধু এ সুদূর-সাধনে। আপনার মনে বসিয়া একেলা অনলশিখায় কী করিনু খেলা, দিনশেষে দেখি ছাই হল সব হুতাশে।।
অনেক দিন ব্লগ থেকে দূরে ছিলাম। সেই বছরের প্রায় শুরু থেকে। আনন্দ, বেদনার জালে জড়িয়ে গিয়ে ব্লগের নেশাটা প্রায় ছুটেই গিয়েছে। রোজই ভাবি, কাল ইন-শা-আল্লাহ লিখবো। কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনা। একে তো আমি চরম আলসে! কুড়েমির কারনেই আমার এই দশা।
ফেব্রুয়ারীর ৯ তারিখে ব্লগার মামুনের বাসায় দুপুরের আমাদের চরম আড্ডা ও খাওয়া-দাওয়া ছিলো। আড্ডাটার লোভে বাসা থেকে খেয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। পরদিন সারাদিন জানার সাথে আড্ডা, আলাপ, মিটিং সব করে ঘরে ফিরে সামুতে একটি পোস্টও লিখে ফেললাম। ১২তারিখ সকালে মেয়ে ফোনে ভয়ে ভয়ে বলে " মা আপনি তাড়াতাড়ি খেয়ে নেন, দুপুরে ক্লিনিকে ভর্তী হতে হবে"। দিলাম ঝাড়ি! কিন্তু ঠিকই তার কথা মত ক্লিনিকে গেলাম। সার্জন আমায় হড়বড় করে বল্লো, " আপনার ব্লাডে ইনফেকশন আছে তাই এন্টিবায়োটিক শুরু করছি, আর রাত ১০টায় অপারেশন করবো। গলব্লাডার ছোট্ট অপারেশন, ভয়ের কিছুই নেই। আমি বললাম, আমার কিন্তু অনেক এন্টিবায়োটিক কাজ করেনা। কালচারটা করিয়ে নিন। ব্লাড টেষ্টে দেয়া হলো যখন আমি ক্লিনিকে ভর্তী হই, তখন আমার রক্তে সোডিয়াম, পটাসিয়ামের ইনব্যালেন্স ছিলো। একটি স্যালাইন পুশ করে ডাক্তার বললেন, " আমি রাত ১০টায় অপারেশন করবো"। এদিকে ক্লিনিকে ওটিতে অপারেশন-রত অন্য ডাক্তাররা আমার ব্লাড রিপোর্ট দেখে বলছিলো এমন ইনব্যালেন্সে কি করে রুগীকে অজ্ঞান করা হবে? এটা তো অসম্ভব! যিনি এনেস্থিয়া করবেন তিনি আমার পরিচিত। সেই ডাক্তার এলেন কেবিনে। বিভিন্ন প্রশ্ন করলেন, তারপর বললেন ওকে! রাতে অপারেশন হবে। আমি বললাম, কিসের অপারেশন? জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে ডাক্তার আমার দিকে তাকালেন। আমি বললাম, " আমার ইলেক্ট্রোলাইড রিপোর্ট দেখে কি করে বলছেন অপারেশন হবে। আমি তো অপারেশনের জন্য রেডী নই"। এমন সময় সার্জন এসে ঢুকলেন। ডাক্তার সার্জনের দিকে তাকিয়ে বললেন, "রুগী তো এখন অপারেশনে রাজী নয়। সার্জন ভুরু কুঁচকে আমার দিকে তাকালেন। মনে মনে বললাম, " যতই ভুরু কুঁচকে তোমার বিরক্তি দেখাওনা ক্যানো, বিনি পয়সায় তো আমার অপারেশন করবেনা, ঝুকি নিয়ে আমি ক্যানো অপারেশনে রাজী হবো"? মুখে বললাম, আমার সোডিয়াম, পটাসিয়াম নরম্যাল হোক তারপর আমি অপারেশন করাবো। মুখে কোনো কথা না বলে বিরক্তি মুখে ছড়িয়ে কাধ ঝাকিয়ে সার্জন রুম থেকে বের হয়ে গেলেন। অবশেষে ১৩ তারিখ রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ওটিতে ঢুকলাম। পোস্ট-অপারেটিভে থাকা কালিন আমার সুগার কি কারনে