নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিরসুখী জন।

SwornoLota

এই আছি এই নেই হয়ে চুপিসার...

SwornoLota › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাবিলনের কালোযাদু

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

হযরত সুলাইমান (আ) -এঁর রাজত্বকালে ব্যাবিলনে মানুষ যাদুর খুব চর্চা করতো। সেসব কথা মুটামুটি তিন হাজার বছরের পুরনো ইতিহাস।

যাদুকরদের যাদুর প্রভাবে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়তো। তখন নবুয়্যত রিসালাত এর যুগ বিদ্যমান। নবী রাসুলগণের মুজিজা এবং যাদুকরদের কৌশল এই দুই এর মধ্যে পার্থক্য করতে না পেরে সাধারণ মানুষ প্রায়ই ধোঁকায় পড়ে যেতো। অনেকেই যাদুকরকে নবী ভেবে ভুল করতো, আবার অনেকে নবীকে যাদুকর ভেবে ভুল করতো। এই বিভ্রান্তি মানুষের জন্য কষ্টদায়ক হয়ে উঠলো।

এই অবস্থায়, মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য আল্লাহ বাবিল শহরে (ব্যাবিলন) দুই জন ফেরেশতা পাঠালেন। ফেরেশতা দুজনের নাম- হারুত এবং মারুত।

তাঁরা পৃথিবীতে এলেন আল্লাহর নির্দেশে মানুষকে পরীক্ষা করবার উদ্দেশ্যে। সেই পরীক্ষার বিষয় বস্তু ছিলো- কালোযাদু। তাঁরা কালো যাদুর জ্ঞান নিয়ে পৃথিবীতে এলেন।

ফেরেশতাদ্বয় মানুষের কাছে যেয়ে বললেন নিজেদের পরিচয় এবং তাঁরা আরো বললেন তাঁদের পৃথিবীতে আসার উদ্দেশ্য কী। তাঁদের নিয়ে আসা কালোযাদুর জ্ঞানের কথাও তাঁরা মানুষকে জানালেন। তাঁরা বিস্তারিত বললেন, যারা আল্লাহ ও পরকাল চায় তারা যেন এই সমস্ত থেকে দূরে থাকে।

কিছু মানুষ সব জেনে বুঝেই এই জ্ঞান অর্জন করতে চাইলো। তারা স্বীকার করেই নিলো যে পরকালে তাদের কোন অংশ নেই! তারা যা পাওয়ার এই দুনিয়াতেই পেতে চায়!

সেই সকল লোভীদের জন্য ফেরেশতারা কালোযাদুর জ্ঞান বিস্তার করে দিলেন। সেই সব লোকেরা কালো যাদু ব্যবহার করে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাতো।

(শয়তানের আসরে সবচেয়ে বেশি বাহবা সেই শয়তান পায়। যে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটায়!)

আর যারা আল্লাহকে ভয় করলো তারা এসব থেকে দূের রইলো।
মূলত এটা ছিলো আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য পরীক্ষা। যেহেতু ফেরেশতাগণ নবী অথবা যাদুকর কোনটাই ছিলেন না, সুতরাং তাঁদের মুজিজা দেখে তাঁদেরকে নবী বলে বিভ্রান্ত হওয়ার ব্যপার ছিলো না কোন মানুষের জন্য।
অপরদিকে, যারা মূলতঃই যাদুর প্রতি আকৃষ্ট ছিলো, তারা আসলে নবুয়্যতের মুজিজায় ঈমান আনার ব্যপারে আগ্রহী ছিলো না। তারা আল্লাহর বানী নয় বরং যাদুর ক্ষমতায় আকৃষ্ট ছিলো।

আজ অব্দি ব্যাবিলন এক রহস্যময় স্থান। এখানে ঘটেছে নানা ঐতিহাসিক ঘটনা। নানা রহস্যের প্রসিদ্ধ এক নগরী এই বাবিল নগরী।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

মাসুম এইচ বিল্লাহ বলেছেন: ব্লগটা আরো বড় হলে আরো ভালো হতো। আরো কিছু জানতে পারতাম।

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:০১

SwornoLota বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। উৎসাহ পেলাম। চেষ্টা থাকবে ভবিষ্যতে আরো কিছু জেনে জানানোর ইনশা আল্লাহ।

২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:০৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: পোষ্টে ভালো লাগা..........

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:০২

SwornoLota বলেছেন: ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা।

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

জুন বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়ে এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় পপ গ্রুপ বনি এম এর বাই দ্যা রিভারস অফ ব্যবিলন গানটার কথা মনে পড়লো স্বর্নলতা। সাতগে সাথে কালোযাদু সম্পর্কেও অনেক কিছু জানা হলো :)

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫

SwornoLota বলেছেন: ঠিক। এই গান আমারো মনে এসেছিলো।

৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জুন বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়ে এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় পপ গ্রুপ বনি এম এর বাই দ্যা রিভারস অফ ব্যবিলন গানটার কথা মনে পড়লো স্বর্নলতা। সাতগে সাথে কালোযাদু সম্পর্কেও অনেক কিছু জানা হলো ।" আমার মনে পড়লো সামিনা চৌধুরীর গান "এই যাদুটা যদি সত্যি হয়ে যেতো, তবে আমি তা শিখে নিতাম ।"

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

SwornoLota বলেছেন: কিন্তু কালো যাদুগুলো কারো উপর সত্যি না হোক!

