![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেবলই স্বপন করেছি বপন বাতাসে--- তাই আকাশকুসুম করিনু চয়ন হতাশে। ছায়ার মতন মিলায় ধরণী, কূল নাহি পায় আশার তরণী, মানস প্রতিমা ভাসিয়া বেরায় আকাশে। কিছু বাঁধা পড়িল না কেবলই বাসনা-বাঁধনে। কেহ নাহি দিল ধরা শুধু এ সুদূর-সাধনে। আপনার মনে বসিয়া একেলা অনলশিখায় কী করিনু খেলা, দিনশেষে দেখি ছাই হল সব হুতাশে।।
শান্তিনিকেতন! আহ! আমার আজন্মের স্বপ্ন ছিলো শান্তিনিকেতন যাবো। যাবার আগে ব্লগ বন্ধু জুন বলেছিলো, " সুরঞ্জনা ওখানে গেলে তোমার স্বপ্ন ভংগ হবে"।
কথাটি যে এমন মর্মান্তিক সত্য হবে তা বুঝিনি। সকাল সাতটায় শিয়ালদা স্টেশন থেকে ট্রেনে চড়ে রওনা দিলাম। ট্রেনের ভীড় কহতব্য নয়। বেলা বারোটা নাগাদ বোলপুর স্টেশনে পৌছে গেলাম। মনে মনে উত্তেজনা, আনন্দ নিয়ে একটা রিক্সা নিয়ে রওনা হলাম শান্তিনেকেতনের পথে।
প্রথমেই এই তোরন নজরে পড়লো। মনে পড়লো কবিগুরু শেষবার যখন আশ্রম ত্যাগ করে যান তখন আশ্রমের ছোট ছোট বালক/বালিকারা এই গানটি গেয়ে কবিগুরুকে বিদায় জানিয়েছিলো।
চারিদিকে সবুজের সমারোহ। শাল, বকুল, কৃষ্ণচুড়া, শিমুল, কুর্চি বিভিন্ন গাছের মেলা। আমাদের রিক্সাওয়ালা যুবক প্রথমেই আমাদের নিয়ে গেলো বিখ্যাত শিল্পী সেলিম মুন্সীর বাড়ী নিহারিকায়। যার উপর তলাতে শিল্পীর নিজের হাতের বেশ কিছু ভাস্কর্য্য ও রবীন্দ্র আমলের শান্তিনিকেতনের চিত্র আছে। ছবি তোলা বারন। সেলিম মুন্সীর আঁকা চিত্রগুলো অসাধারন! অনেক কথা হলো উনার সঙ্গে। উনার বাবা, উনিও এক সময় শান্তিনিকেতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমান বিশ্বভারতী নিয়ে উনার মনেও অনেক কষ্ট, ক্ষোভ। বিশেষ করে সব পুরাতন স্মৃতি নষ্ট করে নতুন নতুন ভবন তৈরী ও খোয়াই নদী সংরক্ষন না করা নিয়ে উনি ক্ষুদ্ধ!
নিজ যাদুঘরে নিজের তৈরী রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য্যের সামনে শিল্পী সেলিম মুন্সী। ( ছবিটি নেট থেকে নেয়া)
ওখান থেকে বের হয়ে রিক্সা থামলো দ্বিজভবনের সামনে। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জেষ্ঠ পুত্র, ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের জেষ্ঠ ভ্রাতা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ীর সামনে। যেটাকে সবাই নিচু বাংলো বলে। জায়গাটা একটু ঢালের মত নিচু বলেই এই নামকরন। কিন্তু রিক্সাওয়ালা কাম গাইড আনোয়ার বল্লো, " এখানে অনেক নিচু (লিচু) গাছ আছে তো তাই এটাকে নিচু বাংলো বলে। এ বাংলোটিতে এখনো বিশ্বভারতীর হাত পড়েনি। শ্বেতপাথরে কালো অক্ষরে লেখা আছে দ্বিজভবন।
ছেলে মেয়ে, মহিলা, পুরুষ সবাই বেশীর ভাগ সাইকেল, স্কুটিতেই চলাচল করছে।
প্রাচীন বট বৃক্ষ। না জানি কত ইতিহাসের মৌন সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
নানা রঙের কাচের বর্ণিল ছটায় উৎভাসিত প্রার্থনা গৃহ। প্রতি বুধবার ভোরে এখানে প্রার্থনা করা হয়।
তিন পাথরি বটগাছ। এখানে বসে কবি অনেক কবিতা লিখেছেন। তখন কোপাই অনেক কাছে ছিলো। এখানেই রচিত হয়, " ঐ চলেছে গরুর গাড়ী, বোঝাই করা কলসি হাড়ী"!
