নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিয়ার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাজাকার-সমাবেশ হয়েছিল! আপনি কি তা জানেন?

৩০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৫



জিয়ার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাজাকার-সমাবেশ হয়েছিল! আপনি কি তা জানেন?
সাইয়িদ রফিকুল হক

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ইতিহাসের অংশ হয়ে গিয়েছে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের পর থেকে। এটি বাঙালি-জাতির কাছে একটি গৌরবজনকস্থান। এখান থেকেই বাঙালি-জাতির জনক স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। আর স্বাধীনতার সেই ঘোষণাসম্বলিত ঐতিহাসিক ভাষণে গর্জে উঠে বলেছিলেন:

“আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন কেউ আমাদের দাবায় রাখতে পারবে না।...রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব, তবু এ-দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।”

কিন্তু এই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই তৎকালীন সামরিকজান্তা জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭৬ সালের ৭ই মার্চ ‘রাজাকার-সম্মেলন’ বা ‘রাজাকার-সমাবেশ’ হয়েছিল! আর এই ‘রাজাকার-সমাবেশে’র প্রধান পৃষ্ঠপোষকও জিয়াউর রহমান। তার নেতৃত্বেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেদিনের এই ‘রাজাকার-সমাবেশ’। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই ‘রাজাকার-সমাবেশে’র নাম দেওয়া হয়েছিল “ইসলামী জলসা”। দিনদুপুরে তাদের সেই কথিত ‘ইসলামিক জলসা’র আয়োজন করা হয়। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একদিন স্বাধীনতার ডাক দেওয়া হয়। আর সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯৭৬ সালের ৭ই মার্চে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় রাজাকারদের সমন্বয়ে আয়োজন করা হয় কথিত ‘ইসলামী জলসার’! এতে দর্শক-শ্রোতা হিসাবে হাজির হয়েছিল ‘জামায়াত-শিবিরে’র সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং দেশের সর্বস্তরের রাজাকারগং। আর এখানে, উল্লেখ্য যে, সেই সময় দেশে পুরোপুরি সামরিক আইন চলছিল। আর সেই সামরিক আইনবলে দেশে সভাসমিতি ও মিটিং-মিছিল করা একেবারে নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু রাজাকাররা, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের আশীর্বাদে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো ঐতিহাসিক স্থানে প্রকাশ্য দিবালোকে ‘ইসলামী জলসা’র নামে জনসভা তথা ‘রাজাকার-সমাবেশ’ করেছিল! কী বুঝলেন? দেশ তখন কোনদিকে চলছিল?

এই ‘রাজাকার-সমাবেশে’ ‘সভাপতি’ হিসাবে সেদিন উপস্থিত ছিল আমাদের দেশের কুখ্যাত রাজাকার-আলবদর দেলোয়ার হোসেন সাঈদী। আর ‘প্রধান অতিথি’ হিসাবে উপস্থিত হয়েছিল জিয়াউর রহমানের ডেপুটি এম জি তোয়াব। আরও উপস্থিত ছিল পাকিস্তান ও লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতগণ। এই ‘রাজাকার-সমাবেশে’ যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীসহ অনেক রাজাকারই বক্তব্য রেখেছিল সেদিন। আরও বিশেষ বক্তব্য রেখেছিল প্রধান অতিথি হিসাবে জিয়াউর রহমানের উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এম জি তোয়াব। এই ‘ইসলামী জলসা’র ব্যানারে আর ‘রাজাকার-সমাবেশে’ স্লোগান দেওয়া হয়েছিল:

“তোয়াব ভাই তোয়াব ভাই, চাঁন-তারা পতাকা চাই।”
“তোয়াব ভাই তোয়াব ভাই, চাঁন-তারা পতাকা চাই।”
“তোয়াব ভাই তোয়াব ভাই, চাঁন-তারা পতাকা চাই।”...