হঠাৎ হাই হয়ে গেলো। ডিউটি ডাক্তার সার্জনকে ফোনে জানালে তিনি ১০ সিসি ইনসুলিন আমার সেলাইনে পুশ করে দিতে বললেন। আমি ডায়াবেটিসের পেশেন্ট নই, ইনসুলিন দেয়া হয়েছে এটা আমাদের জানানো তাদের উচিত ছিলো। সকাল ৯টার দিকে আমায় কেবিনে আনা হলো। কুম্ভকর্ন লাল টকটকে প্রিন্টের একটি সার্ট পরে রুমে ঢুকলো। আমি আবছা ভাবে তাকে দেখলাম। আমার হাতে লাল গোলাপের কুড়িটি দিলো। তখনও আমি আচ্ছন্ন। ভালোবাসা দিবসের এই স্মৃতিটি মেয়ে আমার মোবাইলে ধরে রাখলো। বাবা, মেয়ে খুব আস্তে আস্তে কথা বলছিলো। ভেবেছিলো আমি ঘুমিয়ে আছি। হঠাৎ আমি জোরে মেয়েকে ডেকে বললাম, আমার কিছুই ভালো লাগছেনা, খুব অস্থির লাগছে। বমি বমি করছে। মেয়ে বল্লো, কাল থেকে কিছু খান নি, এ জন্য হতে পারে। হঠাৎ অনুভব করলাম, আমার পায়ের দিক থেকে আস্তে আস্তে অবশ হয়ে যাচ্ছে, আমার শরীর পাখীর পালকের মত হালকা হয়ে কোথায় যেনো ভেসে যাচ্ছে। আমি বললাম, ডাক্তার ডাকো। মেয়ে ছুটে বেরিয়ে গেলো। তার বাবা কিংকর্তব্য বিমুড় হয়ে বসে থাকলো। ডাক্তার এসে সুগার মেপে দেখে ২ পয়েন্টেরও নিচে। তার মানে আমার হাইপো হয়েছে। আর তখনই জানলাম আমায় ইনসুলিন দেয়া হয়েছিলো। চল্লো যমে মানুষে টানাটানি। কুম্ভকর্ণ বার বার বলছিলো, মিষ্টির রস খেতে দাও ঠিক হবে। কে শোনে তার কথা! গ্লুকোজ ডাইরেক্ট ঢুকিয়ে দিলো হাতের শিরায়। হাত ফুলে ঢোল! সুগার একটু বাড়ে, এক ঘন্টা পরে আবার ২/৩ এ নেমে আসে। এদিকে ফোনে ছেলে, আত্মিয়-স্বজন সবাই ডাক্তারের পিন্ডি চটকাতে শুরু করলো। ছেলে তো ডাক্তারের ঠিকানা চেয়ে বার বার ফোন করতে লাগলো। ( বন্ধুদের দিয়ে ঠ্যাঙ্গানি দেওয়াবে বলে) তাকে অনেক বুঝিয়ে শান্ত করা হলো। অবাক হয়ে গেলাম! সেই সার্জন কিন্তু অপারেশনের পরে একবারও আমাকে দেখতে আসেন নি। কল করা স্বত্তেও আসেন নি। অপারেশনের পরে একবার রুগীকে দেখে যায় প্রায় সব ডাক্তারই। কিন্তু উনি সেটাও করেন নি। একদিন পরে আবার আরেক উপসর্গ শুরু হলো। ব্লাড-প্রেশার কমতে শুরু করলো। কমতে কমতে ৬০/৪০ এ যখন এলো তখন আমার মায়ের শেষ সময়ের কথা মনে পড়েছিলো। ডিম, কফি, খাবার খেতে খেতে আমি ক্লান্ত! বিরক্ত হয়ে শেষে বললাম, " আমাকে বাসায় যেতে দাও। আমি চলাফেরা করলে, নিজের ঘরে সুস্থ থাকবো। একরাশ তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ঘরে ফিরে এলাম। কেলেন্ডারের পাতা তখন ফেব্রুয়ারীর ১৮ তারিখ।
৩০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
সুরঞ্জনা বলেছেন: হ্যা গো কইন্যা! খুবই ভয়াবহ অবস্থা গিয়েছিলো।
হা হা হা! কইন্যা তো বুবুর মত হবেই।
আমিও কত লেখা অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে ড্রাফটে।
বুবু তো বুড়ি হয়েছি। তুমি এমন করলে কি হবে?