তালধ্বজ!
"তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে, সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে"!
এই কবিতা এই তালগাছ দেখেই লিখেছিলেন।
রিক্সা যত এগিয়ে যাচ্ছিলো, আমার মেজাজের পারা ততই চড়ছিলো। চারিদিকে ভাংচুর! পুরাতন কে গুড়িয়ে দিয়ে নতুন সৃষ্টি চলছে। যারা রবীন্দ্র-প্রেমি তারা রবীন্দ্র যুগের সেই শান্তিনিকেতনকেই দেখতে চায়। কিন্তু বিশ্বভারতীর নিয়ম নীতির কাছে রবীন্দ্র পুত্রই হার মেনে শান্তিনিকেতন স্বইচ্ছায় ত্যাগ করেছিলেন। আমরা তো কোন ছার!
কোথাও প্রবাশাধিকার নেই, ছবি তোলা নিষেধ। মাথা যন্ত্রনা শুরু হয়ে গেলো।
১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রায়পুরের জমিদার ভূবন মোহন সিংহ এর নিমন্ত্রন রক্ষা করতে যাবার পথে এই ভূবন ডাঙ্গার মাঠে জোড়া ছাতিম গাছের নিচে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। এবং এখানে তিনি " প্রানের আরাম, মনের আনন্দ ও আত্মার শান্তি" পেয়েছিলেন। রায়পুরার জমিদারের কাছ থেকে তিনি ১৬ আনার বিনিময়ে ২০ বিঘা জমি পাট্টা নেন। বর্তমানে ৭ই পৌষ সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে উপাসনা হয় সেই ছাতিম গাছদুটো মরে গিয়েছে। সেখানে নতুন দুটি ছাতিম গাছ রোপন করা হয়।
ছাতিমতলা!
যখন মাত্র ৩টি ছাত্র নিয়ে আশ্রম প্রতিষ্ঠা হয়, তখন থেকে এই বাড়ীতে কবি পত্নী মৃনালিনী দেবী কবির সঙ্গে থেকে স্বামীকে আশ্রম তৈরীর কাজে সাহস মনোবল জুগিয়েছিলেন। জোড়াসাকোতে তার মৃত্যুর পর কবি কন্যা মীরা দেবী এ বাড়ীতে বাস করতেন।
শিল্পী নন্দলাল বসুর বাড়ী। এখনও আগের চেহারায় আছে।
বিখ্যাত শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজ এর দুটি শিল্প-কর্ম!
উদয়ন ভবন। এখানে কবি, কবি পুত্রবধু বাস করেছেন। বর্তমানে রবীন্দ্র যাদুঘর। টিকিট কেটে, মোবাইল, ক্যামেরা সব কুম্ভকর্ণের জিম্মায় দিয়ে আমি একাই প্রবেশ করলাম। কবির ব্যাবহৃত বিভিন্ন জিনিস-পত্র, বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া উপহার, চিত্র, নোবেল প্রাইজের রেপ্লিকা এসব দেখতে দেখতে ঠাণ্ডা এসিতেও আমি প্রচন্ড ঘামতে শুরু করলাম, সঙ্গে তীব্র মাথা ব্যাথা। কোনমতে টলতে টলতে বের হয়ে এলাম। গার্ডরা অবাক হয়ে আমায় বের হয়ে যেতে দেখে বল্লো, " ওদিক দেখলেন না? আমার তখন উত্তর দেবার মত অবস্থা ছিলোনা। তাড়াতাড়ি একটি হোটেলের রুম নিয়ে গোসল করে প্রেসারের ওষূধ, ঘুমের ওষূধ খেয়ে ঘুম দিয়ে বিকেল ৫টায় উঠলাম। আমাদের ট্রেন সন্ধ্যা ৬টায়। কিছু নাস্তা করে স্টেশনে চলে গেলাম। গিয়ে শুনি ট্রেন লেট। বসে বসে বেগুনি,পেঁয়াজু, পাকোড়া খেতে থাকলাম।
সহজাত বাউল শিল্পী নিতাই কৈবর্ত। পঙ্গু। একটি পা সস্তা প্লাস্টিকের। অপূর্ব তার কন্ঠ। তার কন্ঠে অনেকগুলো গান শুনলাম। বিশেষ করে " হরি দিন যে গেলো সন্ধ্যা হলো, পার করো আমারে"! অসাধারন! তাকে খাবার ও কিছু টাকা দিলাম। তাঁর গানের মূল্য দেবার সাধ্য কি কারো আছে?