(আরও অনেক স্লোগান ছিল। পরবর্তীতে তথ্যপ্রমাণসহ সেগুলো তুলে ধরা হবে।)



ওই সময়কার সেই ‘রাজাকার-সমাবেশ’ তথা কথিত ‘ইসলামী জলসা’য় সমাগত ‘মুসলিম-রাজাকার-জনতা’র পক্ষ থেকে রাষ্ট্রের কাছে কথিত “ছয়-দফা” দাবিনামা উত্থাপন করা হয়। আর এই কথিত “ছয়দফা-দাবিদাওয়া” উত্থাপন করেছিল সেদিনের ‘রাজাকার-সম্মেলনে’র সভাপতি ও যুদ্ধাপরাধী দোলোয়ার হোসেন সাঈদী।

‘রাজাকার-সমাবেশে’র রাজাকারদের কথিত ৬টি দাবি ছিল:

১. দেশের নাম হতে হবে ‘ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’।
২. ‘জাতীয় পতাকা’ বদলাতে হবে।
৩. ‘জাতীয় সংগীত’ বদলাতে হবে।
৪. ‘শহীদ মিনার’ ধ্বংস করতে হবে।
৫. দেশের ‘সংবিধান’ পরিবর্তন করতে হবে।
৬. ধর্মভিত্তিক রাজনীতির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে এবং ইসলামিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

১৯৭৬-এর ওই ‘রাজাকার-সমাবেশ’ থেকে দাবিকৃত সকল দাবি জিয়াউর রহমান মানতে সাহস পায়নি। তাই, এর থেকে শেষের দুইটি মেনে নিয়েছিলেন। এজন্য তাকে বারবার সংবিধান কাটাছেঁড়া করতে হয়েছে। আর সংবিধানের অনেক ধারা-উপধারা বাতিল করতে হয়েছিল। আর ‘বঙ্গবন্ধুর সরকারের আমলে শুরু হওয়া’ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পথ আইন করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালও ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সংবিধানের রাষ্ট্রীয় ‘চার-মূলনীতি’ বাতিল করা হয়। রাজাকারদের খুশি করতে এবং বাংলাদেশে পাকিস্তানী ভাবধারা ফিরিয়ে আনার মানসে সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ সংযোজন করা হয়।
একমাত্র জিয়াউর রহমানের আশ্রয়েপ্রশ্রয়ে সেই সময় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো জায়গায় রাজাকাররা সমাবেশ করার দুঃসাহস দেখিয়েছিল! আর চরম ধৃষ্টতা ও সীমাহীন ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে উপর্যুক্ত ৬টি ঘৃণ্য ও রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক দাবি উত্থাপন করতে পেরেছিল। জাতির ইতিহাসে এটি একটি কলংকিত অধ্যায়।

পাঠক, বুঝতে পেরেছেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ‘ছয়দফা’কেও কলংকিত করার জন্য রাজাকারগং ১৯৭৬ সালের ৭ই মার্চ রাজাকার-সম্মেলনে পেশকৃত ৬টি রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক দাবিদাওয়াকে ছয়টি দফার মতো করে ঘোষণার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। কারণ, বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক “ছয়-দফা” ছিল পাকিস্তানের জন্য আতংকস্বরূপ। তাই, সেদিন ওরা চরম ধৃষ্টতার সঙ্গে দেশবিরোধী ৬টি দাবি পেশ করেছিল।

সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য সেদিন ওরা ‘রাজাকার-সমাবেশে’র নাম দিয়েছিল: ইসলামী জলসা, সীরাত মাহফিল, সীরাত সম্মেলন। আসলে, সবকিছুকে ছাপিয়ে এর আড়ালে এটা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের প্রথম আনুষ্ঠানিক জনসভা এবং সর্বস্তরের যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের পুনর্মিলনী।

সেদিনের শাসকের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে ত্রিশ লক্ষ শহীদের ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বাংলাদেশে এমন একটা কুৎসিত ও জঘন্য কাজ করতে সমর্থ হয়েছিল ওরা। কিন্তু আর নয়। চিরদিন আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে যুদ্ধাপরাধী রাজাকারগংদের বিরুদ্ধে।
আসুন, আমরা দৃপ্তকণ্ঠে বলি:

রাজাকারদের কোনো ছাড় নেই।
রাজাকারদের কোনো ক্ষমা নেই।


তথ্যপঞ্জি সংগ্রহে যাদের কাছে ঋণী:

১. তথ্যসূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ০৮-০৩-১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ।
২. বাঙলাদেশ, বাঙালি ও বাংলাদেশি, নির্বাচিত প্রবন্ধ (ড. আনিসুজ্জামান, ১৪৯-১৫০)।
৩. আরও তথ্য-কৃতজ্ঞতা: শহীদ-সন্তান জাহিদ রেজা নুর ভাই।
৪. আরও কৃতজ্ঞতা-স্বীকার: বিশিষ্ট কলামনিস্ট সুভাষ সিংহ রায়।