জলদি জলদি একটা পোস্ট দিয়ে দাও দেখি টুনটুনির মা!
২| ৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুরঞ্জনা,
বিরতির পরে ব্লগে ফিরে আসাতে ভালো লাগলো । যদি ও আমি আপনার নিয়মিত পাঠক নই তবুও একজন সহ ব্লগার হিসেবে আপনার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার ঘটনাটিতে সমব্যথী ।
ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন , রাখুন সতেজ সারাটি সময় ।
ভালো থাকুন....
৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:১৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আহমেদ জী এস।
আমরা তো একই পরিবারের সদস্য। একে অন্যের দুখে সমব্যাথী। এই বোধটি সকল ব্লগারের মাঝেই কামনা করি।
আপনার জন্য শুভেচ্ছা নিরন্তর!
৩| ৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
মামুন রশিদ বলেছেন: সুরঞ্জনা আপুর লেখায় অধমের নামটা দেখে আনন্দে কয়েকটা লাফ দিতে ইচ্ছে করছে । যদিও সেদিন আপনাকে খাওয়ানোর সৌভাগ্য আমাদের হয়নি । তবে কথা ছিলো যখনই অপারেশন হয়, জানবো । জেনেছিলাম, অপারেশনের পর আপনি সুস্থ হয়ে ফেবুতে যখন স্ট্যাটাস দিলেন । যাক উপরওয়ালার কৃপায় আপনি সুস্থ হয়ে ফিরেছেন, এটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে আনন্দের কথা ।
ইদানিং আপুকে ব্লগে খুব মিস করছিলাম, জুন'আপু একটার পর একটা পোস্ট দিচ্ছিলো । ভাবছিলাম সুরঞ্জনা আপু থাকলে কত মজা হতো । ভালো থাকুন আপু সব সময়, শুভকামনা জানাই নিরন্তর ।
৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২০
সুরঞ্জনা বলেছেন: ভাই মামুন, সেদিন ও তারপর দিন তোমাদের সাথে কাটানো সময়ের স্মৃতি আমার আ-জীবন মনে থাকবে। বিশেষ করে তোমার লক্ষী, অত্যন্ত আন্তরিক মনের বউটি ও মিষ্টি দুটি মেয়ের কথা। একদিন হুট করে আবার হাজির হবো, দেখো!
অপারেশনের কথা আগে জানাতে কেনো পারিনি পোস্ট পড়ে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছো।
জুনের ক্রমাগত তাগাতেই এই পোস্ট দেয়া সম্ভব হয়েছে।
অনেক অনেক ভালো থেকো তোমরা।
শুভেচ্ছা নিরন্তর!
৪| ৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: দোয়া করি আপ্নার অসুস্থ্যতা কেটে যাক ।
৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২১
সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ঘুড্ডির পাইলট।
৫| ৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: শুভ কামনা এবং চার নম্বর।
৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২২
সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাইয়া।
৬| ৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
মায়াবতী নীলকন্ঠি বলেছেন: সুসাস্থ্য ও শুভকামনা রইলো
৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা মায়াবতী নীলকন্ঠি।
৭| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২০
জুন বলেছেন: সুস্থ হয়ে ফিরে আসো জলদি।
অনেক মিস করি তোমাকে সুরঞ্জনা ।
৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২৪
সুরঞ্জনা বলেছেন: আল্লাহের অশেষ রহমতে সুস্থ হয়েছি জুন।
আর তোমার ঠেলাতে ঠিকই দেখো সামুতেও হাজিরা দিয়েছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ বন্ধু!
৮| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:০৩
সায়েম মুন বলেছেন: আপুর অনেক দুরাবস্থা গেছে। আশা রাখি এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সব সময় সুস্থ থাকুন এটাই কাম্য।
৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:২৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: আরো রয়েছে বলার বাকি!
