নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মনাং বিধিই হোক যাপিত জীবনের প্রেরণার উৎস।

তাজা কলম

সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।

তাজা কলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

শোরগোলে হাসনাত আবদুল হাই

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৫

শোরগোলে হাসনাত আবদুল হাই



হুইস্কির গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে লেখক ভাবনার অতলে হারিয়ে গেলেন।আমলা জীবন থেকে রিটায়ারমেন্ট নেওয়ার পর থেকেই অখন্ড অবসর । চাকুরীরত ব্যস্ত সময়ে ভাবতেন অবসর নেয়ার পর লেখালেখিতে আরো বেশী মনযোগী হবেন- স্বপ্ন দ্যাখতেন দুইবাংলায় জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সুনীল,হুমায়ুন, শীর্ষেন্দু, সমরেশের কাতারে তার নিজের নাম। চাকুরী জীবনে শত ব্যস্ততার মাঝেও তো তিনি লিখে গেছেন । সুলতান, নভেরা, একজন আরজ আলী মাতব্বর ইত্যাদি উপন্যাসগুলো এক সময় তাকে পাঠকপ্রিয়তা দিয়েছিল। কিন্তু সে তো গত শতকের কাহন। ঐ বইগুলো বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে তাকে একটা স্থান করে দিয়েছিল এবং যে কারণে আজো দেশের জাতিয় পত্র-পত্রিকা বিশেষতঃ ঈদ সংখ্যাগুলোতে তার লেখা প্রকাশ হয়ে থাকে। তবে একজন চালাক লোক হিসেবে অনায়েসে বুঝতে পারেন তিনি আর পাঠকপ্রিয় নন।



ইতোমধ্যেই বেশ কয়েক পেগ হুইস্কি পড়েছে পেটে। নেশা জমেছে বেশ। তার লেখার ধার কি কমে যাচ্ছে! সৃজনশীল লেখালেখির সাথে কি যৌনশক্তির কোন কৌনিক সম্পর্ক রয়েছে। ৯৫ সালে তার প্রোষ্টেট অপারেশন হয় । আর এ অপারেশনের পরপরই তো যৌন ক্ষমতার পুরোটাই হারিয়ে ফেলেন তিনি। এ কারণেই কি তিনি আর পাঠককে টেনে রাখার মতোন কোন লেখা লিখতে পারছেন না ইদানিং। নিজের এ আবিস্কারে নিজেই আমোদিত হন হাসনাত। নিশ্চিত হয়ে যান তার পক্ষে এখন আর কালোত্তীর্ণ লেখা সম্ভব নয়। যৌন ক্ষমতার মতোই কি হারিয়ে গেছে তার লেখনির ধার!



ভাবনার ঘোরেই হঠাৎ আলোর ঝলক। আচ্ছা শাহবাগের পোলাপানগোর নিয়ে একটা চটিধরণের লেখা লিখলে ক্যামন হয়! চলমান রাজনীতির আবহে এ লেখাটি বেশ শোরগোল তোলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না্। ভাবনার মাঝে শাহবাগের শ্লোগান কন্যার মুখটা ভেসে এলো। আচ্ছা, একটু যৌন রস মিশিয়ে ওর আদলে একটা চরিত্র সৃষ্টি করে দেখিই না কি হয়! নেশার ঘোরেই কাগজ কলম বের করেন তিনি.. লেখা এগিয়ে চলে, গভীর রাতেই শেষ হয় গল্পটি। রাত পোহানোর আগেই টাইপ করে ইমেইলে লেখাটি পাঠিয়ে দেন জাতীয় পত্রিকায়। নিশ্চিত জানেন তিনি তার গল্পটি

ছাপানো হবে পহেলা বৈশাখ সংখ্যায়। হাসেন তিনি, নিশ্চয়ই আবারো হাসনাত আবদুল হাই নামটি নিয়ে শোরগোল হবে .. নতুন প্রজন্মের পাঠকেরা জানার চেষ্টা করবে তাকে ।















































































































































মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

এই আমি সেই আমি বলেছেন: বিশ্বব্যাপী জামাতের মিলিয়ন ডলার প্রজেক্টের আর একটি প্রোডাক্ট এই আবদুল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.