ছবি: গুগল ও নিজস্ব এডিট


সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা।
৩০-০৩-২০২৪

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বুয়েটেকে মাদ্রাসা বানানোর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। বুয়েটে সাকসেস হলে দেশের মেডিকেলে, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ কায়েম করে ঐগুলাকে মাদ্রাসা বানানোর মিশন শুরু হবে। অথচ প্রধানমন্ত্রী এখনো তাদের রাষ্ট্রীয় ভাবে নিষিদ্ধ করছেন না।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: বুয়েট-প্রশাসনে ও শিক্ষকদের মধ্যে আওয়ামীলীগবিরোধীরা শিবির ও হিযবুত তাহরীর-কে সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। এদের তালিকা করা উচিত। এরা হেফাজতপন্থী। এরা বুয়েটে রাজনীতি বন্ধ করে শিবির ও হেফাজতগংদের সুযোগ দিতে চায়।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

২| ৩০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: জঙ্গি রাজাকারের বাচ্চারা আজও বিএনপির কাঁধে ভর করে, বি এন পি ভেক ধরে বাংলাদেশকে বাংলাস্থান বানানোর ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে।

১ নং মন্তব্য মুছে দিন।

৩০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: মুছে দিয়েছি।
শুভেচ্ছা রইলো। ভালো থাকবেন।

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৫

নিমো বলেছেন: উফ! কী সব যে লিখেন না! দেশ সবচেয়ে এগিয়েছিল পাকিস্তানের সাথে থাকার সময়। ঐ সময় দেশ ভর্তি ছিল রূপা গাছ আর কংক্রিটরতন দিয়ে। সময় হয়েছে আবার পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হবার। পোস্টে সম্ভব না হলেও, মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যে অবশ্যই চ অক্ষরের প্রীতিময় সম্বোধন করবেন, নইলে পোস্টটা সুরুচিপূর্ণ ও আদর-সোহাগময় হয়ে উঠবে না।

৩১ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:১৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: অনেক সুন্দর বলেছেন ভাই।
দেশকে আবার সেইদিকে ফিরিয়ে নেওয়ার কত চেষ্টা চলছে!
আল্লাহ সহায়।

শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইলো।

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৩৯

কামাল১৮ বলেছেন: তার সাজা জিয়া পেয়েছে জীবন দিয়ে।তারা ক্ষমতায় থাকতে পারলে ইতিহাস অন্য রকম হতো।দেলোয়ার এখনো সাজা খাটছে।

৩১ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৩৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই।
কিন্তু, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ওরফে ‘দেইল্লা রাজাকার’ মারা গেছে।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



আফসোস!
বড়ই আফসোস!!

কত বড় দুঃসাহস!

০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:৪৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: জ্বি, ভয়ানক দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আর এখনও দুঃসাহস দেখিয়ে এরা রাজনীতি করতে চায়।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা।

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: দেলোয়ার এখনো সাজা খাটছে। -না, দেলোয়ার মারাগেছে।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: জ্বি, সাজা খেটে মরে গেছে।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৩

রানার ব্লগ বলেছেন: খুব কম মন্তব্য পেলেন !! ঘটনা কি ? সত্য তিতা হয় জানতাম তাই বল এতো তিতা যে মন্তব্য করতে গেলে বেহুস হয়ে যাচ্ছে লোকজন ।

৩১ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: অনেকে মনে হয়, মন্তব্য করতে লজ্জা পায়! তাই, চুপচাপ!

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন:

সত্য যে কঠিন,
কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,
সে কখনো করে না বঞ্চনা।


সবাই কি সত্য ভালোবাসতে পারে?

