![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নতুন কিছু পড়তে ভালবাসি
ঘটনাচক্রে গত দু’দিন আগে গিয়েছিলাম ঢাকার গাবতলীর পাশে অবস্থিত হযরত শাহ আলীর মাজার দেখতে । এর আগেও কয়েকটি মাজার দেখার সুযোগ হয়েছিল। মাজারগুলো যে এমন এটা না দেখলে বোঝানো মুশকিল। এ যেন শিরকের এক অভয়ারণ্য। আমি জানিনা পৃথীবীর আর কোন কোন দেশে শিরকের এমন অভয়ারণ্য আছে।
সেজদাবণত এক মুরিদ
আমরা জানি যদি মাথা নত বা সিজদা করতে হয় তাহলে তা একমাত্র আল্লাহর সামনেই করতে হবে, আর এও জানি যে যদি কোন কিছু চাইতে হয় তাহলে সেটাও আল্লাহর কাছেই চাইতে হবে। কিন্তু এই মাজার গুলোতে গেলে দেখা যায় যে সেজদা শুধু আল্লাহকে করলেই চলবে না বরং তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পীরের মাজারেও সেজদা করতে হবে- শুধু আল্লাহর কাছে নয় বরং প্রতিনিধি হিসেবে পীরের কাছেও চাইতে হবে!
এভাবেই মহিলারা মম আর আগরবাতি জ্বালিয়ে মনবাসনা পুরণের চেষ্টা করছেন
এটা সন্দেহাতিত ভাবেই সত্য যে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো সামনে সেজদা করা শিরক-কবিরা গুনাহ। আর আল্লাহ বলেছেন যে, তিনি শিরক ছাড়া অন্য যে কোন গোনাহ মাফ করবেন। অথচ শুধু অশিক্ষিত নয় বরং আমাদের দেশের কিছু শিক্ষিত মূর্খ এসব মাজারে গিয়ে অনায়াসে শিরক কর আসছেন! এই মাজারগুলোতে এমন কোন খারাপ কাজ নাই যা হয় না।
মাজারের ভিতরে এভাবেই পড়ে আছে থরে থরে টাকা
মাজারের বাহিরে টাকা দেওয়ার জন্য এমন এক বিশাল ড্যাগ ঠিক বরে রাখা হয়েছে
এখানে এই কথাটা বলে নেয়া যায় যে, যেই বুজুর্গ ব্যক্তি মারা গিয়েছেন তিনি আল্লাহর কাছে হয়তো অনেক সুখ-শান্তিতে আছেন কিন্তু ওনাকে নিয়ে যারা এমন বাজে কাজ করছেন আমার বিশ্বাস নিশ্চিত সেই ব্যক্তি কেয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন।
এভাবেই বড় লোকেরা গাড়ি নিয়ে মাজারে আসেন
মাজারের পাশে নারী-পুরুষের ভীড়
এটাতো একটা সহজ বিষয় যে, যদি মৃত্যুর পরে কারো পক্ষে কোন কিছু করার সুযোগ থাকতো তাহলে তিনি হলেন আমাদের প্রিয় রাসূল (সা)। কিন্তু কই সেখানে গিয়েতো কেউ কোন কিছু চাওয়ার সুযোগ পান না। এমনকি তাঁকে নিয়ে তথাকথিত মাজারও তৈরী হয়নি। এ থেকে এটা স্পষ্ট যে, কিছু ভন্ড মানুষ এই মাজার ব্যবসা নিয়ে বসেছেন। এরা নামাজ-কালাম তো দূরের কথা পাক পবিত্র অবস্থায়েও থাকেন না। অনেকেই মদ-গাঁজা নিয়ে বুদ হয়ে থাকেন। এখনতো আবার এই সংস্কৃতি বের হয়েছে যে, আমাদের দেশের নেতা-নেতৃরা কোন ভাল কাজ শুরু করার আগে মাজার জিয়ারত করে সেটা শুরু করেন!
আসুন আমরা সবাই এই মাজার পুজা নামক শিরক থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৭
মো: আবু তাহের বলেছেন: জানলেতো আর এমনটা করতো না।
২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৫
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: জাহেল আর বাতেলদের কে বুঝাবে বলুন।ওরা কি বুঝেনা যে এই মাজার গুলোত কিছুই দিতে পারবেনা তাইলে ওখানে কেন!
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫০
মো: আবু তাহের বলেছেন: সত্যিই এরা জাহেল আর বাতেল। আর সেই কারনেই তারা অন্ধের মতো এই মাজারগুলোতে গিয়ে নিজেদের মনোবাঞ্ছা পুরোন করতে চায়।
৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৯
শার্লক বলেছেন: এদেশে সব সম্ভব। ভন্ডদের রাজত্বে এর থেকে বেশী কি আর আশা করবেন। শিক্ষিত মানুষ ক্যামনে এসব শিরক করে বুঝি না। হাস্যকর লাগে।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৬
মো: আবু তাহের বলেছেন: শুধু হাস্যকর নয় এ জেন এক তামাশা। আর ওরা শিক্ষিত নামের কলঙ্ক, বললে বলা যায় মূর্খ শিক্ষিত।
৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৬
স্বপ্নছায়া বলেছেন: আল্লাহ এই সাধারন মানুষদেরকে সঠিক জানার তৌফিক দান করুক ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৬
মো: আবু তাহের বলেছেন: আমিন।
৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৮
মাহিরাহি বলেছেন: খুবই দু:খজনক।
এসব ব্যপারে আলেম সমাজের আরো সোচ্চার হওয়া উচিত।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৭
মো: আবু তাহের বলেছেন: সহমত।
৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৫
কামরান মানছুর বলেছেন: স্বপ্নছায়া বলেছেন: আল্লাহ এই সাধারন মানুষদেরকে সঠিক জানার তৌফিক দান করুক ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৭
মো: আবু তাহের বলেছেন: আমিন।
৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৩
বুইড়া বলেছেন: এরা কিছু গিয়ান পাপি মাজারজীবির শিকার।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৮
মো: আবু তাহের বলেছেন: এইসব জ্ঞানপাপী থেকেও আমাদেরকে সর্বচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩৮
মৃত্যুঞ্জয় বলেছেন: কেন???
শিরক কাকে বলে তা কি উনারা জানেনা ???