দোয়া রেখো ভাই।
ভালো থেকো।
৯| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:১২
আরজু পনি বলেছেন:
পড়তে পড়তে বুকের মধ্যে হিম ধরানো ভয় লেগে যাচ্ছিল!
অনেক শুভকামনা রইল।।
৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:২৮
সুরঞ্জনা বলেছেন: দোয়া কোরো আরজু মনি।
অনেক অনেক ভালো থেকো।
১০| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২৩
মোঃমোজাম হক বলেছেন: ফিরে আসায় আনন্দিত হলাম।আপনার ড্রাফটে থাকা লেখাগুলি পোষ্টে দিয়ে দিন।
ডাক্তারদের কর্মকান্ডে আমিও ভীত হলাম।ওদিকে না যাওয়াই ঊত্তম
৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩০
সুরঞ্জনা বলেছেন: এদেশের ডাক্তারদের কাছে যাওয়া মানেই জবাই হওয়া।
সাধে কি ঐ দিকে যায়রে ভাই।
কত অভিজ্ঞতাই যে হলো এ কয় মাসে।
আস্তে আস্তে সব লিখবো ইনশাল্লাহ!
অনেক ভালো থাকবেন।
১১| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: দোয়া রইলো!!
৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩১
সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!
শুভ কামনা।
১২| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:২৬
রেজোওয়ানা বলেছেন: তোমাকে দেখে ভাল লাগছে সুরাপু!
আর যেও না.......
৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩২
সুরঞ্জনা বলেছেন: সাধে কি আর যাইরে আপু?
সময় আমায় পিঞ্জরে বন্দী করে যে!
১৩| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
জুন বলেছেন: @ মামুন রশিদ আমার একটার পর একটা পোষ্টের জালা যন্ত্রনা সহ্য করার জন্য শরমিন্দা আর ক্ষমাপ্রার্থী
৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: জুন, মামুন বোঝাতে চেয়েছে আমরা দুজন একসাথে থাকলে তার ভালো লাগে। তুমি পোস্ট দিচ্ছো আর সেই পোস্টে আমি কমেন্ট (খোঁচানি) নেই, ওর কাছে বোধহয় সেটা আলুনি ঠেকেছে।
ভুল বোঝা বুঝির অবসান হোক।
১৪| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
মামুন রশিদ বলেছেন: আমি কি কই, আর আমার জুন'আপু কি বোঝে
আপু পর পর কয়েকটা চমৎকার পোস্ট দিয়ে আপনি আমাদের কিছুদিন মাতিয়ে রেখেছিলেন । আপনার পোস্টগুলো খুব উপভোগ । আর আপনি হয়ত জানতেন না, আপনার আর সুরঞ্জনা আপু'র মাঝে চমৎকার খুনসুটে সম্পর্কটা আমরা জানি ।
অসুস্থতার জন্য সুরঞ্জনা আপু ব্লগে আসছিলেন না । আপনার পোস্টে সুরঞ্জনা আপুর খুনসুটে মজার মজার মন্তব্য এবং আপনাদের মজার কনভার্সেশন গুলো মিস করছিলাম । এই মিস করাটাই হয়ত আমি পরিষ্কার করে বুঝাতে পারিনি । আমার মন্তব্যটি ডাবলমিনিং হয়ে আপনাকে কষ্ট দিয়েছে । এটা আমার ভাষাগত সীমাবদ্ধতা আপু, কোনভাবে অন্য কিছু নয় ।
প্রিয় জুনাপু ওরফে জোনাকি আপু নিশ্চয়ই এবার ছোট ভাইটির উপর ভুল বুঝে থাকবেন না ।
৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: লেডী ইবনে বতুতা ২/৩ মাস ধরে ঘরে বন্দী তো তাই মাথা গরম হয়ে সব কিছু উল্টা-পালটা বুঝছে।
আশা করি ভুল বুঝাবুঝির অবসান হবে।
১৫| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
জুন বলেছেন: আমি কি ছাগল নাকি মামুনের এই সাধারন কথাটা বুঝবো না সুরঞ্জনা
মামুনের মন্তব্যে আমিও একটু মজা করে গিয়েছি
হু লেখতে থাকো আবার গ্যালারীতে বইসা পইরোনা
আর মামুন @ আমি অনেক বুদ্ধিমতী :#> এই কথা আমার ব্লগে লেখা আছে পইড়া আইসো ভাঈয়া
ইতি তোমার জোনাকি পোকা আপু
৩১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: যাক! বাবা বাঁচা গেলো! ভুল বোঝাবুঝির গাড্ডায় কেউ পড়েনি।
তোমার যে অ--- নে---ক বুদ্ধি তা আমরা জানি!