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ভাই।

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৭

আমি মিয়াবাড়ির ছেলে বলেছেন: অসাধারণ একটি কাজ করেছেন। দারুণ তথ্যবহুল হয়েছে লেখাটি। +++
আমার পক্ষ থেকে স্যালুট।অসাধারণ একটি কাজ করেছেন। দারুণ তথ্যবহুল হয়েছে লেখাটি। +++
আমার পক্ষ থেকে স্যালুট।

৯| ৩১ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: জিয়া দুষ্টলোক।

১০| ৩১ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

এস.এম.সাগর বলেছেন: তাহলে বঙ্গ বন্ধুও দোষি, বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করত না। এমনকি দেশ স্বাধীনের পরেও সে ভুট্টোর সাথে পাকিস্তান কনফেডারেশন করতে চাইছিলো। ১৯৭৪ সালে দেশে যখন চরম দুর্ভিক্ষে লাখ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছিল, তখন ভুট্টোকে দাওয়াত করে ঢাকায় এনে বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনতার প্রতিবাদের মুখেও লাল গালিচা সম্বধর্না দেয় । অনেক অনুরোধ করে বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভুট্টোকে নিয়ে যায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে। ভুট্টো অতি তাচ্ছিল্য করে পোলো হ্যাট মাথায় দিয়ে স্মৃতিসৌধে গিয়ে বাংলার মানুষ ও মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করে আসে। এই নিয়া তখন বিস্তর লেখালেখি হইছিলো। অথচ বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লাহোর গিয়া ভুট্টোর সাথে গলাধরে সে কি মহাপিরিতি। তো, যুদ্ধাপরাধের এক নম্বর লোকের সাথে যদি বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই কাজ করতে পারে,


০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনারা মিথ্যা বলেন কার স্বার্থে? কেন বলেন? মিথ্যা বলতে কি আপনাদের বিবেকে একটুও বাধে না?

কবে, কোথায় বঙ্গবন্ধু ভুট্টোর সাথে পাকিস্তান কনফেডারেশন করতে চাইছিলেন?
রেফারেন্সহ প্রমাণ দিন। আর আপনাকে এটা দিতে হবে। যেহেতেু আপনি কথাটা বলেছেন। রেফারেন্সসহ দিবেন। কিন্তু জামায়াত-শিবিরের নষ্ট ও চটি বইয়ের কিসসা-কাহিনী শোনাবেন না। এমনকি নষ্ট-পচা-গলা বামদের লেখা কোনো বইয়েরও রেফারেন্স দিবেন না। ইতিহাসনির্ভর বইয়ের রেফারেন্স দিবেন।

ভুট্টো বাংলাদেশে এসেছিল তাকে সম্মান করাটা রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার। আর বঙ্গবন্ধুও পাকিস্তানে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বার্থে, ওআইসি-সম্মেলনে যোগ দিতে। সদ্যো স্বাধীন দেশের স্বার্থে গিয়েছিলেন। যেতে হয়।
বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধাদের জনক। আর তিনি করবেন মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান?

নষ্ট-পচা বামদের লেখা কোনো বইয়ের রেফারেন্স দিবেন না। কারণ, বামদের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেনি। এরা সারাজীবন আওয়মীলীগের বিরুদ্ধে বই লিখেছে। এখনও লিখছে।

১১| ৩১ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯

এস.এম.সাগর বলেছেন: আপনার কতিথ রাজাকার সমাবেশ এর জন্য জিয়াউর রহমানকে যদি দোষি করা হয় তাহলে প্রধান রাজাকারদের বাবার সাথে গলায় গলায় পিরিতির জন্য বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দোষী!
১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের লাহোরে ওআইসি সম্মেলন থেকে ফিরে এসে মার্চ মাসে ভারতীয় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শেখ মুজিব বলেছিলেন দেশের জনগণের উচিত একাত্তরের তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলে যাওয়া। এই কথা আনুষ্ঠানিকভাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে ঐ বছরেরই ৯ এপ্রিল ভারতে বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রিদেশীয় চুক্তিতে যেখানে ১৪ নম্বর দফায় আছে: " ... the Prime Minister of Bangladesh had declared with regard to the atrocities and destruction committed in Bangladesh in 1971, that he wanted the people to forget the past and to make a fresh start, stating that the people of Bangladesh knew how to forgive."

জুলফিকার আলী ভুট্টো শেখ মুজিবের আমন্ত্রণে ১৯৭৪ সালের ২৭ জুন বাংলাদেশে এসেছিলেন সরকারি সফরে। তখন লাল গালিচা শুভেচ্ছা জানান স্বয়ং শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ২৯ জুন ঢাকা ত্যাগ করেন। যাওয়ার আগে তিনি শেখ মুজিবকে পাকিস্তানে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। শেখ মুজিব তার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।

১২| ৩১ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৪

আমি নই বলেছেন: ১৯৭৬ সালের ৭ই মার্চ মানে স্বাধীনতার ৫ বছর পর, আমার প্রশ্ন হল এই ৫ বছর তারা কি দেশে ছিল? নাকি জিয়া তাদের বিদেশ তেকে দাওয়াত করে এনেছিল? দেশে থেকে থাকলে তারা বেচে ছিল কিভাবে? অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গনহত্যার বিচারতো স্বাধীনতার ৬ মাসেই হয়ে যাওয়ার কথা। বিচার হয় নাই কেন?

