নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিরসুখী জন।

SwornoLota

এই আছি এই নেই হয়ে চুপিসার...

SwornoLota › বিস্তারিত পোস্টঃ

Paranormal activities……….2

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০৭

প্রায় ১০০ বছর আগের ঘটনা।
ময়মনসিংহের গফরগাঁয়ে ঘটেছিলো ।

আহাম্মদ মুন্সী ছিলেন আফগানিস্তান থেকে আগত পূর্ব পুরুষের বংশধর। গ্রামের অবস্থা সম্পন্ন গৃহস্থ তিনি। বাড়ির সামনেই পুরোনো আম কাঁঠাল গাছের বাগান, জঙ্গলও বলা চলে। কোনো কারণে একদিন আহাম্মদ মুন্সী সিদ্ধান্ত নিলেন, পুরোনো এই জঙ্গল কেটে বড় দীঘি খনন করা হবে।

সেই মতো কাজ চললো। জঙ্গলের বহু পুরোনো সব আম কাঁঠালের বিশাল গাছগুলো কেটে সাফ। এবার মাটি কাটার কাজ। খনন হতে লাগলো দীঘি। একটু একটু করে গভীরতা বাড়তে থাকলো বিশাল গর্তের।

সাধারণত, কয়েক হাত নিচে গেলেই মাটির নিচের পানির স্তরের দেখা পাওয়া যায়। কিন্তু অদ্ভূত ব্যাপার! এই দীঘি খুঁড়া হলো অনেক গভীর করে, তবুও পানি উঠবার নামই নেই !

এই অবস্থা দেখে আহাম্মদ মুন্সী সিদ্ধান্ত নিলেন, যা খুঁড়া হয়েছে তা হয়েছেই, এবার এর তলদেশে কূপ খনন করা হোক। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একে একে সাত সাতটি গভীর কূপ খনন করা হলো! কিন্তু পানির দেখা নেই !!

শূণ্য গর্ত এভাবেই পড়ে থাকলো কয়েকদিন।

আহাম্মদ মুন্সীর এক অপরূপা সুন্দরি কন্যা ছিলেন। দীঘি খুঁড়ার কয়েক দিন পর এক বৃহস্পতিবার রাতে আহাম্মদ মুন্সীকে স্বপ্নে দেখানো হলো, তাঁকে বলা হচ্ছে,
"দীঘিতে পানি উঠবে যদি তোমার মেয়েটা দিয়ে দাও!"

স্বপ্নের মধ্যেই বাক-বিতণ্ডা হলো, তিনি মেয়ে দিতে নারাজ।

অবশেষে প্রস্তাব এল, "তাহলে তোমার একটা চোখ দিয়ে দাও!"

তিনিও বিরক্তি ভরে বললেন, "যা..... নিয়ে যা !"

সেই রাতের শেষে, শুক্রবার ভোরে যখন তিনি জেগে উঠলেন, তখন তাঁর একটি চোখে দৃষ্টি শক্তি ছিলো না। সেই থেকে তাঁকে একটি চোখের দৃষ্টি নিয়েই থাকতে হয়েছিলো ।

যাই হোক, সেদিন শুক্রবার, দুপুরে জুমার নামাজ পরতে মুসল্লিরা আসলেন ঐ দীঘিটার পার্শ্ববর্তী মসজিদে। এই মসজিদটিও আহাম্মদ মুন্সীর পারিবারিক মসজিদ, অনেক পুরনো।

নামাজ শেষ করে জামাত ভেঙে যখন মুসল্লিরা বেরোতে শুরু করলেন মসজিদ থেকে, তখন একটি আওয়াজ শোনা গেলো গুঞ্জনের মতো। আওয়াজের উৎস-
সদ্য খননকৃত শুকনো দীঘি।

দেখা গেলো, দীঘির তলদেশের কূপগুলো থেকে ফিনকি দিয়ে পানির ধারা ছিটকে উঠছে !

