নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মনাং বিধিই হোক যাপিত জীবনের প্রেরণার উৎস।

তাজা কলম

সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।

তাজা কলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধাপরাধী এরশাদ

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫





বাংলাদশের রাজনীতিতে জামায়াতকে যদি বলা যায় বিপদ তবে এরশাদকে বলা যেতে পারে আপদ। নির্বাচনের আগমূহূর্তে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল বিপদ এবং আপদকে নিয়ে ভোটের রাজনীতি করে থাকে।



যা হোক, নব্বইয়ের দশকে আমরা যারা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলাম তারা হাড়ে হাড়ে চিনি বহুরূপি হরবোলা এরশাদকে।বিশ্ববেহায়া এরশাদ, বিশ্বাস ভঙ্গকারী এরশাদ, দূর্ণীতিবাজ এরশাদ, আলুর দোষে দোষায়িত এরশাদ- ইত্যাদি ইত্যাদি।কিন্তু যুদ্ধাপরাধী এরশাদের বিষয়ে হয়তো নতুন প্রজন্মের খুব একটা জানা নেই। এ বিষয়ে সংক্ষেপে আলোকপাত করছি।



১৯৭১-সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হয়ে যায় তখন তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাঙালী সৈন্য-অফিসার আটকে পড়ে । এদের অনেকেই ভারতে পালিয়ে যেয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়ার প্রচেষ্টা চালাতেন। এদের মাঝে কেউ কেউ স্বার্থকও হয়েছেন (যেমন মেজর জেনালেল মন্জুর)। তবে বেশীরভাগ অফিসার/সৈন্য পালাতে গিয়ে পাকিস্তান-ভারত বর্ডারে ধরা পড়ে যেতেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনইচ্ছুক এই সব বাঙালী সৈনিক/অফিসারদের বিচারের জন্য লাহোর ক্যান্টনমন্টে একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবা কাজ করেছেন এরশাদ। স্বভাবতঃই প্রশ্ন জাগে, তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এবং সেনা প্রধান জেনারেল ইয়াহিয়ার কতোটুকু বিশ্বাসভাজন হলে একজন বাঙালী হয়ে দেশপ্রেমিক বাঙালী অফিসার/সৈন্যদের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হতে পারেনে !



গণজাগরণ মঞ্চ থেকে এই যুদ্ধাপরাধী এরশাদের বিচারের দাবি উত্থাপণ করাটাও জরুরী।



পাকিস্তানের সাথে এ বিষয়ে কুটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে লাহোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে এ বিষয়ে সংশ্লিষ নথিপত্র এনে যুদ্ধাপরাধী এরশাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

মাহমুদুর রাহমান বলেছেন: ১৪ দলীয় মহাজোট ছাড়ার টাইম আইল বইলা B-)) B-))

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪২

জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: যুদ্ধ চলা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান ছিলো অতিরিক্ত কথা বলে লাভ নেই, ছোট মুখে বড়ো কথা বলা ঠিক নয় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.