৬টার ট্রেন রাত ৯,৩০ এলো। গনদেবতা। ভীড় তেমন একটা ছিলোনা। রাত সাড়ে ১২টায় হাওড়ায় পৌছে হোটেলে পৌছাতে পৌছাতে রাত ১টা।
আশাভঙ্গের ব্যাথা যে কত মারাত্বক হতে পারে, তা আমি নিজের জীবন দিয়ে বুঝেছি। তাই এই পোস্টটি বন্ধু জুনকে উৎসর্গ করলাম।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ খেয়া ঘাট।
দোয়া করি যেন আপনিও ঘুরে আসতে পারেন।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫১
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: যেতে মন চায়
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০০
সুরঞ্জনা বলেছেন: নিশ্চয় যাবেন প্রফেসর সাহেব।
ধন্যবাদ।
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫২
ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: স্বপ্ন ভঙ্গের বাস্তবতা!
মনটা ভার হয়ে গেল,পোস্টটা ভালো লেগেছে!
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: ভালোলাগার জন্য ধন্যবাদ ক্লান্ত তীর্থ।
হু, বাস্তবতা এমন নির্মমই হয়!
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০০
জুন বলেছেন: সুরঞ্জনা কি বলে ধন্যবাদ জানাবো তোমাকে বুঝতে পারছিনা।
যদিও বেদনাময় স্বৃতিচারণ
ছবিগুলো দেখে ভালোলাগলো অনেক।
আমাকে উৎসর্গ করায় আমি আভিভূত এবং অশেষ ধন্যবাদ সহ প্রিয়তে
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: শান্তিনিকেতন দেখা অব্দি তোমার কথাগুলো মনে পড়ছিলো জুন। বদলে গিয়েছিলো তা জানতাম, কিন্তু সে বদল যে এমন মর্মান্তিক তা বুঝতে পারিনি।
তুমি খুশী হয়েছো, তাতে আমিও খুশী।
আন্তরিক শুভেচ্ছা!
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০২
লিখেছেন বলেছেন: আমি জাব না ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: না যাওয়াই ভালো। কল্পনায় করে নেওয়াই ভালো।
৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০২
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি ৮২তে গিয়েছি । তখন শান্তিনিকেতন বাজার হয়ে ওঠেনি । খুব ভালো লেগেছিল । ২০০২তে ছেলে মেয়ে কে নিয়ে গেলাম এবং আশাভঙ্গ হল । তবুও আমতলায় চা খেলাম আর সুব্রামানিয়াম সারকে পেলাম ওকে ৩০ বছর আগেকার সাক্ষাত পর্ব স্মরণ করিয়ে দিলাম , একটু সময় নিলেন কিন্তু ঠিকই মনে করতে পারলেন । আপনাকে ওখানে থাকতে হবে এবং পুরাতন শিক্ষক দের সাথে গল্প করতে হবে তাতে জানা যাবে অনেক কিছু ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১১
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ শাহ আজিজ। পুরাতন শিক্ষক এখন কেউ নেই। তাদের কাছে বিশ্বভারতীর প্রতি ক্ষোভ ছাড়া আর কি জানবো।
স্মৃতি খুঁড়ে কে হায় বেদনা জাগাতে চায়?
আগে আম্রকুঞ্জে পাঠ প্রক্রিয়া দেখার অনুমতি ছিলো। এখন সেই পাঠ বন্ধ। তাছাড়া সব দিকেই প্রবেশ নিষিদ্ধ। ছবি তোলাও নিষেধ!
৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার। কবিগুরুর শান্তি নিকেতন। দারুণ ভাল লাগলো। ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১২
সুরঞ্জনা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার।
৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৫
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার !!
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুমন কর।
৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৩
জুন বলেছেন: সুরঞ্জনা আরেকটা ইনফরমেশন তুমি একটু চেক করো। সেটা হলো আমি দেশ পত্রিকায় পড়েছিলাম মৃনালীনি দেবী নাকি জোড়াসাকো তে মারা গেছেন।এখন অসুস্থ অবস্থায় সেখান থেকে তাকে শান্তিনিকেতনে নিয়ে গিয়েছিল কিনা মনে পড়ছে না।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৪
সুরঞ্জনা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ জুন, ঠিক করে দিলাম। আর বাউলের ছবিটাও এড করে দিলাম।
১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৭
অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: স্বপ্নের তাজমহল দেখে আমিও দারুণ বেদনাহত হয়েছিলাম। বস্তুত: যাতে আবেগ জড়িয়ে যায় তা দূরে থাকাই ভালো।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: ঠিকই বলেছেন অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট।
ধন্যবাদ।
১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অসাধারণ !