ক্রমশ বর্ধমান সেই ধারার বেগ একসময় কুন্ডলী পাকিয়ে উথলে উঠতে শুরু করল। দেখতে দেখতে চারপাশের বহু মানুষের চোখের সামনে পানিতে ভরে গেলো দীঘি।

অবশেষে পানি উঠলো দীঘিতে।
কথা রাখলো "তারা", আহাম্মদ মুন্সীর চোখ এর বিনিময়ে দীঘিতে পানি উঠলো ।

পুরনো আম কাঁঠালের জঙ্গল কেটে ফেলে সম্ভবত "তাদের" অসুবিধা করা হয়েছিলো। তাই "তারা" উপযুক্ত মূল্য আদায় করে নিলো!

Note : ঘটনাটি আমার খুব নিকটাত্মীয়ের পরিবারে ঘটেছিলো । এই কাহিনীর সকলেই আমার relative,
শুধু জ্বিনরা ছাড়া।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:১১

জুন বলেছেন: কি ভয়ংকর :-&

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:১৩

SwornoLota বলেছেন: জ্বি আপু। সত্যি খুব সাড়া ফেলেছিলো তখন।

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের দেশে অনেক জ্বিন ভূত উড়িয়ে দিতে চায়!

সবচে অবাক করা তথ্য হল সবচে উন্নত দুই দেশ আমেরিক, ব্রিটেনে কিন্তু এই বিশ্বাসেও সবচে এগিয়ে ;)

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

SwornoLota বলেছেন: হুম। তাই।

আপনি কোন দলের তা তো বললেন না।

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

মহা সমন্বয় বলেছেন: শুধু ময়মনসিংহে কেন বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামেই আছে পুকুর, দিঘি নিয়ে নানা দেউ দৈত্য, জ্বীন,ভূতের কাহিনি।
এগুলা হচ্ছে গুজব রহস্যপ্রিয় মানুষের বানানো কাহিনি।

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩

মহা সমন্বয় বলেছেন: আর এই ঘটনাগুলাো যখন কেউ প্রচার করে তখন সে বলে থাকে ঘটনাটি আমার খুব নিকটাত্মীয়ের বা কাছের কেউ অথবা আমি নিজে দেখেছি বা আমি নিজ কানে শুনেছি ;) =p~ একটু চেপে ধরলেই বলে না মানে ইয়ে মানে আমি নিজে দেখিনি তবে আমার খুব কাছের বন্ধুর মামার,শশুরের, আবার,ছেলে দেখেছে। =p~
আর এভাবেই গুজব ডালপালা গঁজায়।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

SwornoLota বলেছেন: নিজ পরিবারের ঘটনাগুলোই যাচাই করে তারপর লিখি সাধারণত।

নিজ কানে না শুনলে, বা নিজ চোখে না দেখলেও সেরকম দাবি করাটা এক প্রকার মিথ্যাচার। অতটা কাল্পনিক এখনো হইনি।

আহাম্মদ মুনসী ছিলেন দাদুর দাদা। যে মেয়েটিকে চাওয়া হয়েছিলো তাঁর কাছে তিনি দাদুর ফুপু। তাঁদের সেই পুকুর, শত বছরের পুরোনো মসজিদ সবকিছুর সাথেই শৈশবের অনেক সময় কাটিয়েছি আমি। সাতটা কুয়া সত্যিই ছিলো।

এই কথাগুলো আমার বলার জন্য কেউ চেপেও ধরেনি, বিরাট ইনভেস্টিগেশনেরও দরকার হয়নি।
আপনার গুজব, অন্যের সত্য। নিজ নিজ স্থানে সকলের বসবাস।

৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:০৪

নতুন বলেছেন: প্রায় ১০০ বছর আগের ঘটনা।

১০০% বানানো ঘটনা।

ঘটনার সতত্যা খুজতে চেস্টা করুন... তবে দেখবেন আসলে এটা বানানো।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

SwornoLota বলেছেন: আপনার ১০০% আত্মবিশ্বাসের প্রতি রইলো ১০০% ইগনোরেন্স।

আসল ঘটনা যতটুকু জানা গেছে ততটুকুই লিখা আছে।
দাদুর দাদা উনার দৃষ্টি শক্তি হারালেন , আর সেদিনই পানি উঠলো অনেক মানুষের সামনে, এটা আপনার জানার কথা না অবশ্য, তাই আপনার অজ্ঞানতা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা হলো।

৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আত্মার অবিনশ্বরতা বাদ শক্তির অবিনশ্বরতাবাদের মতোই সত্য।

