![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাগজ প্রতিবেদক : দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে হাতে পেয়েও ছেড়ে দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। নয়াপল্টনের একটি হোটেলে সদলবলে অবস্থানকালে ধরার পর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা তাকে বিজয় নগর মোড়ে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলে তুলে দেয়। তবে সানি ও রাসেল নামে তার অপর দুই সহযোগীকে 2 মহিলাসহ ঐ হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করে মূল ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পল্টন থানা পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। মুক্তাঙ্গনে বিএনপির সমাবেশে নাশকতা ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপানোর জন্যই সিলেটের বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী ও হাওয়া ভবনের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের নিয়ন্ত্রণে মিশন নিয়ে সুব্রত বাইন ঢাকায় এসে ঐ হোটেলে অবস্থান নেয় বলে একাধিক
সূত্র জানিয়েছে। কিন' জোটপন্থী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত গোয়েন্দা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার শহিদুল ইসলামের হসত্দক্ষেপে সুব্রত বাইনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে ঐসব সূত্রে জানা গেছে। হোটেলে সুব্রত বাইনের অবস্থানের খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল সেখানে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানের খবর জানতে পেরে ফিরে আসে।
সূত্রে জানা গেছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন কয়েক দিন আগে তার 11/12 জন সহযোগী নিয়ে ঢাকায় আসে। এসময় তারা ইলিয়াস আলী ও মামুনের শেল্টারে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে। গত রোববার সন্ধ্যার দিকে সুব্রত তার সহযোগীদের নিয়ে সিলেটের বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর নিয়ন্ত্রণাধীন পল্টন প্যালেস নামের আবাসিক হোটেলের 106 নম্বর কক্ষে ওঠে। ঢাকা মহানগর পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা রোববার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুব্রত বাইনের অবস্থানের খবর জানতে পারেন। গোয়েন্দা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার শহিদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে গ্রেপ্তারের।
সূত্র জানায়, শহিদুল ইসলাম তখন ঘটনাটি গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে অবহিত করেন। মামুনের সঙ্গে কথাবার্তার পর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম জয়েন্ট কমিশনারের নির্দেশ পেয়ে দ্রুত ঐ হোটেলে গিয়ে সুব্রত বাইনকে তুলে বিজয় নগর মোড়ে নিয়ে ছেড়ে দেয়। সেখানে অপেক্ষমাণ একটি মোটরসাইকেল সুব্রত বাইনকে নিয়ে চলে যায়। রাত দেড়টার দিকে এ খবর জানতে পেরে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও কয়েকটি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা হোটেল পল্টন প্যালেসে ছুটে যান। ঠিক এই সময় গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর শাহনুরের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের অপর একটি দল হোটেলে পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ হোটেলের 106 নম্বর কক্ষে অভিযান চালিয়ে সানি ও রাসেল নামে সুব্রত বাইনের 2 সহযোগীকে তাদের 2 নারী সঙ্গীসহ গ্রেপ্তার করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকরা এ সময় ইন্সপেক্টর শাহনুরের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বিষয়টি লুকাতে চেষ্টা করেন এবং এক পর্যায়ে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান। এর পরপরই তাদেরকে পল্টন থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। র্যাবের একটি দল সুব্রত বাইনের অবস্থানের খবর জানতে পেরে ঐ হোটেলে যায়। কিন' গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানের খবর জানতে পেরে র্যাব সদস্যরা ফিরে যায়। সুব্রত বাইনের সহযোগীদের 106 নম্বর কক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করা হলেও হোটেল রেজিস্টারে কক্ষটি কারো নামে বরাদ্দ থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রেজিস্টারে কোনো নামও লেখা ছিল না।
সূত্র জানায়, গত রোববার বিকালে মুক্তাঙ্গনে অনুষ্ঠিত 4 দলীয় জোটের সমাবেশ থেকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করা পর্যনত্দ ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা মুক্তাঙ্গনে অবস্থান করার ঘোষণা দেয়। কর্মসূচি অনুযায়ী রাতেও তাদের মুক্তাঙ্গনে অবস্থান করার কথা ছিল। এই অবস্থানের ওপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটানোর জন্যই সুব্রতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগকে ঘায়েল করার জন্যই এই নাশকতার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল বলে বিভিন্নসূত্রে জানা গেছে। তবে এই ঘটনার খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর পুরো মুক্তাঙ্গন এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়।
©somewhere in net ltd.