নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ মানুষের জন্য...

. আমার নাইবা হলো পারে যাওয়া...

সুরঞ্জনা

আমি কেবলই স্বপন করেছি বপন বাতাসে--- তাই আকাশকুসুম করিনু চয়ন হতাশে। ছায়ার মতন মিলায় ধরণী, কূল নাহি পায় আশার তরণী, মানস প্রতিমা ভাসিয়া বেরায় আকাশে। কিছু বাঁধা পড়িল না কেবলই বাসনা-বাঁধনে। কেহ নাহি দিল ধরা শুধু এ সুদূর-সাধনে। আপনার মনে বসিয়া একেলা অনলশিখায় কী করিনু খেলা, দিনশেষে দেখি ছাই হল সব হুতাশে।।

সুরঞ্জনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার চোখে দিল্লী!

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

ঠিক সময় মতই ট্রেন ছাড়লে সহযাত্রীদের দিকে নজর দেবার ফুরসত মিল্লো। এসি টু টায়ারে আমাদের দুজন সহযাত্রী দুই যুবক। একজন বাংলাদেশী কেয়ারে চাকুরী করেন। কোলকাতায় বেড়াতে গিয়ে অফিসের মিটিং এ যোগ দিতে দিল্লী যাচ্ছেন। অপর জন অবাঙ্গালী। সৌদীতে কিং ফায়সাল হাসপাতালে চাকরী করেন। ছোট বোনের বিয়ে দিতে কলকাতায় এসে এখন সৌদীতে ফিরে যাবার জন্য দিল্লী যাচ্ছেন। আমাদের দুটো সিটের একটি ছিলো উপরে। অবাঙ্গালী যুবকটি নিজেই কুম্ভকর্ণকে নিচের সিট ছেড়ে দিলো। আমাদের ক্যুপের পাশে এক দিল্লী প্রবাসী বাংগালী মা তার কিশোরী কন্যা নিয়ে বসেছেন। উনার স্বামী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। সে বেচারার সিট বেশ দূরে হওয়াতে ঘুমানোর সময় বাদে বাকি সময় আমাদের সাথে বসে বেশ জম্পেশ আড্ডা দিতে দিতে গেলেন।









যাত্রা পথে মনের মত সংগী পেয়ে সময়টা ভালোই কাটলো। দিল্লী পৌছোলাম পরদিন দুপুর বারোটায়। কুম্ভকর্ণের ইচ্ছে ছিলো জুম্মার নামাজ জামা মসজিদে আদায় করার। সেটা আর হলোনা। জামা মসজিদের সামনে গিয়ে আমাদের ট্যাক্সি ছেড়ে রিক্সা নিতে হলো। জুম্মার নামাজের জন্য ঐ রাস্তা শুধু রিক্সা চলাচলের জন্য উন্মুক্ত। পুলিশের পাহারাও চোখে পড়ার মত। যাই হোক! নির্দিষ্ট হোটেলে পৌছে হোটেলের খাড়া সিড়ি দেখে আমার তো আত্মারাম খাঁচাছাড়া। দেশ ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোমর আর হাটুর ব্যাথা আমার সাথী হয়েছে। এই সিঁড়ি ভাঙ্গা আর হিমালয় পর্বতের চুড়ায় ওঠা আমার কাছে সমান। জিবের ডগায় প্রান নিয়ে কোনো মতে চার তলা বেয়ে উপরে উঠে ধপাস করে বিছানায় পড়ে জিরিয়ে নিয়ে আমার ঘ্যানঘ্যানানি শুরু হলো। লিফট ছাড়া হোটেলে আমি থাকবোনা। জামা মসজিদের সামনে থাকবো, আর জামা মসজিদের সামনের কোনো হোটেলেই লিফট নেই। তাছাড়া হোটেলের রুম, বাথরুম বেশ ভালো। অগত্যা ঐ পর্বত ভাঙ্গা মেনে নিতেই হলো। সেদিন আর বাইরে গেলামনা। বারান্দায় বসে বসে জামা মসজিদের সৌন্দর্য্য আর মানুষের আনাগোনা দেখতে দেখতে অতিতের জাকজমক, চকের হট্টগোল কল্পনা করতে লাগলাম। বিকেলের চকে সোনালি আলোয় ভেসে যাচ্ছে। ক্রেতা, বিক্রেতার চিৎকার হট্টগোলের মাঝে ঘোড়ার খুরের আওয়াজ। যমুনার চর থেকে টাটকা তাজা গোলাপ, জুঁই, চামেলি, বেলির গোড়ের মালা ও ফুলের তোড়া সাজিয়ে বসে আছে ফুলওয়ালিরা। সে ফুলের ঘ্রানও যেন আমার নাকে এলো। অন্ধকার ঘনিয়ে এলেও বারান্দায় বসে রইলাম। রাতে জ্বর আর গলা ব্যাথা কাশি শুরু হলো। হোটেলের ডাক্তারের দেয়া ওষুধ খাওয়া শুরু হলো।



মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার লাগল। জামা মসজিদ অনেক সুন্দর।



ভাল থাকুন। শুভকামনা :)

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায়।

জামা মসজিদ আসলেই খুবই সুন্দর।

হোটেলের বারান্দা থেকে একাংশ তুলেছি এটা!

