নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The law is reason, free from passion.

সৈয়দ মাহিন

সৈয়দ মাহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেনে রাখুন থানায় ডায়েরি (G.D) করার পদ্ধতি

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭

ডায়েরি:

ডায়েরি, যাকে বাংলায় সাধারণ ডায়েরি বলা হয়। এ ডায়েরি হলো কোনো অপরাধ বা ক্ষতি সংঘটনের আশঙ্কাজনিত বিবরণ। এর জন্য থানায় গিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তার কাছে ঘটনাটি মৌখিক বা লিখিতভাবে জানাতে পারেন।জিডি করার জন্য থানায় কোনো টাকা দিতে হয় না। এর জন্য কোনো ফি-ও ধার্য নেই।ঘটনা যেখানে সংঘটিত হয়েছে তার নিকটবর্তী থানায় গেলেই দায়িত্বরত পুলিশকর্মকর্তা জিডি লিপিবদ্ধ করবেন। পুলিশের সাহায্য নিয়েও জিডির জন্য দরখাস্তলিখতে পারেন। জেনারেল ডায়েরি একটি মূল্যবান রেজিস্ট্রার। প্রত্যেক থানা বা ফাঁড়িতে জেনারেল ডায়েরি (জিডি) রয়েছে। সাধারণত যেসব বিষয়ে জিডি করা হয়, তারমধ্যে রয়েছে ইভ টিজিং, হারানো দলিল, নতুন/পুরান ভাড়াটিয়া সম্পর্কিত তথ্য, নতুন/পুরান নৈশপ্রহরী, দারোয়ান, গৃহপরিচারিকা, কেয়ারটেকার এবংপলায়নসংক্রান্ত বিষয় (যেমন ছেলে মেয়েকে বা মেয়ে ছেলেকে নিয়ে পালালে বাকাজের মানুষ পালালে)। তবে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, মারামারি, নারীনির্যাতন, ধর্ষণ ইত্যাদি ঘটনায় মামলা হয়, জিডি হয় না। ব্যক্তিগতভাবে থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।







কোথায় জিডি করবেন:

জিডি করার ক্ষেত্রে সাধারণত ঘটনাস্থলকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত। অর্থাৎ যেএলাকায় ঘটনা ঘটেছে বা ঘটার আশঙ্কা আছে সে এলাকার থানাতেই জিডি করতে হবে।আবেদন করতে হবে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর। নিচেথাকবে থানার নাম। বিষয় হিসেবে উল্লেখ করতে হবে যে ব্যাপারে জিডি করতে চানতার নাম (যেমন হারানোর ব্যাপারে লিখতে পারেন : হারানো সংবাদ সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন)। বিবরণ অংশে আপনাকে বিস্তারিতলিখতে হবে। অবশ্যই আপনাকে আশঙ্কার কারণ, যার জন্য আশঙ্কা করা হচ্ছে বা যেহুমকি দিচ্ছে তার নাম, ঠিকানা, হুমকির স্থান, তারিখ উল্লেখ করতে হবে। কিছুহারিয়ে গেলে তার বিস্তারিত বিবরণ এবং পারলে তার কোনো নমুনা, যেমন ছবি দরখাস্তের সঙ্গে সংযুক্ত করবেন। সব শেষে নিচে আপনার নাম, ঠিকানা ও ফোননাম্বার লিখে দেবেন। আবেদনটি লেখা সম্পন্ন হলে এর দুটি ফটোকপি করবেন। যদিকোনো বিষয়ে এখনই কোনো মামলা না করতে চান, তাহলে জিডিতে স্পষ্ট করে উল্লেখকরে দিতে হবে যে এ বিষয়ে আপাতত কোনো মামলা করবেন না। তবে মনে রাখবেন, পুলিশযদি মনে করে যে কোনো মারাত্মক অপরাধ ঘটেছে, তাহলে জিডি থেকেও মামলা হতেপারে। জিডি করতে যে কোনো পরামর্শের জন্য সার্ভিস ডেলিভারি অফিসারের সঙ্গেযোগাযোগ করুন। আপনি যদি লিখতে না পারেন, তবে তাকে লিখে দিতে অনুরোধ করুনএবং এ জন্য থানায় জিডি করা হলে তা যদি কোনো অপরাধ আমলে নেয়ার জন্য হয়, তাহলে থানা কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আমলে নিয়ে অপরাধটি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেবেন। আর যদি কোনো অপরাধ অধর্তব্য প্রকৃতির হয়, তাহলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৫(২) ধারা অনুসারে এখতিয়ারবান ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়েতদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।













