নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মনাং বিধিই হোক যাপিত জীবনের প্রেরণার উৎস।

তাজা কলম

সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।

তাজা কলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

উভলিংগী মানব আমরা

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

পুরুষ বায়োস্কোপ -

নারী তুমি আলো আধাঁরী- ধোঁয়াশা ধাঁধা

'আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে তোমারে করেছি রচনা'

নও তো তুমি গণিমতের মাল যখন তখন

প্রেমহীন যাপিত জীবন ।



নও তুমি চাঁদ,-ধার করা জ্যোছনা

নিজ বিভায় জ্বলে ওঠা তুমি।

স্মরি নজরুল -

'বিশ্বে যা-কিছু মহান্ সৃষ্টি চির-কল্যাণকর

অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।'



নারী তুমি পুরুষ হয়ো না

হও পরিপূরক

পুরুষ তুমি নারী হয়ো না

হও পরিপূরক

হয়ে উভলিংগী মানব আমরা

দেবতা জিউস আবারো চ্যালেঞ্জ !

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪২

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: এই কবিতা পড়তে পড়তে প্লেটোর সিম্পোসিজিয়াম এর কথা মনে পড়ে গেল। সিম্পোসিজিয়াম মানে আলোচনা। ৮ জন বিশেষ ব্যাক্তির প্রেম বিষয়ক আলোচনাকে ঘিরে প্লেটো রচনা করেছেন জগদ্ববিখ্যাত এক বই। এই বইটিতে আট জনের মধ্যে বিশেষ একজন হলেন সক্রেটিস। সে যাই হোক। মূল কথায় আসি। এই ৮ জন আলোচকদের মধ্যে একজন হলেন- এরিস্টোফেনিস (ইনি একজন হাস্য রসাত্বক কবি)। তার মতে, প্রেমের কাহিনী হল এই- প্রথমত মানুষ ছিল তিন শ্রেনীর। পুরুষ, নারী আর নপুংসক (বা হিজড়া); দ্বিতীয়ত, আগে মানুষ এখনকার মতো চেপটা ছিল না, বেশ গোলগাল ছিল। তাদের ছিল চার হাত, চার পা, ঘাড়ের উপর একটি মাথা, কিন্তু দুই ধারে দুই মুখ। এরা সামনে পেছনে দুই দিকেই হাটতে পারতো, কিন্তু খুব দ্রুত চলতে হলে অষ্টাঙ্গ ব্যবহার করে সার্কাসের ছোকরাদের মতো ডিগবাজি খেতে খেতে চলত। পুরুষের জন্ম হয়েছিল সূর্যের থেকে, স্ত্রীলোকের জন্ম হয়েছিল পৃথিবী থেকে আর হিজড়েদের জন্ম চাঁদের থেকে।

এরা বেশ বলবান আর দুর্দান্ত ছিলো, মাঝে মাঝে দেবতাদেরও আক্রমন করতো। তাই যিয়াস দেব বলল, 'দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা!' এই বলে ঘ্যাচাং করে দু ভাগ করে দেয়। আর এপোলোকে আদেশ দেন চামড়া টান করে নাভির উপর বেঁধে দিয়ে, কাটা ঘা সারিয়ে দিতে। সেই থেকে আমাদের দুই হাত, দুই পা, এক মুখ ইত্যাদি।

কিন্তু আসল কাহিনী হলো এর পর থেক অর্ধেক মানুষ আর অপর্ধের খোজ করে এবং দেখা পেলে তারা পরম আগ্রহে সম্মিলিত হয়। এরই নাম প্রেম।

পুরুষের অর্ধাংশ আর স্ত্রীলোকের অর্ধাংশ একে অপরকে পেলে আর কিছু চায় না। তবে নপুংসক বা উভলিঙ্গ, তাদের অর্ধাংশ পরস্পর মিলিত হলে তাদের পুরুষাংশ স্ত্রী অংশের প্রতি আর স্ত্রী অংশ পুরুষাংশের প্রতি তীব্রভাবে আকৃষ্ট হয়। এরাই সংসারের সাধারণ কামুক শ্রেণী। এরাই কেবল সন্তান উৎপাদন করে সন্তুষ্ট ও সুখী জীবন যাপন করতে চায়।

এই সব নিয়েও পোস্ট দেয়া যায়। কিন্তু আলসামী আর কী!

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। হ্যাপী ব্লগিং!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.