![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নতুন কিছু পড়তে ভালবাসি
গত বছরের এই দিনে অনেক ঘটা করে আমাদের বিয়ে হয়। দেশে অস্থিরতা বিরাজ করলেও আমরা বেশ ভালভাবেই সময় কাটাচ্ছিলাম। কিন্তু সেই সুখ আমাদের কপালে বেশি দিন টিকলো না। একজন আরেক জনকে ভালভাবে বুঝে ওঠার আগেই কোন অজ্ঞাত কারনে সরকারের পুলিশ প্রশাসন আমাকে বাড়ি থেকে থানায় নিয়ে গেল, জিজ্ঞেস করলেও তেমন কিছু বললো না। বাবা-মা, ভাই-ভাবী, ভাতিজি-ভাতিজা আর নববধু বুঝে উঠার আগেই সব কাজ শেষ। আমি পুলিশের গাড়িতে উঠে দেখতে পেলাম তারা সবাই কান্নাকাটি করছে। কিন্তু পুলিশ তাদের কথা শুনবে কেন- তারা যে পুলিশ। থানায় রাতটা কাটানোর পর সকালে শুনতে পেলাম যে আমি নাকি গতকাল সন্ধায় বাজারের স্কুল মাঠে জামায়াত-শিবির আর বিএনপির লোকদেরকে নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলাম- এমন একটা মামলা দিয়েছে।
বিয়ে হলো ২৭ জানুয়ারী, শ্বশুর বাড়ি গেলাম ৩০ জানুয়ারী, বাড়ি ফিরলাম ৭ ফেব্রুয়ারী আর গ্রেফতার হলাম ১৩ ফেব্রুয়ারী।
মিথ্যার তো একটা সীমা থাকে কিন্তু আমার বেলায় সেই সীমা-পরিসীমা ছাড়িয়ে অনেক বেশি এগিয়ে গেছে আমাদের পুলিশ প্রশাসন।
নিয়ে গেল বাড়ি থেকে আর মামলার এজহারে উল্লেখ করলো স্কুলে নাশকতার পরিপল্পনা। তার মানে যদি কখননো কাউকে হেয় করতে বা ফাঁসাতে চায় তাহলে তেমন কোন কিছুরই প্রয়োজন নেই, দরকার শুধু একখন্ড কাগজ আর কোন রকম লেখে এমন একটা কলমের এরপর সেই কাগজখন্ড পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়ে কিছু টাকা গুঁজে দিন তাহলেই কেল্লা ফতে।
এখানেই তারা নিস্তার দিলনা বরং ছয়টা থানায় আমাকে দেওয়ার মতো যত মামলা আছে তার সবগুলোতেই শ্যোন এ্যারেস্ট দেখালো। মামলায় আমি বেশ ধনি হয়ে গেলাম আরকি। তবে এই পর্যায়ে ভাল একটা কাজ হয়েছে আর তা হলো আমার সেই নববধুর সাথে প্রেম জমে উঠেছে। সে সপ্তাহে অন্তত একবার দেখা করতে যেত আর ঘন্টা দুয়েক কথা বলতো। জেল প্রশাসন তাকে অবশ্য কিছুটা ছাড়ও দিত দেখতাম- কারন সে নববধু, এভাবেই আমাদের হানিমুনটা চলতে থাকে।
রোজার ঈদের আগে আমার সবগুলো মামলার জামিন হলেও ঈদের আগের দিন জেলগেট থেকে আমাকে আবারও গ্রেফতার করে কোন কারন না দেখিয়েই থানায় নিয়ে যায়। ওসি হেসে হেসে আমাকে বললেন যে "আপনাকে আর কয়েকটা দিন একটু কষ্ট করতে হবে।" বললাম আমার নামে তো কোন মামলা নেই, তিনি বলেন " অমুক থানার একটা মামলা দেওয়া হবে" বলালাম সেখানকার একটা মামলায়তো আমাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তিনি বললেন "আরেকটা মামলা আছে সেটাতে গ্রেফতার দেখানো হবে"!
মনে হলো তার নিকট থেকে আমি মামলা কিনে নিচ্ছি আর এই কারনে দর-দাম ঠিক হচ্ছে!
শেষ পর্যন্ত ঐ মামলায়ও যখন জামিন হলাম তখন জীবনের সোনালী দিনের ৮ মাস ৮ দিন চলে গেছে। অবশ্য একটা বিষয় ঠিক যে বিয়ের দিক দিয়ে আমরা এখনও নববধু আর বরই আছি।
জানি না এভাবে আমার দেশের আরও কত মানুষকে ঘৃণ্য রাজনীতি হেয় প্রতিপন্ন করেই চলেছে! আমরা এই দৃশ্য আর একটিও দেখতে চাই না, অচিরেই এর অবসান চাই।
সবশেষে সকলের কাছে দোয়া চাই, আল্লাহ যেন আমাদের নব দম্পত্তিকে সঠিক পথে থাকার তাওফীক দান করেন।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮
মো: আবু তাহের বলেছেন: চাচামিঞা- অনেক ধন্যবাদ ভাই।
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন:
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
মো: আবু তাহের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩১
এম আর ইকবাল বলেছেন:
কিছুদিন আগে কোন এক অনুষ্ঠানে একজন দেখলাম বেশ জমিয়ে গল্প করছে ।
দাড়ালাম কিছু শোনার আসায় ।
ভদ্রলোক বললেন, একদিন বেশ রাতে গুলশান এলাকা থেকে
নিজে গাড়ি চালিয়ে বাসায় ফিরছিলাম ।সঙ্গে দুজন বন্দু ।
পুলিশ গাড়ী থামালো ।
উকি ছুকি মেরে দেখলো । কিছু জেরা করলো, তারপর যেতে বললো ।
বন্দু একজন বললো, আমাদের দেখেই বোঝা যাচ্ছিল না কি
আমরা খুব সাধারণ মানুষ ।
একজন পুলিশ কমকর্তা বললো,
আমরা চাইলে আপনার গাড়ী থেকে
এমন সব জিনিষ বেরোবে যা আপনি
কোনদিন দেখনি ও ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
মো: আবু তাহের বলেছেন: এটাই এখন কঠিন বাস্তবতা ভাই!
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩
ডরোথী সুমী বলেছেন: এসেছিলাম শুভেচ্ছা জানাতে কিন্তু আপনার অভিজ্ঞতা শুনে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। কি আর করা এ ধরনের পরিস্থিতির পরিবর্তন মনে হয় এ জীবনে হবেনা। তাই এই অবস্থাতেই ভাল থাকার চেষ্টা করুন। বিবাহিত জীবন শুভ হোক। শুভ বিবাহ বার্ষিকী!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
মো: আবু তাহের বলেছেন: দোয়া করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৬
বেলা শেষে বলেছেন: মো: আবু তাহের:
আজ আমাদের বিবাহ বার্ষিকী:
Good Luck:
০১ লা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৪০
মো: আবু তাহের বলেছেন: অনেক মজা পাইলাম। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭
চাচামিঞা বলেছেন: মো: আবু তাহের ভাই, আপনাকে আর ভাবিকে আমার প্রন ঢালা অভিনন্দন। ৫০ বছর পরে একই ভাবে আপনারা বিবাহবার্ষীকি পালন করবেন....এই দোয়া করি।