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নবাজ অভি।
১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০১
জি এম সরওয়ার জাহান বলেছেন: আমিও যেতে চাই
.................................
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: গেলে অবশ্যই কয়েকদিন থেকে আসবেন।
১৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৪
মামুন রশিদ বলেছেন: তবু যাব সুযোগ পেলে ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৮
সুরঞ্জনা বলেছেন: সুযোগ পেলে অবশ্যই যাবে মামুন রশিদ।
১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৩
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৯
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুম আহমেদ।
১৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৪
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: যেতে পারব কিনা কে জানে?আপনার ক্যামেরার চোখে তবু কিছুটা দেখা হয়ে গেল।
আপু আশাভঙ্গের বিষয়টা নিয়ে বেশি মন খারাপ করবেন না।কবির স্মৃতি শান্তি নিকেতনে অটুট না থাক কিন্ত তার লেখাগুলোর মধ্যে আছে এবং চিরকাল থাকবে।
ভাল থাকবেন।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২১
সুরঞ্জনা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ সন্ধ্যা প্রদীপ।
১৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৬
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
আহা, কত দিনের সখ পুরুন হলো।
নাই বা গেছি, চোখে তো দেখলাম
অনেক ধন্যবাদ
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২২
সুরঞ্জনা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ একজন ঘূণপোকা।
১৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:০২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: যাওয়া হয়নি , তাও কৃত্রিম চোখে মানে ক্যামেরায় ধরা ছবিগুলো দেখে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো তো হল!
অনেক ধন্যবাদ আপুনি, আপনার অভিজ্ঞতা ও ছবিগুলো ব্লগে ভাগ করে নেবার জন্যে। শুভেচ্ছা।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ তনিমা।
১৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৪১
অ্যামাটার বলেছেন: ভাল লাগল!
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৪
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ অ্যামাটার।
১৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৪
মেহেরুন বলেছেন: ঘুরে এলাম শান্তি নিকেতন
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ মেহেরুন।
২০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: যাওয়া তো হয়নি। আপনার পোষ্টটি দেখে ও পড়ে আংশিক স্বাদ মিটিলো।
সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২
সুরঞ্জনা বলেছেন: প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি ব্যাক্তিগত কারনে ব্যাস্ততার কারনে ব্লগে অনুপস্থিত থাকায় উত্তর দিতে অনেক দেরী হলো।
পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙ্গালী।
২১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৪
চিরতার রস বলেছেন: শান্তিনিকেতনের ছবি দেখেই তো মনে হচ্ছে জায়গাটায় একটা শান্তি শান্তি ভাব। নামের সাথে খুব যায় আরকি। যাওয়ার ইচ্ছা আছে।
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
সুরঞ্জনা বলেছেন: মানব নামক দানব কি পৃথিবীতে শান্তি বজায় রাখতে পারে চিরতার রস?
২২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০১
শ।মসীর বলেছেন: দেখে নিলাম.............
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ শ।মসীর।
২৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
আমি ইহতিব বলেছেন: বাহ্, আপনার সাথে সাথে আমরাও শান্তিনিকেতন ঘুরে এলাম। জানিনা কখনও সরাসরি দেখার সৌভাগ্য হবে কিনা।
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: দোয়া করি সরাসরি দেখে আসুন।
পোস্ট পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আমি ইহতিব।
২৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: খুব ভাল লাগল বুবু তোমার শান্তিনিকেতন ভ্রমণের ছবি দেখে। জানি না কোনদিন যাওয়া হবে কিনা, আর যখন যেতে পারবো তখন পুরনো কিছু আর অবশিষ্ট থাকবে কিনা কে জানে!
ভাল থেকো বুবু।
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:০০
সুরঞ্জনা বলেছেন: সেটাই আশংকা! যেভাবে পুরাতনকে ঝেটিয়ে বিদায় করা হচ্ছে!
তুমিও অনেক ভালো থেকো কইন্যা!
২৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬
সিস্টেম অ্যাডমিন বলেছেন: সত্যি বলতে কি বছরে দু তিন বার বীরভূম এ গেলেও শান্তিনিকেতনে যাইনি প্রায় ১৫ বছর হবে। তাই এখন বোলপুর আর প্রান্তিক রেলওয়ে স্টেশন দেখেই কেটে যায় । আপনার ছবি গুল দেখে কিছুটা পুরনো স্মৃতি রোমন্থন এর সুযোগ হল ।
আসা ভঙ্গের কথাটা সত্য , আগে যখন গিয়েছিলাম তখন বেশির ভাগ জায়গায় প্রবেশ ছিল অবাধ, আর পরিবেশটাও ছিল নির্মল । এখন খোয়াই ও চলে গেছে ভূমি মাফিয়াদের হাতে কি আর বলি , তবে আশার কথা কিছুটা দেরিতে হলেও মানুষ জেগে উঠছেন । শুভ বুদ্ধির উদয় হবেই হবে।
লেখাটি চমৎকার লাগল । ঈশ্বরের কাছে আপনার জন্য শুভকামনা রইল ।
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: আমার খুব ইচ্ছে আছে বীরভূমের কেদুলির মেলাতে বাউলদের গান শোনার।
শুভ বুদ্ধির উদয় হোক এই আশা করি।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সিস্টেম অ্যাডমিন।
২৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ভালো লোগেছে।
যেতে ইচ্ছা করে!
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:১০
সুরঞ্জনা বলেছেন: আজ না হলেও অন্য এক সময় নিশ্চয় ঘুরে এসো।
২৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ভালো লেগেছে।
যেতে ইচ্ছা করে!
২৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১
আদম_ বলেছেন: পোস্ট পড়ে আশাহত হইনি। প্রিয়তে নিলাম।
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
সুরঞ্জনা বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা আদম।
২৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১১
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: আপু আপনার সাথে ঘুরে আসলাম শান্তিনিকেতন , পুরনো দিনের মত নেই যেনে মন খারাপ লাগলো ।
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪
সুরঞ্জনা বলেছেন: এতো পরিবর্তন সহ্য করা কঠিন।
৩০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৭
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: যেতে তো ইচ্ছে করে কিন্তু মোহভঙ্গের বেদনা যে বড় যাতনাময়!!
পোস্টে ভালোলাগা রইল।
অ.ট.- আপু ফেবুতে দেখলাম আপনি ঢাকা যাচ্ছেন। সবাই আবার সুস্থ দেহে ফিরে আসুন সেই কামনা করি।
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায়।
অনেক ঝড় ঝাপটা পার করে ফিরেছি এপ্রিলে।
কুম্ভকর্ণ হৃদয় বীদির্ণ করে এখন সুস্থ্য আছেন।
৩১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২
বড় বিলাই বলেছেন: আশাভঙ্গ হলেও ঘুরে তো আসা হল। এটুকুই বা কয়জনের ভাগ্যে ঘটে।
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:০০
সুরঞ্জনা বলেছেন: ঠিক বলেছো বড় বিলাই।
৩২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০৬
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: গিয়েছি.........তবে ছবি ব্লগ ভালো লাগলো.........
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:০১
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর।
৩৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩৫
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: সুন্দর ভ্রমণ পোষ্ট আপু।
শুভ বাংলা নববর্ষ
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৪
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ স্নিগ্ধ শোভন।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা তোমাকেও।
৩৪| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সামহোয়্যারইন ব্লগের ‘কবিব্লগারদের স্ব-নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কবিতা’ নামে একটা সংকলন পোস্ট তৈরি করছি। আপনার অংশগ্রহণ এ পোস্টকে মূল্যবান করে তুলবে।
ফেইসবুকে আমরা মনে হয় কানেকটেড না। ফেইসবুকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া আছে।
সম্ভব হলে আমাকে প্লিজ এ্যাড করুন।
শুভেচ্ছা।
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: আমি তো কবিতার ক ও বুঝিনা ভাইয়া।
ঠিক আছে যোগাযোগ করবো।
৩৫| ০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:০৫
বাকি বিল্লাহ বলেছেন: কলকাতা আগ্রা ঘুড়ে আসছি, শান্তি নিকেতন যাওয়া হয়নি তবে যাওয়ার ইচ্ছা আছে, "ওখানে গেলে তোমার স্বপ্ন ভংগ হবে" এই কথাটির কারন বুঝিতে পারিলাম না, বুঝাইয়া বলিলে খুশি হইতাম
৩৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১১
তুষার কাব্য বলেছেন: আমি ২০১০ এ ঘুরে আসছি ।যে শান্তিনিকেতনকে আমরা জানতাম,চিনতাম কিন্তু দেখার পর আসলেই খুব হতাস হতে হয়েছে...
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৭
খেয়া ঘাট বলেছেন: আমারও খুব যেতে ইচ্ছে করে। জানিনা যাওয়া হবে কিনা।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++