![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেবলই স্বপন করেছি বপন বাতাসে--- তাই আকাশকুসুম করিনু চয়ন হতাশে। ছায়ার মতন মিলায় ধরণী, কূল নাহি পায় আশার তরণী, মানস প্রতিমা ভাসিয়া বেরায় আকাশে। কিছু বাঁধা পড়িল না কেবলই বাসনা-বাঁধনে। কেহ নাহি দিল ধরা শুধু এ সুদূর-সাধনে। আপনার মনে বসিয়া একেলা অনলশিখায় কী করিনু খেলা, দিনশেষে দেখি ছাই হল সব হুতাশে।।
এর আগে দিল্লী এসে লালকেল্লা দেখা হলেও লাইট এন্ড সাউন্ড শো প্রোগ্রামটি দেখা হয়নি সময়-সল্পতার জন্য। এবার প্ল্যান করেই এসেছিলাম যে লালকেল্লা দেখার মত আর তেমন কিছুই নেই। বেশীর ভাগ অংশ জুড়েই আর্মির দখলে। তাই লাইট এন্ড সাউন্ড শো দেখবোই দেখবো। এটা দেখানো হয় সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত হিন্দিতে, ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ইংলিশে। বিকেল সাড়ে তিনটাতে রওনা দিলাম। জামা মসজিদের সামনেই লালকেল্লা। কিন্তু সেখানে পৌঁছাতেই বিকেল ৫টা সাড়ে ৫টা বে্জে গেলো। রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম।
লালকেল্লায় পৌঁছে টিকিট কেটে বাইরের বিশাল পরিখার ধারে কিছুক্ষন বসে থাকলাম। এক কালে এই পরিখা যমুনার জলে পরিপূর্ণ থাকতো। এখন শুখনো। ঘাসের জঙ্গলে ভর্তি। আস্তে আস্তে ভিতরে গেলাম। প্রাসাদের অলিন্দের দুধারে দোকানের সারি দেখে অবাক হলাম.
। শুধু দেওয়ানে আম দেখা যায়। তাও লোহার শিকল দিয়ে ঘেরা। আরো হাটতে হাটতে একটি খোলা মাঠের কাছে গেলাম। হয়তো কোনো কালে এখানে বাগিচা ছিলো। এখন শুধুই ঘাস। তার এক পাশে খোলা আকাশের নিচে কয়েক সারি বেঞ্চ পাতা আছে। সবাই ওখানে বসছে দেখে আমরাও গিয়ে বসলাম। সামনে দেওয়ানে খাস, মমতাজ মহল। এর পিছনেই যমুনা নদী। পূর্নিমার চাঁঁদ তখন দেওয়ানে খাসের উপরে উঁকি দিচ্ছিলো। দেওয়ানে খাসের পাশে সম্রাট আওরঙ্গজেবের তৈরী মোতি মসজিদ।
দেওয়ানে খাস। সম্রাটের আমলে এখানে খাস দরবার বসতো। এখানেই ছিলো সেই ঐতিহাসিক ময়ুর সিংহাসন। আজ শুরু এক ইটের খাঁচা ছাড়া এটা আর কিছুই নয়।
মমতাজ মহল।
মোতি মসজিদ।
নহবতখানা।
সামনে কোনো স্ক্রিন নেই। বুঝতে পারছিলাম না কি ভাবে কি দেখবো। এমন সময় চারিদিকের সব আলো নিভে গেলো। মাঝ খানের মহল থেকে গমগম স্বরে ভেসে এলো আমি মহাকাল। আমি সব সময়ের সাক্ষী। এই সেই লালকেল্লা, যেখানে সব সময় মানুষের কলরব, আরজি, বিচার, আর্তি, নুপুরের নিক্কন, সরাবের নহর বয়ে যেতো আজ সে শুধুই সময়ের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে । আজ এখানে আঁধার। কিন্তু এক সময় এখানে ছিলো মানুষের ঢল। ধারা-বর্ণনার সাথে সাথে দেওয়ানে খাস,
মমতাজ মহল, কখনো মোতি মসজিদ বিভিন্ন রঙের আলোতে ঝলমল করে উঠছিলো।