কেউ জানেনা বা তার জ্ঞানে ধরেনা বলে তা মিথ্যা নয়! ভার মন্দ সকল প্রকার আত্মাই রয়েছে । তবে দুষ্ট বা অবাধ্য গুলো যেমন মােঝ মাঝে সীমা লঙ্গন করে।
আর জ্বিন জাতির প্রতি বিশ্বাসতো আমাদের মুসলমানদের ঈমানেরই অংশ। কারণ আল্লাহর ঘোষনা জ্বিন ও ইনসানেক আমি ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।


০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

SwornoLota বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ! জানতে পারলাম আপনার মতামত। আমিও এভাবেই বিশ্বাস করতে ভালোবাসি।

৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

আহলান বলেছেন: এমন অনেক কাহিনী শোনা যায় ... সত্য মিথ্যা দিয়ে বিচার না করাই ভালো ...

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪

SwornoLota বলেছেন: হা হা! পাশ বাঁচানো মতামত।

যাই হোক তবু ভালো সায়েন্টিফিক থিওরি নিয়ে আসেননি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১

আহলান বলেছেন: আপনার উত্তরে হাসি পেয়েছে ভালোও লেগেছে। আসলে যারা বিশ্বাস করে না তাদেরকে তো আর জোর করে বিশ্বাস করানো যাবে না - তাই ওই মন্তব্য করেছি। আর যারা বিজ্ঞান দিয়ে সব বিচার করতে চায় তাদেরকে বড় বেকুব বলেই আমি মনে করি। কারন বিজ্ঞান প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল আর সত্য সর্বদাই সত্য, তা বিজ্ঞান দিয়ে প্রমাণিত হোক বা না হোক ....

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৩০

SwornoLota বলেছেন: জ্বি। আপনি যা বলেছেন, ঠিক সেগুলোই আমিও ভাবি।
অনেক ধন্যবাদ।

১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দুঃখিত! ঈমান আনতে পারলাম না!

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩১

SwornoLota বলেছেন: দুঃখিত। ভুল ট্র্যাকে ক্লিক করেছেন।
আপনার ঈমান আনা না আনায় আমার কিছু যায় আসে নাহ।
সেটা আনাআনির জোরাজুরি আমার চাকুরি নয়।

১১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
বাস্তবের মধ্যে অনেক অবাস্তব থাকে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

SwornoLota বলেছেন: যেমন আমি থেকেও নেই।
কোনটা বাস্তব আর কোনটা পরাবাস্তব সেটা অত্যন্ত আপেক্ষিক।
চর্মচক্ষে যা দৃশ্যমান তাই একমাত্র সত্য হতে পারে না।

১২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪০

পুলহ বলেছেন: আপনার পারিবারিক ঘটনাটি শেয়ার করবার জন্য ধন্যবাদ।
সাধারণত এ ধরণের ঘটনায় প্রত্যক্ষ রেফারেন্স পাওয়া যায় না, কিন্তু আপনার কাছ থেকে সেটা অনেকটাই পাওয়া গেলো।
শুভকামনা জানবেন।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:১৮

SwornoLota বলেছেন: শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ জানাই। অনেক ভালো থাকুন।

১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:০০

হাসিব নাহার বলেছেন: ভালো লাগল এসব কাহিনী কেউ বিশ্বাস না করলেও আমি করি তার যথেষ্ট
কারন আছে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:২১

SwornoLota বলেছেন: যথার্থই বলেছেন। এই বিশ্বাসের পেছনে সত্যিই যথেষ্ট কারণ আছে!

১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৩১

মাহবুব রহমান পিকে বলেছেন: দাদার কাহিনী। সেই আমলেই ঘটতো এখন আর শোনা যায় না।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:২৩

SwornoLota বলেছেন: এখনো হয়, কিন্তু কম।

১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০৪

কল্লোল পথিক বলেছেন:




প্রকৃতি বড়ই রহস্যময়!

০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০

SwornoLota বলেছেন: অভেদ্য রহস্যের আধার।

১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

সামিয়া বলেছেন: খুব সুন্দর বর্ণনা । ভালো লাগলো।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০

SwornoLota বলেছেন: শুভেচ্ছা নিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.