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: একি, এত ছোট!

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: আর বলবেন না রান্নাতো ভাই!
এটা আরেকটু বড় করতে গেলে বিশাল বড় হয়ে যেতো।

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

মামুন রশিদ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো সুরঞ্জনা আপু আর কুম্ভকর্ণ ভাইয়ার দিল্লী জয় পড়ে ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মামুন!

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

সায়েম মুন বলেছেন: ভ্রমণে গিয়ে জ্বর বা অসুস্থতা বাজে অনুভূতির সৃষ্টি করে। ভ্রমণের আনন্দ কিছুটা মাঠে মারা যায়। আমি একবার বান্দরবানে গিয়ে এরকম হয়ে ছিল। চার দিন ছিলাম। এই চারদিন প্রতি রাতে জ্বর আসতো। ঢাকায় ফিরে তো পক্সে আক্রান্ত হয়ে গেলাম।

আমাদের ভ্রমণটা খুব ভাল হচ্ছে আপু। ছবি কিছুটা বেশী দিয়েন এবং চালিয়ে যান। :)

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১০

সুরঞ্জনা বলেছেন: ঠিক বলেছো মুন। এ কারনে নির্ধারিত ভ্রমন কাটছাট করতে হয়েছে।

ছবি দেয়ার অপশনটা নতুন আমার কাছে। আগের মত নেই। তাই ছবি দিতে কিছুটা বিপত্তি হয়েছে।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

শুঁটকি মাছ বলেছেন: বেড়াতে গিয়ে দেখছি বেশ ভালো মত রোগের খপ্পরে পড়েছেন আপু।যাই হোক,এই কয়টা ছবি দেখে মন ভরল না।আরো কয়েকটা ছবি দেখতে ইচ্ছে করছে।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: এর পরে ছবি বেশী দিবো শুটকি মাছ।

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৫

সুরঞ্জনা বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ সুমন কর!

৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

রন৬৬৬ বলেছেন: Delhi Jama masjid is not small. This is largest mosque in India. At a time 25,000 people can take prayer together! Emperor Shah Jahan built this mosque during 1650-1656. This masjid has a antique Qaran made of deer skin. I studied in Delhi University during 1989-1992 and stayed near Jama masjid area.

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ রন৬৬৬।
জামা মসজিদ এর ছবি আমার সামান্য ক্যামেরা দিয়ে ভালো তুলতে পারিনি। আর যেটাতে ভেতরের ছবি তোলা হয়েছিলো সেটা দিল্লীতেই চুরি হয়ে যায়।।

৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৪

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: জামা মসজিদের ছবি আগেও দেখেছি ,অনেক সুন্দর । ভাল লাগল আপু , তবে ছবি আরও দিলে ভাল হত ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: আগামিতে ছবি বেশী দিবো অদ্বিতীয়া আমি।

৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: অনেক দিন পর ব্লগে আপনাকে দেখে অনেক অনেক ভালো লাগছে ।


ভ্রমণ কাহিনীর অনেক কিছুই স্কিপ করে যাচ্ছেন কেন ? ;) ;)

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২১

সুরঞ্জনা বলেছেন: কি কি বাদ গিয়েছে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়?

কি কি নাস্তা খেলাম, দুপুরের খাবার এসব লিখলে পেটুক পদক জুটে যাবে। এমনি রেসিপি পোস্ট দিয়ে কপালের আগে সেটা ঝুলে আছে। :P

১০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বেশী ছোট, আরও বড় হলে আরও ভালো লাগতো।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২২

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ রেজওয়ানা আলী তনিমা।

আগামিতে বড় পোস্ট দিবো।

১১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

জুন বলেছেন: সুরঞ্জনা তোমার এই বিশাল পোষ্ট পড়তে পড়তে আমি ক্লান্ত হয়ে গেলাম /:)
তুমি কি লেখা ভুলে গেছ ? নাকি অন্য কিছু ?
জানো কাল তোমার পোষ্টে এসে লিখতে গিয়ে দেখি বাংলিশ লেখা হচ্ছে। নিজের পোষ্টের মন্তব্যের উত্তর দিতে পারি নি একই কারনে।
যাক লিখতে থাকো। জানোইতো তোমার লেখা আমি অনেক পছন্দ করি :)
শুভকামনা রইলো তোমাদের জন্য, বিশেষ করে ভাইয়ার জন্য।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: জুন, বন্ধু তোমার মত সময় পেলে আমিও পিচ্চি পিচ্চি পোস্ট লিখতাম। ;) আর কিছুটা যে ভুলে গিয়েছি তাও ঠিক! :P
দেখি, লিখতে লিখতে যদি আবার ফর্মে ফিরতে পারি।

পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ বন্ধু!

১২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার চোখে দিল্লী ভাল লাগলো ।।
কল্পনায় চক এর গাথা মুগ্ধ করলো ।।
মনে হচ্ছিল আমি ও সেটাই দেখছি


শুভ কামনা :)

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা!
পাঠকের মনে নিজের মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিতে পারাটাই লেখকের স্বার্থকতা! কৃতজ্ঞতা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.