নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার আমি

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌

এখানে ওখানে ঘুরি। শুনি, পড়ি, হাঁটি, খেলি।

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বক্সিং লিজেন্ড মোহাম্মদ আলীর চিরবিদায়

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

বক্সিং লিজেন্ড মোহাম্মদ আলীর চিরবিদায়। পৃথিবীর মানুষের কাছে, বিশেষ করে মুসলমানদের কাছে প্রিয় ছিলেন। আমরা তাঁর জন্য দোয়া করি। তাঁর প্রতি মানুষের ভালবাসা এবং বিশ্বে জনপ্রিয়তা অতুলনীয়। মহান আল্লাহ্ তাঁকে বেহেশত্ নসিব করুন।

মুহাম্মদ আলীর জন্ম ১৯৪২ সালের ১৭ জানুয়ারি। একজন সাবেক মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা তিনি। এই বক্সার তিনবারের ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন এবং অলিম্পিক লাইট-হেভিওয়েট স্বর্ণপদক বিজয়ী। ১৯৯৯ সালে মুহাম্মদ আলীর নাম বিবিসি এবং স্পোর্টস ইলাট্রেটেড স্পোর্টসম্যান অব দ্যা সেঞ্চুরি অথবা শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা করে।

আলী ১৯৬৪ সালে ইসলামী সংগঠন নেশন অব ইসলাম এ যুক্ত হন এবং ১৯৭৫ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তার নাম পরিবর্তন করে মোহাম্মদ আলী রাখেন।

তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধে মার্কিন সামরিক বাহিনীর হয়ে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানান। শক্তি, বাগ্মিতা, বিবেক ও সাহসিকতার প্রতীক হয়ে আছেন তিনি। মারা যাওয়ার কিছুদিন আগেও অসুস্থ থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের মুসলিম নিষিদ্ধ ঘোষণা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন তিনি। এনবিসি নিউজ।

বক্সিং ক্যারিয়ারে আলীর সেরা দশ লড়াই:

১. ১৯৬৪ সালে ফ্লোরিডায় মিয়ামি বিচে সনি লিষ্টলের মুখোমুখি হন আলী। সাত রাউন্ড শেষে হেরে যান লিষ্টল। ফলে ২২ বছর বয়সে প্রথমবারের মত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আলী।

২, একই বছর (১৯৬৪ সালে) সনি লিষ্টনের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জিতেন আলী। পরের বছর শিরোপার লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লয়েড প্যাটারসনকে সামনে পান আলী। দুর্দান্ত লড়াইয়ের পর ১২ রাউন্ড শেষে টেকনিক্যাল নক আউট হন প্যাটারসন। ফলে টানা দ্বিতীয়বারের মত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন আলী।

৩. ১৯৬৬ সালে ব্রিটিশ তরুন বক্সার হেনরি কুপারের মুখোমুখি হন আলী। রিংয়ে স্পষ্টভাবেই ফেভারিট ছিলেন আলী। ম্যাচ শেষে ফলাফল তা প্রমাণও করেছে। জিতেছিলেন আলী। কিন্তু ম্যাচ চলাকালীন আলীকে নক আউট করেছিলেন কুপার।

৪. ১৯৬৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আর্নি টেরেলের বিপক্ষে সহজ এক জয়ের স্বাদ পান আলী। জয়টা সহজ হলেও, ডব্লিউটিএ চ্যাম্পিয়নশিপে টেরেল বিপক্ষে জয়ের ওজন অনেক বেশি ভারীই ছিলো আলীর।

৫. ১৯৭১ সালে হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশীপের জন্য মুখোমুখি দুই জনপ্রিয় বক্সার জো ফ্রেজিয়ার ও আলী। ১৫ রাউন্ড শেষে হার মানেন ফ্রেজিয়ার। ফলে শিরোপা জিতে নেন আলী। আর এই লড়াইটি ‘ফাইট অব দ্য সেঞ্চুরির’ স্বীকৃতি পায়।

৬. ১৯৭৩ সালে সান দিয়েগোর স্পোর্টস অ্যারেনায় আলী মুখোমুখি হন মার্কিন বক্সার কেন নর্টনের। ঐ লড়াইটা বেশ দারুন জমেও উঠেছিলো। শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত এক রাইট পাঞ্চ করে ম্যাচ জিতে নেন আলী। ঐ জয়ে নর্টনের বিপক্ষে জয়ের দিক দিয়ে এক ধাপ এগিয়ে যান তিনি। ক্যারিয়ারে নর্টনের বিপক্ষে দু’বার জিতেছেন আলী। আর নর্টন জিতেন একবার।

৭. ১৯৭৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ফোরম্যানের মুখোমুখি হন আলী। ঐ সময় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফোরম্যান। তিন বছর পর রিংয়ে ফিরেই বিশ্বকে অবাক করে দেন আলী। বর্তমান চ্যাম্পিয়নকে আট রাউন্ডেই নক আউট করে দেন আলী। ফলে বক্সিং ইতিহাসে এই লড়াইটি স্বীকৃতি পায়- ‘রাম্বল ইন দ্য জঙ্গল’ নামে।

৮. ১৯৭৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের চাক ওয়েপনারের মুখোমুখি হন আলী। ম্যাচে দু’জনই বহুবার ফাউল করেন। ১২ রাউন্ড পর হঠাৎ ক্ষেপে যান আলী। ওয়েপনারের উপর ভয়ংকর আক্রমণ করে বসেন আলী। ফলে নাক-মুখ ভেঙ্গে যায় ওয়েপনারের। পরে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। তাই এই ম্যাচটি বক্সিং ইতিহাসের অন্যতম বিতর্কিত একটি ম্যাচ।

৯. ১৯৭৫ সালে আচমকাই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আলীকে চ্যালেঞ্জ করে বসেন যুক্তরাষ্ট্রের রন লাইল। চ্যালেঞ্জ করে ম্যাচের শুরু থেকে আলীকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন লাইল। কিন্তু চতুর্থ রাউন্ড থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন আলী। আর পঞ্চম থেকে অষ্টম রাউন্ড পর্যন্ত লাইলকে নক আউট করে চ্যালেঞ্জের জবাব দেন আলী।

১০. লাইলের মত ১৯৭৭ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আলীকে চ্যালেঞ্জ করে বসেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালফ্রেডো ইভাংগালিস্তা। আলীর সাথে পাল্লা দিয়েই লড়াই করেন ইভাংগালিস্তা। তাই ম্যাচটি ১৫ রাউন্ড পর্যন্ত গড়ায়। শেষ পর্যন্ত ১৫ রাউন্ডের ম্যাচটি জিতে নেন আলী।
(কপি-পেষ্ট)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.