জিডির গুরুত্ব:

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য পাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ জিডি। কোনো অপরাধ সংঘটনের বিরুদ্ধে আইন সহায়তাকারী সংস্থার সাহায্য পাওয়ার জন্য এটি প্রথমপদক্ষেপ এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। জিডি করতে দেরি হলে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ জোরালো হবে। অন্যদিকে জিডি সময়মতো করা হলে অভিযোগ শক্তিশালী হবে।





জিডিতে কী কী উল্লেখ করতে হয়:

ঘটনা সংঘটিত হওয়া স্থানের নাম, সময়, সাক্ষী (যদি থাকে), সন্দেহকারীব্যক্তির নাম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ঠিকানা, সন্দেহের কারণ ইত্যাদি উল্লেখকরতে হয়। আর শেষে থাকবে জিডিকারীর নাম, স্বাক্ষর, পিতার নাম, ঠিকানা ওতারিখ। যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হলে থাকেন তাদের হল প্রভোস্টের স্বাক্ষরলাগতে পারে। যদি থানা কর্তৃপক্ষ আপনার জিডি এন্ট্রি করতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে আপনি সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদন করে আপনার আইনিঅধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।





জিডির পর করণীয়:

প্রত্যেক জিডি এন্ট্রির একটি নির্দিষ্ট নাম্বার ও তারিখ থাকে। লিখিতভাবেজিডি করার ক্ষেত্রে লিখিত দরখাস্তটির তিনটি অনুলিপি থানায় দাখিল করা হলেকর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা এগুলোর একটি অনুলিপি থানায় রেকর্ড হিসেবেসংরক্ষণ করবেন। অন্য একটি অনুলিপি জিডি এন্ট্রির নাম্বার ও তারিখ প্রদানমোতাবেক সিলমোহরাঙ্কিত অবস্থায় দরখাস্তকারীকে ফেরত দেবেন। তৃতীয় অনুলিপিটিতদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য রাখা হয়। এটা পরবর্তীতে লাগতে পারে।বিশেষ করে হারানো কোনো কিছু পাওয়ার ক্ষেত্রে এটি অবশ্যই লাগবে। আবারপ্রত্যেক জিডি এন্ট্রির বিষয়কে গুরুত্ব অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করারনিয়ম আছে। তবে যেসব জায়গায় অনেক বেশি পরিমাণে জিডি হয়ে থাকে সেসব স্থানেথানার পক্ষে সব জিডির বিষয় তদন্ত করা সম্ভব হয় না। তবুও থানায় কোনো জিডিকরার পর যদি কোনো অপরাধ সংঘটিত হয় সে ক্ষেত্রে জিডি এন্ট্রিটি অপরাধীরবিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণে অত্যন্ত সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হয়। মনে রাখবেন, জিডিকরা মানে কোনো মামলা করা নয়। মামলা হয় কোনো ফৌজদারি অপরাধ ঘটে গেলে। আরকোনো ঘটনা বা অপরাধ এখনো সংঘটিত হয়নি কিন্তু ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বা কাউকেহুমকি দেয়ার কারণে শান্তি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে সে ক্ষেত্রেই জিডিএন্ট্রি করা আবশ্যক হয়ে পড়ে; যাতে অপরাধ সংঘটনকারী সতর্ক হয়ে যায়।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০০

ঢাকাবাসী বলেছেন: হা হা হা এটা বাংলাদেশ, ওখানে মাল না দিলে এখানে কিসসু হয় না। বহুদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলা।

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

েনাঙর বলেছেন: ঢাকাবাসীর সাথে একমত চা-পানির কিছু একটা লাগে।

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

সৈয়দ মাহিন বলেছেন: আমাদের সবাইকে প্রতিবাদ করতে শিখতে হবে, ঘুষ বা দুর্নীতি এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। বিজয় একদিন হবেই.....

৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: ঢাকাবাসী বলেছেন: হা হা হা এটা বাংলাদেশ, ওখানে মাল না দিলে এখানে কিসসু হয় না। বহুদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.