সেই সঙ্গে যমুনার জলের কুলকুল ধারার শব্দ,মিনা বাজারের মেয়েদের কাঁচভাঙ্গা হাসি,কলরব, বাইজীদের নুপুরের নিক্কন, গজলের সুর...... সময় যেন জীবন্ত হয়ে উঠলো। আর আমরা সব স্তব্ধ, পাথর। ঘোড়ার খুঁরের শব্দ এতোটাই বাস্তব মনে হচ্ছিলো যে আমরা শিউরে উঠছিলাম। একে একে দিল্লীর পতন পর্যন্ত বর্ননা করে ১ ঘন্টার অনুষ্ঠান যখন শেষ হলো। খোলা আকাশের নিচে হিমে আমাদের মাথা তখন জমে গিয়েছিলো। ফিরে এসেও পুরো রাত মুগ্ধতার, কষ্টের রেশ রয়ে গেলো।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০২
সুরঞ্জনা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার।
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
চক বলেছেন: চলতি বছর ইয়থ ডেলিগেট হিসেবে রাষ্ট্রিয় সফরে ভারতের যেসকল স্থান ভ্রমন করেছি তার মধ্যে অন্যতম ছিল এই রেড ফোর্ড। চরম লেগেছিল। অসাধারণ।
আপনার লেখা পড়ে এবং ছবি দেখে ভাল লাগল।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৪
সুরঞ্জনা বলেছেন: আমার কিন্তু দিল্লী রেড ফোর্টের চাইতে আগ্রার রেড ফোর্ট বেশী ভালো লাগে।
পোস্ট পড়া ও মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ চক।
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫
জুন বলেছেন: দিল্লীর লালকেল্লার লাইট এন্ড সাউন্ড প্রোগ্রামটি অসাধারন লেগেছিল আমার। ছবিগুলো দেখে স্বৃতিতাড়িত হয়ে পরলাম। খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছো সেই আলো আর সুরের ঐকতান সুরঞ্জনা।
+
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: এই পোগ্রামটি দেখার স্বাধ মনে প্রানে উপভোগ করেছি জুন।
সত্যি! আলো আর শব্দের মাধ্যমে সেই সময়কে কি সুন্দর ভাবেই না তারা উপস্থাপনা করেছে।
মন্তব্য ও + এর জন্য অনেক ধন্যবাদ জুন।
৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯
শায়মা বলেছেন: ভাবলাম আজকে ফার্স্ট হবো। তানা যেই না ঢুকলাম সার্ভার ডাউন। তারপর উঠে গেলাম। কাল, পরশু, তরশু একের পর এক হলুদ, বিয়ে, বৌভাত সেসব সাজুগুজু শাড়ি কাপড় গয়নাগাটি গুছাতে।
ইশ শান্তিতে একটু সাজুগুজু খানাপিনা বিয়ে দেখবো তা না এখনও অনিশ্চিৎ সেসবে যাওয়াই হবে কিনা। যা মারামারি শুরু করেছে সবাই মিলে। শান্তিই দিলোনা।
এর থেকে আমারও তোমার মত লালকেল্লায় যাওয়া উচিৎ ছিলো তা তো আর হলোনা এখানেই লালকেল্লা দেখি বসে বসে।
আপুনি রবীন্দ্র সঙ্গীত ডাউনলোড করতে পেরেছো??? না পারলে এখনও আমাকে বলো আমার গান গুলোই পাঠিয়ে দেবো।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৯
সুরঞ্জনা বলেছেন: বিয়ে সাদি সব মাথায় উঠলো বলে। বাইরে কোথাও ঘুরে এসো বরং।
তোমার গাওয়া গানগুলি তাত্তাড়ি পাঠাও!
৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: আপু পোস্ট পড়ে বেশ মজা পেলুম।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ আনারুল ইসলাম।
৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মামুন রশিদ বলেছেন: বর্ণনা আর ছবির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হলাম ।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মামুন রশিদ।
৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
কালীদাস বলেছেন: ছবিগুলো খুব ক্লিয়ার না, বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে এনজয়েবল ছিল শো-টা
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
সুরঞ্জনা বলেছেন: একে তো রাত্রি, চাঁদের আলো ছাড়া আর কোনো আলো ছিলোনা, আর আমার পুরনো ভাঙ্গা চোরা ক্যামেরায় এর চেয়ে ভালো ছবি আশা করা যায়না।
হ্যা, শো টা খুবই উপভোগ্য ছিলো।
৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
খুব চমৎকার !!
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫০
সুরঞ্জনা বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ইমরাজ কবির মুন।
৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ছবিগুলা ব্লার।তবে লেখাটা ভালো হইছে আপু।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ শুঁটকি মাছ।
১০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২০
েবনিটগ বলেছেন: oshadharon
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫২
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ বেনিটগ।
১১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৭
উড়ন্ত পায়রা বলেছেন: ভাল লাগলো। দু’বার সেখানে গিয়েছি তবে আপনার মত এতটা উপভোগ করা হয় নি। বিশেষ করে রাতের বেলা সেখানে অবস্থান করার মত অবস্থা ছিল না। তবে আপনার প্রচেষ্টা মুগ্ধ করেছে। আশা করি আরো কিছু দেখাবেন। সৌন্দর্যের আরেক নাম ইরান। সেখানেও গিয়েছিলাম কিন্তু এভাবে উপস্তাপন করা হয় নি। উৎসাহিত হলাম। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে আপনার সাথে সংযুক্ত হতে পারবো। ধন্যবাদ।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪
সুরঞ্জনা বলেছেন: এবারের ভ্রমনের উদ্যেশ্যই ছিলো, যা দেখবো তা মন-প্রান ভরে উপভোগ করবো। আর তাই করেছি।
আপনার ভ্রমন কাহিনী আমাদের সাথে শেয়ার করুন।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১১
সায়েম মুন বলেছেন: লেখা এবং ছবিতে অনেক ভাললাগা। ভাল থাকুন আপু।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ভাই মুন।
১৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন লিখেছেন আপু। আমার তো বার বার খালি যেতেই ইচ্ছে করে।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ কাল্পনিক- ভালোবাসা।
ঘ্রানে যদি অর্ধেক ভোজন হয় তবে আমি মনে করি ভ্রমন কাহিনী পড়ে ও ছবি দেখে অর্ধেক ভ্রমন হয়ে যায়!
১৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫
লেখোয়াড় বলেছেন:
অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়তে এলাম।
বরাবরের মতই ভাল লাগল।
দিল্লী বহুত দুর!!
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক দিন পর লেখোয়াড়কে আমার বাড়ীতে পেয়ে খুশীতে আপ্লুত হলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাই লেখোয়াড়।
হ্যা, বাহাদুর শাহ জাফরও বলেছিলেন দিল্লী দূর অস্ত!
আসলে কিন্তু মোটেও দূরে নয়!
১৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১০
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অসাধারণ!! খুব ভাল লাগল আপু। চমৎকার বর্ণনা। আপনার বদৌলতে আমাদেরও একটু দেখা হয়ে গেলো। আর যদি কখনও সত্যি সত্যি দেখতে পারি তবে মনে পড়বে এর বর্ণনা পড়েছিলাম সুরঞ্জনা আপুর ব্লগে
ভাল থাকুন। নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: তোমাদের ভালো লাগাতে আপ্লুত!
নিশ্চয় একদিন তুমিও এসব দেখবে। হয়তো ব্লগে পোস্টও দিবে।
বেঁচে থাকলে আমি কমেন্টও করবো।
১৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯
শ।মসীর বলেছেন: কখন যে দেখব
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: তোমার তো পায়ের তলায় সর্ষে!
সময় সুযোগ করে বেড়িয়ে পরো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বেশ উপভোগ্য অনুষ্ঠান ছিল সেটি বর্ণনায় বুঝা যাচ্ছে। লিখেছেনও বেশ। পড়ে আরাম পাওয়া গেল ।