১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

এমজেডএফ বলেছেন:
স্বাধীনতার মাসে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি নিয়ে পোস্ট করার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।


@এস.এম.সাগর,
আপনার এসব অবান্তর প্রশ্ন নব্য রাজাকাররা সব সময় ঘুরেফিরে করে! কারণ
প্রকৃত ইতিহাস না জানা,
স্বাধীনতা বিরোধীদের বিকৃত ইতিহাস বিশ্বাস করা,
এবং মগজ ধোলাই।

আপনি বলেছেন, "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করত না।"
অথচ ৭ই মার্চের ভাষণেই বঙ্গবন্ধু বললেন, "এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম"।

"এমনকি দেশ স্বাধীনের পরেও সে ভুট্টোর সাথে পাকিস্তান কনফেডারেশন করতে চাইছিলো।" এই উদ্ভট তথ্য কোথায় পেলেন?

যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রয়োজন ছিল বৈদেশিক সাহায্য। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করায় বাংলাদেশকে অর্থনৌতিক সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। মুসলিম বিশ্ব তথা আরবের ধনী দেশগুলোকে পাকিস্তানের ভুট্টো সরকার বুঝিয়েছিল যে ভারতের সাথে ষড়যন্ত্র করে শেখ মুজিব মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানকে দ্বিখন্ডত করে। মাথা মোটা মুসলমান দেশগুলোর অনেক সরকার ও মানুষ তা বিশ্বাসও করেছিল। তাই আরবের বিত্তশালী দেশগুলো বাংলাদেশকে সাহায্য তো দূরের কথা স্বীকৃতিও দেয়নি। উল্লেখ্য, সৌদি আরব বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর!

ওআইসি ও মুসলিমদেশগুলোর অন্যান্য সংঘটনের সদস্য হওয়ার জন্য পাকিস্তানের সহযোগিতা প্রয়োজন ছিল। তাই একান্ত অনিচ্ছ স্বত্ত্বেও যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত দেশ পুনর্গঠনে মুসলিম দেশগগুলোর সহযোগিতা পাওয়ার জন্য জনতার প্রতিবাদের মুখেও বঙ্গবন্ধু ভুট্টোকে লাল গালিচা সম্বধর্না দিয়ে মাথামোটা মুসলিম দেশগুলোকে বুঝাতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশও পাকিস্তানের মতো সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানের দেশ।

@আমি নই,
আপনি বলেছেন, "অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গনহত্যার বিচারতো স্বাধীনতার ৬ মাসেই হয়ে যাওয়ার কথা। বিচার হয় নাই কেন?"
১৬ ডিসম্বর আত্মসমর্থনের আগে পাকিস্তানি সেনারা বাংলাদেশের অফিস-আদালত-ব্যাংকে লুঠতরাজ চালিয়ে সব গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল। দেশের সর্বত্র এরকম বিশৃঙ্খল অবস্থায় ৬ মাসের মধ্যে বিচার করবে কীভাবে? এভাবে তাড়াহুড়ো করে বিচার করলে ন্যায় বিচার হতো না, সেটা জিয়ার সামরিক আমলের মার্শাল ল কোর্টের বিচার হতো!

১৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:২০

নিমো বলেছেন: @এমজেডএফ, কাদেরকে কৈফিয়ত দেয়ার চেষ্টা করছেন। এরা সকল প্রশ্নেরই উত্তর জানে। এখন জিয়ার কুকীর্তির সদুত্তর যেহেতু নাই, তাই বঙ্গবন্ধুর দোষ টেনে নিয়ে আসতে হবে।

১৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৫

এমজেডএফ বলেছেন: @নিমো, আসলে সবই বুঝি। কিন্তু কেউ কোনো উত্তর না দিলে আবার অনেকে মনে করবে ওদের কথাই ঠিক!

