সপ্ন দেখি ঘুরে দাড়াবে বাংলাদেশ

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২৪

শিক্ষার অব্যবস্থাপনার কারণে ভবিষ্যতে

কি হবে তা সহজেই অনুমেয়! চারদিকে

অপুর্নতা! যেমন ছাত্রদের পাশ করানো

এখন খুবই সহজ ব্যাপার! পাশ না করালে চাপ

আসবে,তাই কোনো শিক্ষক এই সাহস করছে

না! যেমনঃ এই জে.এস.সি পরিক্ষায় এক

শিক্ষক যেখানে অনেক ছাত্রকেই নাম্বার

বেশী দিয়ে পাশ করিয়েছেন সেখানে

আরোও কয়েকজন ছাত্র নাম্বার দেওয়ার

মতো কিছুই লিখেনি, কিছুক্ষণ পর হল সচিব

এসে অন্য ছাত্রদের দিয়ে কারেকশন

করিয়ে নাম্বার দিয়ে দেন এমন ঘটনাও

ঘটেছে! এক শিক্ষক বলেন, "ব্লাক লিস্টেড

আছেন সাত চল্লিশ জন শিক্ষক নাম্বার কম

দেয়ার কারণে, এমনকি তাদেরকে খাতা

দেখার পারিশ্রমিক পর্যন্ত দেয়া হবেনা

এও বলা হয় "!

এমনকি এলাকার কিছু স্কুলে

এস.এস.সি পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে

সাত হাজার করে টাকা নেয়া হচ্ছে

পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করার নিস্চয়তা দেয়ার

বিনিময়ে, পাশ হলে কিছু টাকা ফেরত

দেয়া হবে, আর না হয় পুরো টাকা রেখে

দেয়া হবে শর্তহীনভাবে! বানিজ্য

ভালোই জমে উঠেছে, বছরে চারটি

বানিজ্য করে লভ্যাংশ গুনে নেয়ার

নিশ্চয়তাতো আছেই আরোও আছে ভর্তি

বানিজ্য! এছাড়া

কোচিংতো আরেক প্রহসন,

ছাত্র যদি কোচিং এ যায় তবে বুঝতে হবে শিক্ষক

শ্রেনীতে পাঠদান করেনা ! কোচিং এ একশত ভাগ

প্রশ্নপত্র পাইয়ে দেয়ার নিশ্চয়তা দেন

শিক্ষকরা, সেটা কিভাবে করেন তারা?

এমন বহু প্রশ্নের উত্তর আজো পাইনি!



এইসব ছাত্র খুব সহজেই উত্তির্ন হয় কিন্তুু

সারাক্ষণ ভয়ঙ্কর ভয়ে থাকে প্রশ্নের

মুখোমুখি আর ইন্টার ভিয়্যুর চিন্তায় !

এরা সাফল্যের সাথে

উত্তির্ন হলেও লজ্জায় মুখ দেখাতে

পারে না ! কারণ সে তার অপুর্নতা জানে

তাই এই নিজেকে লুকিয়ে রাখা!

মাঝে মাঝে মনে হয় সাম্প্রতিক কালের

পরিক্ষাগুলো যেমন জে.এস.সি/

এস.এস.সিতে অংশগ্রহণ করতে হয়নি বলে

নিশ্চিতভাবেই নিসচিন্তে আছি, কারণ

তাতে আমার ভেতরের ভিত্তিটাও

ভেংগে যেতো আজকালের ছাত্রদের

মতো!

তবুও খুবই খারাপ লাগে এই ব্যাপারে কারও

পদক্ষেপ নেই দেখে! ভিত্তিতেই পচন

ধরছে আস্তে আস্তে, দাঁরিয়ে আছে

কেবলই ভবিষ্যতে ভেঙে পরার

অপেক্ষায়!

তারপরও হাল না ছেড়ে সপ্ন দেখি,একদিন

ঘুরে দাড়াবে আমার এই প্রিয়

বাংলাদেশ,কিন্তুু প্রশ্ন রয়ে যায়,

প্রজন্মের শিক্ষা আর সাফল্য শ্যাওলায়

ঢাকা পরে যাবেনাতো......?

০ টি +০/-০