এই জন্যই তো ফেবুর এক পোস্টে কমেন্ট করছো, জীবনটাকে সিনেমার মত......... তুমি করতা!
১৬| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
মামুন রশিদ বলেছেন: লেখক বলেছেন: লেডী ইবনে বতুতা ২/৩ মাস ধরে ঘরে বন্দী তো তাই মাথা গরম হয়ে সব কিছু উল্টা-পালটা বুঝছে।
উপরের মন্তব্যের জন্য আমি দায়ি নই
টু প্রিয় জোনাকি আপু, (অবশ্যই আমার কোন পোকা আপু নেই)
৩১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
সুরঞ্জনা বলেছেন: লেডী বতুতাকে তুমি ঘুর্ণী পোকা বলতে পারো মামুন।
১৭| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
জানা বলেছেন:
পোস্ট পড়ে গা হিম হয়ে গেল আপু! (যদিও সেই সময় আমি বাইরে যাবার আগে তোমায় একবার ফোনে পেয়ে কিছুটা জেনেছিলাম)
ডাক্তারদের এইসব কান্ডজ্ঞানহীনতা নতুন নয়, তবে এই অবস্থা ক্রমশঃ বাড়ছে। কখনও কখনও ডাক্তার(!!)দের কাছে রোগী যেন ছোট বেলার সেই বিজ্ঞান ক্লাশে 'এসো করে দেখি' র 'জিনিষ পত্র'- ব্যাঙ, তেলাপোকা!!!
মায়ের জান নিয়ে ডাক্তারদের এই খেলার কথা জেনে দূরে থাকা ছেলে-মেয়ের কি হয় বুঝতে পারি! সত্যি সত্যিই ডাক্তারকে ধরে খানিকটা মনে রাখরার মত ধোলাই দেয়া দরকার ছিল। সার্জারির পর অঘটন ঘটিয়ে যে সার্জন একটিবার রোগীকে দেখতে আসারও দরকার বোধ করেন না, তার জন্য 'ধোলাই' অপরিহার্য ছিল।
আশা করি এখন ভাল আছো আপু। তোমাদের সাথে কাটানো ফেব্রুয়ারীর সেই অপূর্ব সময়টুকু মনে থাকবে। নিজেকে যত্ন নিও যাতে ঐসব ডাক্তার 'যম'দের চেহারা দেখতে না হয়।
৩১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪
সুরঞ্জনা বলেছেন: আর বোলনা গো জানু জানা! ছেলে আমার ঠিকই এসে হাজির হয়েছিলো। সে আরেক কান্ড!
পরের পর্বে লিখছি সেসব।
সত্যি খুবই খারাপ লাগে এসব পবিত্র পেশার মানুষগুলোর এমন পিশাচ চেহারা দেখে। আর মুষ্টিমেয় কিছু পিশাচের কারনে এ পেশার সব মানুষকেই আমরা সন্দেহের চোখে দেখি।
লাইসেন্স বাতিলের যে আইন আছে, তার প্রয়োগ যদি একটি বার এ দেশে হোত তবে এ ধরনের ঘটনা অনেক কমে যেতো বলে আমার ধারনা। আসলে গোড়াতেই তো গলদ।
দোয়া কোরো আপু সোনা।
কিণ্ণরী পরীকে নিয়ে তোমরা অনেক অনেক ভালো থেকো।
১৮| ৩১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: কঠিন অবস্থা!!দোয়া করি,আপনি সূস্থ থাকুন,এবং আমাদের সাথেই থাকুন
৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:০১
সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা শুকনোপাতা০০৭।
১৯| ৩১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই অবস্থা হইসিল আপনার! ভয়ানক। তারপরেও যে এমন গুছিয়ে লিখছেন, ভালো লাগছে দেখে। সুস্থ এবং এমন প্রাণোচ্ছল থাকুন আরো দীর্ঘকাল।
৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:০৪
সুরঞ্জনা বলেছেন: হিহ! আমি বলে খালি উন্দাল নিয়া থাকি?