এই নির্লজ্জ নব্য রাজাকারগুলো জিয়ার কুকীর্তিকে জাস্টিফাই করার জন্য উদ্ভট মনগড়া তথ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর দোষ খোঁজে, তারেক রহমানের দুর্নীতিকে জাস্টিফাই করার জন্য কিছুদিন আগে সোস্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়েছিল যে সজীব ওয়াজেদ জয়ের একাউন্টে দুর্নীতির মিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে, এফবিআই তদন্তে নেমেছে, জয় যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে পালিয়েছে!

০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: একদম সঠিক কথা বলেছেন। উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন।
তথ্যনির্ভর কথাবার্তা বলা হয়েছে। এখানে, একটি কথাও মনগড়া বলা হয়নি।

পাশে থাকায় কৃতজ্ঞ ভাই। আপনার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা অফুরান।

১৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:৫৮

কলাবাগান১ বলেছেন: জিয়া নাকি 'মুক্তিযোদ্ধা' ছিলেন????

১৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২১

আমি নই বলেছেন: এমজেডএফ বলেছেন: ১৬ ডিসম্বর আত্মসমর্থনের আগে পাকিস্তানি সেনারা বাংলাদেশের অফিস-আদালত-ব্যাংকে লুঠতরাজ চালিয়ে সব গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল। দেশের সর্বত্র এরকম বিশৃঙ্খল অবস্থায় ৬ মাসের মধ্যে বিচার করবে কীভাবে? এভাবে তাড়াহুড়ো করে বিচার করলে ন্যায় বিচার হতো না, সেটা জিয়ার সামরিক আমলের মার্শাল ল কোর্টের বিচার হতো!

পাকিরা যাওয়ার আগে যতটা পারা যায় ধংশ চালিয়েছিল, এগুলো মনে হয় আগের নথিপত্র ছিল, তাই না? রাজাকারদের অপকর্মের প্রমানতো আর পাকিরা জ্বালাতে পারার কথা নয়। আমাদের উপজেলার ভুমি অফিসও জ্বালিয়ে দিয়েছিল হারামীরা, যার ফল আমরা ভোগ করতেছি।
যাইহোক আমি যেটা বলতে চেয়েছি স্বাধীনতার পর পর ওদের বিচারটা করা সহজ ছিল কারন সকল প্রমান নাকের ডগায় ছিল, সময় কম লাগার কথা এবং অন্য কোনো কিছু করার আগে বেইমানদের সাজা কার্যকর করাটা জরুরি ছিল (৬ মাসটা কথার কথা বলেছি, এর মানে এই নয় ৬ মাসেই শেষ করা লাগত)। কাদের সিদ্দিকির সিস্টেম আমার ভাল লেগেছিল, হয়ত ব্রুটাল কিন্তু রাজাকারদের স্বাধিন দেশে হেটে বেড়ানো দেখার চাইতে ব্রুটালিটি বেটার।

এই নির্লজ্জ নব্য রাজাকারগুলো জিয়ার কুকীর্তিকে জাস্টিফাই করার জন্য উদ্ভট মনগড়া তথ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর দোষ খোঁজে, উপরে যেহেতু আমাকে উত্তর দিয়েছেন তাই ধরে নিলাম এখানেও আমাকে জরানো হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার দশকের বেশি সময় পরে আমার জন্ম, জানার ভুল থাকতে পারে। জিয়া কুকীর্তি করে থাকলে তার বিচারো কি স্বাধীনতার পর পরই হওয়া উচিৎ ছিল না? কিন্তু আমরা শুনেছি উল্টা তাকে সর্বোচ্চ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে, সেনাবাহিনির উচ্চপদে পদায়ন করে তার ক্ষমতা অনেকগুন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এগুলা কি মিথ্যা?

এমনটা কেন হল এটা জানার জন্য প্রশ্ন করা যাবেনা? প্রশ্ন করলেই রাজাকার, ছাগু, জংগী হতে হবে? আপনাদের এধরনের আচরনের জন্যেই হয়ত নতুন প্রজন্মের বাচ্চারা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানার অতটা আগ্রহ দেখায় না।

১৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮

ধুলো মেঘ বলেছেন: ১৯৭৬ সালের সেই ঐতিহাসিক সমাবেশে - কেউ একটা ছবি তুলে রাখারও প্রয়োজন মনে করেনি? সেই সম্মেলনে সাঈদী উপস্থিত ছিল - এরকম গাঁজাখুরি তথ্য আপনি কোত্থেকে জোগাড় করলেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.