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:৪৬

মহা সমন্বয় বলেছেন: কালো যাদু পারলে আমার উপর সত্যি হোউক। B-)
এসব কা্লো যাদু, লাল যাদু এগুলো সব সাইকোলজীক্যাল ব্যাপার, যার মন যত বেশী দুব্বল তার উপর এইসব যাদু নামক সাইকোলজীক্যাল গেম ভাল কাজ করবে। আর এটা নির্ভর করে সম্পূর্ণ বিশ্বাসের উপর মানে অন্ধ বিশ্বাস। যা মনোবিজ্ঞানের Placebo এর অন্তর্গত। অন্ধভাবে যারা এসব যাদু বিশ্বাস করে শুধু তাদের উপরই এর প্রভাব ফেলানো সম্ভব, এমনকি মানুষকে মেরে ফেলাও সম্ভব এসব মইন্ড গেমের মাধ্যমে। এখানে যাদু মন্ত্রের কোনই হাত নেই, যাদু মান্ত্রের ওই ব্যাপারগুলু জাস্ট সাজেশন হিসেবে কাজ করে মানুষের মনের উপর। ব্যক্তি বিশেষে এই সাজেশনটা একটু ভিন্নভাবে প্রোয়োগ করতে হয়। আর সবার ক্ষেত্রে তা সমানভাবে কার্যকরও নয়। এ এক বিস্তর প্র্যাক্টিসের ব্যাপার। আপনাকে অনেক জ্ঞান দিয়ে ফেল্লাম :`>
এই পোস্টটি দেখতে পারেন। view this link
এসব যাদুর ট্রিক্স আমি নিজেও জানি হেঃ হেঃ ;)
আর তাই এসব কালা যাদু আমার উপর প্রোয়াগ করার ক্ষমতা দুনিয়ার কোন তান্ত্রিক সাধক বা পীর ফকিরের নেই।
পীর ফকির, তান্ত্রিক গুরুদের দিন শেষ হই গেসে তাদের মুখোশ উম্মোচন করে দিয়েছি আমরা B-)
আর Paranormal activities এর পুরো ব্যাপারটিই হচ্ছে দড়িকে সাপ বানানোর মত ঘটনা এবং এর সাথে জড়িত থাকে বেশ কিছু বিষয়। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে দড়ি কখনও সাপ হতে পারে না বা হয় না। মানুষ স্বভাবতই রহস্য প্রীয় আমার মনে হয় আপনি একটু বেশিই প্রিয় :P

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:২৬

হানিফঢাকা বলেছেন: ইন্টারেস্টিং। গল্পটা পড়লে আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় সম্পূর্ণ সত্য। কিন্তু একটু কেয়ারফুল হয়ে স্টাডি করলে দেখা যায় এই গল্পের সাথে সুক্ষ ভাবে কিছু মিথ্যা উপাদান মেশানো আছে যার উৎস তৎকালীন মানুষের বিশ্বাস। হারুত মারুত কোন কাল যাদু শেখাত না। (এইখানে যাদু বলতে বিশেষ জ্ঞান/বিদ্যা বুঝানো হয়েছে, প্রচলিত অর্থে ম্যাজিক না)। কোরআনের ২ঃ১০২ এ একটু ভালভাবে স্টাডি করলে দেখবেন কাল যাদু শব্দটার পরে "ওমা" শব্দ দিয়ে পৃথক করে হারুত মারুত যা শিখাত তা বলা আছে। ঐ একই আয়াতে আপনি পাবেন, হারুত মারুত যে জ্ঞান শিক্ষা দিত তার ভাল এবং খারাপ দুই রকমই ব্যাবহার আছে। মানুসের এভিল ন্যাচারের জন্য মানুষ ঐ বিদ্যা খারাপ কাজে লাগাত যেমন বিচ্ছেদ সৃষ্টি করা। েই রকম জিনিষ আপনি আপনার চারপাশে প্রচুর পাবেন যেমন ইন্টারনেট, মোবাইল ইত্যাদি। এইগুলি ভাল না খারাপ তা নিরভের করে এর ব্যাভহারের উপরে। দয়া করে ভালভাবে ২ঃ১০২ আবার পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন।

কোরআনের ২ঃ১০২ আয়াত থেকে কোনভাবেই প্রমানিত হয় না হারুত মারুত কোন কাল যাদু/ বিদ্যা শিক্ষা দিত।

ধন্যবাদ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২

SwornoLota বলেছেন: কালো যাদু বলতে সেই বিদ্যাকেই মিন করা হয়েছে যে বিদ্যা অন্যের ক্ষতির জন্য ব্যবহৃত হতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.