আসলেই ভয়াবহ অবস্থা কাটিয়ে উঠেছি।
পোস্ট পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ হামা।
শুভ কামনা সতত।
২০| ০২ রা জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৪৭
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: রান্নাতো আপা,
এ যে দেখছি ভয়ানক ব্যাপার। রোগ বালাই ফেস করতে যেয়ে দেখি আপনি নিজেও অনেক জেনে ফেলেছেন।
যাই হোক, ভাল থাকুন এই দোয়া করি।
৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১০
সুরঞ্জনা বলেছেন: আসলে কম জানাটাই ভালোরে ভাই।
আপনিও ভালো থাকবেন।
২১| ০৩ রা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪
নীল-দর্পণ বলেছেন: তখনকার ছবি দেখেছিলাম ফেবুতে। ঘুমিয়ে (হয়ত জ্ঞান ছিলনা তখন) আছেন হাতে এক গোছা ফুল। চেহারা দেখে খুব খারাপ লেগেছিলো আবার ফুলটা দেখে ভাল লেগেছিলো
৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: হ্যা নীলু, কুম্ভকর্ণ যখন ফুল এনে হাতে দিয়েছিলো তখন আমি কোমার পথে। মেয়ে তো তা বুঝতে পারেনি, হাতের কাছে আমার মোবাইল ছিলো, সেটাতেই সেই মুহুর্তটি বন্দী করে এফবিতে দিয়েছিলো। দেয়ার পর তার মনে হয়েছে যে এটা তো মায়ের ওয়ালে চলে গেলো।
২২| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৫
নীরব 009 বলেছেন: আপু এই অবস্থা ছিল? এখন জেনে কেমন গিল্টি ফিল হচ্ছে। ফেসবুকে তো মাঝে মাঝে আপনাকে দেখি, ব্লগে আসা হয় না। জানিও না ঠিক। যাই হোক, আপনি ভাল থাকুন অনেক অনেক। শুভ কামনা সব সময়ের জন্যে
৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: সিলেটে আছো তো এখনো? একবার বাসায় এসে ঘুরে যাও। তোমার কাছা কাছিই তো থাকি।
২৩| ১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: সুস্থ হয়ে উঠুন
আল্লাহর কাছে এই দোয়া
৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: তুমিও ভালো থেকো বৃভেস।
২৪| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৯
শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
সুস্থতা কামনা করছি।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২২
সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাহরিয়ার রিয়াদ।
২৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:১১
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: কি বিপদ
ডাক্তার এত অমানবিক হয় কি করে ?
এই ডাক্তারকে মামলায় ঝোলানো উচিত
সুস্থ মত ব্লগে আবার ফিরেছেন দেখে স্বস্তিবোধ করছি
২৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:১২
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: কি বিপদ
ডাক্তার এত অমানবিক হয় কি করে ?
এই ডাক্তারকে মামলায় ঝোলানো উচিত
সুস্থ মত ব্লগে আবার ফিরেছেন দেখে স্বস্তিবোধ করছি
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কি ভয়ংকর অবস্থা গেছে তোমার বুবু! যাহোক আল্লাহর অশেষ রহমতে সুস্থ হয়ে উঠেছো।

আমারও তোমার মতই দশা। রোজ ভাবি আজকে কিছু লিখবো। কিন্তু এমন আলসেমি লাগে! লগ ইন করতেই আমার আলসেমি, লেখাতো অনেক দূরের কথা। আমার অবস্থা আরও খারাপ। কারণ আমি শুরু করে রেখে দিই। এমনি করে তিন-চারটা লেখা জমে গেছে। আজকে তোমার পোস্ট দেখে লগ ইন করলাম।
ভাল থেকো বুবু।